২০১৯ সালে সবশেষ কোপা আমেরিকা জিতেছিল ব্রাজিল। তারপর থেকে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের গল্পটা শুধুই হতাশার। ২০২১ সালে কাছাকাছি গিয়েও পারেনি শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে। সেলেসাওদের এবার বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। পেনাল্টি শুটআউটে আজ ৪-২ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে উরুগুয়ে নিশ্চিত করল সেমিফাইনাল।
৭৪ মিনিটে নাহিতান নান্দেজ লাল কার্ড দেখলে উরুগুয়ে ১০ জনের দলে পরিণত হয়। তবু তারা দমে যায়নি। টাইব্রেকারে গড়ালে প্রথম তিনটি শটেই গোল পেয়ে যায় উরুগুয়ে। ফেডেরিকো ভালভার্দের পর দারুণভাবে লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রিগো বেনটাঙ্কুর, জর্জিয়ান ডি আরাসকেইতা। তবে প্রথম তিন শটের মধ্যে ব্রাজিল করতে পারে মাত্র ১ গোল। এদের মিলিতাও ও ডগলাস লুইসের শট দুটি দারুণভাবে ফিরিয়েছেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক সার্জিও রোচেত। উরুগুয়ের চতুর্থ শট নিতে এসে হোসে মারিয়া হিমেনেজ ম্যাচ প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন। তবে বাজপাখির মতো উড়ে গোল ঠেকান ব্রাজিলের গোলরক্ষক আলিসন বেকার। এরপর গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি গোল করে ব্রাজিলকে ম্যাচে ফিরিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। কিন্তু সেটা ছিল সাময়িক সময়ের জন্যই। ম্যানুয়েল উগার্তে গোল করতেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে উরুগুয়ের ডাগআউট। বিপরীতে ব্রাজিল দলে দেখা যায় একরাশ হতাশা।
ভালো আক্রমণ রচনার চেয়ে ব্রাজিল-উরুগুয়ে যেন শরীরনির্ভর ফুটবলেই বেশি মনোযোগী ছিল। ৪১টি ফাউল তারই প্রমাণ। যার মধ্যে উরুগুয়ে করেছে ২৬টি ও ব্রাজিল করেছে ১৫টি। এক লাল কার্ডের পাশাপাশি রেফারিকে দেখাতে হয়েছে চারটি হলুদ কার্ড। ব্রাজিল, উরুগুয়ে দুই দলই দেখেছে দুটি করে হলুদ কার্ড। উরুগুয়ের লক্ষ্য বরাবর ব্রাজিল নিয়েছে ৩ শট। অন্যদিকে ব্রাজিলের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে উরুগুয়ে একটি শট। ব্রাজিল ও উরুগুয়ে বল দখলে রেখেছিল ৬০ ও ৪০ শতাংশ।
১৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়ে। দলটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল উগার্তে ডান পায়ে শট নিলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ১৯ মিনিটে ডারউইন নুনিয়েজের হেডে করা শট প্রতিহত হয় ব্রাজিলের রক্ষণ দেওয়ালে। এবার অ্যাসিস্ট করেন উগার্তে। এরপর নিকোলাস দে লা ক্রুজের কর্নার থেকে বল রিসিভ করেন ম্যাথিয়াস অলিভেরা। তবে অলিভেরার হেড গোলবারের অনেক ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৩৫ মিনিটে নুনিয়েজ হেড দিলেও আবার তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৮ মিনিটে উরুগুয়ের রক্ষণ দুর্গে হানা দিলেও সফল হতে পারেননি রদ্রিগো। ঠিক তার পরের মিনিটে ফাউলের কারণে হলুদ কার্ড দেখেন লুকাস পাকেতা।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে খেলা আরও জমে ওঠে। ৪৩ মিনিটে উগার্তের পাস রিসিভ করেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার দে লা ক্রুজ। প্রথমার্ধের খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ব্রাজিল। ৪৫ মিনিটের পর অতিরিক্ত দ্বিতীয় মিনিটে ব্রুনো গুইমারেসের পাস থেকে উরুগুয়ের লক্ষ্য বরাবর শট নেন রাফিনহা। তবে উরুগুয়ের গোলরক্ষক রোচেত সেই শট প্রতিহত করেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে।
