Ajker Patrika

হামজা-বরণে কতটা প্রস্তুত জাতীয় স্টেডিয়াম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৩: ৫৪
ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ চলছে চার বছর ধরে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ চলছে চার বছর ধরে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় স্টেডিয়ামে চলছে শেষ মুহূর্তের সংস্কারকাজ। তবে নজর সবার মাঠের দিকে। সব ঠিক থাকলে এখানে দেশের মাঠে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামবেন হামজা চৌধুরী।

কাল দুপুরে দেখা গেল মাঠের পরিচর্যায় ব্যস্ত মাঠকর্মীরা। চার বছর ধরে জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বর্তমানে ঘাসের বিষয়টি দেখভাল করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সূত্র জানিয়েছে, মাঠে গতকাল নতুন করে সার দিয়েছে তারা। ঘাস পুরোপুরি সতেজ হয়ে উঠতে দরকার পানি। দিনে দুবার ঘাসে পানি দেওয়ার কথা জানিয়েছে ক্রীড়া পরিষদ। বাফুফে অপেক্ষা করছে প্রবল বৃষ্টির। তাতে সার গলতে খুব একটা সময় লাগবে না। মাঠের যে জায়গায় ঘাস ছিল না, সেখানে নতুন করে ঘাস বসানো হয়েছে। ইতিমধ্যে একবার রোলার ব্যবহার করেছেন মাঠকর্মীরা। আরও দুবার ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে। কাজ শেষ হতে ১৫ দিনের মতো লেগে যাতে পারে।

মাঠের একপাশে যে সীমানা আছে, সেটির আঘাতে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার শঙ্কা থাকতে পারে। এ ব্যাপারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে কথা বলেছে বাফুফে। সীমানায় কৃত্রিম ঘাস ও রাবারজাতীয় কিছু দিয়ে ঢেকে দেবে ক্রীড়া পরিষদ। ঘাসের পাশাপাশি ফ্লাডলাইটের কাজও এখনো শেষ হয়নি। জাতীয় স্টেডিয়াম প্রকল্পের পরিচালক আজমুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফ্লাডলাইটের চারটি টাওয়ার আমরা কাল (আজ) পরীক্ষা করব। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলেছে, এখানে ১৬০০ বা ১৮০০ লাক্স আলো আছে। ক্যানোপি লাইটের কাজ ৫০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আমার মনে হয়, আগামী জুনে ম্যাচের আগে ক্যানোপির কাজ শেষ হবে।’

১০ জুন এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুর ম্যাচ সামনে রেখে ৩১ মে শুরু হবে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্প। ৫ জুন একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলার কথা রয়েছে। ২২ মের মধ্যে স্টেডিয়াম বুঝে পেতে ক্রীড়া পরিষদকে চিঠি দিয়েছে বাফুফে। আজমুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রজেক্টটা ৩০ জুন পর্যন্ত। আমরা ইনশা আল্লাহ ৩০ মের ভেতর এটা (স্টেডিয়াম) বুঝিয়ে দেব। ২২ মে পর্যন্ত সময় নিলেও রং করার কিছু কাজ বাকি থাকতে পারে। সেটা আমরা ৩০ মের মধ্যে শেষ করতে পারব। আমাদের কাজ শেষ পর্যায়ে। ঘাসের কাজটা বাফুফে নিজস্বভাবে করছে, যেহেতু তারা এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ।’

সাংবাদিকদের কাজ করার জায়গা প্রেসবক্সে যেভাবে চেয়ার বসানো, তা নিয়ে রয়েছে জটিলতা। আজমুল হক বলেন, ‘চেয়ারগুলো মুভেবল (নড়াচড়া করা) নয়। চেয়ার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে (চেয়ার) পাওয়া না পাওয়ার পাশাপাশি ফান্ডের বিষয় আছে। আমরা যদি প্রেসবক্সের মতো চেয়ার নাও দিতে পারি। আপাতত সিঙ্গেল চেয়ার দেব। এ নিয়ে ঠিকাদারদের আমরা চাপ দিচ্ছি।’

নতুন অবকাঠামোতে ২২ হাজার ৬৯০টি আসন রয়েছে গ্যালারিতে। সিঙ্গাপুর ম্যাচের জন্য ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট বিক্রি করবে বাফুফে। তবে হসপিটালিটি বক্সে চেয়ার বসানোর কাজ এখনো বাকি রয়েছে। এই প্রসঙ্গে ক্রীড়া পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী হেদায়েতুল হক মির্জা বলেন, ‘ম্যাচের আগে কাজ সম্পন্ন না হওয়ার কিছু দেখছি না। সব কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। তবে হসপিটালিটি বক্সে ৫৪০টি চেয়ার বসানো বাকি আছে। সেখানে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প আছে। তারা চলে গেলে এই কাজ শেষ করতে মোটামুটি দুই সপ্তাহ লাগবে।’

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার আশাবাদী, ঠিক সময়ে কাজ শেষ হবে, ‘কাজের যে গতি আশা করি, ঠিক সময়ে সব হয়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত