খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতি
অর্চি হক, ঢাকা
এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে ফোনকল সংযোগ দিতে ভূমিকা রাখে ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স)। বাংলাদেশের সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্রাফিকের আদান-প্রদান ২০০৭ সাল থেকে আইসিএক্সের মাধ্যমে হয়ে আসছে।
আইসিএক্সের মূল কাজ হলো ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়েগুলোর (আইজিডব্লিউ) মাধ্যমে বিদেশ থেকে যেসব কল আসে, তা মোবাইল ও অন্যান্য টেলিফোন (এএনএস বা অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস) অপারেটরের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আইসিএক্সের মাধ্যমে কল সরকারের নজরদারিতে থাকে। এর ফলে গ্রে ট্রাফিক বা অবৈধ কলের মাধ্যমে কর ফাঁকি রোধ সম্ভব হয়। তারচেয়েও বড় বিষয় হলো—আইসিএক্সের ডিজিটাল নজরদারির মাধ্যমে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা হয়।
কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রতি ‘টেলিকম খাতে নেটওয়ার্ক ও ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স পুনর্বিন্যাসের’ জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তাতে আইসিএক্স বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞরা।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আহমেদ উর রহমান (রোমেল) জানান, দেড় যুগ ধরে বাংলাদেশে আইসিএক্স ব্যবস্থাপনা রয়েছে। দেশে ৫০টিরও বেশি ভয়েস সেবাদাতা অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস (মোবাইল, পিএসপিএন ও আইপিটিএসপি) অপারেটর কাজ করছে। এগুলোর প্রত্যেকে পৃথকভাবে দ্বিপক্ষীয় সংযোগ স্থাপন করতে গেলে আইসিএক্স ব্যবস্থার চেয়ে খরচ বেশি হবে।
অগ্নি সিস্টেমসের আইসিএক্স অপারেশন বিভাগের প্রধান রোমেল এক যুগের বেশি সময় ধরে আইসিএক্স ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানের দিক থেকে বাংলাদেশ ইন্টারনেট সেবায় পিছিয়ে থাকলেও ভয়েস সেবায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। এমনকি জুলাই-আগস্টের ইন্টারনেট শাটডাউনের সময় ভয়েস সেবাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনা হামলার শিকার হলেও বিকল্প ব্যবস্থায় সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। তখন একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এসএমএস ও ভয়েস ট্রাফিক দ্বিগুণ হয়েছিল। এর ফলে সর্বোচ্চ প্রতিকূল পরিস্থিতে ভয়েসসেবার সক্ষমতা যাচাই হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় আইসিএক্স বাতিল আন্তসংযোগের বোঝা বৈষম্য সৃষ্টি করবে এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার বাজার ধ্বংস করবে।
এই বাস্তবতায় ভয়েস সংস্কারের যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন রোমেল। তিনি বলেন, আইসিএক্স স্তরকে ‘অপ্রয়োজনীয় ঘোষণার’ পেছনে সংস্কার কমিটি কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি। কিন্তু ডেটাভিত্তিক প্রযুক্তি অর্থাৎ ইন্টারনেট সেবার সমস্যা তুলে ধরে ভিন্ন প্রযুক্তির ভয়েস সেবা সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতিতে আইসিএক্স বাদ দেওয়ার প্রভাব নিয়ে গতকাল বুধবার ঢাকায় খাতসংশ্লিষ্টদের এক সংবাদ সম্মেলনে অগ্নি সিস্টেমসের আইসিএক্স অপারেশন বিভাগের প্রধান রোমেল ‘টেলিকম খাতে সংস্কার: ভয়েস কলে কেন্দ্রীয় আন্তসংযোগ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও আইসিএক্স-এর বাস্তব চিত্র’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, কলড্রপ বা গ্রাহক পর্যায়ে কলরেট বৃদ্ধিতে আইসিএক্সকে দায়ী করা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। বরং এই স্তরের কারণে লোকাল অফ-নেট ভয়েস কলের দাম আরও কমে গেছে।
আইসিএক্স বাতিলে অবৈধ ভিওআইপি ও রাজস্ব ফাঁকির পরিমাণ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন এই প্রযুক্তিবিদ। তিনি বলেন, অবৈধ ভিওআইপির কারণে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও রাজস্ব হারায় সরকার। অবৈধ ভিওআইপি প্রতিরোধে কার্যকর ‘ফিল্টার’ হিসেবে কাজ করে আইসিএক্স। কারণ, আইসিএক্সের মাধ্যমে কল রেকর্ড সংরক্ষণ, রাজস্ব ভাগাভাগি ও কল ট্রেসিং নিশ্চিত হওয়ায় অবৈধ কার্যক্রম শনাক্ত করা সহজ হয়।
রোমেল বলেন, আইসিএক্সের মাধ্যমে শুধু সরকার লাভবান হয়, অপারেটরেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে আরেকটি ভুল ধারণা আছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্র, অপারেটর ও গ্রাহক—তিন পক্ষই উপকৃত হয়।
তবু বর্তমান ব্যবস্থায় আইসিএক্স থেকে সরকার কলপ্রতি যে ২ পয়সা রাজস্ব আদায় করে, তা নেওয়া বন্ধ করার প্রস্তাব দেন তিনি। তাহলে অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক অপারেটররা গ্রাহক পর্যায়ে কলরেট কমাতে বাধ্য হবে। এতে বিটিআরসির রেগুলেটরি বোঝা কমানোর লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে জীবনধারা সলিউশন লিমিটেডের সিইও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খুরশিদ আলম (অব.) বলেন, ‘মোবাইল কলের ২ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে আইসিএক্স পায় ৪ পয়সা। দুই পয়সা বিটিআরসিকে দিয়ে দিতে হয়। এই দুই পয়সার মধ্যে ১ পয়সা লাইসেন্স, ট্যাক্স, ভ্যাট বাবদ চলে যায়। আমাদের কাছে থাকে কেবল এক পয়সা।’
খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতি-২০২৫ জাতীয় স্বার্থ, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি বলে অভিযোগ করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব আইসিএক্স অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এআইওবি)।
সংগঠনটি বলছে, খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতি কার্যকর হলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত টিকে থাকতে পারবে না। বিদেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ঝুঁকি তৈরি হবে। ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর আঘাত আসবে। টেলিকম নেটওয়ার্কে বিদেশি নিয়ন্ত্রণের ফলে দেশের সাইবার নিরাপত্তা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় তথ্য ব্যবস্থাপনা হুমকির মুখে পড়বে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।
এআইওবির মহাসচিব অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমিনুর রহমান বলেন, বিটিআরসি লাইসেন্স সংস্কারের নামে সরকারের নতুন নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে দেশের টেলিকম অবকাঠামো, জাতীয় নিরাপত্তা, ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব ও হাজার হাজার কর্মীর কর্মসংস্থান চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে ফোনকল সংযোগ দিতে ভূমিকা রাখে ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স)। বাংলাদেশের সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্রাফিকের আদান-প্রদান ২০০৭ সাল থেকে আইসিএক্সের মাধ্যমে হয়ে আসছে।
আইসিএক্সের মূল কাজ হলো ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়েগুলোর (আইজিডব্লিউ) মাধ্যমে বিদেশ থেকে যেসব কল আসে, তা মোবাইল ও অন্যান্য টেলিফোন (এএনএস বা অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস) অপারেটরের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আইসিএক্সের মাধ্যমে কল সরকারের নজরদারিতে থাকে। এর ফলে গ্রে ট্রাফিক বা অবৈধ কলের মাধ্যমে কর ফাঁকি রোধ সম্ভব হয়। তারচেয়েও বড় বিষয় হলো—আইসিএক্সের ডিজিটাল নজরদারির মাধ্যমে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা হয়।
কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রতি ‘টেলিকম খাতে নেটওয়ার্ক ও ব্যবসা পরিচালনার লাইসেন্স পুনর্বিন্যাসের’ জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন সংশোধনের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তাতে আইসিএক্স বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন খাতসংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞরা।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আহমেদ উর রহমান (রোমেল) জানান, দেড় যুগ ধরে বাংলাদেশে আইসিএক্স ব্যবস্থাপনা রয়েছে। দেশে ৫০টিরও বেশি ভয়েস সেবাদাতা অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক সার্ভিস (মোবাইল, পিএসপিএন ও আইপিটিএসপি) অপারেটর কাজ করছে। এগুলোর প্রত্যেকে পৃথকভাবে দ্বিপক্ষীয় সংযোগ স্থাপন করতে গেলে আইসিএক্স ব্যবস্থার চেয়ে খরচ বেশি হবে।
অগ্নি সিস্টেমসের আইসিএক্স অপারেশন বিভাগের প্রধান রোমেল এক যুগের বেশি সময় ধরে আইসিএক্স ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানের দিক থেকে বাংলাদেশ ইন্টারনেট সেবায় পিছিয়ে থাকলেও ভয়েস সেবায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। এমনকি জুলাই-আগস্টের ইন্টারনেট শাটডাউনের সময় ভয়েস সেবাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থাপনা হামলার শিকার হলেও বিকল্প ব্যবস্থায় সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। তখন একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এসএমএস ও ভয়েস ট্রাফিক দ্বিগুণ হয়েছিল। এর ফলে সর্বোচ্চ প্রতিকূল পরিস্থিতে ভয়েসসেবার সক্ষমতা যাচাই হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় আইসিএক্স বাতিল আন্তসংযোগের বোঝা বৈষম্য সৃষ্টি করবে এবং সুস্থ প্রতিযোগিতার বাজার ধ্বংস করবে।
এই বাস্তবতায় ভয়েস সংস্কারের যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা আদৌ আছে কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন রোমেল। তিনি বলেন, আইসিএক্স স্তরকে ‘অপ্রয়োজনীয় ঘোষণার’ পেছনে সংস্কার কমিটি কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি। কিন্তু ডেটাভিত্তিক প্রযুক্তি অর্থাৎ ইন্টারনেট সেবার সমস্যা তুলে ধরে ভিন্ন প্রযুক্তির ভয়েস সেবা সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতিতে আইসিএক্স বাদ দেওয়ার প্রভাব নিয়ে গতকাল বুধবার ঢাকায় খাতসংশ্লিষ্টদের এক সংবাদ সম্মেলনে অগ্নি সিস্টেমসের আইসিএক্স অপারেশন বিভাগের প্রধান রোমেল ‘টেলিকম খাতে সংস্কার: ভয়েস কলে কেন্দ্রীয় আন্তসংযোগ ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব ও আইসিএক্স-এর বাস্তব চিত্র’ শীর্ষক লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, কলড্রপ বা গ্রাহক পর্যায়ে কলরেট বৃদ্ধিতে আইসিএক্সকে দায়ী করা হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। বরং এই স্তরের কারণে লোকাল অফ-নেট ভয়েস কলের দাম আরও কমে গেছে।
আইসিএক্স বাতিলে অবৈধ ভিওআইপি ও রাজস্ব ফাঁকির পরিমাণ বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন এই প্রযুক্তিবিদ। তিনি বলেন, অবৈধ ভিওআইপির কারণে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও রাজস্ব হারায় সরকার। অবৈধ ভিওআইপি প্রতিরোধে কার্যকর ‘ফিল্টার’ হিসেবে কাজ করে আইসিএক্স। কারণ, আইসিএক্সের মাধ্যমে কল রেকর্ড সংরক্ষণ, রাজস্ব ভাগাভাগি ও কল ট্রেসিং নিশ্চিত হওয়ায় অবৈধ কার্যক্রম শনাক্ত করা সহজ হয়।
রোমেল বলেন, আইসিএক্সের মাধ্যমে শুধু সরকার লাভবান হয়, অপারেটরেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে আরেকটি ভুল ধারণা আছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে রাষ্ট্র, অপারেটর ও গ্রাহক—তিন পক্ষই উপকৃত হয়।
তবু বর্তমান ব্যবস্থায় আইসিএক্স থেকে সরকার কলপ্রতি যে ২ পয়সা রাজস্ব আদায় করে, তা নেওয়া বন্ধ করার প্রস্তাব দেন তিনি। তাহলে অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক অপারেটররা গ্রাহক পর্যায়ে কলরেট কমাতে বাধ্য হবে। এতে বিটিআরসির রেগুলেটরি বোঝা কমানোর লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে।
এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে জীবনধারা সলিউশন লিমিটেডের সিইও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খুরশিদ আলম (অব.) বলেন, ‘মোবাইল কলের ২ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে আইসিএক্স পায় ৪ পয়সা। দুই পয়সা বিটিআরসিকে দিয়ে দিতে হয়। এই দুই পয়সার মধ্যে ১ পয়সা লাইসেন্স, ট্যাক্স, ভ্যাট বাবদ চলে যায়। আমাদের কাছে থাকে কেবল এক পয়সা।’
খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতি-২০২৫ জাতীয় স্বার্থ, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি বলে অভিযোগ করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব আইসিএক্স অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এআইওবি)।
সংগঠনটি বলছে, খসড়া টেলিযোগাযোগ নীতি কার্যকর হলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত টিকে থাকতে পারবে না। বিদেশি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ঝুঁকি তৈরি হবে। ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর আঘাত আসবে। টেলিকম নেটওয়ার্কে বিদেশি নিয়ন্ত্রণের ফলে দেশের সাইবার নিরাপত্তা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় তথ্য ব্যবস্থাপনা হুমকির মুখে পড়বে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।
এআইওবির মহাসচিব অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমিনুর রহমান বলেন, বিটিআরসি লাইসেন্স সংস্কারের নামে সরকারের নতুন নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে দেশের টেলিকম অবকাঠামো, জাতীয় নিরাপত্তা, ডিজিটাল সার্বভৌমত্ব ও হাজার হাজার কর্মীর কর্মসংস্থান চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহক বিনা মূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট ডেটা পাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত বুধবার সব অপারেটরকে এই নির্দেশনা দেয়।
১ দিন আগেমহাকাশ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের ব্যবসা পরিচালনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল শুক্রবার ঢাকায় আসছে।
২ দিন আগেতবে সমঝোতার নির্দিষ্ট শর্তাবলি আদালতে প্রকাশ করা হয়নি। বিচারকের সামনে বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরাও কোনো বক্তব্য দেননি। বিচারক ম্যাককরমিক যখন মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখনই হঠাৎ তিনি মামলাটি মুলতবি ঘোষণা করেন এবং উভয় পক্ষকে অভিনন্দন জানান।
২ দিন আগেবিশ্বজুড়ে ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বিশেষ করে চ্যাটজিপিটির মতো বড় ভাষা মডেল (এলএলএম) মানুষের দৈনন্দিন কথাবার্তার ধরন বদলে দিচ্ছে এবং একঘেয়ে করে তুলছে বলে সতর্ক করেছে জার্মানির এক গবেষক দল।
৩ দিন আগে