প্রথমার্ধ শেষ হতে না হতেই আক্রমণ শুরু করে উরুগুয়ে। ৪৮ মিনিটে দলটির মিডফিল্ডার ফেডেরিকো ভালভার্দের শট প্রতিহত করেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক আলিসন বেকার। ৫১ মিনিটে উরুগুয়ের ম্যানুয়েল উগার্তে হলুদ কার্ড দেখেন হ্যান্ডবলের জন্য। এক মিনিটের মধ্যে আবারও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় উরুগুয়ে। ডিফেন্ডার সেবাস্তিয়ান ক্যাসেরেসের হেড প্রতিহত হয় ব্রাজিলের রক্ষণ দেওয়ালে। ক্যাসেরেসের কর্নার থেকে পরে এরপর উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড ম্যাক্সিমিলানো আরাউহো শট নিলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ৫৭ মিনিটে ম্যাক্সিমিলানো আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন। এবার তিনি শট মেরেছেন বক্সের ওপর দিয়ে। তিন মিনিট পর হলুদ কার্ড দেখেছেন উরুগুয়ের দে লা ক্রুজ। ক্রুজের অ্যাসিস্ট থেকে ৬৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পেলেও বক্সের অনেক ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন ভালভার্দে।
উরুগুয়ের একের পর এক সুযোগ হাতছাড়ার মহড়ায় হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলের হোয়াও গোমেজ। ৭৪ মিনিটে উরুগুয়ের নান্দেজ লাল কার্ড দেখার পর গোলের সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। ৮৪ মিনিটে দানিলোর হেড থেকে নেওয়া পাস রিসিভ করে শট নেন এনদ্রিক। তবে উরুগুয়ের গোলরক্ষক রোচেত সেই শট প্রতিহত করেছেন। ১০ জনের উরুগুয়ে মূল ম্যাচ ব্রাজিলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে। টাইব্রেকারে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শেষ হাসি হেসেছে উরুগুয়ে।
২০১৯ সালে সবশেষ কোপা আমেরিকা জিতেছিল ব্রাজিল। তারপর থেকে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের গল্পটা শুধুই হতাশার। ২০২১ সালে কাছাকাছি গিয়েও পারেনি শিরোপা ছুঁয়ে দেখতে। সেলেসাওদের এবার বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। পেনাল্টি শুটআউটে আজ ৪-২ গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে উরুগুয়ে নিশ্চিত করল সেমিফাইনাল।
৭৪ মিনিটে নাহিতান নান্দেজ লাল কার্ড দেখলে উরুগুয়ে ১০ জনের দলে পরিণত হয়। তবু তারা দমে যায়নি। টাইব্রেকারে গড়ালে প্রথম তিনটি শটেই গোল পেয়ে যায় উরুগুয়ে। ফেডেরিকো ভালভার্দের পর দারুণভাবে লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রিগো বেনটাঙ্কুর, জর্জিয়ান ডি আরাসকেইতা। তবে প্রথম তিন শটের মধ্যে ব্রাজিল করতে পারে মাত্র ১ গোল। এদের মিলিতাও ও ডগলাস লুইসের শট দুটি দারুণভাবে ফিরিয়েছেন উরুগুয়ের গোলরক্ষক সার্জিও রোচেত। উরুগুয়ের চতুর্থ শট নিতে এসে হোসে মারিয়া হিমেনেজ ম্যাচ প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন। তবে বাজপাখির মতো উড়ে গোল ঠেকান ব্রাজিলের গোলরক্ষক আলিসন বেকার। এরপর গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি গোল করে ব্রাজিলকে ম্যাচে ফিরিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। কিন্তু সেটা ছিল সাময়িক সময়ের জন্যই। ম্যানুয়েল উগার্তে গোল করতেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে উরুগুয়ের ডাগআউট। বিপরীতে ব্রাজিল দলে দেখা যায় একরাশ হতাশা।
ভালো আক্রমণ রচনার চেয়ে ব্রাজিল-উরুগুয়ে যেন শরীরনির্ভর ফুটবলেই বেশি মনোযোগী ছিল। ৪১টি ফাউল তারই প্রমাণ। যার মধ্যে উরুগুয়ে করেছে ২৬টি ও ব্রাজিল করেছে ১৫টি। এক লাল কার্ডের পাশাপাশি রেফারিকে দেখাতে হয়েছে চারটি হলুদ কার্ড। ব্রাজিল, উরুগুয়ে দুই দলই দেখেছে দুটি করে হলুদ কার্ড। উরুগুয়ের লক্ষ্য বরাবর ব্রাজিল নিয়েছে ৩ শট। অন্যদিকে ব্রাজিলের গোলপোস্ট লক্ষ্য করে উরুগুয়ে একটি শট। ব্রাজিল ও উরুগুয়ে বল দখলে রেখেছিল ৬০ ও ৪০ শতাংশ।
১৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়ে। দলটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল উগার্তে ডান পায়ে শট নিলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ১৯ মিনিটে ডারউইন নুনিয়েজের হেডে করা শট প্রতিহত হয় ব্রাজিলের রক্ষণ দেওয়ালে। এবার অ্যাসিস্ট করেন উগার্তে। এরপর নিকোলাস দে লা ক্রুজের কর্নার থেকে বল রিসিভ করেন ম্যাথিয়াস অলিভেরা। তবে অলিভেরার হেড গোলবারের অনেক ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৩৫ মিনিটে নুনিয়েজ হেড দিলেও আবার তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৩৮ মিনিটে উরুগুয়ের রক্ষণ দুর্গে হানা দিলেও সফল হতে পারেননি রদ্রিগো। ঠিক তার পরের মিনিটে ফাউলের কারণে হলুদ কার্ড দেখেন লুকাস পাকেতা।