Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

এ দেশে রুপার কোনো মূল্য নেই, সোনা জিতলে মাথায় তুলে রাখবে

এশিয়ান আর্চারিতে বাংলাদেশকে ৬ বছর পর সোনা এনে দিয়েছেন আব্দুর রহমান আলিফ। ছবি: সংগৃহীত

যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে গত বছর রুপা জিতেছিলেন আব্দুর রহমান আলিফ। সেই অর্জন নিয়ে সেভাবে প্রশংসিত না হওয়ায় বেশ হতাশ হয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ এশিয়া কাপ আর্চারির সিঙ্গাপুর পর্বে পুরুষ রিকার্ভ ইভেন্টে সোনা জিতেও আক্ষেপ থেকে গেছে আলিফের। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেসব কথা তুলে ধরেছেন ১৯ বছর বয়সী এই তিরন্দাজ। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনোয়ার সোহাগ

আনোয়ার সোহাগ, ঢাকা
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৫, ১১: ৩৯

প্রশ্ন: সোনা জয়ের অনুভূতি নিশ্চয় অন্যরকম?

আব্দুর রহমান আলিফ: অনুভূতি আর নেই। সেটা অতীত হয়ে গেছে। এখন আমি পরের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। আগস্টে যুব বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ আছে। সেখানে ভালো ফলের আশায় প্রস্তুতি শুরু করেছি। তবে ২৬ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা। কী করব না করব, ভেবে পাচ্ছি না। এখন পড়াশোনা একটু বেশি করা লাগবে। একটা ভালো রেজাল্ট দরকার। আমি খুব একটা ভালো ছাত্র নই। তবে ৪ পয়েন্টের আশপাশে থাকলে খুশি হব।

প্রশ্ন: আর্চারিতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সোনা জয়ের গণ্ডি এশিয়া কাপ পর্যন্ত...।

আলিফ: সবকিছু তো আর একবারে হয় না, ধাপে ধাপে উন্নতি করতে হয়। এখন এশিয়া কাপে পদক পেয়েছি, এরপর বিশ্বকাপ, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ যাবে, তারপর অলিম্পিক। হুট করে কেউ অলিম্পিকে সোনা আনতে পারবে না। সাবেক এক নম্বর খেলোয়াড় কিম উ জিন প্রথমে অনেক সোনা জিতেছেন এশিয়া কাপে। এরপর বিশ্বকাপ ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জিতেছেন। তিনি অলিম্পিক খেলছেন ২০১২ সাল থেকে। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে সোনা জিতেছেন প্যারিস অলিম্পিকে গিয়ে। ধাপে ধাপে এগোতে চাই।

প্রশ্ন: পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় কোনটা সবচেয়ে বেশি জরুরি?

আলিফ: কোচদের সহযোগিতা লাগবে। তাঁরা প্রেরণা দিলে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায়। নিজ থেকে যথেষ্ট চেষ্টা করে যাচ্ছি। একা কোনো কিছু সম্ভব নয়। আমি আলিফ, নিজের মতো করে নিজেকে তৈরির চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ।

প্রশ্ন: আর্চারিতে উঠে আসার যাত্রাটি কেমন ছিল?

আলিফ: বিকেএসপির হেড কোচ নুরে আলম স্যার, তাঁর হাত ধরে আর্চারিতে উঠে আসা। তাঁর প্রশিক্ষণে এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি। শুরুতে আমি ফুটবল পছন্দ করতাম অনেক, স্বপ্ন ছিল ফুটবলার হওয়ার। কিন্তু পায়ে চোট থাকায় ফুটবল আর খেলতে পারি না। এরপর আর্চারিকে বেছে নিই।

