হাসনাত শোয়েব, ঢাকা
দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল এবারের অলিম্পিক। করোনা মহামারি, বিতর্ক ও বিরূপ আবহাওয়া-অলিম্পিকের শুরুর পুরোটাই ছিল আতঙ্ক আর আশঙ্কা। শেষ পর্যন্ত অল্পস্বল্প বিতর্ক থাকলেও টোকিওর আয়োজন প্রত্যাশার চেয়ে ভালোভাবেই শেষ হয়েছে। নাটকীয়তা, রোমাঞ্চ, তারকার পতন ও নতুনের উত্থান-সবকিছুই ছিল এই অলিম্পিকে। ছিল বাংলাদেশের অংশগ্রহণও।
বরাবরের মতো এবারও হতাশা আর অভিজ্ঞতা অর্জনের সেই পুরোনো অভ্যাস মেনেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশের অলিম্পিক অভিযান। টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আশা ছিল তিরন্দাজ রোমান সানাকে ঘিরে। রোমান অবশ্য শুরুটা ভালোই করেছিলেন। তবে সেটি আর ধরে রাখতে পারেননি। বাকিরা অলিম্পিকে ছিলেন ‘অংশগ্রহণই বড় কথা’ নীতি মেনে। অলিম্পিক এলেই বাংলাদেশের পদকশূন্য থাকা নিয়ে যথেষ্ট কথা হয়। তবে অলিম্পিকে বাংলাদেশের মতো পদকশূন্য থাকা দেশের সংখ্যাই কিন্তু বেশি!
এবারের অলিম্পিকে সব মিলিয়ে অংশ নিয়েছে ২০৬টি দেশ বা সংস্থা, যেখানে আইওসির শরণার্থী দলও আছে। এই দলে ২৯ অ্যাথলেট ছিলেন, যাঁরা নিজ দেশের সংঘাত কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশহীন। পাশাপাশি রাশিয়া নিষিদ্ধ থাকায় তাদের অ্যাথলেটরা অংশ নিয়েছেন রাশিয়ান অলিম্পিক কমিটি (আরওসি) নাম নিয়ে। এবারের অলিম্পিকে অংশ নেওয়া ২০৬ দল বা সংস্থার অ্যাথলেট সংখ্যা ১১ হাজার ৬৫৬। এই তালিকায় ছিল কৈশোর না পেরোনো অ্যাথলেটও। সিরিয়ান টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হেন্ড জাজার বয়স ছিল ১২ বছর। অলিম্পিকে ছিলেন বার্ধক্যে পৌঁছানো ৬৬ বছর বয়সী ম্যারি হান্না ও ৬২ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু হইওর মতো অ্যাথলেটও।
এমন বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজনে ২০৬ সংস্থার মাঝে ন্যূনতম একটি পদক জিতেছে এমন দেশের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৯৩টি। অর্থাৎ বাংলাদেশসহ ১১৩টি এমন দেশ আছে, যারা এবারের অলিম্পিকে কোনো পদকই জিততে পারেনি। এসব দেশের অ্যাথলেটদের শুধু অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে। ন্যূনতম একটি সোনার পদক জিতেছে এমন দেশের সংখ্যা ৬৫। নিচের সারির ৮টি দেশ শুধু একটি করে ব্রোঞ্জ জিতেছে।
সোনাসহ পদক জয়ে বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বরাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই দেশটি ৩৯টি সোনাসহ পদক জিতেছে ১১৩টি। ৩৮ সোনাসহ ৮৮টি পদক জিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন। তিন নম্বরে থাকা স্বাগতিক জাপান জিতেছে ২৭ সোনাসহ ৫৮টি পদক।
অলিম্পিকে নিয়মিত পরাশক্তিদের রাজত্বের পাশাপাশি ছিল ছোট দেশগুলোর চমকও। বাংলাদেশের মতো তুলনামূলক অধিক জনবহুল দেশগুলো পদক জিততে না পারলেও সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে পদক জিতেছে সান মারিনো। যে দেশের জনসংখ্যা সাকল্য ৩০ হাজার। পদক জিতেছে ৭০ হাজার জনসংখ্যার দেশ বারমুডাও। তবে এগুলো শুধুই ব্যতিক্রম।
প্রায় ১৮ কোটি জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশ থেকে ছয়জন এবারের অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন। আবার ভারতের মতো ১৪০ কোটি মানুষের দেশে সব মিলিয়ে পদকই এসেছে ৭টি। বাংলাদেশের পদক জেতার স্বপ্ন নিয়ে যে আলোচনা-সমালোচনাটা হয়, সেটি নিয়ে ২০০০ সিডনি অলিম্পিকে অংশ নেওয়া শুটার সাবরিনা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘আমরা বেশির ভাগ সময় ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে অলিম্পিকে যাই। এখানে পদক জেতা দূরে থাক, ফাইনালে আসাই কঠিন। এখনো আমরা এশিয়ান মানের খেলোয়াড়ও হতে পারিনি। আগে আমাদের এশিয়ান প্রতিযোগিতায় ভালো করে, তারপর অলিম্পিকের চিন্তা করতে হবে। দেশের জনসংখ্যা যতই হোক, এগুলো ধীরে ধীরে উন্নতি করার ব্যাপার। সাফে আগে আমাদের গোল্ড জিততে হবে।’
পদক জয়ই যে সব নয়, সে প্রমাণ দিয়েছেন দুই বন্ধু কাতারের ঈসা বারশিম ও ইতালির জানমার্কো তামবেরি। ভিন্ন দুই দেশের এই দুই অলিম্পিয়ান এবারের অলিম্পিকে নিজেদের সম্মতিতে সোনা ভাগাভাগি করেছেন। বৈচিত্র্যময় ও নান্দনিক এসব অভিজ্ঞতার কারণেই অলিম্পিক ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। যেখানে পদকের বাইরেও নানা বর্ণ ও সংস্কৃতির মানুষের কাছ থেকে নেওয়ার আছে বন্ধুত্ব, লড়াই ও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। এসবই বেশির ভাগ সময় জয়-পরাজয়ের হিসাবনিকাশকে ছাপিয়ে যায়।
এত কিছুর পরও মানুষ পদক জয়ের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সেই পথ যে কত কঠিন, সেটিই বলছিলেন দেশসেরা তিরন্দাজ রোমান সানা, ‘একটা গাছ যে ফল দেয়, সেটার যদি পরিচর্যা না করি, তাকে যদি সার না দিই, তবে সেটি কীভাবে ফল দেবে? সেই পরিচর্যা না পেয়েও আমরা ফল দিয়ে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে মনে হয় খেলাটা ছেড়ে দিই। কিন্তু খেলাটা তো রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে।’
বাংলাদেশ শুধু স্বপ্ন দেখতে পারে খেলোয়াড়দের প্যাশনের ওপর নির্ভর করে। তাতে যদি স্বপ্ন পূরণ না হয়, তাহলে তাঁদের কাঠগড়ায় তোলা কতটা যৌক্তিক?
দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল এবারের অলিম্পিক। করোনা মহামারি, বিতর্ক ও বিরূপ আবহাওয়া-অলিম্পিকের শুরুর পুরোটাই ছিল আতঙ্ক আর আশঙ্কা। শেষ পর্যন্ত অল্পস্বল্প বিতর্ক থাকলেও টোকিওর আয়োজন প্রত্যাশার চেয়ে ভালোভাবেই শেষ হয়েছে। নাটকীয়তা, রোমাঞ্চ, তারকার পতন ও নতুনের উত্থান-সবকিছুই ছিল এই অলিম্পিকে। ছিল বাংলাদেশের অংশগ্রহণও।
বরাবরের মতো এবারও হতাশা আর অভিজ্ঞতা অর্জনের সেই পুরোনো অভ্যাস মেনেই শেষ হয়েছে বাংলাদেশের অলিম্পিক অভিযান। টোকিও অলিম্পিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আশা ছিল তিরন্দাজ রোমান সানাকে ঘিরে। রোমান অবশ্য শুরুটা ভালোই করেছিলেন। তবে সেটি আর ধরে রাখতে পারেননি। বাকিরা অলিম্পিকে ছিলেন ‘অংশগ্রহণই বড় কথা’ নীতি মেনে। অলিম্পিক এলেই বাংলাদেশের পদকশূন্য থাকা নিয়ে যথেষ্ট কথা হয়। তবে অলিম্পিকে বাংলাদেশের মতো পদকশূন্য থাকা দেশের সংখ্যাই কিন্তু বেশি!
এবারের অলিম্পিকে সব মিলিয়ে অংশ নিয়েছে ২০৬টি দেশ বা সংস্থা, যেখানে আইওসির শরণার্থী দলও আছে। এই দলে ২৯ অ্যাথলেট ছিলেন, যাঁরা নিজ দেশের সংঘাত কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দেশহীন। পাশাপাশি রাশিয়া নিষিদ্ধ থাকায় তাদের অ্যাথলেটরা অংশ নিয়েছেন রাশিয়ান অলিম্পিক কমিটি (আরওসি) নাম নিয়ে। এবারের অলিম্পিকে অংশ নেওয়া ২০৬ দল বা সংস্থার অ্যাথলেট সংখ্যা ১১ হাজার ৬৫৬। এই তালিকায় ছিল কৈশোর না পেরোনো অ্যাথলেটও। সিরিয়ান টেবিল টেনিস খেলোয়াড় হেন্ড জাজার বয়স ছিল ১২ বছর। অলিম্পিকে ছিলেন বার্ধক্যে পৌঁছানো ৬৬ বছর বয়সী ম্যারি হান্না ও ৬২ বছর বয়সী অ্যান্ড্রু হইওর মতো অ্যাথলেটও।
এমন বৈচিত্র্যপূর্ণ আয়োজনে ২০৬ সংস্থার মাঝে ন্যূনতম একটি পদক জিতেছে এমন দেশের সংখ্যা সব মিলিয়ে ৯৩টি। অর্থাৎ বাংলাদেশসহ ১১৩টি এমন দেশ আছে, যারা এবারের অলিম্পিকে কোনো পদকই জিততে পারেনি। এসব দেশের অ্যাথলেটদের শুধু অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে। ন্যূনতম একটি সোনার পদক জিতেছে এমন দেশের সংখ্যা ৬৫। নিচের সারির ৮টি দেশ শুধু একটি করে ব্রোঞ্জ জিতেছে।
সোনাসহ পদক জয়ে বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বরাজনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই দেশটি ৩৯টি সোনাসহ পদক জিতেছে ১১৩টি। ৩৮ সোনাসহ ৮৮টি পদক জিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন। তিন নম্বরে থাকা স্বাগতিক জাপান জিতেছে ২৭ সোনাসহ ৫৮টি পদক।
অলিম্পিকে নিয়মিত পরাশক্তিদের রাজত্বের পাশাপাশি ছিল ছোট দেশগুলোর চমকও। বাংলাদেশের মতো তুলনামূলক অধিক জনবহুল দেশগুলো পদক জিততে না পারলেও সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে পদক জিতেছে সান মারিনো। যে দেশের জনসংখ্যা সাকল্য ৩০ হাজার। পদক জিতেছে ৭০ হাজার জনসংখ্যার দেশ বারমুডাও। তবে এগুলো শুধুই ব্যতিক্রম।
প্রায় ১৮ কোটি জনগোষ্ঠীর বাংলাদেশ থেকে ছয়জন এবারের অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন। আবার ভারতের মতো ১৪০ কোটি মানুষের দেশে সব মিলিয়ে পদকই এসেছে ৭টি। বাংলাদেশের পদক জেতার স্বপ্ন নিয়ে যে আলোচনা-সমালোচনাটা হয়, সেটি নিয়ে ২০০০ সিডনি অলিম্পিকে অংশ নেওয়া শুটার সাবরিনা সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘আমরা বেশির ভাগ সময় ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে অলিম্পিকে যাই। এখানে পদক জেতা দূরে থাক, ফাইনালে আসাই কঠিন। এখনো আমরা এশিয়ান মানের খেলোয়াড়ও হতে পারিনি। আগে আমাদের এশিয়ান প্রতিযোগিতায় ভালো করে, তারপর অলিম্পিকের চিন্তা করতে হবে। দেশের জনসংখ্যা যতই হোক, এগুলো ধীরে ধীরে উন্নতি করার ব্যাপার। সাফে আগে আমাদের গোল্ড জিততে হবে।’
পদক জয়ই যে সব নয়, সে প্রমাণ দিয়েছেন দুই বন্ধু কাতারের ঈসা বারশিম ও ইতালির জানমার্কো তামবেরি। ভিন্ন দুই দেশের এই দুই অলিম্পিয়ান এবারের অলিম্পিকে নিজেদের সম্মতিতে সোনা ভাগাভাগি করেছেন। বৈচিত্র্যময় ও নান্দনিক এসব অভিজ্ঞতার কারণেই অলিম্পিক ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। যেখানে পদকের বাইরেও নানা বর্ণ ও সংস্কৃতির মানুষের কাছ থেকে নেওয়ার আছে বন্ধুত্ব, লড়াই ও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। এসবই বেশির ভাগ সময় জয়-পরাজয়ের হিসাবনিকাশকে ছাপিয়ে যায়।
এত কিছুর পরও মানুষ পদক জয়ের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু সেই পথ যে কত কঠিন, সেটিই বলছিলেন দেশসেরা তিরন্দাজ রোমান সানা, ‘একটা গাছ যে ফল দেয়, সেটার যদি পরিচর্যা না করি, তাকে যদি সার না দিই, তবে সেটি কীভাবে ফল দেবে? সেই পরিচর্যা না পেয়েও আমরা ফল দিয়ে যাচ্ছি। মাঝে মাঝে মনে হয় খেলাটা ছেড়ে দিই। কিন্তু খেলাটা তো রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে।’
বাংলাদেশ শুধু স্বপ্ন দেখতে পারে খেলোয়াড়দের প্যাশনের ওপর নির্ভর করে। তাতে যদি স্বপ্ন পূরণ না হয়, তাহলে তাঁদের কাঠগড়ায় তোলা কতটা যৌক্তিক?
ইংল্যান্ডের এখন ব্যস্ত সময় যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনে। চেস্টার লি স্ট্রিটে গত রাতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। আজও মাঠে নামছে ইংলিশরা। তবে এবার তারা খেলবে ফুটবলে। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইংল্যান্ড খেলবে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে।
১৮ মিনিট আগেতারকা ক্রিকেটারদের জ্বালা-যন্ত্রণার শেষ নেই। বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনা তো সহ্য করতেই হয়। এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে সেই দায়ভারও পড়ে তাঁর ওপর। বিরাট কোহলির এখন হচ্ছে এই অবস্থা। এক সমাজকর্মীর চোখে ‘ভিলেনে’ পরিণত হয়েছেন ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটার।
১ ঘণ্টা আগেদুই মাস পর আবারও সবাই একে অপরকে ঈদ মোবারক বলছেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এবার উদযাপন করছেন ঈদুল আজহা। এই ঈদ কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা পরিবার পরিজন-বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে উদযাপন করছেন ঈদুল আজহা।
২ ঘণ্টা আগেঈদের আমেজ শুরু হয়েছে কদিন আগে থেকেই। পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে অনেকেই চলে গেছেন ঢাকার বাইরে। অনেকে আবার রাজধানী শহরেই থেকেছেন। সামাজিক মাধ্যমে গতকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে, ‘ঈদ মোবারক।’
২ ঘণ্টা আগে