ঢাকা: ভাগ্যিস, সার্জিও আগুয়েরোর পেনাল্টি মিসের ঘটনা ‘পানেনকা’র স্রষ্টা আন্তোনিন পানেনকার সঙ্গে ঘটেনি! হলে কী ঘটত? উত্তরটা তাঁর মুখেই শুনুন, ‘খনিতে ৩০ বছর কাজ করার শাস্তি হতে পারত!’
কেন? কারণ, পশ্চিম জার্মানির সঙ্গে সেদিনের সেই পেনাল্টি মিস করাটা হয়তো বিবেচনা করা হতো চেকোস্লোভাকিয়ার কমিউনিস্ট–ব্যবস্থাকে অসম্মান করার সঙ্গে। কিন্তু এই মারাত্মক ঝুঁকি সফলভাবে উতরে যাওয়ায় পানেনকা এখন ফুটবল ইতিহাসের অংশ।
যদিও পানেনকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আকস্মিক ছিল না। এই শটটি প্রথমে তিনি অনুশীলনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর প্রীতি লিগ ম্যাচেও এই পেনাল্টি শটটি বাজিয়ে দেখেন। অবশেষে ১৯৭৬ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে সফলভাবে প্রয়োগ করেন বহুল আলোচিত ‘পানেনকা’ শট। সেদিন তাঁর পেনাল্টি চেকোস্লাভাকিয়াকে শুধু শিরোপাই এনে দেয়নি, ফুটবলে নতুন একটি ধারারও জন্ম দেয়।
প্রথম এই পেনাল্টি নেওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে পানেনকা বলেন, ‘জার্মান গোলরক্ষক সেপ মায়ের কী করতে যাচ্ছেন তা বুঝতে ১২ গজ দূর থেকে দৌড়ে এসেছিলাম। আমি অনেক জোরে দৌড়াচ্ছিলাম। তাই শরীরী ভাষা বোঝা গোলরক্ষকের জন্যও অনেক কঠিন ছিল। এমনকি আমি যখন এক গজ দূরে, তখন মায়ের বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। যদি আমি চিপ না করতাম তবে ভিন্ন দিকে শট নিতে হতো।’
অন্য দিকে চেলসির বিপক্ষে আগুয়েরো এই পেনাল্টি নিয়েছিলেন অনেকটা ঝোঁকের বশে। আগুয়েরোর সাবেক এক সতীর্থ বলেছেন, ‘অনুশীলনেও সে এটি নেওয়ার চেষ্টা করত। সে কখনো এই শটে গোল করতে পারেনি। আমি জানি না সে কেন এটি নিতে গেল।’
ঠিক, অনেকের মাঝেই কৌতূহল কেন এভাবে পেনাল্টি নিতে গেলেন আগুয়েরো? পেনাল্টি বিশ্লেষক ও অর্থনীবিদ পালাসিওস-হুয়ের্থা একটা উত্তর খুঁজে পেয়েছেন, ‘সে হয়তো সিটিতে নিজের শেষ সময়ে একটা ছাপ রাখতে চেয়েছিল।’ পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে আগুয়েরো বলেন, ‘আমি সমর্থকদের নতুন কিছু দিতে চেয়েছিলাম।’
যে গোল নিয়ে এত আলোচনা তার কার্যকারিতা আসলে কেমন? কোনো সন্দেহ নেই এটি একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী শট। এর ফলে আপনি হয় মেধাবী নাহলে বোকা প্রমাণিত হবেন।
পালাসিওস বলেন, ‘পরিসংখ্যানগতভাবে প্রকৃত পানেনকার সাফল্যের হার সাধারণ পেনাল্টির চেয়ে কিছুটা কম।’ কত কম, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গড়পড়তা পেনাল্টির চেয়ে ৪-৫ শতাংশ কম।’
এই বিশ্লেষণের পেছনে রয়েছে ১,৭১৬টি পেনাল্টি কিক নিয়ে করা গবেষণা। যা চারটি শীর্ষ লিগে ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ এর মাঝে নেওয়া পেনাল্টি নিয়ে করা হয়েছে। যেখানে কত দূর থেকে দৌড়ে আসছে এবং শট গতিসম্পন্ন ছিল নাকি চিপ করা হয়েছিল, এসব দিক বিবেচনা করা হয়েছে।
এই ধরনের পেনাল্টির সঙ্গে মানসিক অবস্থারও ভূমিকা রয়েছে। ২০১২ ইউরোতে যেমন পেনাল্টিতে স্পেন-পর্তুগাল ম্যাচ ২-২ গোলে সমতায়। এরপর পানেনকা শটে লক্ষ্যভেদ করেন সার্জিও রামোস। বদলে যায় ম্যাচের গতিপথও। ব্রুনো আলভেজ এসে মিস করেন পেনাল্টি। তার কদিন আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতালি ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল। এরপর পানেনকায় পিরলো গোল করার পরই মিস করেন এশলে ইয়ং।
পানেনকা শট কেন কার্যকরী হতে পারে তা চেলসির কিংবদন্তি গোলরক্ষক পিওতর চেকের একটা কথা দিয়ে স্পষ্ট করা যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘পেনাল্টির সময় গোলরক্ষক কখনো মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে চায় না। তাতে মনে হতে পারে সে ঠেকানোর চেষ্টা করেনি।’
ঢাকা: ভাগ্যিস, সার্জিও আগুয়েরোর পেনাল্টি মিসের ঘটনা ‘পানেনকা’র স্রষ্টা আন্তোনিন পানেনকার সঙ্গে ঘটেনি! হলে কী ঘটত? উত্তরটা তাঁর মুখেই শুনুন, ‘খনিতে ৩০ বছর কাজ করার শাস্তি হতে পারত!’
কেন? কারণ, পশ্চিম জার্মানির সঙ্গে সেদিনের সেই পেনাল্টি মিস করাটা হয়তো বিবেচনা করা হতো চেকোস্লোভাকিয়ার কমিউনিস্ট–ব্যবস্থাকে অসম্মান করার সঙ্গে। কিন্তু এই মারাত্মক ঝুঁকি সফলভাবে উতরে যাওয়ায় পানেনকা এখন ফুটবল ইতিহাসের অংশ।
যদিও পানেনকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আকস্মিক ছিল না। এই শটটি প্রথমে তিনি অনুশীলনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এরপর প্রীতি লিগ ম্যাচেও এই পেনাল্টি শটটি বাজিয়ে দেখেন। অবশেষে ১৯৭৬ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে সফলভাবে প্রয়োগ করেন বহুল আলোচিত ‘পানেনকা’ শট। সেদিন তাঁর পেনাল্টি চেকোস্লাভাকিয়াকে শুধু শিরোপাই এনে দেয়নি, ফুটবলে নতুন একটি ধারারও জন্ম দেয়।
প্রথম এই পেনাল্টি নেওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে পানেনকা বলেন, ‘জার্মান গোলরক্ষক সেপ মায়ের কী করতে যাচ্ছেন তা বুঝতে ১২ গজ দূর থেকে দৌড়ে এসেছিলাম। আমি অনেক জোরে দৌড়াচ্ছিলাম। তাই শরীরী ভাষা বোঝা গোলরক্ষকের জন্যও অনেক কঠিন ছিল। এমনকি আমি যখন এক গজ দূরে, তখন মায়ের বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। যদি আমি চিপ না করতাম তবে ভিন্ন দিকে শট নিতে হতো।’
অন্য দিকে চেলসির বিপক্ষে আগুয়েরো এই পেনাল্টি নিয়েছিলেন অনেকটা ঝোঁকের বশে। আগুয়েরোর সাবেক এক সতীর্থ বলেছেন, ‘অনুশীলনেও সে এটি নেওয়ার চেষ্টা করত। সে কখনো এই শটে গোল করতে পারেনি। আমি জানি না সে কেন এটি নিতে গেল।’
ঠিক, অনেকের মাঝেই কৌতূহল কেন এভাবে পেনাল্টি নিতে গেলেন আগুয়েরো? পেনাল্টি বিশ্লেষক ও অর্থনীবিদ পালাসিওস-হুয়ের্থা একটা উত্তর খুঁজে পেয়েছেন, ‘সে হয়তো সিটিতে নিজের শেষ সময়ে একটা ছাপ রাখতে চেয়েছিল।’ পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়ে আগুয়েরো বলেন, ‘আমি সমর্থকদের নতুন কিছু দিতে চেয়েছিলাম।’
যে গোল নিয়ে এত আলোচনা তার কার্যকারিতা আসলে কেমন? কোনো সন্দেহ নেই এটি একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী শট। এর ফলে আপনি হয় মেধাবী নাহলে বোকা প্রমাণিত হবেন।
পালাসিওস বলেন, ‘পরিসংখ্যানগতভাবে প্রকৃত পানেনকার সাফল্যের হার সাধারণ পেনাল্টির চেয়ে কিছুটা কম।’ কত কম, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গড়পড়তা পেনাল্টির চেয়ে ৪-৫ শতাংশ কম।’
এই বিশ্লেষণের পেছনে রয়েছে ১,৭১৬টি পেনাল্টি কিক নিয়ে করা গবেষণা। যা চারটি শীর্ষ লিগে ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৮-১৯ এর মাঝে নেওয়া পেনাল্টি নিয়ে করা হয়েছে। যেখানে কত দূর থেকে দৌড়ে আসছে এবং শট গতিসম্পন্ন ছিল নাকি চিপ করা হয়েছিল, এসব দিক বিবেচনা করা হয়েছে।
এই ধরনের পেনাল্টির সঙ্গে মানসিক অবস্থারও ভূমিকা রয়েছে। ২০১২ ইউরোতে যেমন পেনাল্টিতে স্পেন-পর্তুগাল ম্যাচ ২-২ গোলে সমতায়। এরপর পানেনকা শটে লক্ষ্যভেদ করেন সার্জিও রামোস। বদলে যায় ম্যাচের গতিপথও। ব্রুনো আলভেজ এসে মিস করেন পেনাল্টি। তার কদিন আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতালি ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল। এরপর পানেনকায় পিরলো গোল করার পরই মিস করেন এশলে ইয়ং।
পানেনকা শট কেন কার্যকরী হতে পারে তা চেলসির কিংবদন্তি গোলরক্ষক পিওতর চেকের একটা কথা দিয়ে স্পষ্ট করা যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘পেনাল্টির সময় গোলরক্ষক কখনো মাঝে দাঁড়িয়ে থাকতে চায় না। তাতে মনে হতে পারে সে ঠেকানোর চেষ্টা করেনি।’
ইংল্যান্ডের এখন ব্যস্ত সময় যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনে। চেস্টার লি স্ট্রিটে গত রাতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। আজও মাঠে নামছে ইংলিশরা। তবে এবার তারা খেলবে ফুটবলে। ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইংল্যান্ড খেলবে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে।
১৭ মিনিট আগেতারকা ক্রিকেটারদের জ্বালা-যন্ত্রণার শেষ নেই। বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনা তো সহ্য করতেই হয়। এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে সেই দায়ভারও পড়ে তাঁর ওপর। বিরাট কোহলির এখন হচ্ছে এই অবস্থা। এক সমাজকর্মীর চোখে ‘ভিলেনে’ পরিণত হয়েছেন ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটার।
১ ঘণ্টা আগেদুই মাস পর আবারও সবাই একে অপরকে ঈদ মোবারক বলছেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এবার উদযাপন করছেন ঈদুল আজহা। এই ঈদ কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা পরিবার পরিজন-বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে উদযাপন করছেন ঈদুল আজহা।
২ ঘণ্টা আগেঈদের আমেজ শুরু হয়েছে কদিন আগে থেকেই। পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে অনেকেই চলে গেছেন ঢাকার বাইরে। অনেকে আবার রাজধানী শহরেই থেকেছেন। সামাজিক মাধ্যমে গতকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে, ‘ঈদ মোবারক।’
২ ঘণ্টা আগে