প্রশ্ন: মাঝে আপনার পারফরম্যান্সের অবনতিও দেখা গেছে।

আলিফ: তখন দু-তিনবার মনে হয়েছিল আর্চারি আর খেলব না। বাসায় চলে গিয়ে পড়াশোনায় জোর দেব। অনেক কান্না পেত। হুট করে একটা খেলোয়াড় এত ওপর থেকে কীভাবে এত নিচে নামল, ভেবে পেতাম না। বিষয়টা মেনে নিতে পারতাম না। আর বাংলাদেশে একটি রীতি আছে, আপনি সোনা জিতলে আপনাকে মাথায় তুলে রাখবে, কাল কোনো কিছু না জিতলে আপনাকে কেউ গুনবে না! এই বিষয়টা আমাকে খুব কষ্ট দেয়। ওই সময় সেভাবে কোনো সহায়তা পাইনি। তবে যাঁরা আমার পাশে ছিলেন তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। তাই ফেসবুকে লিখেছি পদকটা তাঁদের জন্য, যাঁরা আমার খারাপ সময়ে পাশে ছিলেন।

প্রশ্ন: সিঙ্গাপুর যাওয়ার আগে সোনা জয়ের ভাবনা এসেছিল?

আলিফ: না, এ রকম কোনো চিন্তাভাবনা করা হয়নি যাওয়ার আগে। আমার মূল লক্ষ্য ছিল রিকার্ভ দলের হয়ে ভালো ফল করব। সোনা আশা করিনি, তবে লক্ষ্য ছিল পদকের মঞ্চে থাকার। ফাইনালে যখন উঠেছি, তখন একটু স্বপ্নের মতো লাগছিল। গত বছর যুব এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনাল খেলেছিলাম। ওই সময় শুটঅফে হেরে গেলেও অনেক কিছু শিখেছি।

প্রশ্ন: ফেডারেশনের প্রতি আপনার কী চাওয়া থাকবে?

আলিফ: ফেডারেশনের প্রতি আমার চাওয়া একটাই, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলোয় যেন আমরা ভালোভাবে দল হিসেবে অংশ নিতে পারি। যত ম্যাচ খেলব, তত র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হবে। একটা বিশ্বকাপ খেলার পর আরেকটা বিশ্বকাপ না খেললে কষ্ট লাগে। ভারতকে দেখুন, তারা প্রতিটি ইভেন্টে ১২-১৬ জন করে খেলোয়াড় পাঠায়। ওরা এ কারণে এত বেশি ফল পায়।

প্রশ্ন: আর্চারি বাংলাদেশে খুব একটা জনপ্রিয় নয়। আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হওয়ারও সুযোগ নেই। তবু কি তির-ধনুক নিয়ে থাকবেন?

আলিফ: আর্চারিতে ভালো খেলতে পারলে অনেক সাফল্য আসবে। ভালোর শেষ নেই। যারা মাঝামাঝি বা ভালো মানের হতে পারে না, তাদের যাত্রাটা কষ্টের। তবে যারা ভালো খেলছে তারা খুব ভালো আছে। আমি চাইব আরও ভালো করার।

প্রশ্ন: সফল হওয়ার পরও রোমান সানা-দিয়া সিদ্দিকী উন্নত জীবনের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছেন। তাঁদের পথ ধরে হাঁটার ভাবনা কি আছে?

আলিফ: আমার এরকম কোনো চিন্তাভাবনা নেই। আমি আমার বাবা-মাকে নিয়ে দেশে থাকতে চাই। কারণ দেশের বাইরের জীবনটা খুব কষ্টের। আমি পরিবার ছাড়া সেখানে থাকতে পারব না।

প্রশ্ন: রোমানের সঙ্গে কথাবার্তা হয়?

আলিফ: ফাইনাল খেলার আগের দিন রোমান ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘একটা কথা মনে রাখবি, বাংলাদেশে রুপার কোনো মূল্য নেই। তুই যদি সোনা জিতিস, তাহলে তোকে মাথায় তুলে রাখবে। কিন্তু রুপা পেলে কেউ দেখতেও আসবে না।’ এরকম চিত্র আমি দেখেছি, গত যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে। রুপা জিতেও কোনো মূল্য পাইনি। তখন খুব কষ্ট লেগেছিল। আমার জানামতে, যুব এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যক্তিগত পর্যায়ে বাংলাদেশের কেউ রুপা জেতেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রোহিতের কাছে ছক্কার রেকর্ড হারিয়ে কী বললেন আফ্রিদি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ৩২
রোহিত শর্মা ও শহিদ আফ্রিদি। ফাইল ছবি
রোহিত শর্মা ও শহিদ আফ্রিদি। ফাইল ছবি

ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার মালিক এখন রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদিকে পেছনে ফেলে এই রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ভারতের সাবেক অধিনায়কের কাছে রেকর্ড হারালেও মন খারাপ হচ্ছে না আফ্রিদির। এটাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তিনি।

সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। সে সিরিজে ৩৯৮ ম্যাচে ৩৫১ ছক্কা মারা আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে যান রোহিত। ২৭৯ ওয়ানডে শেষে এই মারকুটে ব্যাটারের নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ৩৫৫ ছক্কা।

রোহিতের ছক্কার রেকর্ড প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্য। এই রেকর্ড এখন আরও উন্নত হয়েছে। আমি খুশি যে, একজন খেলোয়াড়, যাঁকে আমি সব সময় পছন্দ করি, তিনি এই রেকর্ড ভেঙেছেন।’

কোনো রেকর্ডই স্থায়ী বলে মনে করেন না আফ্রিদি, ‘আমার দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড প্রায় ১৮ বছর ধরে টিকে ছিল। কিন্তু সেটা ঠিকই ভেঙেছে। একজন খেলোয়াড় এসে রেকর্ড গড়ে আবার আরেকজন সেই রেকর্ড ভাঙে। ক্রিকেট আসলে এমনই।’

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) একই দলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় রোহিত সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা আছে আফ্রিদির। তিনি বলেন, ‘আমি ২০০৮ সালে আমার একমাত্র আইপিএল মৌসুমে ডেকান চার্জার্সের হয়ে খেলেছি। সেবার রোহিতকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলাম। সেই সময় আমার তাঁকে পছন্দ হয়েছিল। দলীয় অনুশীলনে আমি তাঁকে ব্যাট করতে দেখেছি। তাঁর ক্লাস আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি জানতাম যে, একদিন রোহিত ভারতের হয়ে খেলবেন। দারুণ একজন ব্যাটার হিসেবে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিকল্প টুর্নামেন্টের কথা ভাবছে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

জটিলতা তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সবশেষ নির্বাচন ঘিরে। সেই জটিলতার প্রভাব পড়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ আয়োজনে। তাই একরকম বাধ্য হয়েই নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বিসিবিকে। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় সংস্থাটি।

গত অক্টোবরে বিসিবির পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করে সব ধরনের লিগ বর্জন করেছেন ৪৫ ক্লাবের সংগঠকরা। তাই কয়েকদফা পিছিয়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ। লিগ বর্জন করা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেও রাজি করাতে পারেনি বিসিবি। সবশেষ ১২ ক্লাব নিয়ে আগামী ১১ ডিসেম্বর লিগ শুরু হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু মাঠ প্রস্তুত না থাকায় আরও তিন দিন পেছানো হয়েছে ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরুর দিনক্ষণ। নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৪ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে প্রতিযোগিতার পরবর্তী আসর। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্টোপলিসের (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের ২০ দলের মধ্যে আটটি লিগ বর্জন করেছে। তবে বিসিবির সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ মনে করেন, ক্রিকেটারদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত ক্লাবগুলোর। যেসব ক্লাব লিগে অংশ নেবে না তাদের বিরুদ্ধে সিসিডিএমের বাইলজ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমকে ফারুক বলেন, ‘একটা ব্যাপার স্পষ্ঠ। যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, তারাই এখন লিগ বর্জনে সোচ্চার। প্রতিবাদের ভাষা অনেক আছে। তাই বলে ক্রিকেটকে বন্ধ করা প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। দেশে গুরুত্বপূর্ণ হলো খেলা। লিগ না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন ক্রিকেটাররা। সে কারণেই ক্রিকেটারদের স্বার্থে খেলা মাঠে গড়ানো দরকার। ক্লাব ক্রিকেট না হলে বোর্ড বিকল্প টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাফুফের সঙ্গে যুক্ত হলো বিএসআরএম

ক্রীড়া ডেস্ক    
বিএসআরএম আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বিএসআরএম আনুষ্ঠানিকভাবে বাফুফের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে যুক্ত হয়েছে। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ডেভেলপমেন্ট পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তি করেছে বিএসআরএম। চুক্তি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবং সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম।

চুক্তির আওতায় বাফুফের বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজে সম্পৃক্ত হবে বিএসআরএম। এই তালিকায় আছে বাফুফের কোচেস ট্রেনিং প্রোগ্রাম, টেকনিক্যাল প্রোগাম এবং এলিট একাডেমি নিয়ে বিভিন্ন কাজ। প্রথম ৫ বছর বিএসআরএম থেকে এক ধরণের আর্থিক সুবিধা পাবে বাফুফে। এই পর্বের কার্যক্রম মূল্যায়নের পর দ্বিতীয় ধাপে আর্থিক মুল্যায়ন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিএসআরএম অনেক দিন ধরে বাংলাদেশে একটা প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান। তারা শুধু ব্যবসার সাথে জড়িত নয়, সকল উন্নয়নমূলক কাজের সাথে জড়িত...অতীতেও জড়িত ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও আশা করি থাকবে। বিএসআরএমের তিনটা কোন ভ্যালুস-শক্তি, নিরাপত্তা এবং স্থায়ীত্ব-আমি মনে করি বাফুফেও একই কোর ভ্যালু তাদের সাথে শেয়ার করে।’

ফাহাদ করিম বলেন, ‘বিএসআরএম আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। ফেডারেশনের বোর্ডে বা আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে তাদের লোগো থাকবে। স্পেসিফিক কিছু বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে তাদের লোগোও থাকবে। এখানে তাদের শর্ত স্টিল বা নির্মাণ সংক্রান্ত অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করা যাবে না। আমরা এটা অনুসরণ করি যেমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অন্য কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত করি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতকে হারানোয় ৭ লাখ করে বুঝে পেলেন হামজা-জামালরা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ২২
১-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। ছবি: বাফুফে
১-০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। ছবি: বাফুফে

২ দশকের বেশি সময়ের অপেক্ষা ফুরিয়েছে শেখ মোরসালিনের কল্যাণে। এই অ্যাটাকিং মিডফল্ডারের একমাত্র গোলের সুবাদে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। প্রতিবেশীদের বিপক্ষে টানা ২২ বছরের জয়ের অপেক্ষা শেষ হয় দলটির। সেই জয়ের পুরস্কার বুঝে পেল হামজা চৌধুরী-জামাল ভূঁইয়ারা।

এশিয়ান কাপ বাচাইপর্বের চতুর্থ রাউন্ড শেষেই নিশ্চিত হয়–মূল পর্বে খেলা হচ্ছে না বাংলাদেশের। এরপরও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচকে বাড়তি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল হাভিয়ের কাভরেরার দল। জয়খরা কাটাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিল বাংলাদেশ। এবার আর হতাশ হতে হয়নি। বহু আকাঙ্খিত এই জয়ের পর ২ কোটি টাকা অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেন সদ্য পদত্যাগ করা যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

২২ দিন পর আজ সে অর্থ বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ দল। দুপুরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ভবনে সংস্থাটির পরিচালক প্রশিক্ষক লাবণী চামকার কাছ থেকে চেক বুঝে নেন অধিনায়ক জামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান এবং বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার।

ভারতের বিপক্ষে পাওয়া সে ম্যাচের স্কোয়াডে থাকা ২৩ ফুটবলার, কোচ কাবরেরা, ম্যানেজার আমের প্রত্যেকে ৭ লাখ টাকা করে পেয়েছেন। ৫ লাখ টাকা করে পেয়েছেন কোচিং স্টাফের বাকি ৫ সদস্য।

বোনাস প্রসঙ্গে আমের বলেন, ‘ফেডারেশন থেকে ৪০ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। ভারত ম্যাচের আগে ইব্রাহিমসহ আরও কয়েকজন ক্যাম্পে ছিল। দলের অংশ হওয়ায় তাদের নামও তালিকায় ছিল। আজ আমরা এনএসসি থেকে ৩০ জনের চেক পেয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত