Ajker Patrika

বিদ্যুৎ খাতে এআই ডেটা সেন্টারের চাপ, নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বাসাবাড়ি: গবেষণা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫: ১২
Thumbnail image
এআই প্রযুক্তির চাহিদা মেটাতে দেশজুড়ে নতুন নতুন ডেটা সেন্টার তৈরি হচ্ছে। ছবি: ডিকনস্ট্রাকটিং এআই

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ডেটা সেন্টারগুলো পরিচালনায় অনেক বিদ্যুৎশক্তি প্রয়োজন। তবে লাখ লাখ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের বাড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহকে প্রভাবিত করছে এসব ডেটা সেন্টার। নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

এআই প্রযুক্তির চাহিদা মেটাতে দেশজুড়ে নতুন নতুন ডেটা সেন্টার তৈরি হচ্ছে। তবে এই ডেটা সেন্টারগুলো এমন পরিমাণে বিদ্যুৎ গ্রহণ করছে, যা অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক গ্রিডের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে। গবেষকেরা অনুমান করছেন, এআই ডেটা সেন্টারগুলোর বিদ্যুৎ চাহিদা প্রচলিত ডেটা সেন্টারগুলোর তুলনায় তিন থেকে পাঁচ গুণ বেশি হতে পারে।

এক ব্লুমবার্গ বিশ্লেষণ জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৭ লাখ ৭ ০ হাজার বাড়ির পাওয়ার রিডিং থেকে এটি বেরিয়ে এসেছে। দেশের ৭৫ শতাংশ এরও বেশি ‘অস্বাভাবিক পাওয়ার রিডিং’ বৃহৎ ডেটা সেন্টারের কার্যক্রমের ৫০ মাইলের মধ্যে ঘটছে।

বৈদ্যুতিক গ্রিডের ওপর চাপ বাড়লে বিদ্যুতের মান কমে যায় এবং এটি বাড়ির ইলেকট্রনিকসে গরম বা স্পার্ক সৃষ্টি করে। এমনকি আগুন লাগার ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।

বিশ্বব্যাপী ডেটা সেন্টারের একটি ছোট অংশ কয়েকটি বড় প্রযুক্তি কোম্পানির হাতে রয়েছে এবং তারা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ক্লাউড অবকাঠামো বাজারের ৬৫ শতাংশের মালিক আমাজন, গুগল এবং মাইক্রোসফট।

গত এপ্রিল মাসে ভার্জিনিয়া এবং ইন্ডিয়ানায় নতুন ডেটা সেন্টার তৈরিতে এবং সম্প্রসারণে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিল গুগল। চলতি মাসে এআই মডেল জেমিনি ২.০ উন্মোচন করেছে কোম্পানিটি।

এআই স্টার্টআপ অ্যানথ্রোপিকের একটি বড় বিনিয়োগকারী আমাজন। ১৬ ডিসেম্বরে ওহাইওর ডেটা সেন্টারে আরও ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।

চ্যাটজিপিটি প্রস্তুতকারক ওপেনএআই-এ ১৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে মাইক্রোসফট। গত, সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করেছে, তারা ব্ল্যাকরক সহ অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলার শক্তি অবকাঠামো প্রকল্পে অংশীদারত্ব করেছে। এই প্রকল্পে ‘নতুন এবং সম্প্রসারিত ডেটা সেন্টার’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এআইয়ের ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা পূরণ করতে, গুগলসহ কিছু কোম্পানি আরও নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই শক্তি উৎস হিসেবে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করতে শুরু করেছে।

তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত