Ajker Patrika

রিয়ালকে বিধ্বস্ত করার পারফরম্যান্সকে ক্যারিয়ারের সেরা বলছেন গার্দিওলা

আপডেট : ১৮ মে ২০২৩, ১০: ১৯
রিয়ালকে বিধ্বস্ত করার পারফরম্যান্সকে ক্যারিয়ারের সেরা বলছেন গার্দিওলা

শুরু থেকেই যেভাবে সমর্থকদের উজ্জীবিত করছিলেন পেপ গার্দিওলা, তা সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর মধ্যে দেখা যায়নি। দলের দ্বিতীয় গোলের পর তো উদ্‌যাপনটা ছিল বাঁধনহারা। দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বাতাসে ছুড়ছিলেন তিনি। অন্যদিকে তৃতীয় গোলের পর নাচের ঢেউ তুলেছিলেন ভক্তরা গ্যালারিতে।

ইতিহাদে গতকাল শুরু থেকেই ম্যানচেস্টার সিটি যে আধিপত্য দেখিয়েছে, এমন উদ্‌যাপন করা অবশ্য স্বাভাবিকই ছিল। উন্মাদের মতো নৃত্য বা উদ্‌যাপন করলেও হয়তো ভুল হতো না সিটিজেনদের। বারবার চ্যাম্পিয়নস লিগে ব্যর্থতার গল্প লিখতে লিখতে এমন আনন্দ-উল্লাস করা তারা যে ভুলেই গিয়েছিল। 

এবার যখন সেই সুযোগ এল, তখন আর সিটিজেনদের উদ্‌যাপন আটকানো গেল না। শুরু থেকে শুধু উদ্‌যাপনই করেননি, সমুদ্রের গর্জনের মতো চিৎকার করে নিজেদের খেলোয়াড়দের সমর্থনও করেছেন সমর্থকেরা। হোম ভেন্যুর এই সুবিধা নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদকে প্রথম মিনিট থেকেই কোণঠাসা করে ম্যানচেস্টার সিটি, যার ফলে প্রতিপক্ষকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে তারা। 

এমন জয়কে তাই নিজের ক্যারিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স বলে জানিয়েছেন গার্দিওলা। ম্যাচ শেষ ম্যানসিটি বস বলেছেন, ‘প্রতিপক্ষের বিচারে আমার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স। জয়ের মানটা সত্যি অনেক উচ্চমার্গের ছিল।’

গতকাল নিজেদের মাঠে রিয়ালকে দাঁড়াতেই দেয়নি ম্যানচেস্টার সিটি। শুরুটা করেছিলেন আর্লিং হালান্ড। কিন্তু দুবার হেডে গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তাঁকে হতাশ হতে হয়েছে ‘বাজপাখি’ খ্যাত রিয়ালের গোলরক্ষক থিবো কোর্তায়ার কাছে। হালান্ডকে হতাশ করলেও ২৩ ও ৩৭ মিনিটে বার্নাদো সিলভাকে আটকাতে পারেননি তিনি। পর্তুগিজ মিডফিল্ডারের প্রথমার্ধের জোড়া গোলেই একপ্রকার জয় নিশ্চিত করেছিল সিটি। তাদের খেলার পারফরম্যান্স গতকাল তেমনটিই জানান দিয়েছিল।

ওই দুই গোলেই সন্তুষ্ট থাকেনি সিটি। দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল দিয়ে প্রতিপক্ষকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকেরা। কেভিন ডি ব্রুইনার ফ্রিকিকে ৭৬ মিনিটে তৃতীয় গোল করেন ম্যানুয়েল অ্যাকেঞ্জি। আর বদলি নেমে ম্যাচের যোগ করা সময়ে শেষ পেরেকটি দেন জুলিয়ান আলভারেজ।

আগামী ১০ জুন ইস্তাম্বুলের ফাইনালে নিজেদের শিরোপাখরা ঘোচানোর সুযোগ পাবে সিটিজেনরা। প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান। ফাইনালে ইতালিয়ান ক্লাবকে হারাতে পারলে স্বপ্ন পূরণ হবে গার্দিওলার। সঙ্গে বার্সেলোনার পর আর কেন চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে পারছেন না এমন প্রশ্ন করাও বন্ধ হয়ে যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত