আজকের পত্রিকা ডেস্ক

তথ্য চুরির জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কৌশল বের করছে সাইবার অপরাধীরা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যখন ফিশিং লিংক, ভুয়া ওয়েবসাইট, প্রতারণামূলক ইমেইল ও ছদ্মবেশী স্ক্যামের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে, তখন হ্যাকাররা তাদের পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাকাররা যেসব কৌশল ব্যবহার করছে, তার একটি হলো—ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ হ্যাক করা। কারণ ফ্ল্যাশ ড্রাইভে থাকা তথ্য অনেক সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।
এ ছাড়া, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহার করে এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ছড়ানোও সম্ভব।
ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ হ্যাকের কারণ
যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত বা একেবারেই নেই, সেখানে ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহৃত হয় প্রচুর। যেমন: সরকারি সংস্থা বা জ্বালানি খাত। এসব ক্ষেত্রে ইউএসবি ড্রাইভে সংবেদনশীল তথ্য থাকে এবং এগুলো কোনো নেটওয়ার্কে সংরক্ষিত নয়।
একবার সংক্রমিত হলে ইউএসবি ড্রাইভ শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই নয়, একাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিতে পারে। এই ধরনের হামলা নেটওয়ার্ক দুর্বলতার ওপর নির্ভর করে না। ফলে প্রচলিত সিকিউরিটি টুলগুলো ম্যালওয়্যার সহজে শনাক্ত করতে পারে না।
ইউএসবি ড্রাইভকে যেভাবে হ্যাক করা হয়
ক্যাসপারস্কির সিকিউরলিস্ট নামের সাইবার সিকিউরিটি গবেষণা প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী, ইউএসবি ড্রাইভে ম্যালওয়্যার ছড়াতে হ্যাকাররা এমন কৌশল ব্যবহার করছে, যা সাধারণ সিকিউরিটি সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে পারে। জিওএফএফইই নামরে সাইবার হ্যাকিং গ্রুপ, হামলার শুরুতে ফিশিং ইমেইল পাঠায়।
ইমেইলগুলোতে সাধারণত ক্ষতিকর আরএআর ফাইল বা ভাইরাস যুক্ত অফিস ডকুমেন্ট থাকে। এগুলো খোলা হলে ভুক্তভোগীর সিস্টেমে পাওয়ারমোডুল ও পাওয়ারটাস্কেল নামের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম ইনস্টল হয়।
পাওয়ারশেল স্ক্রিপ্টিং ভাষা ব্যবহার করে পাওয়ারমডুল প্রোগ্রাম কাজ করে, যা ২০২৪ সালে চালু হয়। এটি হ্যাকারদের কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল (সি ২) সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং সেখান থেকে অন্যান্য টুল ডাউনলোড করে চালাতে পারে। এর মধ্যে দুটি বিপজ্জনক টুল হলো—ফ্ল্যাশফাইলগ্র্যাবাল এবং ইউএসবি ওয়ার্ম।
ইউএসবি-ভিত্তিক ম্যালওয়্যার হামলা থেকে বাঁচার ৪টি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো
১. অচেনা ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন: ইউএসবি ড্রাইভের মাধ্যমেই ম্যালওয়্যার সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। কোথাও পড়ে থাকা বা পরিচিত কারও দেওয়া ইউএসবি ড্রাইভ কখনোই কম্পিউটারে ঢোকাবেন না। হ্যাকাররা অনেক সময় মানুষের কৌতূহলকে কাজে লাগিয়ে ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করায়।
২. ইমেইলের অ্যাটাচমেন্ট নিয়ে সাবধান থাকুন: জিওএফএফইই গ্রুপের হ্যাকিং সাধারণত ফিশিং ইমেইল দিয়ে শুরু হয়। তাই প্রেরকের ঠিকানা যাচাই না করে কোনো ইমেইলের অ্যাটাচমেন্ট খুলবেন না।
৩. সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন: অনেক হামলাই ম্যালিশিয়াস বা ক্ষতিকর লিংক দিয়ে শুরু হয়, যেগুলো দেখতে বিশ্বাসযোগ্য হলেও আসলে ভুয়া পেজ বা ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করে। এসব এড়াতে শক্তিশালী ও আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন, যা ফিশিং ও র্যানসমওয়্যার আক্রমণ থেকেও রক্ষা করবে। উইন্ডোজ, ম্যাক, অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এর জন্য ২০২৫ সালের সেরা অ্যান্টিভাইরাসের তালিকা খুঁজে বের করুন এবং সেগুলো ব্যবহার করুন।
৪. ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহারের আগে স্ক্যান করুন: ইউএসবি ওয়ার্ম ইউএসবি ড্রাইভে পাওয়ারমডুল ইনস্টল করে মূল ফাইলগুলোকে লুকিয়ে রাখে এবং শর্টকাট আকারে ক্ষতিকর স্ক্রিপ্ট বসিয়ে দেয়। এগুলো খুললেই ম্যালওয়্যার সক্রিয় হয়ে যায়। এদিকে ফ্ল্যাশফাইলগ্রাবার চুপিসারে ফাইল কপি করে লোকাল বা হ্যাকারদের সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়। এ জন্য ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহারের আগে সর্বশেষ অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করুন। কোনো ফাইলের নাম পরিবর্তন হলে বা হিডেন দেখালে সেটি না খুলেই যাচাই করুন।
উল্লেখ্য, ফ্লাশফাইলগ্র্যাবার মূলত ইউএসবি ড্রাইভ থেকে ফাইল চুরি করতে ব্যবহৃত হয়। এটি চুরি করা ফাইল স্থানীয়ভাবেও সংরক্ষণ করতে পারে বা সরাসরি হ্যাকারদের সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে, ইউএসবি ওয়ার্ম ইউএসবি ড্রাইভে পাওয়ার মডুল ইনস্টল করে, ফলে সেই ড্রাইভটি অন্য যেকোনো সিস্টেমে যুক্ত হলে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়ে।
এই কৌশল কার্যকর হওয়ার মূল কারণ হলো—ইউএসবি ড্রাইভ প্রায়ই মানুষের হাতে হাতে বা অফিসে অফিসে ঘোরে। ফলে ইন্টারনেট ছাড়াই ম্যালওয়্যার ছড়াতে ইউএসবি ড্রাইভ সাহায্য করে। ম্যালওয়্যার ইউএসবি-তে থাকা মূল ফাইলগুলোকে আড়াল করে এবং তাদের জায়গায় সাধারণ শর্টকাটের মতো দেখতে স্ক্রিপ্ট বসিয়ে দেয়। কেউ একটি শর্টকাটে ক্লিক করলেই, সেই সঙ্গে সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: ফক্স নিউজ

তথ্য চুরির জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কৌশল বের করছে সাইবার অপরাধীরা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যখন ফিশিং লিংক, ভুয়া ওয়েবসাইট, প্রতারণামূলক ইমেইল ও ছদ্মবেশী স্ক্যামের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে, তখন হ্যাকাররা তাদের পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাকাররা যেসব কৌশল ব্যবহার করছে, তার একটি হলো—ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ হ্যাক করা। কারণ ফ্ল্যাশ ড্রাইভে থাকা তথ্য অনেক সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।
এ ছাড়া, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহার করে এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ছড়ানোও সম্ভব।
ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ হ্যাকের কারণ
যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত বা একেবারেই নেই, সেখানে ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহৃত হয় প্রচুর। যেমন: সরকারি সংস্থা বা জ্বালানি খাত। এসব ক্ষেত্রে ইউএসবি ড্রাইভে সংবেদনশীল তথ্য থাকে এবং এগুলো কোনো নেটওয়ার্কে সংরক্ষিত নয়।
একবার সংক্রমিত হলে ইউএসবি ড্রাইভ শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই নয়, একাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিতে পারে। এই ধরনের হামলা নেটওয়ার্ক দুর্বলতার ওপর নির্ভর করে না। ফলে প্রচলিত সিকিউরিটি টুলগুলো ম্যালওয়্যার সহজে শনাক্ত করতে পারে না।
ইউএসবি ড্রাইভকে যেভাবে হ্যাক করা হয়
ক্যাসপারস্কির সিকিউরলিস্ট নামের সাইবার সিকিউরিটি গবেষণা প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী, ইউএসবি ড্রাইভে ম্যালওয়্যার ছড়াতে হ্যাকাররা এমন কৌশল ব্যবহার করছে, যা সাধারণ সিকিউরিটি সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে পারে। জিওএফএফইই নামরে সাইবার হ্যাকিং গ্রুপ, হামলার শুরুতে ফিশিং ইমেইল পাঠায়।
ইমেইলগুলোতে সাধারণত ক্ষতিকর আরএআর ফাইল বা ভাইরাস যুক্ত অফিস ডকুমেন্ট থাকে। এগুলো খোলা হলে ভুক্তভোগীর সিস্টেমে পাওয়ারমোডুল ও পাওয়ারটাস্কেল নামের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম ইনস্টল হয়।
পাওয়ারশেল স্ক্রিপ্টিং ভাষা ব্যবহার করে পাওয়ারমডুল প্রোগ্রাম কাজ করে, যা ২০২৪ সালে চালু হয়। এটি হ্যাকারদের কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল (সি ২) সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং সেখান থেকে অন্যান্য টুল ডাউনলোড করে চালাতে পারে। এর মধ্যে দুটি বিপজ্জনক টুল হলো—ফ্ল্যাশফাইলগ্র্যাবাল এবং ইউএসবি ওয়ার্ম।
ইউএসবি-ভিত্তিক ম্যালওয়্যার হামলা থেকে বাঁচার ৪টি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো
১. অচেনা ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন: ইউএসবি ড্রাইভের মাধ্যমেই ম্যালওয়্যার সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। কোথাও পড়ে থাকা বা পরিচিত কারও দেওয়া ইউএসবি ড্রাইভ কখনোই কম্পিউটারে ঢোকাবেন না। হ্যাকাররা অনেক সময় মানুষের কৌতূহলকে কাজে লাগিয়ে ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করায়।
২. ইমেইলের অ্যাটাচমেন্ট নিয়ে সাবধান থাকুন: জিওএফএফইই গ্রুপের হ্যাকিং সাধারণত ফিশিং ইমেইল দিয়ে শুরু হয়। তাই প্রেরকের ঠিকানা যাচাই না করে কোনো ইমেইলের অ্যাটাচমেন্ট খুলবেন না।
৩. সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন: অনেক হামলাই ম্যালিশিয়াস বা ক্ষতিকর লিংক দিয়ে শুরু হয়, যেগুলো দেখতে বিশ্বাসযোগ্য হলেও আসলে ভুয়া পেজ বা ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করে। এসব এড়াতে শক্তিশালী ও আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন, যা ফিশিং ও র্যানসমওয়্যার আক্রমণ থেকেও রক্ষা করবে। উইন্ডোজ, ম্যাক, অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এর জন্য ২০২৫ সালের সেরা অ্যান্টিভাইরাসের তালিকা খুঁজে বের করুন এবং সেগুলো ব্যবহার করুন।
৪. ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহারের আগে স্ক্যান করুন: ইউএসবি ওয়ার্ম ইউএসবি ড্রাইভে পাওয়ারমডুল ইনস্টল করে মূল ফাইলগুলোকে লুকিয়ে রাখে এবং শর্টকাট আকারে ক্ষতিকর স্ক্রিপ্ট বসিয়ে দেয়। এগুলো খুললেই ম্যালওয়্যার সক্রিয় হয়ে যায়। এদিকে ফ্ল্যাশফাইলগ্রাবার চুপিসারে ফাইল কপি করে লোকাল বা হ্যাকারদের সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়। এ জন্য ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহারের আগে সর্বশেষ অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করুন। কোনো ফাইলের নাম পরিবর্তন হলে বা হিডেন দেখালে সেটি না খুলেই যাচাই করুন।
উল্লেখ্য, ফ্লাশফাইলগ্র্যাবার মূলত ইউএসবি ড্রাইভ থেকে ফাইল চুরি করতে ব্যবহৃত হয়। এটি চুরি করা ফাইল স্থানীয়ভাবেও সংরক্ষণ করতে পারে বা সরাসরি হ্যাকারদের সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে, ইউএসবি ওয়ার্ম ইউএসবি ড্রাইভে পাওয়ার মডুল ইনস্টল করে, ফলে সেই ড্রাইভটি অন্য যেকোনো সিস্টেমে যুক্ত হলে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়ে।
এই কৌশল কার্যকর হওয়ার মূল কারণ হলো—ইউএসবি ড্রাইভ প্রায়ই মানুষের হাতে হাতে বা অফিসে অফিসে ঘোরে। ফলে ইন্টারনেট ছাড়াই ম্যালওয়্যার ছড়াতে ইউএসবি ড্রাইভ সাহায্য করে। ম্যালওয়্যার ইউএসবি-তে থাকা মূল ফাইলগুলোকে আড়াল করে এবং তাদের জায়গায় সাধারণ শর্টকাটের মতো দেখতে স্ক্রিপ্ট বসিয়ে দেয়। কেউ একটি শর্টকাটে ক্লিক করলেই, সেই সঙ্গে সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: ফক্স নিউজ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

তথ্য চুরির জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কৌশল বের করছে সাইবার অপরাধীরা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যখন ফিশিং লিংক, ভুয়া ওয়েবসাইট, প্রতারণামূলক ইমেইল ও ছদ্মবেশী স্ক্যামের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে, তখন হ্যাকাররা তাদের পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাকাররা যেসব কৌশল ব্যবহার করছে, তার একটি হলো—ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ হ্যাক করা। কারণ ফ্ল্যাশ ড্রাইভে থাকা তথ্য অনেক সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।
এ ছাড়া, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহার করে এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ছড়ানোও সম্ভব।
ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ হ্যাকের কারণ
যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত বা একেবারেই নেই, সেখানে ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহৃত হয় প্রচুর। যেমন: সরকারি সংস্থা বা জ্বালানি খাত। এসব ক্ষেত্রে ইউএসবি ড্রাইভে সংবেদনশীল তথ্য থাকে এবং এগুলো কোনো নেটওয়ার্কে সংরক্ষিত নয়।
একবার সংক্রমিত হলে ইউএসবি ড্রাইভ শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই নয়, একাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিতে পারে। এই ধরনের হামলা নেটওয়ার্ক দুর্বলতার ওপর নির্ভর করে না। ফলে প্রচলিত সিকিউরিটি টুলগুলো ম্যালওয়্যার সহজে শনাক্ত করতে পারে না।
ইউএসবি ড্রাইভকে যেভাবে হ্যাক করা হয়
ক্যাসপারস্কির সিকিউরলিস্ট নামের সাইবার সিকিউরিটি গবেষণা প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী, ইউএসবি ড্রাইভে ম্যালওয়্যার ছড়াতে হ্যাকাররা এমন কৌশল ব্যবহার করছে, যা সাধারণ সিকিউরিটি সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে পারে। জিওএফএফইই নামরে সাইবার হ্যাকিং গ্রুপ, হামলার শুরুতে ফিশিং ইমেইল পাঠায়।
ইমেইলগুলোতে সাধারণত ক্ষতিকর আরএআর ফাইল বা ভাইরাস যুক্ত অফিস ডকুমেন্ট থাকে। এগুলো খোলা হলে ভুক্তভোগীর সিস্টেমে পাওয়ারমোডুল ও পাওয়ারটাস্কেল নামের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম ইনস্টল হয়।
পাওয়ারশেল স্ক্রিপ্টিং ভাষা ব্যবহার করে পাওয়ারমডুল প্রোগ্রাম কাজ করে, যা ২০২৪ সালে চালু হয়। এটি হ্যাকারদের কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল (সি ২) সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং সেখান থেকে অন্যান্য টুল ডাউনলোড করে চালাতে পারে। এর মধ্যে দুটি বিপজ্জনক টুল হলো—ফ্ল্যাশফাইলগ্র্যাবাল এবং ইউএসবি ওয়ার্ম।
ইউএসবি-ভিত্তিক ম্যালওয়্যার হামলা থেকে বাঁচার ৪টি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো
১. অচেনা ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন: ইউএসবি ড্রাইভের মাধ্যমেই ম্যালওয়্যার সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। কোথাও পড়ে থাকা বা পরিচিত কারও দেওয়া ইউএসবি ড্রাইভ কখনোই কম্পিউটারে ঢোকাবেন না। হ্যাকাররা অনেক সময় মানুষের কৌতূহলকে কাজে লাগিয়ে ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করায়।
২. ইমেইলের অ্যাটাচমেন্ট নিয়ে সাবধান থাকুন: জিওএফএফইই গ্রুপের হ্যাকিং সাধারণত ফিশিং ইমেইল দিয়ে শুরু হয়। তাই প্রেরকের ঠিকানা যাচাই না করে কোনো ইমেইলের অ্যাটাচমেন্ট খুলবেন না।
৩. সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন: অনেক হামলাই ম্যালিশিয়াস বা ক্ষতিকর লিংক দিয়ে শুরু হয়, যেগুলো দেখতে বিশ্বাসযোগ্য হলেও আসলে ভুয়া পেজ বা ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করে। এসব এড়াতে শক্তিশালী ও আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন, যা ফিশিং ও র্যানসমওয়্যার আক্রমণ থেকেও রক্ষা করবে। উইন্ডোজ, ম্যাক, অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এর জন্য ২০২৫ সালের সেরা অ্যান্টিভাইরাসের তালিকা খুঁজে বের করুন এবং সেগুলো ব্যবহার করুন।
৪. ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহারের আগে স্ক্যান করুন: ইউএসবি ওয়ার্ম ইউএসবি ড্রাইভে পাওয়ারমডুল ইনস্টল করে মূল ফাইলগুলোকে লুকিয়ে রাখে এবং শর্টকাট আকারে ক্ষতিকর স্ক্রিপ্ট বসিয়ে দেয়। এগুলো খুললেই ম্যালওয়্যার সক্রিয় হয়ে যায়। এদিকে ফ্ল্যাশফাইলগ্রাবার চুপিসারে ফাইল কপি করে লোকাল বা হ্যাকারদের সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়। এ জন্য ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহারের আগে সর্বশেষ অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করুন। কোনো ফাইলের নাম পরিবর্তন হলে বা হিডেন দেখালে সেটি না খুলেই যাচাই করুন।
উল্লেখ্য, ফ্লাশফাইলগ্র্যাবার মূলত ইউএসবি ড্রাইভ থেকে ফাইল চুরি করতে ব্যবহৃত হয়। এটি চুরি করা ফাইল স্থানীয়ভাবেও সংরক্ষণ করতে পারে বা সরাসরি হ্যাকারদের সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে, ইউএসবি ওয়ার্ম ইউএসবি ড্রাইভে পাওয়ার মডুল ইনস্টল করে, ফলে সেই ড্রাইভটি অন্য যেকোনো সিস্টেমে যুক্ত হলে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়ে।
এই কৌশল কার্যকর হওয়ার মূল কারণ হলো—ইউএসবি ড্রাইভ প্রায়ই মানুষের হাতে হাতে বা অফিসে অফিসে ঘোরে। ফলে ইন্টারনেট ছাড়াই ম্যালওয়্যার ছড়াতে ইউএসবি ড্রাইভ সাহায্য করে। ম্যালওয়্যার ইউএসবি-তে থাকা মূল ফাইলগুলোকে আড়াল করে এবং তাদের জায়গায় সাধারণ শর্টকাটের মতো দেখতে স্ক্রিপ্ট বসিয়ে দেয়। কেউ একটি শর্টকাটে ক্লিক করলেই, সেই সঙ্গে সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: ফক্স নিউজ

তথ্য চুরির জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কৌশল বের করছে সাইবার অপরাধীরা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যখন ফিশিং লিংক, ভুয়া ওয়েবসাইট, প্রতারণামূলক ইমেইল ও ছদ্মবেশী স্ক্যামের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে, তখন হ্যাকাররা তাদের পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাকাররা যেসব কৌশল ব্যবহার করছে, তার একটি হলো—ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ হ্যাক করা। কারণ ফ্ল্যাশ ড্রাইভে থাকা তথ্য অনেক সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।
এ ছাড়া, ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহার করে এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ছড়ানোও সম্ভব।
ইউএসবি ফ্ল্যাশ ড্রাইভ হ্যাকের কারণ
যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত বা একেবারেই নেই, সেখানে ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহৃত হয় প্রচুর। যেমন: সরকারি সংস্থা বা জ্বালানি খাত। এসব ক্ষেত্রে ইউএসবি ড্রাইভে সংবেদনশীল তথ্য থাকে এবং এগুলো কোনো নেটওয়ার্কে সংরক্ষিত নয়।
একবার সংক্রমিত হলে ইউএসবি ড্রাইভ শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই নয়, একাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিতে পারে। এই ধরনের হামলা নেটওয়ার্ক দুর্বলতার ওপর নির্ভর করে না। ফলে প্রচলিত সিকিউরিটি টুলগুলো ম্যালওয়্যার সহজে শনাক্ত করতে পারে না।
ইউএসবি ড্রাইভকে যেভাবে হ্যাক করা হয়
ক্যাসপারস্কির সিকিউরলিস্ট নামের সাইবার সিকিউরিটি গবেষণা প্ল্যাটফর্ম অনুযায়ী, ইউএসবি ড্রাইভে ম্যালওয়্যার ছড়াতে হ্যাকাররা এমন কৌশল ব্যবহার করছে, যা সাধারণ সিকিউরিটি সিস্টেমকে ফাঁকি দিতে পারে। জিওএফএফইই নামরে সাইবার হ্যাকিং গ্রুপ, হামলার শুরুতে ফিশিং ইমেইল পাঠায়।
ইমেইলগুলোতে সাধারণত ক্ষতিকর আরএআর ফাইল বা ভাইরাস যুক্ত অফিস ডকুমেন্ট থাকে। এগুলো খোলা হলে ভুক্তভোগীর সিস্টেমে পাওয়ারমোডুল ও পাওয়ারটাস্কেল নামের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম ইনস্টল হয়।
পাওয়ারশেল স্ক্রিপ্টিং ভাষা ব্যবহার করে পাওয়ারমডুল প্রোগ্রাম কাজ করে, যা ২০২৪ সালে চালু হয়। এটি হ্যাকারদের কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল (সি ২) সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং সেখান থেকে অন্যান্য টুল ডাউনলোড করে চালাতে পারে। এর মধ্যে দুটি বিপজ্জনক টুল হলো—ফ্ল্যাশফাইলগ্র্যাবাল এবং ইউএসবি ওয়ার্ম।
ইউএসবি-ভিত্তিক ম্যালওয়্যার হামলা থেকে বাঁচার ৪টি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো
১. অচেনা ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন: ইউএসবি ড্রাইভের মাধ্যমেই ম্যালওয়্যার সবচেয়ে বেশি ছড়ায়। কোথাও পড়ে থাকা বা পরিচিত কারও দেওয়া ইউএসবি ড্রাইভ কখনোই কম্পিউটারে ঢোকাবেন না। হ্যাকাররা অনেক সময় মানুষের কৌতূহলকে কাজে লাগিয়ে ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করায়।
২. ইমেইলের অ্যাটাচমেন্ট নিয়ে সাবধান থাকুন: জিওএফএফইই গ্রুপের হ্যাকিং সাধারণত ফিশিং ইমেইল দিয়ে শুরু হয়। তাই প্রেরকের ঠিকানা যাচাই না করে কোনো ইমেইলের অ্যাটাচমেন্ট খুলবেন না।
৩. সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন: অনেক হামলাই ম্যালিশিয়াস বা ক্ষতিকর লিংক দিয়ে শুরু হয়, যেগুলো দেখতে বিশ্বাসযোগ্য হলেও আসলে ভুয়া পেজ বা ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করে। এসব এড়াতে শক্তিশালী ও আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন, যা ফিশিং ও র্যানসমওয়্যার আক্রমণ থেকেও রক্ষা করবে। উইন্ডোজ, ম্যাক, অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এর জন্য ২০২৫ সালের সেরা অ্যান্টিভাইরাসের তালিকা খুঁজে বের করুন এবং সেগুলো ব্যবহার করুন।
৪. ইউএসবি ড্রাইভ ব্যবহারের আগে স্ক্যান করুন: ইউএসবি ওয়ার্ম ইউএসবি ড্রাইভে পাওয়ারমডুল ইনস্টল করে মূল ফাইলগুলোকে লুকিয়ে রাখে এবং শর্টকাট আকারে ক্ষতিকর স্ক্রিপ্ট বসিয়ে দেয়। এগুলো খুললেই ম্যালওয়্যার সক্রিয় হয়ে যায়। এদিকে ফ্ল্যাশফাইলগ্রাবার চুপিসারে ফাইল কপি করে লোকাল বা হ্যাকারদের সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়। এ জন্য ফ্ল্যাশ ড্রাইভ ব্যবহারের আগে সর্বশেষ অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করুন। কোনো ফাইলের নাম পরিবর্তন হলে বা হিডেন দেখালে সেটি না খুলেই যাচাই করুন।
উল্লেখ্য, ফ্লাশফাইলগ্র্যাবার মূলত ইউএসবি ড্রাইভ থেকে ফাইল চুরি করতে ব্যবহৃত হয়। এটি চুরি করা ফাইল স্থানীয়ভাবেও সংরক্ষণ করতে পারে বা সরাসরি হ্যাকারদের সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়। অন্যদিকে, ইউএসবি ওয়ার্ম ইউএসবি ড্রাইভে পাওয়ার মডুল ইনস্টল করে, ফলে সেই ড্রাইভটি অন্য যেকোনো সিস্টেমে যুক্ত হলে ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়ে।
এই কৌশল কার্যকর হওয়ার মূল কারণ হলো—ইউএসবি ড্রাইভ প্রায়ই মানুষের হাতে হাতে বা অফিসে অফিসে ঘোরে। ফলে ইন্টারনেট ছাড়াই ম্যালওয়্যার ছড়াতে ইউএসবি ড্রাইভ সাহায্য করে। ম্যালওয়্যার ইউএসবি-তে থাকা মূল ফাইলগুলোকে আড়াল করে এবং তাদের জায়গায় সাধারণ শর্টকাটের মতো দেখতে স্ক্রিপ্ট বসিয়ে দেয়। কেউ একটি শর্টকাটে ক্লিক করলেই, সেই সঙ্গে সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র: ফক্স নিউজ

মোবাইল ফটোগ্রাফিতে টেলিফটো অভিজ্ঞতাকে আরও এগিয়ে নিতে ভিভো এনেছে নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স৩০০ প্রো। এই স্মার্টফোনে রয়েছে জাইস অপটিকস, নতুন অপারেটিং সিস্টেম ও শক্তিশালী প্রসেসর।
১৬ মিনিট আগে
অপো বাংলাদেশে একমাত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে নতুন উন্মোচিত হওয়া অপো এ৬ এবং অপো এ৬এক্স মডেলের স্মার্টফোনের সঙ্গে দুই বছরের ওয়ারেন্টিসহ ৯০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি নিয়ে এসেছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং ইউটিউবে কুকুর ও বিড়ালের শত শত জনপ্রিয় ভিডিও আপাতদৃষ্টিতে হাসি-খুশি ও নিরীহ মনে হলেও, সেগুলোর একটি বড় অংশে লুকিয়ে আছে প্রাণীদের শারীরিক ক্ষতি বা তীব্র মানসিক চাপের ঝুঁকি।
২০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। অবরোধের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন তাঁরা।
১ দিন আগেফিচার ডেস্ক

মোবাইল ফটোগ্রাফিতে টেলিফটো অভিজ্ঞতাকে আরও এগিয়ে নিতে ভিভো এনেছে নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স৩০০ প্রো। এই স্মার্টফোনে রয়েছে জাইস অপটিকস, নতুন অপারেটিং সিস্টেম ও শক্তিশালী প্রসেসর।
এতে আছে ২০০ মেগাপিক্সেলের জাইস এপিও টেলিফটো ক্যামেরা। এর আলট্রা-সেন্সিং সেন্সর ও সিআইপিএ ৫.৫-রেটেড গিম্বল স্টেবিলাইজেশনের কারণে দূরের ছবি আরও স্থির ও পরিষ্কার হবে। বাস্তব মুহূর্তগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে রূপ দিতে জাইস গিম্বল ক্যামেরা ও এলওয়াইটি-৮২৮ সেন্সর মানুষের চোখে দেখা প্রাকৃতিক দৃশ্যের আরও কাছাকাছি অভিজ্ঞতা দেবে। মোবাইল ফোনটিতে আছে ৫০ মেগাপিক্সেল জাইস ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা ও ৫০ মেগাপিক্সেল জাইস ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। এ ক্যামেরা উচ্চ ডিটেইল প্রাণবন্তসহ সেলফি ও সাধারণ ছবি দেবে। স্টেজ মোড ২ দশমিক শূন্যতে রয়েছে ফোরকে রেকর্ডিং, মোশন ফ্রিজ ও ডুয়েল-ভিউ ভিডিও।

মোবাইল ফটোগ্রাফিতে টেলিফটো অভিজ্ঞতাকে আরও এগিয়ে নিতে ভিভো এনেছে নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স৩০০ প্রো। এই স্মার্টফোনে রয়েছে জাইস অপটিকস, নতুন অপারেটিং সিস্টেম ও শক্তিশালী প্রসেসর।
এতে আছে ২০০ মেগাপিক্সেলের জাইস এপিও টেলিফটো ক্যামেরা। এর আলট্রা-সেন্সিং সেন্সর ও সিআইপিএ ৫.৫-রেটেড গিম্বল স্টেবিলাইজেশনের কারণে দূরের ছবি আরও স্থির ও পরিষ্কার হবে। বাস্তব মুহূর্তগুলোকে দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতিতে রূপ দিতে জাইস গিম্বল ক্যামেরা ও এলওয়াইটি-৮২৮ সেন্সর মানুষের চোখে দেখা প্রাকৃতিক দৃশ্যের আরও কাছাকাছি অভিজ্ঞতা দেবে। মোবাইল ফোনটিতে আছে ৫০ মেগাপিক্সেল জাইস ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা ও ৫০ মেগাপিক্সেল জাইস ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। এ ক্যামেরা উচ্চ ডিটেইল প্রাণবন্তসহ সেলফি ও সাধারণ ছবি দেবে। স্টেজ মোড ২ দশমিক শূন্যতে রয়েছে ফোরকে রেকর্ডিং, মোশন ফ্রিজ ও ডুয়েল-ভিউ ভিডিও।

তথ্য চুরির জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কৌশল বের করছে সাইবার অপরাধীরা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যখন ফিশিং লিংক, ভুয়া ওয়েবসাইট, প্রতারণামূলক ইমেইল ও ছদ্মবেশী স্ক্যামের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে, তখন হ্যাকাররা তাদের পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাকাররা যেসব কৌশল ব্যবহার করছে, তার একটি হলো—ইউএসবি ফ্ল্যাশ
২১ এপ্রিল ২০২৫
অপো বাংলাদেশে একমাত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে নতুন উন্মোচিত হওয়া অপো এ৬ এবং অপো এ৬এক্স মডেলের স্মার্টফোনের সঙ্গে দুই বছরের ওয়ারেন্টিসহ ৯০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি নিয়ে এসেছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং ইউটিউবে কুকুর ও বিড়ালের শত শত জনপ্রিয় ভিডিও আপাতদৃষ্টিতে হাসি-খুশি ও নিরীহ মনে হলেও, সেগুলোর একটি বড় অংশে লুকিয়ে আছে প্রাণীদের শারীরিক ক্ষতি বা তীব্র মানসিক চাপের ঝুঁকি।
২০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। অবরোধের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন তাঁরা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অপো বাংলাদেশে একমাত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে নতুন উন্মোচিত হওয়া অপো এ৬ এবং অপো এ৬এক্স মডেলের স্মার্টফোনের সঙ্গে দুই বছরের ওয়ারেন্টিসহ ৯০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি নিয়ে এসেছে। বার্ষিক ও’ফ্যানস ফেস্টিভাল উপলক্ষে চালু হয়েছে এই প্রথম সুরক্ষা ব্যবস্থা। ক্রেতারা কেনার তারিখ থেকে সম্পূর্ণ ৯০ দিনের জন্য রিপ্লেসমেন্ট সাপোর্ট উপভোগ করতে পারবেন।
অপো এ৬ ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে এতে রয়েছে আইপি ৬৯ আল্টিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিস্ট্যান্স এবং ডিভাইসের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে উন্নত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম। ডিভাইসটি অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লুর মতো প্রাণবন্ত রঙে বাজারে এসেছে।
অপো এ৬এক্স ফোনে রয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর, ৬৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি এবং ১২০ হার্জ আলট্রা ব্রাইট ডিসপ্লে। আইস ব্লু ও প্লাম পার্পলের মতো আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া যাচ্ছে ডিভাইসটি।
অপো বাংলাদেশের অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়ং বলেন, অপো এ৬ ও এ৬এক্স ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথমবারের মতো ৯০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট পলিসি ও বর্ধিত দুই বছরের ওয়ারেন্টি নিয়ে এসেছে। এই উদ্যোগটি গুণগত মানের প্রতি আমাদের অবিচল প্রতিশ্রুতি এবং একইসাথে, ও’ফ্যানস কমিউনিটির প্রতি আমাদের গভীর নিষ্ঠার শক্তিশালী প্রতিফলন।

অপো বাংলাদেশে একমাত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে নতুন উন্মোচিত হওয়া অপো এ৬ এবং অপো এ৬এক্স মডেলের স্মার্টফোনের সঙ্গে দুই বছরের ওয়ারেন্টিসহ ৯০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি নিয়ে এসেছে। বার্ষিক ও’ফ্যানস ফেস্টিভাল উপলক্ষে চালু হয়েছে এই প্রথম সুরক্ষা ব্যবস্থা। ক্রেতারা কেনার তারিখ থেকে সম্পূর্ণ ৯০ দিনের জন্য রিপ্লেসমেন্ট সাপোর্ট উপভোগ করতে পারবেন।
অপো এ৬ ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে ৭০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি। অতিরিক্ত সুরক্ষা হিসেবে এতে রয়েছে আইপি ৬৯ আল্টিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিস্ট্যান্স এবং ডিভাইসের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে উন্নত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম। ডিভাইসটি অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লুর মতো প্রাণবন্ত রঙে বাজারে এসেছে।
অপো এ৬এক্স ফোনে রয়েছে শক্তিশালী স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর, ৬৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি এবং ১২০ হার্জ আলট্রা ব্রাইট ডিসপ্লে। আইস ব্লু ও প্লাম পার্পলের মতো আকর্ষণীয় রঙে পাওয়া যাচ্ছে ডিভাইসটি।
অপো বাংলাদেশের অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়ং বলেন, অপো এ৬ ও এ৬এক্স ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথমবারের মতো ৯০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট পলিসি ও বর্ধিত দুই বছরের ওয়ারেন্টি নিয়ে এসেছে। এই উদ্যোগটি গুণগত মানের প্রতি আমাদের অবিচল প্রতিশ্রুতি এবং একইসাথে, ও’ফ্যানস কমিউনিটির প্রতি আমাদের গভীর নিষ্ঠার শক্তিশালী প্রতিফলন।

তথ্য চুরির জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কৌশল বের করছে সাইবার অপরাধীরা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যখন ফিশিং লিংক, ভুয়া ওয়েবসাইট, প্রতারণামূলক ইমেইল ও ছদ্মবেশী স্ক্যামের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে, তখন হ্যাকাররা তাদের পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাকাররা যেসব কৌশল ব্যবহার করছে, তার একটি হলো—ইউএসবি ফ্ল্যাশ
২১ এপ্রিল ২০২৫
মোবাইল ফটোগ্রাফিতে টেলিফটো অভিজ্ঞতাকে আরও এগিয়ে নিতে ভিভো এনেছে নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স৩০০ প্রো। এই স্মার্টফোনে রয়েছে জাইস অপটিকস, নতুন অপারেটিং সিস্টেম ও শক্তিশালী প্রসেসর।
১৬ মিনিট আগে
ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং ইউটিউবে কুকুর ও বিড়ালের শত শত জনপ্রিয় ভিডিও আপাতদৃষ্টিতে হাসি-খুশি ও নিরীহ মনে হলেও, সেগুলোর একটি বড় অংশে লুকিয়ে আছে প্রাণীদের শারীরিক ক্ষতি বা তীব্র মানসিক চাপের ঝুঁকি।
২০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। অবরোধের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন তাঁরা।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং ইউটিউবে কুকুর ও বিড়ালের শত শত জনপ্রিয় ভিডিও আপাতদৃষ্টিতে হাসি-খুশি ও নিরীহ মনে হলেও, সেগুলোর একটি বড় অংশে লুকিয়ে আছে প্রাণীদের শারীরিক ক্ষতি বা তীব্র মানসিক চাপের ঝুঁকি। সম্প্রতি ‘জার্নাল অব অ্যাপ্লাইড অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার সায়েন্স’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই উদ্বেগের বিষয়টি উঠে এসেছে।
গবেষকেরা ১৬২টি বহুল প্রচারিত ভিডিও বিশ্লেষণ করেছেন, যেখানে সরাসরি নিষ্ঠুরতা দেখানো না হলেও পোষ্যদের জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকির প্রমাণ মিলেছে। এই ভিডিওগুলো মূলত মানুষের হাসি বা বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হলেও, এর ফলে প্রাণীরা নীরব যন্ত্রণার শিকার হচ্ছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই ভিডিওগুলোর ৫৩ শতাংশেরও বেশি প্রাণীকে আঘাতের ঝুঁকিতে ফেলেছে এবং ৮২ শতাংশে মানসিক চাপের স্পষ্ট আচরণগত লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। বহু ক্ষেত্রেই ভিডিওতে থাকা মানুষদের পোষ্যদের উত্ত্যক্ত করতে, ভয় দেখাতে বা অপ্রয়োজনীয় হয়রানি করতে দেখা গেছে।
গবেষণায় মোট চার ধরনের ভিডিও চিহ্নিত করা হয়েছে, যা পশু-কল্যাণে সরাসরি সমস্যার সৃষ্টি করে:
১. ক্ষতিকারক চ্যালেঞ্জ: বিশ্লেষণ করা ভিডিওগুলোর ৬ দশমিক ২ শতাংশে এমন ভাইরাল চ্যালেঞ্জ দেখা গেছে, যা পশুর কল্যাণে সরাসরি আঘাত হানে। উদাহরণস্বরূপ, এমন প্রবণতা যেখানে পোষ্যদের বিনা কারণে ‘থাপ্পড়’ মারা হয় বা এমন কাজ করতে বাধ্য করা হয় যা তাদের ব্যথা দেয়।
২. সংবেদনশীল পোষ্যদের লক্ষ্য করে তৈরি চ্যালেঞ্জ: এই ধরনের ভিডিওতে সাধারণত প্রাণীদের তাদের স্বভাব বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো কাজ করতে বা বিরক্ত করার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য করা হয়, যা তাদের বিরক্তি বা যন্ত্রণা সৃষ্টি করে।
৩. নিছক মজার জন্য তৈরি ভিডিও: এগুলো মানুষের উপভোগের জন্য তৈরি হলেও, প্রায়শই খেলার ছলে পোষ্যের আচরণগত সীমাকে অতিক্রম করে যায়।
৪. মানুষের মতো সাজানো বা অ্যানথ্রোপোমরফিক কনটেন্ট: প্রায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ ভিডিওতে পোষ্যদের এমন অদ্ভুত পোশাক পরানো হয় বা মানুষের মতো সাজানো হয়, যা তাদের স্বাভাবিক চলাফেরা বা শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা দেয় এবং তীব্র অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
চাপের যে লক্ষণগুলো উপেক্ষা করা হয়:
ভিডিওগুলোতে থাকা পোষ্যদের মধ্যে মানসিক চাপের স্পষ্ট লক্ষণগুলো প্রায়শই মজার মোড়কে ঢাকা পড়ে যায়। এই লক্ষণগুলো পশু-কল্যাণ বিশেষজ্ঞদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
কুকুরদের ক্ষেত্রে: সাধারণত চোখ বড় করে তাকানো, কান পেছনে টেনে নেওয়া, হাই তোলা, ঠোঁট চাটা এবং পরিস্থিতি বা মানুষটিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা দেখা গেছে।
বিড়ালদের ক্ষেত্রে: চোখ বিস্ফারিত হওয়া, চোখের মণি বড় হয়ে যাওয়া, কান ফ্ল্যাট (পেছনের দিকে চেপে) করে রাখা এবং শরীরের পেশি শক্ত করে রাখার মতো চাপ ও ভয়ের লক্ষণ ছিল।
প্রজনন-সংক্রান্ত এবং শারীরিক সমস্যা:
গবেষণায় সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওগুলোর মাধ্যমে প্রচারিত কিছু দীর্ঘমেয়াদি পশু-কল্যাণ সমস্যার দিকেও আলোকপাত করা হয়েছে। বহু ভিডিওতে এমন প্রাণীদের দেখানো হয়, যাদের প্রজনন-সংক্রান্ত কারণে আজীবন স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। যেমন—স্কটিশ ফোল্ড বিড়াল (যারা জেনেটিক কারণে অস্থিসন্ধির সমস্যায় ভোগে) বা ফ্ল্যাট-ফেসেড কুকুর (যেমন পাগ্ বা বুলডগ, যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকে)। এ ছাড়া, কান কাটা, লেজ কাটা বা অতিরিক্ত স্থূলকায় পোষ্যদেরও এসব ভিডিওতে বিনোদনের সামগ্রী হিসেবে দেখানো হয়।
