Ajker Patrika

প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের যত ভীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩: ২৩
প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের যত ভীতি

প্রতিপক্ষ ভুটানকে নিয়ে খুব একটা চিন্তার কথা না বাংলাদেশ দলের। কিন্তু ম্যাচটা যখন থিম্পুতে, ভয়টা মনে বাসা বাঁধে। ঠিক আট বছর আগে থিম্পুর চাংলিমিথান স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। এএফসি এশিয়ান কাপের সেই প্লে-অফ ম্যাচটিতে স্বাগতিকেরা জেতে ৩–১ গোলে। যেটা ছিল তাদের প্রথম জয়। তখনো প্রতিপক্ষ ভুটানের চেয়ে সেখানকার কন্ডিশন, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে থিম্পুর উচ্চতা বেশ ভুগিয়েছিল বাংলাদেশের ফুটবলারদের। আজ সেই মাঠে আরেকটি ম্যাচ।

হতে পারে প্রীতি ম্যাচ, তবে গুরুত্বটা যে কম নয়, সেটা দুই দলের খেলোয়াড়েরাই জানিয়েছেন। বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা আর দলনেতা জামাল ভূঁইয়াও ম্যাচটিকে কঠিন চোখে দেখছেন। যদিও তাঁরা এ-ও বলেছেন, কঠিনেরে জয় করাই বাংলাদেশের লক্ষ্য।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আসা কাবরেরার চোখেমুখে চাপের ছাপ স্পষ্ট। তাঁর কথায়ও সেটি পরিষ্কার, ‘আমরা চেষ্টা করছি কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে। তবে ম্যাচটা সহজ হবে না। আমাদের জন্য এটা চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে আমরা এখানে এসেছি জিততে। আর এই মনোভাব নিয়েই মাঠে নামবে ছেলেরা।’

এটা ঠিক, এই ম্যাচে বাংলাদেশ ফেভারিট। কিন্তু ঘুরেফিরে কন্ডিশন, টার্ফ আর গত তিন মাস খেলার বাইরে থাকাটাই বেশি দুশ্চিন্তায় ফেলছে জামালদের। কোচ কাবরেরা অবশ্য প্রীতি ম্যাচের মাঝেই নিজেদের বড় প্রস্তুতিটা সেরে নিতে চাইছেন। যুব সাফ থেকে জায়গা করে নেওয়া চারজনের—মিরাজুল, তপু, রাহুল আর চন্দনের দিকেও নজর রেখেছেন বাংলাদেশ দলের কোচ। হয়তো এই প্রীতি ম্যাচে তাঁদের দু-একজনকে সুযোগ দিয়ে বড় কোনো পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে চাইবেন। ভুটানে সাংবাদিকদের সামনে কাবরেরা বললেন, ‘কদিন আগে অনূর্ধ্ব-২০ দল সাফের শিরোপা জিতেছে। সে দলের চারজন আমাদের সঙ্গে আছে। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক হবে; কারণ, প্রীতি ম্যাচে আমরা তাদের পরখ করতে পারব। আর দুটি ম্যাচকেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। হোক প্রীতি ম্যাচ, কিন্তু আগামী বছর আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে এটা কাজে লাগবে।’

statisঅধিনায়ক জামালও ম্যাচটি কঠিন হিসেবে নিলেও দিন শেষে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে চাওয়ার কথা জানালেন, ‘মনে হয়, দুই ম্যাচই কঠিন হবে। কারণ, আমরা শেষ তিন মাস খেলার বাইরে ছিলাম। যদিও আমরা এখানে ক্যাম্প করার সুযোগ পেয়েছি। চেষ্টা করেছি সেই ঘাটতি কিছুটা কাটিয়ে নিতে। আশা করি দারুণ কিছু হবে।’

ধারেভারে বাংলাদেশের চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে ভুটান। দুই দলের ১৪ সাক্ষাতে ১১ বারই জিতেছে বাংলাদেশ। তাই তো ভুটানের কোচ আতসুশি নাকামুরাও পা মাটিতে রেখে ভাসাচ্ছেন আশার ভেলা, ‘ইদানীং তারা ভালো ফুটবল খেলছে। সাফে ভারত এরপর নেপালকে হারিয়েছে। তাদের দেশে রাজনৈতিক একটা বিপ্লব হলো। খেলোয়াড়েরা সেই বিপ্লব থেকে অনুপ্রাণিত। সব মিলিয়ে ম্যাচটা আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জিং। তবে নিজেদের কন্ডিশন, চেনা মাঠে আমরা চেষ্টা করব তাদের আটকে দিতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত