জিমন্যাস্টের অল–অ্যারাউন্ড ফাইনালের ফল ঘোষণার পর আবেগ লুকোতে পারেননি সুনিসা লি। সতীর্থদের জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন! তবে এ কান্না শুধুই আনন্দের। অথচ এই ইভেন্টের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন ধরে নেওয়া হয়েছিল কিংবদন্তি সিমোন বাইলসকে। যিনি শেষ মুহূর্তে গিয়ে মানসিক অবসাদে ইভেন্ট থেকে সরিয়ে নেন নিজেকে। সেটিই বড় সুযোগ এনে দেয় সুনিসার সামনে। আর তা কাজে লাগাতে একটুও ভুল করেননি হ্যামং জনগোষ্ঠীর এই প্রতিনিধি।
প্রথম হ্যামং আমেরিকান (দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া থেকে ১৯৭০ দশকে যুক্তরাষ্ট্রে আসার অভিবাসী জনগোষ্ঠী) হিসেবে জিতে নিয়েছেন সোনার পদকও। তবে চূড়ায় ওঠার পথে শুধু বাইলসের বাধা নয়, তাঁকে পেরোতে হয়েছে আরও বন্ধুর পথ।
গত বছর জর্জ ফ্লয়েড মারা যাওয়ার ঘটনায় ভয়ংকর এক সময়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে সুনিসাকে। যে পুলিশ অফিসার ডেরেক চাউভিন ফ্লয়েডকে হত্যা করেন তাঁর স্ত্রী কেলিয়ে চাউভিন ছিলেন একজন হ্যামং আমেরিকান। ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদের ঝড়ে তখন রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল হ্যামংদের। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ সময় ধ্বংস করা হয়। এমনকি সুনিসার অনেক প্রতিবেশীর ঘরও এ সময় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
নিজের সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে সুনিসা বলেছিলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি হ্যামং সম্প্রদায়কে আরও বেশি পরিচিত করে তুলতে। যা ঘটেছে তা, সেটা আমাদের জন্য একটা বড় ধাক্কা। মানুষ আমাদের কোনো কারণ ছাড়াই ঘৃণা করে। এটা দেখাতে পারা দারুণ হবে যে, তারা যা ভাবে আমরা তার চেয়ে বেশি কিছু। আমি জানি না কীভাবে ব্যাখ্যা করব বিষয়টা।’ সুনিসার অবশ্য আর কিছু ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। অলিম্পিকে সোনা জিতে সব প্রশ্নের উত্তরই যেন দিয়ে দিলেন তিনি।
এর মাঝে শেষ ১৮ মাস সবচেয়ে কঠিনভাবে কেটেছে সুনিসার। মহামারিতে অলিম্পিক স্থগিত হওয়ার পর মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন তিনিও। এর মধ্যে গত জুনে সুনিসা তাঁর পায়ের আঙুলও ভেঙে ফেলেন! তাঁর চাচা হ্যামং শাম্যান তাঁকে সাহায্য করেছিলেন চোট থেকে সেরে উঠতে। কিন্তু মহামারিতে সেই চাচা ও তাঁর স্ত্রী মারা গেলে আরও ভেঙে পড়েন সুনিসা।
সে সময় বাইলস তাঁকে সাহায্য করেছিলেন অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসতে। যে বাইলসই বলতে গেলে সুনিসার জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন। আর নিজের, পরিবারের, চাচা–চাচি ও সর্বোপরি হ্যামং জনগোষ্ঠীর জন্য সোনা জেতার সুযোগটা হাতছাড়া করেননি সুনিসা। ব্রাজিলের রেবেকা আন্দ্রাদে ও গ্রেট ব্রিটেনের জেসিকা গ্রাদিরোভাকে পেছনে ফেলে টোকিও ইতিহাস গড়েছেন তিনি। যে চাপে বাইলসে সরে গেছেন, সেই চাপকে জয় করে সোনা জিতেছেন তিনি। সুনিসার এই জয় নিশ্চয়ই বাইলসকেও অনুপ্রাণিত করবে।
জিমন্যাস্টের অল–অ্যারাউন্ড ফাইনালের ফল ঘোষণার পর আবেগ লুকোতে পারেননি সুনিসা লি। সতীর্থদের জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন! তবে এ কান্না শুধুই আনন্দের। অথচ এই ইভেন্টের সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন ধরে নেওয়া হয়েছিল কিংবদন্তি সিমোন বাইলসকে। যিনি শেষ মুহূর্তে গিয়ে মানসিক অবসাদে ইভেন্ট থেকে সরিয়ে নেন নিজেকে। সেটিই বড় সুযোগ এনে দেয় সুনিসার সামনে। আর তা কাজে লাগাতে একটুও ভুল করেননি হ্যামং জনগোষ্ঠীর এই প্রতিনিধি।
প্রথম হ্যামং আমেরিকান (দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া থেকে ১৯৭০ দশকে যুক্তরাষ্ট্রে আসার অভিবাসী জনগোষ্ঠী) হিসেবে জিতে নিয়েছেন সোনার পদকও। তবে চূড়ায় ওঠার পথে শুধু বাইলসের বাধা নয়, তাঁকে পেরোতে হয়েছে আরও বন্ধুর পথ।
গত বছর জর্জ ফ্লয়েড মারা যাওয়ার ঘটনায় ভয়ংকর এক সময়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে সুনিসাকে। যে পুলিশ অফিসার ডেরেক চাউভিন ফ্লয়েডকে হত্যা করেন তাঁর স্ত্রী কেলিয়ে চাউভিন ছিলেন একজন হ্যামং আমেরিকান। ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদের ঝড়ে তখন রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল হ্যামংদের। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ সময় ধ্বংস করা হয়। এমনকি সুনিসার অনেক প্রতিবেশীর ঘরও এ সময় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
নিজের সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে সুনিসা বলেছিলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি হ্যামং সম্প্রদায়কে আরও বেশি পরিচিত করে তুলতে। যা ঘটেছে তা, সেটা আমাদের জন্য একটা বড় ধাক্কা। মানুষ আমাদের কোনো কারণ ছাড়াই ঘৃণা করে। এটা দেখাতে পারা দারুণ হবে যে, তারা যা ভাবে আমরা তার চেয়ে বেশি কিছু। আমি জানি না কীভাবে ব্যাখ্যা করব বিষয়টা।’ সুনিসার অবশ্য আর কিছু ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। অলিম্পিকে সোনা জিতে সব প্রশ্নের উত্তরই যেন দিয়ে দিলেন তিনি।
এর মাঝে শেষ ১৮ মাস সবচেয়ে কঠিনভাবে কেটেছে সুনিসার। মহামারিতে অলিম্পিক স্থগিত হওয়ার পর মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন তিনিও। এর মধ্যে গত জুনে সুনিসা তাঁর পায়ের আঙুলও ভেঙে ফেলেন! তাঁর চাচা হ্যামং শাম্যান তাঁকে সাহায্য করেছিলেন চোট থেকে সেরে উঠতে। কিন্তু মহামারিতে সেই চাচা ও তাঁর স্ত্রী মারা গেলে আরও ভেঙে পড়েন সুনিসা।
সে সময় বাইলস তাঁকে সাহায্য করেছিলেন অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসতে। যে বাইলসই বলতে গেলে সুনিসার জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন। আর নিজের, পরিবারের, চাচা–চাচি ও সর্বোপরি হ্যামং জনগোষ্ঠীর জন্য সোনা জেতার সুযোগটা হাতছাড়া করেননি সুনিসা। ব্রাজিলের রেবেকা আন্দ্রাদে ও গ্রেট ব্রিটেনের জেসিকা গ্রাদিরোভাকে পেছনে ফেলে টোকিও ইতিহাস গড়েছেন তিনি। যে চাপে বাইলসে সরে গেছেন, সেই চাপকে জয় করে সোনা জিতেছেন তিনি। সুনিসার এই জয় নিশ্চয়ই বাইলসকেও অনুপ্রাণিত করবে।
বাংলাদেশের গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সবচেয়ে সফল ব্যাটার ছিলেন জাকের আলী অনিক। সে সফরে দুই টেস্টের সিরিজে করেছিলেন ১৭৬ রান। তিনটি টি-টোয়েন্টিতে ৬০ গড়ে ১২০ রান। দুই সংস্করণেই তিনি ছিলেন সফরকারী দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সে সফরে ওয়ানডে সিরিজেও রান পেয়েছিলেন জাকের; তিন ওয়ানডেতে ৫৬.৫০ গড়ে করেছিলেন ১১৩।
৫ ঘণ্টা আগেমিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। কুড়ি ওভারের একাধিক ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয়। টেস্ট খেলুড়ে হিসেবে নবমতম দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়। শোকের দিনে এল বাংলাদেশ দলের সিরিজ জয়ের সাফল্য। অধিনায়ক লিটন দাস এই জয় উৎসর্গ করলেন
৮ ঘণ্টা আগেসহজে জয়ের ইঙ্গিত দিয়েও ফাহিম আশরাফের তাণ্ডবে কঠিন হয়ে ওঠে ম্যাচ। তবে ১৯তম ওভারের শেষ বলে ফাহিমকে বোল্ড করে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন রিশাদ হোসেন। শেষ ওভারে জিততে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩, বাংলাদেশের ১ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম বলেই মিড অফ দিয়ে দারুণ এক চারে ম্যাচ আরও জমিয়ে তোলেন
৯ ঘণ্টা আগেবাড়িতে টিভি ছিল না। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা খেলোয়াড় হওয়ায় মোসাম্মৎ সাগরিকার ঘরে পৌঁছে যায় দুটি টিভি। তবু গ্যালারিতে বসে মেয়ের খেলা দেখার আনন্দই অন্য রকম। সাগরিকার বাবা লিটন আলীও চেয়েছিলেন তা। কিন্তু জটিলতার কারণে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় আসতে পারেননি তিনি।
১০ ঘণ্টা আগে