গবেষকদের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা:
গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, পোষ্যদের সহজাত মাধুর্য নেতিবাচক অনলাইন অভিজ্ঞতাকে প্রশমিত করে। তবে, একটি আবেগপূর্ণ বা হাস্যকর উপস্থাপনা প্রায়শই পোষ্যের কষ্টের লক্ষণগুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিয়ে প্রকৃত পশু-কল্যাণ সমস্যাকে আড়াল করতে পারে।
গবেষণাপত্রের লেখকেরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তাঁরা পোষ্যদের মধ্যে মানসিক চাপের লক্ষণগুলো চিনতে শেখেন এবং এমন ভাইরাল ‘চ্যালেঞ্জ’-এ অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকেন যা প্রাণীদের ক্ষতি করতে পারে। তাঁরা আরও উৎসাহিত করেছেন যে, ভিডিওতে যদি কোনো প্রাণীর কষ্ট বা নিগ্রহের লক্ষণ দেখা যায়, তবে সেই ভিডিওগুলোকে রিপোর্ট বা হাইড করা উচিত।

ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং ইউটিউবে কুকুর ও বিড়ালের শত শত জনপ্রিয় ভিডিও আপাতদৃষ্টিতে হাসি-খুশি ও নিরীহ মনে হলেও, সেগুলোর একটি বড় অংশে লুকিয়ে আছে প্রাণীদের শারীরিক ক্ষতি বা তীব্র মানসিক চাপের ঝুঁকি। সম্প্রতি ‘জার্নাল অব অ্যাপ্লাইড অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার সায়েন্স’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই উদ্বেগের বিষয়টি উঠে এসেছে।
গবেষকেরা ১৬২টি বহুল প্রচারিত ভিডিও বিশ্লেষণ করেছেন, যেখানে সরাসরি নিষ্ঠুরতা দেখানো না হলেও পোষ্যদের জন্য সম্ভাব্য ঝুঁকির প্রমাণ মিলেছে। এই ভিডিওগুলো মূলত মানুষের হাসি বা বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হলেও, এর ফলে প্রাণীরা নীরব যন্ত্রণার শিকার হচ্ছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই ভিডিওগুলোর ৫৩ শতাংশেরও বেশি প্রাণীকে আঘাতের ঝুঁকিতে ফেলেছে এবং ৮২ শতাংশে মানসিক চাপের স্পষ্ট আচরণগত লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। বহু ক্ষেত্রেই ভিডিওতে থাকা মানুষদের পোষ্যদের উত্ত্যক্ত করতে, ভয় দেখাতে বা অপ্রয়োজনীয় হয়রানি করতে দেখা গেছে।
গবেষণায় মোট চার ধরনের ভিডিও চিহ্নিত করা হয়েছে, যা পশু-কল্যাণে সরাসরি সমস্যার সৃষ্টি করে:
১. ক্ষতিকারক চ্যালেঞ্জ: বিশ্লেষণ করা ভিডিওগুলোর ৬ দশমিক ২ শতাংশে এমন ভাইরাল চ্যালেঞ্জ দেখা গেছে, যা পশুর কল্যাণে সরাসরি আঘাত হানে। উদাহরণস্বরূপ, এমন প্রবণতা যেখানে পোষ্যদের বিনা কারণে ‘থাপ্পড়’ মারা হয় বা এমন কাজ করতে বাধ্য করা হয় যা তাদের ব্যথা দেয়।
২. সংবেদনশীল পোষ্যদের লক্ষ্য করে তৈরি চ্যালেঞ্জ: এই ধরনের ভিডিওতে সাধারণত প্রাণীদের তাদের স্বভাব বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো কাজ করতে বা বিরক্ত করার মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য করা হয়, যা তাদের বিরক্তি বা যন্ত্রণা সৃষ্টি করে।
৩. নিছক মজার জন্য তৈরি ভিডিও: এগুলো মানুষের উপভোগের জন্য তৈরি হলেও, প্রায়শই খেলার ছলে পোষ্যের আচরণগত সীমাকে অতিক্রম করে যায়।
৪. মানুষের মতো সাজানো বা অ্যানথ্রোপোমরফিক কনটেন্ট: প্রায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ ভিডিওতে পোষ্যদের এমন অদ্ভুত পোশাক পরানো হয় বা মানুষের মতো সাজানো হয়, যা তাদের স্বাভাবিক চলাফেরা বা শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা দেয় এবং তীব্র অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
চাপের যে লক্ষণগুলো উপেক্ষা করা হয়:
ভিডিওগুলোতে থাকা পোষ্যদের মধ্যে মানসিক চাপের স্পষ্ট লক্ষণগুলো প্রায়শই মজার মোড়কে ঢাকা পড়ে যায়। এই লক্ষণগুলো পশু-কল্যাণ বিশেষজ্ঞদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
কুকুরদের ক্ষেত্রে: সাধারণত চোখ বড় করে তাকানো, কান পেছনে টেনে নেওয়া, হাই তোলা, ঠোঁট চাটা এবং পরিস্থিতি বা মানুষটিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা দেখা গেছে।
বিড়ালদের ক্ষেত্রে: চোখ বিস্ফারিত হওয়া, চোখের মণি বড় হয়ে যাওয়া, কান ফ্ল্যাট (পেছনের দিকে চেপে) করে রাখা এবং শরীরের পেশি শক্ত করে রাখার মতো চাপ ও ভয়ের লক্ষণ ছিল।
প্রজনন-সংক্রান্ত এবং শারীরিক সমস্যা:
গবেষণায় সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওগুলোর মাধ্যমে প্রচারিত কিছু দীর্ঘমেয়াদি পশু-কল্যাণ সমস্যার দিকেও আলোকপাত করা হয়েছে। বহু ভিডিওতে এমন প্রাণীদের দেখানো হয়, যাদের প্রজনন-সংক্রান্ত কারণে আজীবন স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। যেমন—স্কটিশ ফোল্ড বিড়াল (যারা জেনেটিক কারণে অস্থিসন্ধির সমস্যায় ভোগে) বা ফ্ল্যাট-ফেসেড কুকুর (যেমন পাগ্ বা বুলডগ, যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকে)। এ ছাড়া, কান কাটা, লেজ কাটা বা অতিরিক্ত স্থূলকায় পোষ্যদেরও এসব ভিডিওতে বিনোদনের সামগ্রী হিসেবে দেখানো হয়।
গবেষকদের চূড়ান্ত সতর্কবার্তা:
গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, পোষ্যদের সহজাত মাধুর্য নেতিবাচক অনলাইন অভিজ্ঞতাকে প্রশমিত করে। তবে, একটি আবেগপূর্ণ বা হাস্যকর উপস্থাপনা প্রায়শই পোষ্যের কষ্টের লক্ষণগুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিয়ে প্রকৃত পশু-কল্যাণ সমস্যাকে আড়াল করতে পারে।
গবেষণাপত্রের লেখকেরা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তাঁরা পোষ্যদের মধ্যে মানসিক চাপের লক্ষণগুলো চিনতে শেখেন এবং এমন ভাইরাল ‘চ্যালেঞ্জ’-এ অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকেন যা প্রাণীদের ক্ষতি করতে পারে। তাঁরা আরও উৎসাহিত করেছেন যে, ভিডিওতে যদি কোনো প্রাণীর কষ্ট বা নিগ্রহের লক্ষণ দেখা যায়, তবে সেই ভিডিওগুলোকে রিপোর্ট বা হাইড করা উচিত।

তথ্য চুরির জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কৌশল বের করছে সাইবার অপরাধীরা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যখন ফিশিং লিংক, ভুয়া ওয়েবসাইট, প্রতারণামূলক ইমেইল ও ছদ্মবেশী স্ক্যামের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে, তখন হ্যাকাররা তাদের পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাকাররা যেসব কৌশল ব্যবহার করছে, তার একটি হলো—ইউএসবি ফ্ল্যাশ
২১ এপ্রিল ২০২৫
মোবাইল ফটোগ্রাফিতে টেলিফটো অভিজ্ঞতাকে আরও এগিয়ে নিতে ভিভো এনেছে নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স৩০০ প্রো। এই স্মার্টফোনে রয়েছে জাইস অপটিকস, নতুন অপারেটিং সিস্টেম ও শক্তিশালী প্রসেসর।
১৬ মিনিট আগে
অপো বাংলাদেশে একমাত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে নতুন উন্মোচিত হওয়া অপো এ৬ এবং অপো এ৬এক্স মডেলের স্মার্টফোনের সঙ্গে দুই বছরের ওয়ারেন্টিসহ ৯০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি নিয়ে এসেছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। অবরোধের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন তাঁরা।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। অবরোধের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সড়ক ছাড়েন তাঁরা।
এ বিষয়ে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শামীম মোল্লা রাত সোয়া ৯টায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা রাস্তা ছেড়ে দিয়েছি। তবে আমাদের শাট ডাউন কর্মসূচি চলবে। সারা দেশে মোবাইল বিক্রির দোকান বন্ধ থাকবে। আগামী মঙ্গলবার বিটিআরসি আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। তারা যদি আমাদের দাবি মেনে নেয়, তাহলে আমরা দোকান খুলব। না হলে আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
এর আগে, ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের সামনে এমবিসিবির ব্যানারে জড়ো হন ব্যবসায়ীরা। এতে ভবনের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই এলাকায় একাধিক হাসপাতাল থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
ব্যবসায়ীদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, এনইআইআর সংস্কার, সিন্ডিকেট প্রথা বাতিল এবং মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করা।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে লাখ লাখ ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন এই নিয়মের ফলে বিশেষ একটি গোষ্ঠী লাভবান হবে এবং বাড়তি করের চাপে গ্রাহক পর্যায়ে মোবাইলের দাম বেড়ে যাবে।
১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বিটিআরসি আশা করছে, এনইআইআর কার্যকর হলে অবৈধভাবে দেশে আসা মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ হবে। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। অবরোধের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে সড়ক ছাড়েন তাঁরা।
এ বিষয়ে মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শামীম মোল্লা রাত সোয়া ৯টায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা রাস্তা ছেড়ে দিয়েছি। তবে আমাদের শাট ডাউন কর্মসূচি চলবে। সারা দেশে মোবাইল বিক্রির দোকান বন্ধ থাকবে। আগামী মঙ্গলবার বিটিআরসি আমাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে। তারা যদি আমাদের দাবি মেনে নেয়, তাহলে আমরা দোকান খুলব। না হলে আমাদের কর্মসূচি চলবে।’
এর আগে, ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের সামনে এমবিসিবির ব্যানারে জড়ো হন ব্যবসায়ীরা। এতে ভবনের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই এলাকায় একাধিক হাসপাতাল থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
ব্যবসায়ীদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, এনইআইআর সংস্কার, সিন্ডিকেট প্রথা বাতিল এবং মোবাইল ফোন আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করা।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে লাখ লাখ ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন এই নিয়মের ফলে বিশেষ একটি গোষ্ঠী লাভবান হবে এবং বাড়তি করের চাপে গ্রাহক পর্যায়ে মোবাইলের দাম বেড়ে যাবে।
১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বিটিআরসি আশা করছে, এনইআইআর কার্যকর হলে অবৈধভাবে দেশে আসা মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ হবে। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

তথ্য চুরির জন্য প্রতিনিয়ত নতুন কৌশল বের করছে সাইবার অপরাধীরা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যখন ফিশিং লিংক, ভুয়া ওয়েবসাইট, প্রতারণামূলক ইমেইল ও ছদ্মবেশী স্ক্যামের ব্যাপারে সচেতন হচ্ছে, তখন হ্যাকাররা তাদের পদ্ধতিতে নতুনত্ব আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে হ্যাকাররা যেসব কৌশল ব্যবহার করছে, তার একটি হলো—ইউএসবি ফ্ল্যাশ
২১ এপ্রিল ২০২৫
মোবাইল ফটোগ্রাফিতে টেলিফটো অভিজ্ঞতাকে আরও এগিয়ে নিতে ভিভো এনেছে নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স৩০০ প্রো। এই স্মার্টফোনে রয়েছে জাইস অপটিকস, নতুন অপারেটিং সিস্টেম ও শক্তিশালী প্রসেসর।
১৬ মিনিট আগে
অপো বাংলাদেশে একমাত্র স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে নতুন উন্মোচিত হওয়া অপো এ৬ এবং অপো এ৬এক্স মডেলের স্মার্টফোনের সঙ্গে দুই বছরের ওয়ারেন্টিসহ ৯০ দিনের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি নিয়ে এসেছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
ইনস্টাগ্রাম, টিকটক এবং ইউটিউবে কুকুর ও বিড়ালের শত শত জনপ্রিয় ভিডিও আপাতদৃষ্টিতে হাসি-খুশি ও নিরীহ মনে হলেও, সেগুলোর একটি বড় অংশে লুকিয়ে আছে প্রাণীদের শারীরিক ক্ষতি বা তীব্র মানসিক চাপের ঝুঁকি।
২০ ঘণ্টা আগে