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে খেলা আরও জমে ওঠে। ৪৩ মিনিটে উগার্তের পাস রিসিভ করেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার দে লা ক্রুজ। প্রথমার্ধের খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে ব্রাজিল। ৪৫ মিনিটের পর অতিরিক্ত দ্বিতীয় মিনিটে ব্রুনো গুইমারেসের পাস থেকে উরুগুয়ের লক্ষ্য বরাবর শট নেন রাফিনহা। তবে উরুগুয়ের গোলরক্ষক রোচেত সেই শট প্রতিহত করেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য ড্রয়ে।
প্রথমার্ধ শেষ হতে না হতেই আক্রমণ শুরু করে উরুগুয়ে। ৪৮ মিনিটে দলটির মিডফিল্ডার ফেডেরিকো ভালভার্দের শট প্রতিহত করেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক আলিসন বেকার। ৫১ মিনিটে উরুগুয়ের ম্যানুয়েল উগার্তে হলুদ কার্ড দেখেন হ্যান্ডবলের জন্য। এক মিনিটের মধ্যে আবারও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় উরুগুয়ে। ডিফেন্ডার সেবাস্তিয়ান ক্যাসেরেসের হেড প্রতিহত হয় ব্রাজিলের রক্ষণ দেওয়ালে। ক্যাসেরেসের কর্নার থেকে পরে এরপর উরুগুয়ের ফরোয়ার্ড ম্যাক্সিমিলানো আরাউহো শট নিলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ৫৭ মিনিটে ম্যাক্সিমিলানো আরও একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন। এবার তিনি শট মেরেছেন বক্সের ওপর দিয়ে। তিন মিনিট পর হলুদ কার্ড দেখেছেন উরুগুয়ের দে লা ক্রুজ। ক্রুজের অ্যাসিস্ট থেকে ৬৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পেলেও বক্সের অনেক ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন ভালভার্দে।
উরুগুয়ের একের পর এক সুযোগ হাতছাড়ার মহড়ায় হলুদ কার্ড দেখেছেন ব্রাজিলের হোয়াও গোমেজ। ৭৪ মিনিটে উরুগুয়ের নান্দেজ লাল কার্ড দেখার পর গোলের সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। ৮৪ মিনিটে দানিলোর হেড থেকে নেওয়া পাস রিসিভ করে শট নেন এনদ্রিক। তবে উরুগুয়ের গোলরক্ষক রোচেত সেই শট প্রতিহত করেছেন। ১০ জনের উরুগুয়ে মূল ম্যাচ ব্রাজিলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে। টাইব্রেকারে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শেষ হাসি হেসেছে উরুগুয়ে।
বাংলাদেশের গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সবচেয়ে সফল ব্যাটার ছিলেন জাকের আলী অনিক। সে সফরে দুই টেস্টের সিরিজে করেছিলেন ১৭৬ রান। তিনটি টি-টোয়েন্টিতে ৬০ গড়ে ১২০ রান। দুই সংস্করণেই তিনি ছিলেন সফরকারী দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সে সফরে ওয়ানডে সিরিজেও রান পেয়েছিলেন জাকের; তিন ওয়ানডেতে ৫৬.৫০ গড়ে করেছিলেন ১১৩।
৩ ঘণ্টা আগেমিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। কুড়ি ওভারের একাধিক ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয়। টেস্ট খেলুড়ে হিসেবে নবমতম দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়। শোকের দিনে এল বাংলাদেশ দলের সিরিজ জয়ের সাফল্য। অধিনায়ক লিটন দাস এই জয় উৎসর্গ করলেন
৬ ঘণ্টা আগেসহজে জয়ের ইঙ্গিত দিয়েও ফাহিম আশরাফের তাণ্ডবে কঠিন হয়ে ওঠে ম্যাচ। তবে ১৯তম ওভারের শেষ বলে ফাহিমকে বোল্ড করে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন রিশাদ হোসেন। শেষ ওভারে জিততে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩, বাংলাদেশের ১ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম বলেই মিড অফ দিয়ে দারুণ এক চারে ম্যাচ আরও জমিয়ে তোলেন
৬ ঘণ্টা আগেবাড়িতে টিভি ছিল না। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা খেলোয়াড় হওয়ায় মোসাম্মৎ সাগরিকার ঘরে পৌঁছে যায় দুটি টিভি। তবু গ্যালারিতে বসে মেয়ের খেলা দেখার আনন্দই অন্য রকম। সাগরিকার বাবা লিটন আলীও চেয়েছিলেন তা। কিন্তু জটিলতার কারণে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় আসতে পারেননি তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে