নাজিম আল শমষের, ঢাকা
কিছুদিন আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছিলেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। মহামারিতে বাংলাদেশ প্রায় সব খেলায় ফিরলেও গলফ একপ্রকার নিভৃতেই ছিল। কণ্ঠে সুর থাকার পরও একজন শিল্পীর গান গাইতে না পারার যে আক্ষেপ, অনেকটা সেই বেদনা পেয়ে বসেছিল সিদ্দিকুরকে!
আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে না পারার কষ্ট এবার দূর করার সুযোগ পাচ্ছেন সিদ্দিক। কর্ন ফেরি পিজিএ ট্যুর খেলতে দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন সিদ্দিক। যাওয়ার আগে আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপচারিতায় জানিয়ে গেছেন দেশের গলফের ভবিষ্যৎ, নিজের উত্তরসূরি নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা।
কর্ন ফেরি ট্যুর খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে সিদ্দিক সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে, বানদার মালয়েশিয়া ওপেনে। এরপর দেড় বছর একপ্রকার প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টের বাইরেই ছিলেন। কেমন ছিল এই সময়টা? সিদ্দিক বলছেন, ‘করোনার প্রভাব সারা বিশ্বেই পড়েছে। তবে এশিয়ান গলফে বোধ হয় সবচেয়ে বেশি। সবকিছু মিলিয়ে যা বুঝি, জীবনটা আগে। খেলা পরে। মহামারির শুরুতে ভেবেছিলাম, আগে বাঁচি, পরে খেলা নিয়ে ভাবা যাবে। এখন যা দেখছি, পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে! আমাদের সবার টুর্নামেন্ট খেলা দরকার। এখানেই যে জীবিকা নির্বাহ করি।’
যুক্তরাষ্ট্রের কর্ন ফেরি ডেভেলপমেন্ট ট্যুর দিয়ে সিদ্দিক অবশেষে যে খেলায় ফেরার সুযোগটা পাচ্ছেন, বলাই হলো। এখানে বাছাইপর্ব হবে ১৫ জুলাই ও ৫ আগস্টে। ভালো করতে পারলে সিদ্দিক পাবেন কর্ন ফেরির অধীনে একাধিক পিজিএ ট্যুরের আমন্ত্রণ। প্রস্তুতি নিতে আগেভাগেই যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন সিদ্দিক। কাজ করেছেন দেশেও। পরিশ্রম করেছেন ফিটনেস নিয়ে। মানসিকভাবে যেন ভেঙে না পড়েন, তা নিয়ে কাজ করছেন মনস্তত্ত্ববিদদের সঙ্গেও। নিজের প্রস্তুতি নিয়ে বললেন, ‘আমার মনে সেই অশান্তিটা নাই। বিষয়টি নিয়ে অনেক কাজ করি। মানসিক বিষয় নিয়ে কাজ করতে আমার একজন কোচ আছেন। দেশের অনেক গলফার আছে, করোনায় তারা অনেকটাই ভেঙে পড়েছে। সবাই অনেক দুশ্চিন্তায় আছে।’
সতীর্থদের এই মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্দিককে অনেক চিন্তিতই মনে হলো। বললেন, ‘যদি মানসিকভাবে কেউ পরিণত না হয়, আর আমি যদি তাকে পরামর্শ দিই, সে হয়তো সহজভাবে নিতে পারবে না। যেকোনো বিষয় সহজভাবে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। আমার মনে হয় আমাদের খেলোয়াড়েরা এখানে অনেক পিছিয়ে আছে।’
বোঝা গেল স্বদেশি গলফারদের নিয়ে কিছুটা হতাশা আছে সিদ্দিকের। কেন এই হতাশা, সেটিও সবিস্তারে বললেন দেশসেরা গলফার, ‘আমাদের বেশির ভাগ গলফারের লক্ষ্য-প্রত্যাশা কম। যারা এখন গলফার আছি, তারা একেবারেই তৃণমূল থেকে উঠে এসেছি। কারও হয়তো ১০ হাজার টাকা বেতন পাওনা, সে পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। তাতেই সে খুশি! তার পক্ষে যে ৫০ লাখ ডলার আয় করা সম্ভব, সেটাই অনেকে বুঝতে পারে না। চেষ্টা থাকলে যে বড় সাফল্য বা আয় করা সম্ভব, এই চিন্তাটাই অনেকে করে না।’
তাহলে কি নিকট ভবিষ্যতে গলফে আরও ‘সিদ্দিকুর রহমান’ পাবে না বাংলাদেশ? দেশের সেরা এই গলফার অকপটেই বলছেন, ‘যাদের সম্ভাবনা আছে, তাদের যদি বড় স্বপ্ন, প্রত্যাশা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিষ্কার করে না দেওয়া হয়, কেউই বড় জায়গায় যেতে পারবে না। সত্যি বলতে, এমন কাউকে দেখি না আমি যে পর্যন্ত এসেছি এতটুকুও আসতে পারবে! আমার আশপাশে যারা আছে, তাদের মধ্যে এমন কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাই না। এমনকি আগামী ১০ বছরেও আমার মনে হয় না এমন কাউকে দেখা যাবে!’
কিছুদিন আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে না পারার আক্ষেপে পুড়ছিলেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। মহামারিতে বাংলাদেশ প্রায় সব খেলায় ফিরলেও গলফ একপ্রকার নিভৃতেই ছিল। কণ্ঠে সুর থাকার পরও একজন শিল্পীর গান গাইতে না পারার যে আক্ষেপ, অনেকটা সেই বেদনা পেয়ে বসেছিল সিদ্দিকুরকে!
আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে না পারার কষ্ট এবার দূর করার সুযোগ পাচ্ছেন সিদ্দিক। কর্ন ফেরি পিজিএ ট্যুর খেলতে দুই দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন সিদ্দিক। যাওয়ার আগে আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপচারিতায় জানিয়ে গেছেন দেশের গলফের ভবিষ্যৎ, নিজের উত্তরসূরি নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা।
কর্ন ফেরি ট্যুর খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে সিদ্দিক সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে, বানদার মালয়েশিয়া ওপেনে। এরপর দেড় বছর একপ্রকার প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টের বাইরেই ছিলেন। কেমন ছিল এই সময়টা? সিদ্দিক বলছেন, ‘করোনার প্রভাব সারা বিশ্বেই পড়েছে। তবে এশিয়ান গলফে বোধ হয় সবচেয়ে বেশি। সবকিছু মিলিয়ে যা বুঝি, জীবনটা আগে। খেলা পরে। মহামারির শুরুতে ভেবেছিলাম, আগে বাঁচি, পরে খেলা নিয়ে ভাবা যাবে। এখন যা দেখছি, পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে! আমাদের সবার টুর্নামেন্ট খেলা দরকার। এখানেই যে জীবিকা নির্বাহ করি।’
যুক্তরাষ্ট্রের কর্ন ফেরি ডেভেলপমেন্ট ট্যুর দিয়ে সিদ্দিক অবশেষে যে খেলায় ফেরার সুযোগটা পাচ্ছেন, বলাই হলো। এখানে বাছাইপর্ব হবে ১৫ জুলাই ও ৫ আগস্টে। ভালো করতে পারলে সিদ্দিক পাবেন কর্ন ফেরির অধীনে একাধিক পিজিএ ট্যুরের আমন্ত্রণ। প্রস্তুতি নিতে আগেভাগেই যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন সিদ্দিক। কাজ করেছেন দেশেও। পরিশ্রম করেছেন ফিটনেস নিয়ে। মানসিকভাবে যেন ভেঙে না পড়েন, তা নিয়ে কাজ করছেন মনস্তত্ত্ববিদদের সঙ্গেও। নিজের প্রস্তুতি নিয়ে বললেন, ‘আমার মনে সেই অশান্তিটা নাই। বিষয়টি নিয়ে অনেক কাজ করি। মানসিক বিষয় নিয়ে কাজ করতে আমার একজন কোচ আছেন। দেশের অনেক গলফার আছে, করোনায় তারা অনেকটাই ভেঙে পড়েছে। সবাই অনেক দুশ্চিন্তায় আছে।’
সতীর্থদের এই মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্দিককে অনেক চিন্তিতই মনে হলো। বললেন, ‘যদি মানসিকভাবে কেউ পরিণত না হয়, আর আমি যদি তাকে পরামর্শ দিই, সে হয়তো সহজভাবে নিতে পারবে না। যেকোনো বিষয় সহজভাবে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। আমার মনে হয় আমাদের খেলোয়াড়েরা এখানে অনেক পিছিয়ে আছে।’
বোঝা গেল স্বদেশি গলফারদের নিয়ে কিছুটা হতাশা আছে সিদ্দিকের। কেন এই হতাশা, সেটিও সবিস্তারে বললেন দেশসেরা গলফার, ‘আমাদের বেশির ভাগ গলফারের লক্ষ্য-প্রত্যাশা কম। যারা এখন গলফার আছি, তারা একেবারেই তৃণমূল থেকে উঠে এসেছি। কারও হয়তো ১০ হাজার টাকা বেতন পাওনা, সে পাচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। তাতেই সে খুশি! তার পক্ষে যে ৫০ লাখ ডলার আয় করা সম্ভব, সেটাই অনেকে বুঝতে পারে না। চেষ্টা থাকলে যে বড় সাফল্য বা আয় করা সম্ভব, এই চিন্তাটাই অনেকে করে না।’
তাহলে কি নিকট ভবিষ্যতে গলফে আরও ‘সিদ্দিকুর রহমান’ পাবে না বাংলাদেশ? দেশের সেরা এই গলফার অকপটেই বলছেন, ‘যাদের সম্ভাবনা আছে, তাদের যদি বড় স্বপ্ন, প্রত্যাশা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিষ্কার করে না দেওয়া হয়, কেউই বড় জায়গায় যেতে পারবে না। সত্যি বলতে, এমন কাউকে দেখি না আমি যে পর্যন্ত এসেছি এতটুকুও আসতে পারবে! আমার আশপাশে যারা আছে, তাদের মধ্যে এমন কোনো সম্ভাবনা দেখতে পাই না। এমনকি আগামী ১০ বছরেও আমার মনে হয় না এমন কাউকে দেখা যাবে!’
বাংলাদেশের গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সবচেয়ে সফল ব্যাটার ছিলেন জাকের আলী অনিক। সে সফরে দুই টেস্টের সিরিজে করেছিলেন ১৭৬ রান। তিনটি টি-টোয়েন্টিতে ৬০ গড়ে ১২০ রান। দুই সংস্করণেই তিনি ছিলেন সফরকারী দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সে সফরে ওয়ানডে সিরিজেও রান পেয়েছিলেন জাকের; তিন ওয়ানডেতে ৫৬.৫০ গড়ে করেছিলেন ১১৩।
১ ঘণ্টা আগেমিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। কুড়ি ওভারের একাধিক ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয়। টেস্ট খেলুড়ে হিসেবে নবমতম দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়। শোকের দিনে এল বাংলাদেশ দলের সিরিজ জয়ের সাফল্য। অধিনায়ক লিটন দাস এই জয় উৎসর্গ করলেন
৪ ঘণ্টা আগেসহজে জয়ের ইঙ্গিত দিয়েও ফাহিম আশরাফের তাণ্ডবে কঠিন হয়ে ওঠে ম্যাচ। তবে ১৯তম ওভারের শেষ বলে ফাহিমকে বোল্ড করে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন রিশাদ হোসেন। শেষ ওভারে জিততে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩, বাংলাদেশের ১ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম বলেই মিড অফ দিয়ে দারুণ এক চারে ম্যাচ আরও জমিয়ে তোলেন
৫ ঘণ্টা আগেবাড়িতে টিভি ছিল না। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা খেলোয়াড় হওয়ায় মোসাম্মৎ সাগরিকার ঘরে পৌঁছে যায় দুটি টিভি। তবু গ্যালারিতে বসে মেয়ের খেলা দেখার আনন্দই অন্য রকম। সাগরিকার বাবা লিটন আলীও চেয়েছিলেন তা। কিন্তু জটিলতার কারণে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় আসতে পারেননি তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে