Ajker Patrika

এবার চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ হলো জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে 

প্রযুক্তি ডেস্ক
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৩, ১২: ১৬
এবার চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ হলো জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে 

জাপানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চ্যাটজিপিটি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মূলত একাডেমিক কাজে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। শিক্ষকদের এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি আছে বলেও জানানো হয়েছে। 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানের সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয় গত ২৭ মার্চ নিজস্ব ওয়েবসাইটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট ব্যবহারের ওপর নতুন করে গ্রেডিং পলিসি প্রকাশ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রশিক্ষকের অনুমতি ছাড়া কোনো অ্যাসাইনমেন্ট ও অন্যান্য একাডেমিক কাজে চ্যাটজিপিটি বা অন্যান্য এআই চ্যাটবটে দিয়ে তৈরি টেক্সট, কোনো কোড বা হিসাব ব্যবহার করতে পারবেন না শিক্ষার্থীরা। এমন কিছু শনাক্ত করা গেলে সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গত ৩ এপ্রিল টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ওয়েবসাইটে ‘অ্যাবাউট জেনারেটিভ এআই’ শিরোনামে একটি নথি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ‘প্রতিবেদন অবশ্যই শিক্ষার্থীরা নিজেরা তৈরি করবে। কোনো এআইয়ের সাহায্য নিয়ে তৈরি করা যাবে না।’

কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নাগাহিরো মিনাতো বলেন, ‘লেখালেখির জন্য প্রচুর শক্তি লাগলেও এটি আপনাদের মানসিকতা ও চিন্তা করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে।' 

চ্যাটজিপিটি অসত্য তথ্য দেওয়ায় এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এক মেয়র। তাঁর আইনজীবীরা গত ২১ মার্চ এক চিঠিতে চ্যাটজিপিটির দেওয়া অসত্য তথ্য সংশোধনের জন্য ওপেনএআইকে ২৮ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় মানহানির মামলা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রায়ান হুড গত নভেম্বরে মেলবোর্ন থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে হেপবার্ন শায়ার শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন, ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার রিজার্ভ ব্যাংকের একটি সহায়ক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত একটি ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় তাঁকে দোষী হিসেবে বলছে চ্যাটজিপিটি।

হুড রিজার্ভ ব্যাংকের সহায়ক সংস্থা ‘নোট প্রিন্টিং অস্ট্রেলিয়া’র জন্য কাজ করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তিনি নিজেই মুদ্রার মুদ্রণ চুক্তি জেতার জন্য বিদেশি কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। হুডের আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কখনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি।

হুড জানান, ‘তিনি ঘুষ নেওয়ায় কারাবরণ করেছেন—চ্যাটজিপিটি তাঁর সম্পর্কে এমন তথ্য সংশোধন না করলে তিনি মানহানি মামলার দিকে এগোবেন।’

ওপেনএআই এখনো এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। ব্রায়ান হুডের ল ফার্ম গর্ডন লিগ্যালের এক অংশীদার জেমস নটন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় মানহানির মামলায় সাধারণত ৪ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের কাছাকাছি ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত