হাসনাত শোয়েব, ঢাকা
ফুটবল মাঠে পারিবারিক দাপটের গল্প নতুন নয়। তবে তিন প্রজন্ম ধরে সেই দাপট ধরে রাখাও সহজ নয়। কঠিন কাজটিই করে দেখিয়েছেন কেউ কেউ। তেমনই কদিন আগে আলোচনায় এসেছে মালদিনি পরিবার। ইতালিয়ান কিংবদন্তি সিজার মালদিনির নাতি ও পাওলো মালদিনির ছেলে দানিয়েল মালদিনি এসি মিলানের হয়ে গোল করে মনে করিয়ে দিয়েছেন পূর্বসূরিদের। তবে শুধু মালদিনিরা নন, এমনও আরও অনেকে আছেন। যাঁরা হয়তো মালদিনিদের মতো বিখ্যাত হননি। তবে খেলার মাঠের পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে পেরেছেন। তেমন কয়েকটি ফুটবল পরিবার নিয়ে এই আয়োজন।
ক্লুইভার্ট পরিবার
ফুটবলে ক্লুইভার্ট রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কেনেথ ক্লুইবার। সুরিনামে জন্ম নেওয়া কেনেথ খেলেছেন দেশটির জাতীয় দলের হয়েও। সুরিনাম অবশ্য তখন ডাচ্ উপনিবেশ ছিল। খেলোয়াড় হিসেবে কেনেথ বড় কিছু করতে না পারলেও তাঁর ছেলে প্যাট্রিক একনামেই ফুটবল দুনিয়ায় পরিচিত। তবে তিনি খেলেছেন নেদারল্যান্ডসের হয়ে। ১৯৯৫ সালের আয়াক্সের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে ফাইনালে স্মরণীয় এক গোলও করেন প্যাট্রিক। পরে বার্সেলোনার হয়েও দারুণ সময় পার করেছেন এই কিংবদন্তি। প্যাট্রিক পরিবারের তৃতীয়জন হলেন জাস্টিন। কৈশোরেই আয়াক্সের হয়ে আলো ছড়িয়ে আলোচনায় আসেন জাস্টিন। তবে ফুটবলের বড় মঞ্চে জায়গা করে নিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে জাস্টিনকে। বর্তমানে ফরাসি ক্লাব নিসে ধারে খেলছেন তিনি।
কোমান পরিবার
বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কোমানকে নতুন করে চেনানোর কিছু নেই! বার্সার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে চাপে থাকা রোনাল্ডই তাঁর পরিবারের সবচেয়ে বিখ্যাত জন। সাবেক এই তারকা ফুটবলার দুইবার ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছেন। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ১৯৮৮ সালের ইউরোও জিতেছেন তিনি। তাঁর মতো বিখ্যাত না হলেও পরিবারের অন্যদের মধ্যে বাবা, ভাই ও ছেলেও ফুটবল মাঠে পারিবারিক ঐতিহ্যের পতাকা উড়িয়েছেন। কোমানের বাবা মার্টিন কোমান ছিলেন ডিফেন্ডার। ক্লাব ফুটবলে নিয়মিত খেলার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের হয়েও খেলেছেন তিনি। রোনাল্ডের ভাই এরউইন কোমানও জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। জাতীয় দলে খেলা না হলেও ক্লাব পর্যায়ে খেলছেন রোনাল্ডের ছেলে রোনাল্ড জুনিয়র।
ফোরলান পরিবার
উরুগুয়ের কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ফোরলান ফুটবল বিশ্বের বিখ্যাত মুখ। ২০১০ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতেছিলেন ফোরলান। তবে ফোরলান ছিলেন ফুটবল দুনিয়ায় তাঁর পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের প্রতিনিধি। দিয়েগোর বাবা ও নানা দুজনই ছিলেন ফুটবলার। দিয়েগোর বাবা পাবলো ফোরলানও ছিলেন ফুটবলার। উরুগুয়ে জাতীয় দলের হয়ে তিনি ১৯৬৬ ও ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপেও অংশ নিয়েছিলেন। ফোরলানের নানা জুয়ান কার্লোস কোরাজ্জোও ১৯৩০ এর দশকে মাঠ মাতিয়েছেন।
আলোনসো পরিবার
চেলসির উইং-ব্যাক মার্কোস আলোনসো স্পেনের বিখ্যাত ফুটবল পরিবার থেকে এসেছেন। তাঁর প্রয়াত দাদা ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার মার্কুইটোস। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে ১৯৫৬-১৯৬০ সালের মধ্যে যিনি টানা পাঁচবার ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছেন। মার্কুইটোসের ছেলে মার্কোসও বিখ্যাত স্প্যানিশ ফুটবলার। ১৯৮০ দশকে উইঙ্গার হিসেবে খেলে বেশ নাম কুড়িয়েছেন তিনি। আর এই মার্কোসের ছেলেই হচ্ছেন বর্তমান মার্কোস আলোনসো, যিনি চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন।
ফুটবল মাঠে পারিবারিক দাপটের গল্প নতুন নয়। তবে তিন প্রজন্ম ধরে সেই দাপট ধরে রাখাও সহজ নয়। কঠিন কাজটিই করে দেখিয়েছেন কেউ কেউ। তেমনই কদিন আগে আলোচনায় এসেছে মালদিনি পরিবার। ইতালিয়ান কিংবদন্তি সিজার মালদিনির নাতি ও পাওলো মালদিনির ছেলে দানিয়েল মালদিনি এসি মিলানের হয়ে গোল করে মনে করিয়ে দিয়েছেন পূর্বসূরিদের। তবে শুধু মালদিনিরা নন, এমনও আরও অনেকে আছেন। যাঁরা হয়তো মালদিনিদের মতো বিখ্যাত হননি। তবে খেলার মাঠের পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে পেরেছেন। তেমন কয়েকটি ফুটবল পরিবার নিয়ে এই আয়োজন।
ক্লুইভার্ট পরিবার
ফুটবলে ক্লুইভার্ট রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা কেনেথ ক্লুইবার। সুরিনামে জন্ম নেওয়া কেনেথ খেলেছেন দেশটির জাতীয় দলের হয়েও। সুরিনাম অবশ্য তখন ডাচ্ উপনিবেশ ছিল। খেলোয়াড় হিসেবে কেনেথ বড় কিছু করতে না পারলেও তাঁর ছেলে প্যাট্রিক একনামেই ফুটবল দুনিয়ায় পরিচিত। তবে তিনি খেলেছেন নেদারল্যান্ডসের হয়ে। ১৯৯৫ সালের আয়াক্সের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে ফাইনালে স্মরণীয় এক গোলও করেন প্যাট্রিক। পরে বার্সেলোনার হয়েও দারুণ সময় পার করেছেন এই কিংবদন্তি। প্যাট্রিক পরিবারের তৃতীয়জন হলেন জাস্টিন। কৈশোরেই আয়াক্সের হয়ে আলো ছড়িয়ে আলোচনায় আসেন জাস্টিন। তবে ফুটবলের বড় মঞ্চে জায়গা করে নিতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে জাস্টিনকে। বর্তমানে ফরাসি ক্লাব নিসে ধারে খেলছেন তিনি।
কোমান পরিবার
বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কোমানকে নতুন করে চেনানোর কিছু নেই! বার্সার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে চাপে থাকা রোনাল্ডই তাঁর পরিবারের সবচেয়ে বিখ্যাত জন। সাবেক এই তারকা ফুটবলার দুইবার ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছেন। নেদারল্যান্ডসের হয়ে ১৯৮৮ সালের ইউরোও জিতেছেন তিনি। তাঁর মতো বিখ্যাত না হলেও পরিবারের অন্যদের মধ্যে বাবা, ভাই ও ছেলেও ফুটবল মাঠে পারিবারিক ঐতিহ্যের পতাকা উড়িয়েছেন। কোমানের বাবা মার্টিন কোমান ছিলেন ডিফেন্ডার। ক্লাব ফুটবলে নিয়মিত খেলার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের হয়েও খেলেছেন তিনি। রোনাল্ডের ভাই এরউইন কোমানও জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। জাতীয় দলে খেলা না হলেও ক্লাব পর্যায়ে খেলছেন রোনাল্ডের ছেলে রোনাল্ড জুনিয়র।
ফোরলান পরিবার
উরুগুয়ের কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ফোরলান ফুটবল বিশ্বের বিখ্যাত মুখ। ২০১০ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতেছিলেন ফোরলান। তবে ফোরলান ছিলেন ফুটবল দুনিয়ায় তাঁর পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের প্রতিনিধি। দিয়েগোর বাবা ও নানা দুজনই ছিলেন ফুটবলার। দিয়েগোর বাবা পাবলো ফোরলানও ছিলেন ফুটবলার। উরুগুয়ে জাতীয় দলের হয়ে তিনি ১৯৬৬ ও ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপেও অংশ নিয়েছিলেন। ফোরলানের নানা জুয়ান কার্লোস কোরাজ্জোও ১৯৩০ এর দশকে মাঠ মাতিয়েছেন।
আলোনসো পরিবার
চেলসির উইং-ব্যাক মার্কোস আলোনসো স্পেনের বিখ্যাত ফুটবল পরিবার থেকে এসেছেন। তাঁর প্রয়াত দাদা ছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার মার্কুইটোস। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে ১৯৫৬-১৯৬০ সালের মধ্যে যিনি টানা পাঁচবার ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছেন। মার্কুইটোসের ছেলে মার্কোসও বিখ্যাত স্প্যানিশ ফুটবলার। ১৯৮০ দশকে উইঙ্গার হিসেবে খেলে বেশ নাম কুড়িয়েছেন তিনি। আর এই মার্কোসের ছেলেই হচ্ছেন বর্তমান মার্কোস আলোনসো, যিনি চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন।
বছরখানেকও হয়নি। এর মধ্যেই অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ গোলদাতা সুনীল ছেত্রী। এমনটাই জানিয়েছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। আগামী ২৫ মার্চ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে ভারত। শিলংয়ে অনুষ্ঠিতব্য সেই ম্যাচেই ভারতের জার্সিতে দেখা যেতে পারে...
৩ ঘণ্টা আগেভারত নাকি নিউজিল্যান্ড—চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শিরোপা উঠবে কার হাতে? সেই উত্তর মিলবে আগামী ৯ মার্চ। এর আগে ফাইনালের ম্যাচ অফিসিয়ালদের তালিকা দিয়েছে আইসিসি।
৪ ঘণ্টা আগেবিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র। প্রায় দেড় বছর পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছেন ৩৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
৪ ঘণ্টা আগেএশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপে অম্ল-মধুর এক দিন পার করল বাংলদেশ নারী দল। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে উড়িয়ে দিয়েছে মালয়েশিয়াকে। সেমিফাইনালের আশা টিকিয়ে রেখে ম্যাট ছাড়ে ৫২-১২ পয়েন্ট ব্যবধানের জয় নিয়ে।
৪ ঘণ্টা আগে