
বিশ্বে জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটা ও অ্যাপল। দুই কোম্পানিই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তির দিকে নজর দিয়েছে। মেটাভার্স তৈরির পাশাপাশি কোয়েস্ট হেডসেট বাজারে ছেড়েছে মেটা। পিছিয়ে নেই অ্যাপলও, গত ৫ জুনে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট ভিশন প্রো বাজারে ছেড়েছে।
যদিও দুটি হেডসেটই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তবে কোম্পানিগুলো ভিন্ন চাহিদাসম্পন্ন গ্রাহকদের জন্য এগুলো তৈরি করেছে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে দুটি হেডসেটের সুবিধা ও সমস্যাগুলো তুলে ধরা হল।
অ্যাপল ভিশন প্রো
মাইক রকওয়েল নেতৃত্বে ভিশন প্রোডাক্ট গ্রুপ (ভিপিজি) এর আওতায় অ্যাপল ভিশন প্রো তৈরি করা হয়। এটি একটি স্পেশিয়াল কম্পিউটার যা আরগুমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর)–তে ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন অ্যাপ ও ফিচার ব্যবহার করতে দেয়। হেডসেটজুড়ে ৫টি সেন্সর ও ১২ ক্যামেরাসহ ২৩০ লাখ পিক্সেল মাইক্রো–ওলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। এদের চালনা করতে এম ২ ও নতুন আর ১ চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। ভিশনওএস অপারেটিং সিস্টেম হেডসেটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এর এক্সটারনাল (বাইরের) ব্যাটারি দুই ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে।
এই প্রযুক্তি যুগান্তকারী মনে হলেও হেডসেটটির কিছু সমস্যা রয়েছে। অ্যাপল হেডসেটটির দাম রেখেছে ৩ হাজার ৪৯৯ ডলার। এটি বিশ্ব বাজারে সবচেয়ে দামি মিক্সড রিয়্যালিটি হেডফোন। তবে হেডফোনটি কিছু ডেভেলপারদের কাছে রয়েছে। সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য হেডফোনটি ২০২৪ সালে বাজারে ছাড়া হবে।
হেডসেটটির দ্বিতীয় সমস্যা হল, ডেভেলপাররা বলছেন এটি দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকলে ঘাড় ব্যথা করে। হেডসেটটির এক্সটারনাল ব্যাটারি সসবময় হেডসেটের সঙ্গে নিয়ে চলতে হয় যার ফলে হেডসেটটি তার বহনযোগ্যতা হারায়।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক গুরম্যান বলছেন, সমস্যাটি সমাধানে অ্যাপল হেডসেটটিতে অতিরিক্ত সমর্থন যুক্ত করার চিন্তা করছে। অ্যাপল হেডসেটটির পুরুত্ব কমাতে চেয়েছিল। তাই সমস্যাটি অ্যাপলের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চশমাসহ এই হেডসেট ব্যবহারেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। গুরম্যান বলছে, এই হেডসেটের মধ্যে চশমা ঢুকে না। এ বিষয়ে অ্যাপল বলছে, চশমা প্রস্তুতকারক কোম্পানি জেইসকে যুক্ত করে ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাস্টম লেন্স তৈরি করা হবে যা হেডসেটের ভেতরে এঁটে যাবে। তবে অ্যাপলের সমালোচকেরা বলছে এটি কোনো বাস্তবসম্মত সমাধান নয়। কারণ বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের চশমার পাওয়ার অনুযায়ী কাস্টম লেন্স তৈরি করতে হবে। আবার এ জন্য গ্রাহককে আলাদা অর্থ খরচ করতে হবে।
মেটা কোয়েস্ট ৩
আপাতদৃষ্টিতে হেডসেটের প্রতিযোগিতায় মেটা কোয়েস্ট ৩ এগিয়ে আছে বলে মনে হয়। কারণ হেডসেটটি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এবং মেটাভার্সের জন্য এই মিশ্র রিয়্যালিটির প্রযুক্তির বিকাশে মেটা আগে থেকেই কাজ করছে। তবে বিষয়টি এতটা সহজ নয়।
গুরম্যান বলছে, মেটা হেডসেটির দাম কমাতে চাচ্ছে। মেটা কোয়েস্ট ৩ এর দাম ভিশন প্রো থেকে ৫০০ ডলার কম হলেও তা ‘কোয়েস্ট ২’ থেকে ২০০ ডলার বেশি। তাই দাম কমিয়ে মেটা বেশিসংখ্যক গ্রাহক পাওয়ার আশা করছে। সামনের বছরে মেটা হেডসেটটিকে মিড রেঞ্জ ডিভাইস হিসেবে বাজারে ছাড়বে। এ ছাড়া ব্যবসায়িক ব্যর্থ ১৫০০ ডলার দামের কোয়েস্ট প্রো এর উত্তরসূরি সামনের বছরে বাজার আনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেটার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারের জন্য তৈরি। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক অ্যাপ ও গেম এই প্ল্যাটফর্মের জন্য তৈরি রয়েছে যা গ্রাহকেরা হেডসেটটি কেনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করতে পারবে।
মেটা কোম্পানির এক কর্মী গুরম্যানকে বলেন, এরপরও মেটা অ্যাপলের হেডসেটের নিয়ে উদ্বিগ্ন।
ভবিষ্যতে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট নিয়ে অ্যাপল ও মেটার প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

বিশ্বে জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটা ও অ্যাপল। দুই কোম্পানিই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তির দিকে নজর দিয়েছে। মেটাভার্স তৈরির পাশাপাশি কোয়েস্ট হেডসেট বাজারে ছেড়েছে মেটা। পিছিয়ে নেই অ্যাপলও, গত ৫ জুনে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট ভিশন প্রো বাজারে ছেড়েছে।
যদিও দুটি হেডসেটই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তবে কোম্পানিগুলো ভিন্ন চাহিদাসম্পন্ন গ্রাহকদের জন্য এগুলো তৈরি করেছে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে দুটি হেডসেটের সুবিধা ও সমস্যাগুলো তুলে ধরা হল।
অ্যাপল ভিশন প্রো
মাইক রকওয়েল নেতৃত্বে ভিশন প্রোডাক্ট গ্রুপ (ভিপিজি) এর আওতায় অ্যাপল ভিশন প্রো তৈরি করা হয়। এটি একটি স্পেশিয়াল কম্পিউটার যা আরগুমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর)–তে ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন অ্যাপ ও ফিচার ব্যবহার করতে দেয়। হেডসেটজুড়ে ৫টি সেন্সর ও ১২ ক্যামেরাসহ ২৩০ লাখ পিক্সেল মাইক্রো–ওলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। এদের চালনা করতে এম ২ ও নতুন আর ১ চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। ভিশনওএস অপারেটিং সিস্টেম হেডসেটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এর এক্সটারনাল (বাইরের) ব্যাটারি দুই ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে।
এই প্রযুক্তি যুগান্তকারী মনে হলেও হেডসেটটির কিছু সমস্যা রয়েছে। অ্যাপল হেডসেটটির দাম রেখেছে ৩ হাজার ৪৯৯ ডলার। এটি বিশ্ব বাজারে সবচেয়ে দামি মিক্সড রিয়্যালিটি হেডফোন। তবে হেডফোনটি কিছু ডেভেলপারদের কাছে রয়েছে। সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য হেডফোনটি ২০২৪ সালে বাজারে ছাড়া হবে।
হেডসেটটির দ্বিতীয় সমস্যা হল, ডেভেলপাররা বলছেন এটি দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকলে ঘাড় ব্যথা করে। হেডসেটটির এক্সটারনাল ব্যাটারি সসবময় হেডসেটের সঙ্গে নিয়ে চলতে হয় যার ফলে হেডসেটটি তার বহনযোগ্যতা হারায়।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক গুরম্যান বলছেন, সমস্যাটি সমাধানে অ্যাপল হেডসেটটিতে অতিরিক্ত সমর্থন যুক্ত করার চিন্তা করছে। অ্যাপল হেডসেটটির পুরুত্ব কমাতে চেয়েছিল। তাই সমস্যাটি অ্যাপলের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চশমাসহ এই হেডসেট ব্যবহারেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। গুরম্যান বলছে, এই হেডসেটের মধ্যে চশমা ঢুকে না। এ বিষয়ে অ্যাপল বলছে, চশমা প্রস্তুতকারক কোম্পানি জেইসকে যুক্ত করে ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাস্টম লেন্স তৈরি করা হবে যা হেডসেটের ভেতরে এঁটে যাবে। তবে অ্যাপলের সমালোচকেরা বলছে এটি কোনো বাস্তবসম্মত সমাধান নয়। কারণ বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের চশমার পাওয়ার অনুযায়ী কাস্টম লেন্স তৈরি করতে হবে। আবার এ জন্য গ্রাহককে আলাদা অর্থ খরচ করতে হবে।
মেটা কোয়েস্ট ৩
আপাতদৃষ্টিতে হেডসেটের প্রতিযোগিতায় মেটা কোয়েস্ট ৩ এগিয়ে আছে বলে মনে হয়। কারণ হেডসেটটি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এবং মেটাভার্সের জন্য এই মিশ্র রিয়্যালিটির প্রযুক্তির বিকাশে মেটা আগে থেকেই কাজ করছে। তবে বিষয়টি এতটা সহজ নয়।
গুরম্যান বলছে, মেটা হেডসেটির দাম কমাতে চাচ্ছে। মেটা কোয়েস্ট ৩ এর দাম ভিশন প্রো থেকে ৫০০ ডলার কম হলেও তা ‘কোয়েস্ট ২’ থেকে ২০০ ডলার বেশি। তাই দাম কমিয়ে মেটা বেশিসংখ্যক গ্রাহক পাওয়ার আশা করছে। সামনের বছরে মেটা হেডসেটটিকে মিড রেঞ্জ ডিভাইস হিসেবে বাজারে ছাড়বে। এ ছাড়া ব্যবসায়িক ব্যর্থ ১৫০০ ডলার দামের কোয়েস্ট প্রো এর উত্তরসূরি সামনের বছরে বাজার আনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেটার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারের জন্য তৈরি। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক অ্যাপ ও গেম এই প্ল্যাটফর্মের জন্য তৈরি রয়েছে যা গ্রাহকেরা হেডসেটটি কেনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করতে পারবে।
মেটা কোম্পানির এক কর্মী গুরম্যানকে বলেন, এরপরও মেটা অ্যাপলের হেডসেটের নিয়ে উদ্বিগ্ন।
ভবিষ্যতে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট নিয়ে অ্যাপল ও মেটার প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

বিশ্বে জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটা ও অ্যাপল। দুই কোম্পানিই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তির দিকে নজর দিয়েছে। মেটাভার্স তৈরির পাশাপাশি কোয়েস্ট হেডসেট বাজারে ছেড়েছে মেটা। পিছিয়ে নেই অ্যাপলও, গত ৫ জুনে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট ভিশন প্রো বাজারে ছেড়েছে।
যদিও দুটি হেডসেটই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তবে কোম্পানিগুলো ভিন্ন চাহিদাসম্পন্ন গ্রাহকদের জন্য এগুলো তৈরি করেছে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে দুটি হেডসেটের সুবিধা ও সমস্যাগুলো তুলে ধরা হল।
অ্যাপল ভিশন প্রো
মাইক রকওয়েল নেতৃত্বে ভিশন প্রোডাক্ট গ্রুপ (ভিপিজি) এর আওতায় অ্যাপল ভিশন প্রো তৈরি করা হয়। এটি একটি স্পেশিয়াল কম্পিউটার যা আরগুমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর)–তে ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন অ্যাপ ও ফিচার ব্যবহার করতে দেয়। হেডসেটজুড়ে ৫টি সেন্সর ও ১২ ক্যামেরাসহ ২৩০ লাখ পিক্সেল মাইক্রো–ওলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। এদের চালনা করতে এম ২ ও নতুন আর ১ চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। ভিশনওএস অপারেটিং সিস্টেম হেডসেটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এর এক্সটারনাল (বাইরের) ব্যাটারি দুই ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে।
এই প্রযুক্তি যুগান্তকারী মনে হলেও হেডসেটটির কিছু সমস্যা রয়েছে। অ্যাপল হেডসেটটির দাম রেখেছে ৩ হাজার ৪৯৯ ডলার। এটি বিশ্ব বাজারে সবচেয়ে দামি মিক্সড রিয়্যালিটি হেডফোন। তবে হেডফোনটি কিছু ডেভেলপারদের কাছে রয়েছে। সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য হেডফোনটি ২০২৪ সালে বাজারে ছাড়া হবে।
হেডসেটটির দ্বিতীয় সমস্যা হল, ডেভেলপাররা বলছেন এটি দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকলে ঘাড় ব্যথা করে। হেডসেটটির এক্সটারনাল ব্যাটারি সসবময় হেডসেটের সঙ্গে নিয়ে চলতে হয় যার ফলে হেডসেটটি তার বহনযোগ্যতা হারায়।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক গুরম্যান বলছেন, সমস্যাটি সমাধানে অ্যাপল হেডসেটটিতে অতিরিক্ত সমর্থন যুক্ত করার চিন্তা করছে। অ্যাপল হেডসেটটির পুরুত্ব কমাতে চেয়েছিল। তাই সমস্যাটি অ্যাপলের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চশমাসহ এই হেডসেট ব্যবহারেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। গুরম্যান বলছে, এই হেডসেটের মধ্যে চশমা ঢুকে না। এ বিষয়ে অ্যাপল বলছে, চশমা প্রস্তুতকারক কোম্পানি জেইসকে যুক্ত করে ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাস্টম লেন্স তৈরি করা হবে যা হেডসেটের ভেতরে এঁটে যাবে। তবে অ্যাপলের সমালোচকেরা বলছে এটি কোনো বাস্তবসম্মত সমাধান নয়। কারণ বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের চশমার পাওয়ার অনুযায়ী কাস্টম লেন্স তৈরি করতে হবে। আবার এ জন্য গ্রাহককে আলাদা অর্থ খরচ করতে হবে।
মেটা কোয়েস্ট ৩
আপাতদৃষ্টিতে হেডসেটের প্রতিযোগিতায় মেটা কোয়েস্ট ৩ এগিয়ে আছে বলে মনে হয়। কারণ হেডসেটটি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এবং মেটাভার্সের জন্য এই মিশ্র রিয়্যালিটির প্রযুক্তির বিকাশে মেটা আগে থেকেই কাজ করছে। তবে বিষয়টি এতটা সহজ নয়।
গুরম্যান বলছে, মেটা হেডসেটির দাম কমাতে চাচ্ছে। মেটা কোয়েস্ট ৩ এর দাম ভিশন প্রো থেকে ৫০০ ডলার কম হলেও তা ‘কোয়েস্ট ২’ থেকে ২০০ ডলার বেশি। তাই দাম কমিয়ে মেটা বেশিসংখ্যক গ্রাহক পাওয়ার আশা করছে। সামনের বছরে মেটা হেডসেটটিকে মিড রেঞ্জ ডিভাইস হিসেবে বাজারে ছাড়বে। এ ছাড়া ব্যবসায়িক ব্যর্থ ১৫০০ ডলার দামের কোয়েস্ট প্রো এর উত্তরসূরি সামনের বছরে বাজার আনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেটার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারের জন্য তৈরি। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক অ্যাপ ও গেম এই প্ল্যাটফর্মের জন্য তৈরি রয়েছে যা গ্রাহকেরা হেডসেটটি কেনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করতে পারবে।
মেটা কোম্পানির এক কর্মী গুরম্যানকে বলেন, এরপরও মেটা অ্যাপলের হেডসেটের নিয়ে উদ্বিগ্ন।
ভবিষ্যতে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট নিয়ে অ্যাপল ও মেটার প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

বিশ্বে জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটা ও অ্যাপল। দুই কোম্পানিই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তির দিকে নজর দিয়েছে। মেটাভার্স তৈরির পাশাপাশি কোয়েস্ট হেডসেট বাজারে ছেড়েছে মেটা। পিছিয়ে নেই অ্যাপলও, গত ৫ জুনে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট ভিশন প্রো বাজারে ছেড়েছে।
যদিও দুটি হেডসেটই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তবে কোম্পানিগুলো ভিন্ন চাহিদাসম্পন্ন গ্রাহকদের জন্য এগুলো তৈরি করেছে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন থেকে দুটি হেডসেটের সুবিধা ও সমস্যাগুলো তুলে ধরা হল।
অ্যাপল ভিশন প্রো
মাইক রকওয়েল নেতৃত্বে ভিশন প্রোডাক্ট গ্রুপ (ভিপিজি) এর আওতায় অ্যাপল ভিশন প্রো তৈরি করা হয়। এটি একটি স্পেশিয়াল কম্পিউটার যা আরগুমেন্টেড রিয়্যালিটি (এআর) ও ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি (ভিআর)–তে ব্যবহারকারীকে বিভিন্ন অ্যাপ ও ফিচার ব্যবহার করতে দেয়। হেডসেটজুড়ে ৫টি সেন্সর ও ১২ ক্যামেরাসহ ২৩০ লাখ পিক্সেল মাইক্রো–ওলেড ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। এদের চালনা করতে এম ২ ও নতুন আর ১ চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। ভিশনওএস অপারেটিং সিস্টেম হেডসেটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এর এক্সটারনাল (বাইরের) ব্যাটারি দুই ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে।
এই প্রযুক্তি যুগান্তকারী মনে হলেও হেডসেটটির কিছু সমস্যা রয়েছে। অ্যাপল হেডসেটটির দাম রেখেছে ৩ হাজার ৪৯৯ ডলার। এটি বিশ্ব বাজারে সবচেয়ে দামি মিক্সড রিয়্যালিটি হেডফোন। তবে হেডফোনটি কিছু ডেভেলপারদের কাছে রয়েছে। সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য হেডফোনটি ২০২৪ সালে বাজারে ছাড়া হবে।
হেডসেটটির দ্বিতীয় সমস্যা হল, ডেভেলপাররা বলছেন এটি দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকলে ঘাড় ব্যথা করে। হেডসেটটির এক্সটারনাল ব্যাটারি সসবময় হেডসেটের সঙ্গে নিয়ে চলতে হয় যার ফলে হেডসেটটি তার বহনযোগ্যতা হারায়।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদক মার্ক গুরম্যান বলছেন, সমস্যাটি সমাধানে অ্যাপল হেডসেটটিতে অতিরিক্ত সমর্থন যুক্ত করার চিন্তা করছে। অ্যাপল হেডসেটটির পুরুত্ব কমাতে চেয়েছিল। তাই সমস্যাটি অ্যাপলের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চশমাসহ এই হেডসেট ব্যবহারেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। গুরম্যান বলছে, এই হেডসেটের মধ্যে চশমা ঢুকে না। এ বিষয়ে অ্যাপল বলছে, চশমা প্রস্তুতকারক কোম্পানি জেইসকে যুক্ত করে ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাস্টম লেন্স তৈরি করা হবে যা হেডসেটের ভেতরে এঁটে যাবে। তবে অ্যাপলের সমালোচকেরা বলছে এটি কোনো বাস্তবসম্মত সমাধান নয়। কারণ বিপুলসংখ্যক গ্রাহকের চশমার পাওয়ার অনুযায়ী কাস্টম লেন্স তৈরি করতে হবে। আবার এ জন্য গ্রাহককে আলাদা অর্থ খরচ করতে হবে।
মেটা কোয়েস্ট ৩
আপাতদৃষ্টিতে হেডসেটের প্রতিযোগিতায় মেটা কোয়েস্ট ৩ এগিয়ে আছে বলে মনে হয়। কারণ হেডসেটটি বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে এবং মেটাভার্সের জন্য এই মিশ্র রিয়্যালিটির প্রযুক্তির বিকাশে মেটা আগে থেকেই কাজ করছে। তবে বিষয়টি এতটা সহজ নয়।
গুরম্যান বলছে, মেটা হেডসেটির দাম কমাতে চাচ্ছে। মেটা কোয়েস্ট ৩ এর দাম ভিশন প্রো থেকে ৫০০ ডলার কম হলেও তা ‘কোয়েস্ট ২’ থেকে ২০০ ডলার বেশি। তাই দাম কমিয়ে মেটা বেশিসংখ্যক গ্রাহক পাওয়ার আশা করছে। সামনের বছরে মেটা হেডসেটটিকে মিড রেঞ্জ ডিভাইস হিসেবে বাজারে ছাড়বে। এ ছাড়া ব্যবসায়িক ব্যর্থ ১৫০০ ডলার দামের কোয়েস্ট প্রো এর উত্তরসূরি সামনের বছরে বাজার আনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেটার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারের জন্য তৈরি। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক অ্যাপ ও গেম এই প্ল্যাটফর্মের জন্য তৈরি রয়েছে যা গ্রাহকেরা হেডসেটটি কেনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করতে পারবে।
মেটা কোম্পানির এক কর্মী গুরম্যানকে বলেন, এরপরও মেটা অ্যাপলের হেডসেটের নিয়ে উদ্বিগ্ন।
ভবিষ্যতে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট নিয়ে অ্যাপল ও মেটার প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।

একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে
অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধ চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে যখন ৫জি প্রতীকটি লেখা ওঠে, তখন ব্যবহারকারী ধরেই নেন যে তিনি অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের এই লেখাটি গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল’ নতুন এক মাইলফলক অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) কোম্পানিটির বাজারমূল্য ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে অ্যাপল ‘এনভিডিয়া’ ও ‘মাইক্রোসফট’-এর পাশে জায়গা করে নিয়েছে—এই দুই প্রযুক্তি জায়ান্টও চলতি বছরই ৪ ট্রিলি
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম। এই নতুন প্রবণতাটি ‘ক্লাউড ফার্মিং’ নামে পরিচিত, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর আগমন এই ধারায় নতুন গতি এনেছে।
মোহান কুমারের মতো কর্মীরা এই পরিবর্তনের সুফল পাচ্ছেন। তামিলনাড়ুর ছোট শহর টিএন পালায়ামের বাসিন্দা তিনি। তাঁর কাজ হলো এআই অ্যানোটেশন।
মোহান কুমার বলেন, ‘আমার কাজ হলো এআই অ্যানোটেশন। আমি বিভিন্ন সোর্স থেকে ডেটা সংগ্রহ করি, সেগুলোতে লেবেল লাগাই এবং মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দিই, যাতে তারা বস্তুকে চিনতে পারে এবং ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মডেলগুলো স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে।’
মেট্রো শহরে না থাকার কারণে কোনো পেশাগত ক্ষতি হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পেশাগতভাবে কোনো পার্থক্য নেই। ছোট শহরে থেকেও আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একই বৈশ্বিক ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করি। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতার মানও একই।’
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ডেসিক্রু হলো ক্লাউড ফার্মিং-এর অন্যতম পথিকৃৎ। চেন্নাইয়ে সদর দপ্তর থাকলেও এই প্রতিষ্ঠান প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ ছড়িয়ে দিয়েছে।
ডেসিক্রুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মান্নিভান্নান জে কে বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, চাকরির খোঁজে মানুষকে শহরে যেতে বাধ্য করার বদলে, যেখানে মানুষ থাকে সেখানেই কাজ নিয়ে যাওয়া সম্ভব। দীর্ঘদিন ধরে সুযোগগুলো কেবল শহরেই কেন্দ্রীভূত ছিল, যার ফলে গ্রামের যুবসমাজ পিছিয়ে যাচ্ছিল। আমাদের লক্ষ্য সব সময়ই ছিল মানুষের দোরগোড়ায় বিশ্বমানের ক্যারিয়ার তৈরি করা।’
ডেসিক্রুর মোট কাজের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই বর্তমানে এআই সম্পর্কিত। মান্নিভান্নান জে কে আশা করেন, খুব শিগগিরই তা বেড়ে ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশে পৌঁছাবে। এই কাজগুলোর একটি বড় অংশ হলো ট্রান্সক্রিপশন বা অডিও থেকে টেক্সটে রূপান্তর, যা মানুষের কথা বলার বৈচিত্র্য বুঝতে এআইকে সহায়তা করে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘অনেকেই ধরে নেন যে গ্রাম মানেই অনুন্নত। কিন্তু আমাদের কেন্দ্রগুলো শহুরে আইটি হাবগুলোর মতোই—সুরক্ষিত ডেটা অ্যাকসেস, নির্ভরযোগ্য সংযোগ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ রয়েছে। পার্থক্য কেবল ভৌগোলিক অবস্থানে।’ তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মীই নারী, যাদের জন্য এটি আর্থিক নিরাপত্তা এনে দিয়েছে।
২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নেক্সটওয়েলথ ক্লাউড ফার্মিংয়ে আরও একটি অগ্রণী সংস্থা। বেঙ্গালুরুতে সদর দপ্তর থাকা সত্ত্বেও, ভারতের ছোট শহরগুলোতে তাদের ১১টি অফিসে ৫ হাজার কর্মী কাজ করেন।
নেক্সটওয়েলথ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিথিলি রমেশের মতে, ‘ভারতের ৬০ শতাংশ স্নাতক ছোট শহর থেকে আসে, অথচ বেশির ভাগ আইটি কোম্পানি শুধু মেট্রো শহর থেকে নিয়োগ করে। এটি বিপুলসংখ্যক স্মার্ট স্নাতকের সম্ভাবনাকে অব্যবহৃত রেখে দেয়।’ তিনি জানান, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অ্যালগরিদমগুলো ভারতের ছোট শহরগুলোতেই প্রশিক্ষণ ও যাচাই করা হচ্ছে।
মিথিলি রমেশের অনুমান, আগামী ৩ থেকে ৫ বছরে এআই এবং জেনারেটিভ এআই প্রশিক্ষণ, যাচাই এবং রিয়েল-টাইম হ্যান্ডলিং-এর ক্ষেত্রে প্রায় ১০ কোটি নতুন কাজের সৃষ্টি করবে। ভারতের ছোট শহরগুলো এই বিশাল কর্মবাহিনীর মেরুদণ্ড হতে পারে। তিনি মনে করেন, এআই আউটসোর্সিংয়ে ভারতের প্রাথমিক সূচনা এবং কাজের বিশাল ব্যাপ্তি দেশটিকে পাঁচ থেকে সাত বছরের সুবিধা দিয়েছে।
এআই-এর জন্য সিলিকন ভ্যালি ইঞ্জিন তৈরি করলেও, সেই ইঞ্জিনকে সচল রাখার দৈনন্দিন কাজ এখন ক্রমবর্ধমানভাবে ভারতের ক্লাউড ফার্মিং শিল্প থেকে আসছে বলে মনে করেন প্রযুক্তি উপদেষ্টা কে এস বিশ্বনাথন। তিনি এটিকে একটি ‘টিপিং পয়েন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তবে এই সাফল্যের পথ চ্যালেঞ্জমুক্ত নয়। ডেসিক্রু ও নেক্সটওয়েলথ নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগের কথা বললেও, বিশ্বনাথন স্বীকার করেন, ভারতের ছোট শহরগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং সুরক্ষিত ডেটা সেন্টারের মান এখনো মেট্রো শহরগুলোর সমতুল্য নয়।
এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের মধ্যে একটি বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে ছোট শহরগুলো ডেটা সুরক্ষার মান পূরণ করতে পারবে না। এই ধারণা কাটিয়ে ওঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
নেক্সটওয়েলথ-এর কর্মী ধনলক্ষ্মী বিজয়, যিনি এআই ‘ফাইন টিউন’ করার কাজ করেন (যেমন, নীল ডেনিম জ্যাকেট এবং নেভি শার্টের মতো দেখতে দুটি কাছাকাছি বস্তুকে চিনিয়ে দেওয়া), তিনি বলেন, ‘এই সংশোধনগুলো সিস্টেমে পাঠানো হয়, যা মডেলটিকে আরও নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে। আপনার অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতা সহজ ও ঝামেলামুক্ত করার জন্য পরোক্ষভাবে আমার দলই এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।’

একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম। এই নতুন প্রবণতাটি ‘ক্লাউড ফার্মিং’ নামে পরিচিত, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর আগমন এই ধারায় নতুন গতি এনেছে।
মোহান কুমারের মতো কর্মীরা এই পরিবর্তনের সুফল পাচ্ছেন। তামিলনাড়ুর ছোট শহর টিএন পালায়ামের বাসিন্দা তিনি। তাঁর কাজ হলো এআই অ্যানোটেশন।
মোহান কুমার বলেন, ‘আমার কাজ হলো এআই অ্যানোটেশন। আমি বিভিন্ন সোর্স থেকে ডেটা সংগ্রহ করি, সেগুলোতে লেবেল লাগাই এবং মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ দিই, যাতে তারা বস্তুকে চিনতে পারে এবং ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মডেলগুলো স্বয়ংক্রিয় হয়ে ওঠে।’
মেট্রো শহরে না থাকার কারণে কোনো পেশাগত ক্ষতি হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পেশাগতভাবে কোনো পার্থক্য নেই। ছোট শহরে থেকেও আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একই বৈশ্বিক ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কাজ করি। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতার মানও একই।’
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ডেসিক্রু হলো ক্লাউড ফার্মিং-এর অন্যতম পথিকৃৎ। চেন্নাইয়ে সদর দপ্তর থাকলেও এই প্রতিষ্ঠান প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ ছড়িয়ে দিয়েছে।
ডেসিক্রুর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মান্নিভান্নান জে কে বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে, চাকরির খোঁজে মানুষকে শহরে যেতে বাধ্য করার বদলে, যেখানে মানুষ থাকে সেখানেই কাজ নিয়ে যাওয়া সম্ভব। দীর্ঘদিন ধরে সুযোগগুলো কেবল শহরেই কেন্দ্রীভূত ছিল, যার ফলে গ্রামের যুবসমাজ পিছিয়ে যাচ্ছিল। আমাদের লক্ষ্য সব সময়ই ছিল মানুষের দোরগোড়ায় বিশ্বমানের ক্যারিয়ার তৈরি করা।’
ডেসিক্রুর মোট কাজের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই বর্তমানে এআই সম্পর্কিত। মান্নিভান্নান জে কে আশা করেন, খুব শিগগিরই তা বেড়ে ৭৫ থেকে ১০০ শতাংশে পৌঁছাবে। এই কাজগুলোর একটি বড় অংশ হলো ট্রান্সক্রিপশন বা অডিও থেকে টেক্সটে রূপান্তর, যা মানুষের কথা বলার বৈচিত্র্য বুঝতে এআইকে সহায়তা করে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘অনেকেই ধরে নেন যে গ্রাম মানেই অনুন্নত। কিন্তু আমাদের কেন্দ্রগুলো শহুরে আইটি হাবগুলোর মতোই—সুরক্ষিত ডেটা অ্যাকসেস, নির্ভরযোগ্য সংযোগ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ রয়েছে। পার্থক্য কেবল ভৌগোলিক অবস্থানে।’ তাঁদের প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মীই নারী, যাদের জন্য এটি আর্থিক নিরাপত্তা এনে দিয়েছে।
২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত নেক্সটওয়েলথ ক্লাউড ফার্মিংয়ে আরও একটি অগ্রণী সংস্থা। বেঙ্গালুরুতে সদর দপ্তর থাকা সত্ত্বেও, ভারতের ছোট শহরগুলোতে তাদের ১১টি অফিসে ৫ হাজার কর্মী কাজ করেন।
নেক্সটওয়েলথ-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিথিলি রমেশের মতে, ‘ভারতের ৬০ শতাংশ স্নাতক ছোট শহর থেকে আসে, অথচ বেশির ভাগ আইটি কোম্পানি শুধু মেট্রো শহর থেকে নিয়োগ করে। এটি বিপুলসংখ্যক স্মার্ট স্নাতকের সম্ভাবনাকে অব্যবহৃত রেখে দেয়।’ তিনি জানান, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত অ্যালগরিদমগুলো ভারতের ছোট শহরগুলোতেই প্রশিক্ষণ ও যাচাই করা হচ্ছে।
