প্রযুক্তি ডেস্ক
‘ট্রাফিক লাইট’ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি শুরু করেছে চীন। সে লক্ষ্যেই দেশটির হেনান প্রদেশে চালু করা হয়েছে ফেশিয়াল স্ক্যানিং ব্যবস্থা। গতকাল সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত একটি নথি বিবিসির হাতে এসেছে, যার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সাংবাদিক ও সরকারের জন্য হুমকি—এমন ব্যক্তিবর্গের ওপর নজরদারি বাড়াতে সক্ষম হবে দেশটির সরকার। এর আওতায় ‘ট্রাফিক-লাইট’ ব্যবস্থায় সবুজ, হলুদ ও লাল রঙের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভাগ করা হয়েছে। লাল রঙের আওতায় চিহ্নিত সাংবাদিকদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নজরদারি বিশ্লেষক সংস্থা আইপিভিএম এই ব্যবস্থা সম্পর্কিত নথিটি খুঁজে পায়। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বিদেশি ছাত্র এবং অভিবাসী নারীসহ সরকারের জন্য হুমকি—এমন ব্যক্তিবর্গের ওপর নজরদারি আরও সহজ হবে। তবে মানুষের ওপর নজরদারি বাড়াতে সরকারের এই পদ্ধতির কোনো প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে চীন সরকারের এই উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
এ বিষয়ে হেনান পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ সম্পর্কিত নথিটি প্রকাশিত হয়েছিল গত ২৯ জুলাই। সে সময় এ ধরনর একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। গত ১৭ সেপ্টেম্বর এ কাজের দায়িত্ব পায় নিউসফট নামের প্রতিষ্ঠান।
এই ব্যবস্থার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়েও নিউসফটের সাড়া পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
কী আছে এই ব্যবস্থায়? এটি মূলত ফেশিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে হেনান প্রদেশের হাজার হাজার ক্যামেরা স্থাপন করেছে কর্তৃপক্ষ, যা যেকোনো স্থানে নির্দিষ্ট ব্যক্তির চলাচলের ওপর নজর রাখে। এসব ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যক্তিদের মুখের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় সেই সব ছবি ও তথ্যকে, যা এরই মধ্যে একটি তথ্যভান্ডারে রক্ষিত আছে। একই সঙ্গে এটি চীনের জাতীয় তথ্যভান্ডার থেকেও তথ্য নেয়।
হেনান পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর এই নজরদারির কাজে অন্যতম বড় লক্ষ্যবস্তু হলেন সাংবাদিকেরা। শুধু দেশীয় নয়, বিদেশি সাংবাদিকেরাও এই নজরদারির আওতায় রয়েছেন। প্রাপ্ত নথির বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, মূল লক্ষ্য হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা সাংবাদিকদের তিনটি পৃথক ভাগে ভাগ করা। এর মধ্যে লাল-চিহ্নিত সাংবাদিকেরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হলুদ-চিহ্নিতরা সাধারণ নজরদারির আওতাধীন। আর সবুজ-চিহ্নিত সাংবাদিকেরা হচ্ছেন তাঁরা, যাদের কর্তৃপক্ষ হুমকি বলে মনে করে না। লাল ও হলুদ চিহ্নিত সাংবাদিকেরা কোথাও যাওয়ার জন্য টিকিট বুক করলেই সতর্কবার্তা জারি করা হবে।
শুধু সাংবাদিক নয়, চীনে পড়তে যাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদেরও শ্রেণিবিভাগ করার পদ্ধতি তারা তৈরি করেছে। এ ক্ষেত্রেও তিনটি আলাদা ভাগ করা হয়েছে—‘দারুণ’, ‘সাধারণ’ এবং ‘গুরুত্বপূর্ণ ও অস্থির’। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার, পরীক্ষার ফল, তারা কি বিশেষ কোনো দেশ থেকে এসেছে, তাদের আগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেকর্ড ইত্যাদি দেখা হয়।
এই নজরদারির জন্য লক্ষ্যবস্তুর সেলফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ব্যক্তিগত পরিবহনের তথ্য, ঘর বা হোটেল বা আবাসস্থল, ভ্রমণ টিকিট, সম্পত্তির মালিকানা, ছবি ইত্যাদি থেকে তথ্য সংগ্রহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে নথিতে।
‘ট্রাফিক লাইট’ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি শুরু করেছে চীন। সে লক্ষ্যেই দেশটির হেনান প্রদেশে চালু করা হয়েছে ফেশিয়াল স্ক্যানিং ব্যবস্থা। গতকাল সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত একটি নথি বিবিসির হাতে এসেছে, যার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সাংবাদিক ও সরকারের জন্য হুমকি—এমন ব্যক্তিবর্গের ওপর নজরদারি বাড়াতে সক্ষম হবে দেশটির সরকার। এর আওতায় ‘ট্রাফিক-লাইট’ ব্যবস্থায় সবুজ, হলুদ ও লাল রঙের মাধ্যমে সাংবাদিকদের ভাগ করা হয়েছে। লাল রঙের আওতায় চিহ্নিত সাংবাদিকদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নজরদারি বিশ্লেষক সংস্থা আইপিভিএম এই ব্যবস্থা সম্পর্কিত নথিটি খুঁজে পায়। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে বিদেশি ছাত্র এবং অভিবাসী নারীসহ সরকারের জন্য হুমকি—এমন ব্যক্তিবর্গের ওপর নজরদারি আরও সহজ হবে। তবে মানুষের ওপর নজরদারি বাড়াতে সরকারের এই পদ্ধতির কোনো প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে চীন সরকারের এই উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
এ বিষয়ে হেনান পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ সম্পর্কিত নথিটি প্রকাশিত হয়েছিল গত ২৯ জুলাই। সে সময় এ ধরনর একটি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। গত ১৭ সেপ্টেম্বর এ কাজের দায়িত্ব পায় নিউসফট নামের প্রতিষ্ঠান।
এই ব্যবস্থার বিষয়ে মন্তব্য জানতে চেয়েও নিউসফটের সাড়া পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।
কী আছে এই ব্যবস্থায়? এটি মূলত ফেশিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে হেনান প্রদেশের হাজার হাজার ক্যামেরা স্থাপন করেছে কর্তৃপক্ষ, যা যেকোনো স্থানে নির্দিষ্ট ব্যক্তির চলাচলের ওপর নজর রাখে। এসব ক্যামেরায় ধরা পড়া ব্যক্তিদের মুখের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয় সেই সব ছবি ও তথ্যকে, যা এরই মধ্যে একটি তথ্যভান্ডারে রক্ষিত আছে। একই সঙ্গে এটি চীনের জাতীয় তথ্যভান্ডার থেকেও তথ্য নেয়।
হেনান পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরোর এই নজরদারির কাজে অন্যতম বড় লক্ষ্যবস্তু হলেন সাংবাদিকেরা। শুধু দেশীয় নয়, বিদেশি সাংবাদিকেরাও এই নজরদারির আওতায় রয়েছেন। প্রাপ্ত নথির বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, মূল লক্ষ্য হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা সাংবাদিকদের তিনটি পৃথক ভাগে ভাগ করা। এর মধ্যে লাল-চিহ্নিত সাংবাদিকেরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হলুদ-চিহ্নিতরা সাধারণ নজরদারির আওতাধীন। আর সবুজ-চিহ্নিত সাংবাদিকেরা হচ্ছেন তাঁরা, যাদের কর্তৃপক্ষ হুমকি বলে মনে করে না। লাল ও হলুদ চিহ্নিত সাংবাদিকেরা কোথাও যাওয়ার জন্য টিকিট বুক করলেই সতর্কবার্তা জারি করা হবে।
শুধু সাংবাদিক নয়, চীনে পড়তে যাওয়া বিদেশি শিক্ষার্থীদেরও শ্রেণিবিভাগ করার পদ্ধতি তারা তৈরি করেছে। এ ক্ষেত্রেও তিনটি আলাদা ভাগ করা হয়েছে—‘দারুণ’, ‘সাধারণ’ এবং ‘গুরুত্বপূর্ণ ও অস্থির’। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার, পরীক্ষার ফল, তারা কি বিশেষ কোনো দেশ থেকে এসেছে, তাদের আগের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রেকর্ড ইত্যাদি দেখা হয়।
এই নজরদারির জন্য লক্ষ্যবস্তুর সেলফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ব্যক্তিগত পরিবহনের তথ্য, ঘর বা হোটেল বা আবাসস্থল, ভ্রমণ টিকিট, সম্পত্তির মালিকানা, ছবি ইত্যাদি থেকে তথ্য সংগ্রহের কথা উল্লেখ করা হয়েছে নথিতে।
পুরোনো ও কাটডাউট ভার্সন দিয়েই ডিপসিকের মতো এআই অ্যাপ বানিয়েছে চীন। মূলত এরপরই যুক্তরাষ্ট্রের মনে হয়েছে, কমদামি ও কম সক্ষমতার এসব চিপও আর চীনকে দেওয়া যাবে না এবং যথারীতি চীনে দুর্বল চিপ রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
৩ দিন আগেঅন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রতি ‘টেলিকম খাতে নেটওয়ার্ক ও ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স পুনর্বিন্যাসের’ জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তাতে আইসিএক্স বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল...
৪ দিন আগেডিজিটাল যুগে যোগাযোগের অন্যতম সহজ ও দ্রুত মাধ্যম হয়ে উঠেছে মেসেঞ্জারের মতো বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপের মাধ্যমে মানুষ খুব সহজেই বার্তা আদান-প্রদান করতে পারেন। অনেক সময় বার্তা পাঠানোর পর বানান ভুল, তথ্যগত ত্রুটি বা ভুল বোঝাবুঝির কারণে পাঠানো বার্তাটি সংশোধনের প্রয়োজন হয়। আগে মেসেঞ্জারে
৪ দিন আগেকাজাখস্তানের ২৩ বছর বয়সী তরুণ কেনজেবেক ইসমাইলভ তাঁর মাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। পথে একটি গাড়ি কোনো কারণ ছাড়াই থেমে গিয়ে এক লেনের রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করে। কিন্তু কেনজেবেকের হাসপাতালে যাওয়ার তাড়া ছিল।
৫ দিন আগে