Ajker Patrika

জাতীয় স্টেডিয়াম বুঝে পেতে অপেক্ষা বাড়ছে বাফুফের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ মে ২০২৫, ১২: ৩৮
ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় স্টেডিয়ামে সংস্কারকাজের অগ্রগতি কতটুকু, তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। এখানেই যে প্রথমবার ঘরের মাঠে খেলতে নামবেন হামজা চৌধুরী ও সমিত সোম। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। এর আগে ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।

দুটি ম্যাচই হবে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। প্রায় ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে চার বছর ধরে চলছে স্টেডিয়ামটির সংস্কারকাজ। সর্বশেষ এখানে ফুটবল মাঠে গড়িয়েছে ২০২০ সালের নভেম্বরে। ভুটানের ম্যাচ দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে ৫৫ মাসের বিরতি। তবে এখন পর্যন্ত কতটুকু প্রস্তুত জাতীয় স্টেডিয়াম?

আগামীকালের মধ্যে স্টেডিয়াম বুঝে পেতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে চিঠি দিয়েছিল বাফুফে। কিন্তু কাজ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। গ্যালারির হসপিটালিটি বক্সে ক্যাম্প রয়েছে সেনাবাহিনীর। সেখানে এখনো চেয়ার বসানো বাকি আছে। এটা শেষ করতে ক্রীড়া পরিষদের সময় লাগবে প্রায় দুই সপ্তাহ। ক্রীড়া পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী হেদায়েতুল হক মির্জা বলেন, ‘মাঠ বুঝিয়ে দিতে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। আমাদের সব কাজই প্রায় শেষ। সেনাবাহিনী সরে গেলে সেখানে চেয়ার বসাতে আমাদের বড়জোর দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।’

সূত্র জানায়, বাফুফের স্টেডিয়াম বুঝে পেতে আরও তিন দিন লেগে যেতে পার। সেনাবাহিনীর ক্যাম্প সরানোর বিষয়ে গতকাল হয়েছে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে সরে গিয়ে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ক্যাম্প করবে সেনাবাহিনী। অবকাঠামোগত কিছু কাজ বাকি থাকলেও এএফসির কাছে বাফুফেকে আগামী দুই দিনের মধ্যে স্টেডিয়াম সংস্কারকাজের রিপোর্ট পাঠাতে হবে। আগামীকাল স্টেডিয়াম পরিদর্শন করার কথা রয়েছে এএফসির কর্মকর্তাদের।

স্টেডিয়াম পুরোপুরি বুঝে পাওয়ার আগেই মাঠের কাজ নিজেদের পর্যবেক্ষণে করছে বাফুফে। ঘাসের যে কাজ বাকি ছিল, তা শেষ হয়েছে গতকালই। এখন ১০ জুনের আগে কিছু রুটিন ওয়ার্ক বাকি। নতুন অবকাঠামোতে ২২ হাজার ৬৯০টি আসন রয়েছে গ্যালারিতে। সিঙ্গাপুর ম্যাচে অনলাইনে ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট বিক্রি করবে বাফুফে। টিকিট কবে ছাড়বে, সেটি এখনো আনুষ্ঠানিক জানায়নি বাফুফে। কিছু চেয়ার হাঁটাচলার স্থানে বসানো হয়েছে, সেগুলো অন্য স্থানে বসানোর কথা রয়েছে। গ্যালারিতে দর্শকদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে শৌচাগার। কিন্তু ওয়াশরুম যে কাচ দিয়ে ঘেরা, তাতে বাইরে থেকে ভেতরের দৃশ্য দেখা যায়, বিশেষ করে মেয়েদের শৌচাগারে। হেদায়েতুল হক মির্জা বলেন, ‘মেয়েদের ওয়াশরুমে ফ্রস্টেড পেপার (ঝাপসা কাগজ) বসানো হবে কালই (আজ)।’

দুটি ম্যাচই শুরু হবে সন্ধ্যার দিকে। ফ্লাডলাইটের ওপরই নির্ভর করছে সবকিছু। ১৬০০ থেকে ১৮০০ লাক্স আলো দিতে পারে ফ্লাডলাইট। সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে বিস্তর আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বাফুফে। ম্যাচের এক ঘণ্টা আগে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের একটি কনসার্টের পরিকল্পনা আছে তাদের। লেজার শোসহ আরও কিছু জমকালো আয়োজনের পরিকল্পনা করছে বাফুফে, যেটি সমর্থকদের জন্য বাড়তি চমক হিসেবে থাকছে। এএফসির অনুমতি পেলে ম্যাচের বিরতিতেও আয়োজন রাখতে চায় বাফুফে। তবে সেটি ৫ মিনিটের বেশি নয়।

৩১ মে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে জাতীয় দলের ক্যাম্প। এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার আগে নিজেদের মাঠে ৫ জুন প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে সিঙ্গাপুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত