Ajker Patrika

জাতীয় দলে নিজের কোচ নিজেকেই হতে হয়, টেইটকে পেয়ে তাসকিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তাসকিন আহমেদ
তাসকিন আহমেদ

জাতীয় দলের নতুন পেস বোলিং কোচ শন টেইটকে ঘিরে আশাবাদী তাসকিন আহমেদ। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই পেসারকে পেস বোলিং কোচ হিসেবে পাওয়াটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন তিনি।

মিরপুরে আজ নিজের পুনর্বাসন সেশন শেষে সংবাদমাধ্যমকে তাসকিন বলেন, ‘আশা করছি টেইট আসায় ভালো কিছু হবে। তিনি নিজেও ফাস্ট বোলার ছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলে অনেক দিন খেলেছেন। সামনে যেহেতু অনেক টি–টোয়েন্টি আছে। আর বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ওর কাজ করার অভিজ্ঞতাও আছে, তাই ওঁর ধারণা অনেক সমৃদ্ধ। জাতীয় দলে এসে একজন বোলারকে খুব বেশি শেখানো যায় না। ছোট ছোট টেকনিক্যাল পরামর্শ আর ম্যাচ পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়াই মূলত কাজ। এখানে এসে নিজের কোচিং নিজেকেই করতে হয়। তবে অভিজ্ঞ কোচ থাকলে কাজটা সহজ হয়ে যায়। তাঁর সঙ্গে কাজ করে ভালো কিছু হবে বলেই আশা করছি।’

টেইট প্রসঙ্গের পর তাসকিন নিজের ইনজুরি ও পুনর্বাসনের বিষয়েও বিস্তারিত জানান। লন্ডন থেকে ফিরে গত ৫ মে থেকেই তিনি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় আছেন। বিসিবির পক্ষ থেকে একজন ফিজিও ও ট্রেইনার নিয়মিত তাকে সহায়তা করছেন। সেই সঙ্গে লন্ডনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শও অনুসরণ করছেন তিনি।

আজকের সেশন শেষে তাসকিন সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘পেসারদের পুরো শরীর স্ক্যান করলে কিছু না কিছু থাকেই। আসলে এমনিতেই স্ক্যান করলে কোথাও না কোথাও খুঁত দেখা যাবে। তবে আমি এখন যে পুনর্বাসন প্রোগ্রাম করছি, সেটা ঠিকঠাকভাবেই চলছে। এখন পর্যন্ত পাঁচটা সেশন হয়েছে। অল্প রানআপে হালকা বোলিং শুরু করেছি।’

সবকিছু ঠিকঠাক চললে জুনের শুরুতেই মাঠে ফেরার আশা তাসকিনের, ‘আশা করছি জুনের প্রথম সপ্তাহেই ফিট হয়ে যাব। শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়েই মাঠে ফেরার লক্ষ্য আছে। এখন পর্যন্ত কোনো অস্বস্তি নেই। যদি সমস্যা না হয়, তাহলে ফেরা সম্ভব। তবে যদি নতুন কিছু হয়, তখন বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে কী করা যায়। এখন পর্যন্ত যা অবস্থা, তাতে আমি আশাবাদী। যেহেতু লন্ডনের ডাক্তাররাও বলেছেন সার্জারি লাগবে না, শুধু পুনর্বাসনে সেরে ওঠা সম্ভব সেই আশা নিয়েই এগোচ্ছি।’

তবে তাসকিন জানান এখনো একই ধরনের সমস্যা রয়েছে দুই পায়ে, তবে বাম পায়ের পাতা এখনো কিছুটা ফোলা। তাসকিন যোগ করেন, ‘পুনর্বাসনের সময়সীমা বলা হয়েছিল ছয় সপ্তাহ। আড়াই সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। সামনে আরও কাজ করতে পারলে বুঝতে পারব উন্নতি কতটা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সবকিছু ইতিবাচকই মনে হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত