ক্যারিয়ারের উত্তুঙ্গ সময়ে মারিও বালোতেল্লিকে সমালোচনাও কম সহ্য করতে হয়নি। থাকতে না পেরে একসময় প্রতিবাদও করেছিলেন। তাঁর এমন এক প্রতিবাদ এখনো ‘আইকনিক’ দৃশ্য হয়ে আছে ফুটবল দুনিয়ায়। ২০১১-১২ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলার সময় গোলের পর জার্সি তুলে সমালোচকদের একটি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর জার্সির নিচে থাকা ‘আন্ডারশার্ট’ বা গেঞ্জিতে লেখা ছিল, ‘হোয়াই অলওয়েজ মি?’ যার বাঙলায়ন করলে দাঁড়ায়, ‘কেন সব সময় আমি?’
বালোতেল্লির মতো করে না হলেও এখন হোসে মরিনহোও তেমন করে জানতে চাইতে পারেন, ‘কেন শুধু আমার সঙ্গে এমনটা হয়?’ সদ্য রোমা থেকে বরখাস্ত হয়ে পর্তুগিজ কোচ অবশ্য তেমন কিছুই বলেননি প্রকাশ্যে। হয়তো নিভৃতে রাগ ঝেড়েছেন, অভিমানে কেঁদেছেন। কিন্তু পেশাদারি দুনিয়ার এসবের যে কোনো স্থান নেই, সেসব মরিনহোর ভালো করেই জানা। হৃদয় ভেঙেচুরে গেলেও হয়তো নিজেকে আবার গুছিয়ে নেবেন। কোনো এক সময় নতুন দায়িত্ব নিয়ে আবারও দাঁড়াবেন ডাগআউটে।
পেশাদারি ফুটবলে কোচদের বরখাস্ত হওয়া এ আর নতুন কী! মরিনহোও তো কম চাকরিচ্যুত হননি। পোর্তোর মতো দলকে নিয়ে উয়েফার দুটি শিরোপা জেতা কী সহজ কথা! স্বদেশি ক্লাবটিকে ২০০৩ সালে উয়েফা কাপ, বর্তমানে যা ইউরোপা লিগ এবং পরের বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছেন। সেটি যে মোটেও অনাকাঙ্ক্ষিত বা ‘ফ্লুক’ নয়, তিনি আবারও প্রমাণ করেছিলেন ইন্টার মিলানে এসে। নেরাজ্জুরিরা সবশেষ ইউরোপ ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে ২০১০ সালে, মরিনহোর অধীনে। তখন থেকেই তাঁর নামের সঙ্গে সেঁটে যায় ‘স্পেশাল ওয়ান’ কোচ। ব্রিটিশ মিডিয়া ৬০ বছর বয়সী কোচকে এই তকমাই দিয়েছিল। এই ডাকনামটি যে এমনি এমনি দেওয়া এমনটা নয়। ২০০৪-০৭ পর্যন্ত চেলসিতে কাটিয়ে তিনি এই নামের মাহাত্ম্য প্রমাণ করেছিলেন। ব্লুজদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে না পারলেও এনে দিয়েছিলেন দুটি প্রিমিয়ার লিগ।
প্রিমিয়ার লিগে তখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডাগআউটে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন, আর্সেনালে আছেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। তাঁদের সঙ্গে মরিনহোর ‘বাগ্যুদ্ধ’ যেন ইংলিশ ফুটবলকে দিয়েছিল অন্য মাত্রা। পোর্তো ছাড়ার পর চেলসি, ইন্টার, রিয়াল মাদ্রিদ ঘুরে আবারও চলে আসেন স্টামফোর্ড ব্রিজে। সেখান থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটে ও টটেনহামে কাটিয়ে যোগ দেন রোমায়। যেখানে গেছেন, জিতেছেন কিছু না কিছু। ইউনাইটেড তাদের সবশেষ শিরোপা ইউরোপা লিগ জেতে মরিনহোর অধীনে, ২০১৭ সালে।
কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তো মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখে আসছেন মরিনহো। একসময় তাঁরই বার্সেলোনা কোচ হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। আর যখন বিশ্বের সেরা কোচদের একজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিলেন, সে সময় চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই চাকরি ছাড়তে হয়েছে ইউনাইটেড, টটেনহাম ও রোমা থেকে। এ নিয়ে কোচিং ক্যারিয়ারে ৬ বার বরখাস্ত হয়েছেন তিনি। যে চেলসিকে দুই মেয়াদে সমান তিনটি প্রিমিয়ার লিগ ও লিগ, একটি করে এফএ কাপ ও সুপার কাপ জিতিয়েছিলেন, সেখান থেকে তাঁকে দুইবার (২০০৭ ও ২০১৫) চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। স্টামফোর্ড ব্রিজে থাকতেই মরিনহো ২০০৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতন বিশ্বের সেরা কোচ নির্বাচিত হয়েছিলেন। বলতে গেলে, রিয়ালের হয়ে তাঁর সাফল্যটাই তুলনামূলকভাবে কম। জিতেছিলেন মাত্র একটি লা লিগা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকেও চাকরি যায় তাঁর। এবার রোমাতে পেলেন আরেকটি বড় আঘাত।
ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো যখন মোটামুটি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তখন ২০২১ সালে মরিনহোকে কাছে টেনে নেয় রোমান গ্ল্যাডিয়েটরররা। ঘুচে লম্বা সময়ের বেকারত্ব। সেই আস্থার প্রতিদানও দিয়েছিলেন তিনি। ২০ বছর পর রোমা যে শিরোপা জিতল, সেটি তো মরিনহোর অধীনেই। ২০২২ সালে উয়েফা কনফারেন্স লিগের প্রথম সংস্করণেই ইতালিয়ান ক্লাবটিকে শিরোপা জেতানোর পর আবেগে কেঁদেছিলেন মরিনহো। ‘স্পেশাল ওয়ান’ যে ফুরিয়ে যাননি, সেটি আবারও প্রমাণ দিয়েছিলেন। পরের মৌসুমে তো রোমাকে ইউরোপা লিগের ফাইনালেও নিয়ে যান।
কিন্তু এ মৌসুমে রোমার পারফরম্যান্স পড়তির দিকে। সিরি আ টেবিলে ৯ নম্বরে তারা। সম্প্রতি এসি মিলানের বিপক্ষে হারের পর চাকরিটাও যায় মরিনহোর। তার আগে নগরের আরেক ক্লাব লাৎসিওর কাছে কোপা ইতালিয়ার কোয়ার্টার ফাইনালে হারে রোমা। অথচ রোমাকেই নিজের ঘরবাড়ি মনে করেছিলেন মরিনহো। এ সময়ে অনেক বড় প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর এখন কিনা আবারও ‘বেকার’ হয়ে পড়লেন!
ক্যারিয়ারের উত্তুঙ্গ সময়ে মারিও বালোতেল্লিকে সমালোচনাও কম সহ্য করতে হয়নি। থাকতে না পেরে একসময় প্রতিবাদও করেছিলেন। তাঁর এমন এক প্রতিবাদ এখনো ‘আইকনিক’ দৃশ্য হয়ে আছে ফুটবল দুনিয়ায়। ২০১১-১২ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলার সময় গোলের পর জার্সি তুলে সমালোচকদের একটি বার্তা দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর জার্সির নিচে থাকা ‘আন্ডারশার্ট’ বা গেঞ্জিতে লেখা ছিল, ‘হোয়াই অলওয়েজ মি?’ যার বাঙলায়ন করলে দাঁড়ায়, ‘কেন সব সময় আমি?’
বালোতেল্লির মতো করে না হলেও এখন হোসে মরিনহোও তেমন করে জানতে চাইতে পারেন, ‘কেন শুধু আমার সঙ্গে এমনটা হয়?’ সদ্য রোমা থেকে বরখাস্ত হয়ে পর্তুগিজ কোচ অবশ্য তেমন কিছুই বলেননি প্রকাশ্যে। হয়তো নিভৃতে রাগ ঝেড়েছেন, অভিমানে কেঁদেছেন। কিন্তু পেশাদারি দুনিয়ার এসবের যে কোনো স্থান নেই, সেসব মরিনহোর ভালো করেই জানা। হৃদয় ভেঙেচুরে গেলেও হয়তো নিজেকে আবার গুছিয়ে নেবেন। কোনো এক সময় নতুন দায়িত্ব নিয়ে আবারও দাঁড়াবেন ডাগআউটে।
পেশাদারি ফুটবলে কোচদের বরখাস্ত হওয়া এ আর নতুন কী! মরিনহোও তো কম চাকরিচ্যুত হননি। পোর্তোর মতো দলকে নিয়ে উয়েফার দুটি শিরোপা জেতা কী সহজ কথা! স্বদেশি ক্লাবটিকে ২০০৩ সালে উয়েফা কাপ, বর্তমানে যা ইউরোপা লিগ এবং পরের বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছেন। সেটি যে মোটেও অনাকাঙ্ক্ষিত বা ‘ফ্লুক’ নয়, তিনি আবারও প্রমাণ করেছিলেন ইন্টার মিলানে এসে। নেরাজ্জুরিরা সবশেষ ইউরোপ ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরে ২০১০ সালে, মরিনহোর অধীনে। তখন থেকেই তাঁর নামের সঙ্গে সেঁটে যায় ‘স্পেশাল ওয়ান’ কোচ। ব্রিটিশ মিডিয়া ৬০ বছর বয়সী কোচকে এই তকমাই দিয়েছিল। এই ডাকনামটি যে এমনি এমনি দেওয়া এমনটা নয়। ২০০৪-০৭ পর্যন্ত চেলসিতে কাটিয়ে তিনি এই নামের মাহাত্ম্য প্রমাণ করেছিলেন। ব্লুজদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে না পারলেও এনে দিয়েছিলেন দুটি প্রিমিয়ার লিগ।
প্রিমিয়ার লিগে তখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডাগআউটে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন, আর্সেনালে আছেন আর্সেন ওয়েঙ্গার। তাঁদের সঙ্গে মরিনহোর ‘বাগ্যুদ্ধ’ যেন ইংলিশ ফুটবলকে দিয়েছিল অন্য মাত্রা। পোর্তো ছাড়ার পর চেলসি, ইন্টার, রিয়াল মাদ্রিদ ঘুরে আবারও চলে আসেন স্টামফোর্ড ব্রিজে। সেখান থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটে ও টটেনহামে কাটিয়ে যোগ দেন রোমায়। যেখানে গেছেন, জিতেছেন কিছু না কিছু। ইউনাইটেড তাদের সবশেষ শিরোপা ইউরোপা লিগ জেতে মরিনহোর অধীনে, ২০১৭ সালে।
কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তো মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখে আসছেন মরিনহো। একসময় তাঁরই বার্সেলোনা কোচ হওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। আর যখন বিশ্বের সেরা কোচদের একজন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিলেন, সে সময় চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই চাকরি ছাড়তে হয়েছে ইউনাইটেড, টটেনহাম ও রোমা থেকে। এ নিয়ে কোচিং ক্যারিয়ারে ৬ বার বরখাস্ত হয়েছেন তিনি। যে চেলসিকে দুই মেয়াদে সমান তিনটি প্রিমিয়ার লিগ ও লিগ, একটি করে এফএ কাপ ও সুপার কাপ জিতিয়েছিলেন, সেখান থেকে তাঁকে দুইবার (২০০৭ ও ২০১৫) চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। স্টামফোর্ড ব্রিজে থাকতেই মরিনহো ২০০৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতন বিশ্বের সেরা কোচ নির্বাচিত হয়েছিলেন। বলতে গেলে, রিয়ালের হয়ে তাঁর সাফল্যটাই তুলনামূলকভাবে কম। জিতেছিলেন মাত্র একটি লা লিগা। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকেও চাকরি যায় তাঁর। এবার রোমাতে পেলেন আরেকটি বড় আঘাত।
ইউরোপের বড় ক্লাবগুলো যখন মোটামুটি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তখন ২০২১ সালে মরিনহোকে কাছে টেনে নেয় রোমান গ্ল্যাডিয়েটরররা। ঘুচে লম্বা সময়ের বেকারত্ব। সেই আস্থার প্রতিদানও দিয়েছিলেন তিনি। ২০ বছর পর রোমা যে শিরোপা জিতল, সেটি তো মরিনহোর অধীনেই। ২০২২ সালে উয়েফা কনফারেন্স লিগের প্রথম সংস্করণেই ইতালিয়ান ক্লাবটিকে শিরোপা জেতানোর পর আবেগে কেঁদেছিলেন মরিনহো। ‘স্পেশাল ওয়ান’ যে ফুরিয়ে যাননি, সেটি আবারও প্রমাণ দিয়েছিলেন। পরের মৌসুমে তো রোমাকে ইউরোপা লিগের ফাইনালেও নিয়ে যান।
কিন্তু এ মৌসুমে রোমার পারফরম্যান্স পড়তির দিকে। সিরি আ টেবিলে ৯ নম্বরে তারা। সম্প্রতি এসি মিলানের বিপক্ষে হারের পর চাকরিটাও যায় মরিনহোর। তার আগে নগরের আরেক ক্লাব লাৎসিওর কাছে কোপা ইতালিয়ার কোয়ার্টার ফাইনালে হারে রোমা। অথচ রোমাকেই নিজের ঘরবাড়ি মনে করেছিলেন মরিনহো। এ সময়ে অনেক বড় প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আর এখন কিনা আবারও ‘বেকার’ হয়ে পড়লেন!
এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে গত ৪ জুন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএলের শিরোপা উদ্যাপনের অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ১১ জন নিহত এবং ৫০ জনের বেশি আহত হন। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটিও গঠন করে কোর্ট। এবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বড় ইভেন্ট আয়োজনে ‘অসুরক্ষিত’ বলছে তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট।
১ ঘণ্টা আগেবৃহস্পতিবার এমএলএস অল স্টার গেমে মেক্সিকোর লিগা এমএক্সের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জেতে এমএলএস অল স্টার। কিন্তু ম্যাচের আগে সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন লিওনেল মেসি ও তাঁর ক্লাব সতীর্থ জর্দি আলবা। এ কারণে মেজর লিগ সকারে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেন দুই তারকা ফুটবলার।
২ ঘণ্টা আগেআন্দ্রে রাসেল একটা ব্যাট উপহার দিয়েছিলেন টিম ডেভিডকে। সেই ব্যাট দিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রীতিমতো খুন করলেন! গত বছর নভেম্বরের পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ব্যাট করতে নামলেন ডেভিড। পরের ঘটনা উঠে গেছে রেকর্ড বইয়ে। মাত্র ৩৭ বলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ১৬ বলে করেছেন ফিফটি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে...
৩ ঘণ্টা আগেওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে জো রুটের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের দিকে ইংল্যান্ড। তৃতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৫৪৪ রান তাদের। ১৮৬ রানের লিড নিয়ে আজ ৪র্থ দিন আবারও ব্যাটিংয়ে নামবে তারা। বিকেল ৪টায় শুরু হবে খেলা। সরাসরি সনি টেন ১ ও ৫ খেলা সম্প্রচার করবে।
৪ ঘণ্টা আগে