মিথিলি রমেশের অনুমান, আগামী ৩ থেকে ৫ বছরে এআই এবং জেনারেটিভ এআই প্রশিক্ষণ, যাচাই এবং রিয়েল-টাইম হ্যান্ডলিং-এর ক্ষেত্রে প্রায় ১০ কোটি নতুন কাজের সৃষ্টি করবে। ভারতের ছোট শহরগুলো এই বিশাল কর্মবাহিনীর মেরুদণ্ড হতে পারে। তিনি মনে করেন, এআই আউটসোর্সিংয়ে ভারতের প্রাথমিক সূচনা এবং কাজের বিশাল ব্যাপ্তি দেশটিকে পাঁচ থেকে সাত বছরের সুবিধা দিয়েছে।
এআই-এর জন্য সিলিকন ভ্যালি ইঞ্জিন তৈরি করলেও, সেই ইঞ্জিনকে সচল রাখার দৈনন্দিন কাজ এখন ক্রমবর্ধমানভাবে ভারতের ক্লাউড ফার্মিং শিল্প থেকে আসছে বলে মনে করেন প্রযুক্তি উপদেষ্টা কে এস বিশ্বনাথন। তিনি এটিকে একটি ‘টিপিং পয়েন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তবে এই সাফল্যের পথ চ্যালেঞ্জমুক্ত নয়। ডেসিক্রু ও নেক্সটওয়েলথ নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগের কথা বললেও, বিশ্বনাথন স্বীকার করেন, ভারতের ছোট শহরগুলোতে উচ্চগতির ইন্টারনেট এবং সুরক্ষিত ডেটা সেন্টারের মান এখনো মেট্রো শহরগুলোর সমতুল্য নয়।
এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের মধ্যে একটি বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে ছোট শহরগুলো ডেটা সুরক্ষার মান পূরণ করতে পারবে না। এই ধারণা কাটিয়ে ওঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
নেক্সটওয়েলথ-এর কর্মী ধনলক্ষ্মী বিজয়, যিনি এআই ‘ফাইন টিউন’ করার কাজ করেন (যেমন, নীল ডেনিম জ্যাকেট এবং নেভি শার্টের মতো দেখতে দুটি কাছাকাছি বস্তুকে চিনিয়ে দেওয়া), তিনি বলেন, ‘এই সংশোধনগুলো সিস্টেমে পাঠানো হয়, যা মডেলটিকে আরও নির্ভুল ও নির্ভরযোগ্য করে তোলে। আপনার অনলাইন শপিংয়ের অভিজ্ঞতা সহজ ও ঝামেলামুক্ত করার জন্য পরোক্ষভাবে আমার দলই এআই মডেলকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।’

বিশ্বে জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটা ও অ্যাপল। দুই কোম্পানিই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তির দিকে নজর দিয়েছে। মেটাভার্স তৈরির পাশাপাশি কোয়েস্ট হেডসেট বাজারে ছেড়েছে মেটা। পিছিয়ে নেই অ্যাপলও, গত ৫ জুনে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট ভিশন প্রো বাজারে ছেড়েছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৩
অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধ চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে যখন ৫জি প্রতীকটি লেখা ওঠে, তখন ব্যবহারকারী ধরেই নেন যে তিনি অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের এই লেখাটি গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল’ নতুন এক মাইলফলক অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) কোম্পানিটির বাজারমূল্য ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে অ্যাপল ‘এনভিডিয়া’ ও ‘মাইক্রোসফট’-এর পাশে জায়গা করে নিয়েছে—এই দুই প্রযুক্তি জায়ান্টও চলতি বছরই ৪ ট্রিলি
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধী চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।
এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় তিনজন এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে আরও ৯ জনকে এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ (এএফপি) কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট জানিয়েছেন, এই নতুন ও উদ্বেগজনক ‘লিঙ্গভিত্তিক’ সহিংসতার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার এক ভাষণে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন তিনি।
টার্গেট করা কিশোরীদের দিয়ে কী ধরনের কাজ করানো হচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কমিশনার ব্যারেট বলেছেন, অভিযুক্ত অপরাধীরা সহিংস উগ্রবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং ‘মজা করার জন্য’ মানুষকে আঘাত করতে চায়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বিশের ঘরে থাকা তরুণ। যাদের বেশির ভাগ পশ্চিমা পটভূমি থেকে এসেছে। তারা রোবলক্সের মতো গেমিং প্ল্যাটফর্ম বা ডিসকর্ড ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে কিশোরী বা প্রাক্-কিশোরী মেয়েদের টার্গেট করে।
কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট এদের ‘ক্রাইমফ্লুয়েন্সার’ (crimefluencer) বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই ব্যক্তিরা নানা ধরনের মতাদর্শে বিশ্বাসী, যার মধ্যে নিহিলিজম (জীবনের অর্থ অস্বীকার), স্যাডিজম (অন্যকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পাওয়া), নাৎসিবাদ ও শয়তানবাদ অন্তর্ভুক্ত।
ব্যারেট বলেন, এই দলগুলোর সংস্কৃতি অনেকটা মাল্টিপ্লেয়ার বা অনলাইন গেমিং সংস্কৃতির মতো। তারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শিকার খোঁজে, অনুসরণ করে এবং ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের টেনে আনে।। তারা হয়তো তাদের আচরণের পরিণতি পুরোপুরি বোঝে না।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই নেটওয়ার্কগুলোর সদস্যদের প্রেরণা অর্থনৈতিক নয়, যৌন তৃপ্তির জন্যও নয়, একেবারেই তাদের বিনোদনের জন্য, মজা করার জন্য কিংবা অনলাইনে জনপ্রিয় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেই তারা এসব করছে।’
কমিশনার ব্যারেট জানান, শুধু অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৬০ জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া পুলিশ এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, কানাডাসহ ফাইভ আইজ (Five Eyes) জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মিলে এই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১৬ বছরের নিচের শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন সময়ে এই ঘোষণা এল। তবে ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই নিষেধাজ্ঞা থেকে বাইরে থাকবে গেমিং ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলো।

অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধী চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।
এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় তিনজন এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে আরও ৯ জনকে এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ (এএফপি) কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট জানিয়েছেন, এই নতুন ও উদ্বেগজনক ‘লিঙ্গভিত্তিক’ সহিংসতার বিরুদ্ধে বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করতে একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আজ বুধবার এক ভাষণে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবেন তিনি।
টার্গেট করা কিশোরীদের দিয়ে কী ধরনের কাজ করানো হচ্ছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে কমিশনার ব্যারেট বলেছেন, অভিযুক্ত অপরাধীরা সহিংস উগ্রবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং ‘মজা করার জন্য’ মানুষকে আঘাত করতে চায়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বিশের ঘরে থাকা তরুণ। যাদের বেশির ভাগ পশ্চিমা পটভূমি থেকে এসেছে। তারা রোবলক্সের মতো গেমিং প্ল্যাটফর্ম বা ডিসকর্ড ও টেলিগ্রামের মতো মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে কিশোরী বা প্রাক্-কিশোরী মেয়েদের টার্গেট করে।
কমিশনার ক্রিসি ব্যারেট এদের ‘ক্রাইমফ্লুয়েন্সার’ (crimefluencer) বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই ব্যক্তিরা নানা ধরনের মতাদর্শে বিশ্বাসী, যার মধ্যে নিহিলিজম (জীবনের অর্থ অস্বীকার), স্যাডিজম (অন্যকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পাওয়া), নাৎসিবাদ ও শয়তানবাদ অন্তর্ভুক্ত।
ব্যারেট বলেন, এই দলগুলোর সংস্কৃতি অনেকটা মাল্টিপ্লেয়ার বা অনলাইন গেমিং সংস্কৃতির মতো। তারা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে শিকার খোঁজে, অনুসরণ করে এবং ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের টেনে আনে।। তারা হয়তো তাদের আচরণের পরিণতি পুরোপুরি বোঝে না।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই নেটওয়ার্কগুলোর সদস্যদের প্রেরণা অর্থনৈতিক নয়, যৌন তৃপ্তির জন্যও নয়, একেবারেই তাদের বিনোদনের জন্য, মজা করার জন্য কিংবা অনলাইনে জনপ্রিয় হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকেই তারা এসব করছে।’
কমিশনার ব্যারেট জানান, শুধু অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৬০ জন সন্দেহভাজন অপরাধীকে শনাক্ত করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া পুলিশ এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড, কানাডাসহ ফাইভ আইজ (Five Eyes) জোটভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে মিলে এই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১৬ বছরের নিচের শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন সময়ে এই ঘোষণা এল। তবে ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া এই নিষেধাজ্ঞা থেকে বাইরে থাকবে গেমিং ও মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলো।

বিশ্বে জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটা ও অ্যাপল। দুই কোম্পানিই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তির দিকে নজর দিয়েছে। মেটাভার্স তৈরির পাশাপাশি কোয়েস্ট হেডসেট বাজারে ছেড়েছে মেটা। পিছিয়ে নেই অ্যাপলও, গত ৫ জুনে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট ভিশন প্রো বাজারে ছেড়েছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৩
একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে যখন ৫জি প্রতীকটি লেখা ওঠে, তখন ব্যবহারকারী ধরেই নেন যে তিনি অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের এই লেখাটি গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে।
৪ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল’ নতুন এক মাইলফলক অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) কোম্পানিটির বাজারমূল্য ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে অ্যাপল ‘এনভিডিয়া’ ও ‘মাইক্রোসফট’-এর পাশে জায়গা করে নিয়েছে—এই দুই প্রযুক্তি জায়ান্টও চলতি বছরই ৪ ট্রিলি
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে যখন ৫জি প্রতীকটি লেখা ওঠে, তখন ব্যবহারকারী ধরেই নেন যে তিনি অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের এই লেখাটি গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে। পাঁচ বছর আগে ৫জি চালু হওয়ার সময় যে গতি, মসৃণ স্ট্রিমিং এবং তাৎক্ষণিক সংযোগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, বাস্তবে তা অনেক ক্ষেত্রেই অধরা।
প্রতীক মানেই গতি নয়
যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থা পলিসিট্র্যাকার-এর গবেষণা এবং বিবিসির ‘মর্নিং লাইভ’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪০ শতাংশ সময় একটি ফোনে যখন নেটওয়ার্ক বারে ৫জি প্রতীক দেখা যায়, তখন ফোনটি আসলে ৪জি সংযোগ ব্যবহার করে।
এর অর্থ হলো, গ্রাহকেরা উচ্চ মূল্যে ৫জি পরিষেবার বিল পরিশোধ করেও নীরবে ধীর গতির ৪জিতেই আটকে থাকছেন। পলিসিট্র্যাকারের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর প্রধান কারণ হলো মোবাইল নেটওয়ার্কগুলো ৫ জি-কে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করছে। তাঁদের মতে, স্ক্রিনের প্রতীকটি এলাকায় ৫জি সিগন্যালের ‘উপস্থিতি’ দেখায় মাত্র, কিন্তু ফোনটি প্রকৃতপক্ষে সক্রিয়ভাবে সেই দ্রুততম নেটওয়ার্কে যুক্ত কি না, তা নিশ্চিত করে না।
নীতিগতভাবে, ৫জি-এর সর্বোচ্চ তাত্ত্বিক ডাউনলোড গতি প্রতি সেকেন্ডে ২০ হাজার মেগাবিটস (এমবিপিএস) পর্যন্ত হতে পারে। এই গতিতে এক মিনিটেরও কম সময়ে ১৮টি এইচডি চলচ্চিত্র ডাউনলোড করা সম্ভব। তবে গ্রাহকদের জন্য এই গতি বহুলাংশে কম দেখা গেছে।
মোবাইল অপারেটর এবং সরকারের বিপুল বিনিয়োগ সত্ত্বেও,৫জি পরিষেবা বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এর মূল কারণ হলো,৫জি প্রযুক্তিতে দ্রুত গতি বজায় রাখতে তুলনামূলকভাবে কম দূরত্বে অনেক বেশি টাওয়ার (mast) স্থাপনের প্রয়োজন হয়।
পলিসিট্র্যাকারের মার্টিন সিমনস জানান, ফোনে ৫জি লোগো দেখানো সত্ত্বেও, ডেটা এখনও পুরোনো ৪জি অবকাঠামো ব্যবহার করে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকেরা যেখানে অতি-দ্রুত নেটওয়ার্কের প্রত্যাশা করেন, সেখানেও ধীর ডাউনলোড বা বাফারিংয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
এই সমস্যার সমাধানে কিছু মোবাইল নেটওয়ার্ক এখন ‘স্ট্যান্ডালোন ৫ জি’ নামে একটি নতুন পরিষেবা চালু করছে। তারা দাবি করছে, এই পরিষেবাটি সব সময় সত্যিকারের ৫জি গতি সরবরাহ করবে।
তবে এই সুবিধা পেতে হলে গ্রাহকদের জন্য একটি বিশেষ ফোন প্ল্যান কিনতে হবে, যার খরচ সাধারণত বেশি হয়। কনজিউমার বিশেষজ্ঞ জেসপার গ্রিগসন বিবিসিকে বলেছেন, এই স্ট্যান্ডালোন ৫জি অনেকের জন্য ‘খুব বেশি খরুচে নয়’ কারণ এর চুক্তিগুলো ব্যয়বহুল এবং বড় শহরগুলোতে এখনও কভারেজ অসম্পূর্ণ। যদিও ট্রেন স্টেশন বা ব্যস্ত এলাকায় ভালো পরিষেবা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের স্বচ্ছতা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আপনি একটি জিনিস পাওয়ার আশা করছেন, কিন্তু পাচ্ছেন অন্য কিছু। এখানে নির্ভুলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংস্থা মোবাইল ইউকে অবশ্য নিশ্চিত করেছে,৫জি আইকন মানেই সক্রিয় ৫জি সংযোগ নয়। এটি শুধু ব্যবহারকারী ৫জি এনাবল এলাকায় আছেন তা নির্দেশ করে। তারা জানায়, নেটওয়ার্কগুলো রিয়েল-টাইম সিগন্যাল শক্তির ওপর ভিত্তি করে গ্রাহকদের গতিশীলভাবে ৪জি বা ৫ জি-এর মধ্যে সেরা সংযোগে পরিচালিত করে।
গ্রাহকেরা কী করবেন?
যদি অপারেটর ৫জি নেটওয়ার্ক দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু আপনি নিয়মিত এবং নির্ভরযোগ্য ৫জি সংকেত পাচ্ছেন না বলে মনে করেন, তাহলে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা:
গতি পরীক্ষা করুন: একটি অনলাইন স্পিড টেস্ট ব্যবহার করে আসল ডাউনলোড এবং আপলোড রেট দেখুন।
কভারেজ যাচাই করুন: আপনার এলাকায় কোন নেটওয়ার্ক সেরা ৪জি বা ৫জি সংকেত দিচ্ছে, তা জানতে একটি কভারেজ চেকার ব্যবহার করুন।
প্রোভাইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন: যদি আপনি কভারেজ নিয়ে অসন্তুষ্ট হন, তবে আপনার বর্তমান পরিষেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করে সমস্যাটি ব্যাখ্যা করুন এবং তাদের পরামর্শ নিন।
প্রোভাইডার পরিবর্তন করুন: একটি অপারেটরে আবদ্ধ না থেকে, ভালো কভারেজ দেয় এমন অন্য একটি প্রোভাইডারে সুইচ করা যেতে পারে।

মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে যখন ৫জি প্রতীকটি লেখা ওঠে, তখন ব্যবহারকারী ধরেই নেন যে তিনি অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের এই লেখাটি গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে। পাঁচ বছর আগে ৫জি চালু হওয়ার সময় যে গতি, মসৃণ স্ট্রিমিং এবং তাৎক্ষণিক সংযোগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, বাস্তবে তা অনেক ক্ষেত্রেই অধরা।
প্রতীক মানেই গতি নয়
যুক্তরাজ্যের গবেষণা সংস্থা পলিসিট্র্যাকার-এর গবেষণা এবং বিবিসির ‘মর্নিং লাইভ’-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪০ শতাংশ সময় একটি ফোনে যখন নেটওয়ার্ক বারে ৫জি প্রতীক দেখা যায়, তখন ফোনটি আসলে ৪জি সংযোগ ব্যবহার করে।
এর অর্থ হলো, গ্রাহকেরা উচ্চ মূল্যে ৫জি পরিষেবার বিল পরিশোধ করেও নীরবে ধীর গতির ৪জিতেই আটকে থাকছেন। পলিসিট্র্যাকারের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর প্রধান কারণ হলো মোবাইল নেটওয়ার্কগুলো ৫ জি-কে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করছে। তাঁদের মতে, স্ক্রিনের প্রতীকটি এলাকায় ৫জি সিগন্যালের ‘উপস্থিতি’ দেখায় মাত্র, কিন্তু ফোনটি প্রকৃতপক্ষে সক্রিয়ভাবে সেই দ্রুততম নেটওয়ার্কে যুক্ত কি না, তা নিশ্চিত করে না।
নীতিগতভাবে, ৫জি-এর সর্বোচ্চ তাত্ত্বিক ডাউনলোড গতি প্রতি সেকেন্ডে ২০ হাজার মেগাবিটস (এমবিপিএস) পর্যন্ত হতে পারে। এই গতিতে এক মিনিটেরও কম সময়ে ১৮টি এইচডি চলচ্চিত্র ডাউনলোড করা সম্ভব। তবে গ্রাহকদের জন্য এই গতি বহুলাংশে কম দেখা গেছে।
মোবাইল অপারেটর এবং সরকারের বিপুল বিনিয়োগ সত্ত্বেও,৫জি পরিষেবা বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে। এর মূল কারণ হলো,৫জি প্রযুক্তিতে দ্রুত গতি বজায় রাখতে তুলনামূলকভাবে কম দূরত্বে অনেক বেশি টাওয়ার (mast) স্থাপনের প্রয়োজন হয়।
পলিসিট্র্যাকারের মার্টিন সিমনস জানান, ফোনে ৫জি লোগো দেখানো সত্ত্বেও, ডেটা এখনও পুরোনো ৪জি অবকাঠামো ব্যবহার করে স্থানান্তরিত হচ্ছে। এর ফলে গ্রাহকেরা যেখানে অতি-দ্রুত নেটওয়ার্কের প্রত্যাশা করেন, সেখানেও ধীর ডাউনলোড বা বাফারিংয়ের সম্মুখীন হতে পারেন।
এই সমস্যার সমাধানে কিছু মোবাইল নেটওয়ার্ক এখন ‘স্ট্যান্ডালোন ৫ জি’ নামে একটি নতুন পরিষেবা চালু করছে। তারা দাবি করছে, এই পরিষেবাটি সব সময় সত্যিকারের ৫জি গতি সরবরাহ করবে।
তবে এই সুবিধা পেতে হলে গ্রাহকদের জন্য একটি বিশেষ ফোন প্ল্যান কিনতে হবে, যার খরচ সাধারণত বেশি হয়। কনজিউমার বিশেষজ্ঞ জেসপার গ্রিগসন বিবিসিকে বলেছেন, এই স্ট্যান্ডালোন ৫জি অনেকের জন্য ‘খুব বেশি খরুচে নয়’ কারণ এর চুক্তিগুলো ব্যয়বহুল এবং বড় শহরগুলোতে এখনও কভারেজ অসম্পূর্ণ। যদিও ট্রেন স্টেশন বা ব্যস্ত এলাকায় ভালো পরিষেবা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের স্বচ্ছতা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আপনি একটি জিনিস পাওয়ার আশা করছেন, কিন্তু পাচ্ছেন অন্য কিছু। এখানে নির্ভুলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংস্থা মোবাইল ইউকে অবশ্য নিশ্চিত করেছে,৫জি আইকন মানেই সক্রিয় ৫জি সংযোগ নয়। এটি শুধু ব্যবহারকারী ৫জি এনাবল এলাকায় আছেন তা নির্দেশ করে। তারা জানায়, নেটওয়ার্কগুলো রিয়েল-টাইম সিগন্যাল শক্তির ওপর ভিত্তি করে গ্রাহকদের গতিশীলভাবে ৪জি বা ৫ জি-এর মধ্যে সেরা সংযোগে পরিচালিত করে।
গ্রাহকেরা কী করবেন?
যদি অপারেটর ৫জি নেটওয়ার্ক দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু আপনি নিয়মিত এবং নির্ভরযোগ্য ৫জি সংকেত পাচ্ছেন না বলে মনে করেন, তাহলে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা:
গতি পরীক্ষা করুন: একটি অনলাইন স্পিড টেস্ট ব্যবহার করে আসল ডাউনলোড এবং আপলোড রেট দেখুন।
কভারেজ যাচাই করুন: আপনার এলাকায় কোন নেটওয়ার্ক সেরা ৪জি বা ৫জি সংকেত দিচ্ছে, তা জানতে একটি কভারেজ চেকার ব্যবহার করুন।
প্রোভাইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন: যদি আপনি কভারেজ নিয়ে অসন্তুষ্ট হন, তবে আপনার বর্তমান পরিষেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করে সমস্যাটি ব্যাখ্যা করুন এবং তাদের পরামর্শ নিন।
প্রোভাইডার পরিবর্তন করুন: একটি অপারেটরে আবদ্ধ না থেকে, ভালো কভারেজ দেয় এমন অন্য একটি প্রোভাইডারে সুইচ করা যেতে পারে।

বিশ্বে জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটা ও অ্যাপল। দুই কোম্পানিই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তির দিকে নজর দিয়েছে। মেটাভার্স তৈরির পাশাপাশি কোয়েস্ট হেডসেট বাজারে ছেড়েছে মেটা। পিছিয়ে নেই অ্যাপলও, গত ৫ জুনে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট ভিশন প্রো বাজারে ছেড়েছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৩
একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে
অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধ চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল’ নতুন এক মাইলফলক অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) কোম্পানিটির বাজারমূল্য ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে অ্যাপল ‘এনভিডিয়া’ ও ‘মাইক্রোসফট’-এর পাশে জায়গা করে নিয়েছে—এই দুই প্রযুক্তি জায়ান্টও চলতি বছরই ৪ ট্রিলি
১৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল’ নতুন এক মাইলফলক অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) কোম্পানিটির বাজারমূল্য ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে অ্যাপল ‘এনভিডিয়া’ ও ‘মাইক্রোসফট’-এর পাশে জায়গা করে নিয়েছে—এই দুই প্রযুক্তি জায়ান্টও চলতি বছরই ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছেছে।
সিএনএন জানিয়েছে, অ্যাপলের শেয়ারের দাম মঙ্গলবার ০.১ শতাংশ বেড়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের ধারাবাহিক উত্থানের অংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন আইফোন-১৭ এর বিপুল বিক্রি, বিশেষ করে চীনের বাজারে, এই উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এটি কোম্পানিটির বছরের শুরুর পরিস্থিতির সম্পূর্ণ উল্টো। তখন শেয়ারবাজারে অ্যাপলের অবস্থান ছিল নড়বড়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পিছিয়ে পড়া এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের চাপে কোম্পানিটি বিপাকে পড়েছিল। এভাবে গত এপ্রিলে মাত্র এক দিনেই ৩১০ বিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য হারিয়েছিল অ্যাপল।
তবে এই ঘুরে দাঁড়ানো প্রমাণ করেছে, এখনো আইফোনই অ্যাপলের প্রধান শক্তি। কোম্পানিটি এআই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়লেও এর পণ্য ও বিক্রি মার্কিন শেয়ারবাজারে আস্থা ফিরিয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত অ্যাপলের শেয়ারমূল্য বেড়েছে মাত্র ৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের ৩০.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় অনেক কম এবং বাজারের গড় প্রবৃদ্ধির ১৭ শতাংশ নিচে।
প্রযুক্তি খাতে ২০২৫ সালকে ‘এআই উন্মাদনার বছর’ বলা হচ্ছে। এআই–ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের রেকর্ড ভাঙা উত্থানের মাঝেই অ্যাপল নতুন রেকর্ডে পৌঁছেছে। চার ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছানো অন্য দুটি কোম্পানির মধ্যে এনভিডিয়া এআই চিপ তৈরি করে এবং মাইক্রোসফট ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের নেতৃত্বে রয়েছে। অ্যাপলের আগে ওই দুই প্রতিষ্ঠানের ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানো ইঙ্গিত দিচ্ছে, ওয়াল স্ট্রিটে এখন এআই–ই সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি।
অ্যাপল প্রথমবার ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছায় ২০১৮ সালের আগস্টে। এরপর ২০২০ সালে ২ ট্রিলিয়ন, একই বছরে ৩ ট্রিলিয়ন এবং অবশেষে ২০২৫ সালে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের এই নতুন ইতিহাস গড়েছে।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যান আইভস এক নোটে লিখেছেন, ‘এটি স্পষ্ট যে আইফোন-১৭ এর মাধ্যমে অ্যাপলের নতুন সাফল্য এসেছে। ওয়াল স্ট্রিট এখন কোম্পানিটির নতুন এআই কৌশল ঘোষণার অপেক্ষা করছে।’

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাপল’ নতুন এক মাইলফলক অতিক্রম করেছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) কোম্পানিটির বাজারমূল্য ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এর মাধ্যমে অ্যাপল ‘এনভিডিয়া’ ও ‘মাইক্রোসফট’-এর পাশে জায়গা করে নিয়েছে—এই দুই প্রযুক্তি জায়ান্টও চলতি বছরই ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছেছে।
সিএনএন জানিয়েছে, অ্যাপলের শেয়ারের দাম মঙ্গলবার ০.১ শতাংশ বেড়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের ধারাবাহিক উত্থানের অংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন আইফোন-১৭ এর বিপুল বিক্রি, বিশেষ করে চীনের বাজারে, এই উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এটি কোম্পানিটির বছরের শুরুর পরিস্থিতির সম্পূর্ণ উল্টো। তখন শেয়ারবাজারে অ্যাপলের অবস্থান ছিল নড়বড়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় পিছিয়ে পড়া এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের চাপে কোম্পানিটি বিপাকে পড়েছিল। এভাবে গত এপ্রিলে মাত্র এক দিনেই ৩১০ বিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্য হারিয়েছিল অ্যাপল।
তবে এই ঘুরে দাঁড়ানো প্রমাণ করেছে, এখনো আইফোনই অ্যাপলের প্রধান শক্তি। কোম্পানিটি এআই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়লেও এর পণ্য ও বিক্রি মার্কিন শেয়ারবাজারে আস্থা ফিরিয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত অ্যাপলের শেয়ারমূল্য বেড়েছে মাত্র ৭ শতাংশ, যা ২০২৪ সালের ৩০.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় অনেক কম এবং বাজারের গড় প্রবৃদ্ধির ১৭ শতাংশ নিচে।
প্রযুক্তি খাতে ২০২৫ সালকে ‘এআই উন্মাদনার বছর’ বলা হচ্ছে। এআই–ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের রেকর্ড ভাঙা উত্থানের মাঝেই অ্যাপল নতুন রেকর্ডে পৌঁছেছে। চার ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছানো অন্য দুটি কোম্পানির মধ্যে এনভিডিয়া এআই চিপ তৈরি করে এবং মাইক্রোসফট ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের নেতৃত্বে রয়েছে। অ্যাপলের আগে ওই দুই প্রতিষ্ঠানের ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানো ইঙ্গিত দিচ্ছে, ওয়াল স্ট্রিটে এখন এআই–ই সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি।
অ্যাপল প্রথমবার ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যে পৌঁছায় ২০১৮ সালের আগস্টে। এরপর ২০২০ সালে ২ ট্রিলিয়ন, একই বছরে ৩ ট্রিলিয়ন এবং অবশেষে ২০২৫ সালে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের এই নতুন ইতিহাস গড়েছে।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যান আইভস এক নোটে লিখেছেন, ‘এটি স্পষ্ট যে আইফোন-১৭ এর মাধ্যমে অ্যাপলের নতুন সাফল্য এসেছে। ওয়াল স্ট্রিট এখন কোম্পানিটির নতুন এআই কৌশল ঘোষণার অপেক্ষা করছে।’

বিশ্বে জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে মেটা ও অ্যাপল। দুই কোম্পানিই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি প্রযুক্তির দিকে নজর দিয়েছে। মেটাভার্স তৈরির পাশাপাশি কোয়েস্ট হেডসেট বাজারে ছেড়েছে মেটা। পিছিয়ে নেই অ্যাপলও, গত ৫ জুনে ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির হেডসেট ভিশন প্রো বাজারে ছেড়েছে।
১৬ অক্টোবর ২০২৩
একসময় বেঙ্গালুরু বা চেন্নাইয়ের মতো মেট্রো শহরগুলোই ছিল ভারতের আউটসোর্সিং আইটি হাব। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র পাল্টেছে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলো এখন তাদের কাজ এমন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যেখানে কর্মীর বেতন এবং অফিসের খরচ তুলনামূলক কম।
২ ঘণ্টা আগে
অনলাইন অপরাধী চক্রের শিকারে পরিণত হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীরা। দেশটির পুলিশ সতর্ক করেছে, অনলাইন অপরাধ চক্রগুলো অস্ট্রেলিয়ার কিশোরীদের নিজেদের, ভাইবোনের বা পোষা প্রাণীর ওপর সহিংসতা এবং নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে বাধ্য করছে। পুলিশ একে ‘বিকৃত গেমিফিকেশন’ বলে অভিহিত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে যখন ৫জি প্রতীকটি লেখা ওঠে, তখন ব্যবহারকারী ধরেই নেন যে তিনি অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল নেটওয়ার্কের এই লেখাটি গ্রাহকদের বিভ্রান্ত করছে।
৪ ঘণ্টা আগে