Ajker Patrika

আস্থার জায়গা তৈরি করছেন মোস্তাফিজরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বোলিংয়ে দুর্দান্ত শরীফুল ইসলাম-মোস্তাফিজুর রহমানরা। ছবি: সংগৃহীত
বোলিংয়ে দুর্দান্ত শরীফুল ইসলাম-মোস্তাফিজুর রহমানরা। ছবি: সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টিতে টানা ছয় হারের বৃত্ত ভেঙে বাংলাদেশ এখন জয়ের ধারায়। শ্রীলঙ্কা সফরের শেষ দুটি ম্যাচের সঙ্গে পাকিস্তানের বিপক্ষে চলতি সিরিজের দুটি জয় নিয়ে টানা চার ম্যাচ জয়ের ধারায় বাংলাদেশ। এই চার ম্যাচের সাধারণ মিল হলো , বাংলাদেশ বোলারদের দুর্দান্ত বোলিং।

শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। সেখানেও ব্যাটারদের চেয়ে বোলারদের দাপট ছিল দৃশ্যমান । ভিন্ন তিন প্রতিপক্ষ, ভিন্ন তিন ভেন্যু। কিন্তু সব সিরিজে, সব ভেন্যুতে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বোলাররা।

মিরপুরের ধীর গতির উইকেটে স্বাগতিক বোলাররা কতটা ভালো করেছেন, তা এত দ্রুত কারও মন থেকে হারিয়ে যাওয়ার কথা নয় । প্রথম ম্যাচে রেকর্ড ১১০ রানে পাকিস্তানকে আটকে দেন মোস্তাফিজ, শরীফুলরা। দ্বিতীয় ম্যাচেও বোলাররা জেতান বাংলাদেশকে। ১৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে আসা পাকিস্তান ১৯.২ ওভার খেললেও ১২৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মনে রাখতে হবে, সেই ম্যাচে ১৫ রানে স্বাগতিক বোলাররা তুলে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট ।

বাংলাদেশের বোলারদের আধিপত্য আরও সুস্পষ্ট হয় এই তথ্যে, প্রথম ম্যাচে ৭০টি ডট বল দিয়েছেন বোলাররা, যা মোট বলের ৫৯ শতাংশ । দ্বিতীয় ম্যাচেও ছিল ৫৭ ডট বল । ডট বলের এই চাপ বেকায়দায় ফেলে পাকিস্তানের ব্যাটারদের।

ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য সফরকারী দল অবশ্য দুষছে মিরপুরের উইকেটকে। এই উইকেটে খেলে উন্নতি করা যায় না বলেও প্রথম ম্যাচ শেষে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কোচ মাইক হেসন। তবে এটাও ঠিক, একই উইকেটে খেলে জিতেছে বাংলাদেশ। তাই নিজেদের ব্যাটারদের সমালোচনা করে রমিজ রাজা কিংবা শোয়েব আখতারের মতো পাকিস্তানের সাবেকরা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশকে। মিরপুরের উইকেটকে ‘কঠিন’ আখ্যা দিলেও শোয়েব মনে করেন, এই উইকেটে যারা টাইমিং ও টেকনিকের ওপর খেলে, তারাই শুধু রান করতে পারে। পাকিস্তানের ব্যাটারদের সেই সামর্থ্য নেই বলে সমালোচনা করেছেন শোয়েব । দলের ব্যর্থতায় হতাশ রমিজ রাজার মুখে উল্টো বাংলাদেশের প্রশংসা, ‘বাংলাদেশ থেকে ব্যাটিং - বোলিং শিখতে হবে । তারা আবারও পাকিস্তানকে শিক্ষা দিল , কীভাবে কঠিন কন্ডিশনে সাফল্য পেতে হয়।’

গতকাল পর্যন্ত সিরিজ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পাকিস্তানের সালমান মির্জার। তবে সফরকারী দলের আর একজনই পেয়েছেন মাত্র ৩ উইকেট। কিন্তু ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন স্বাগতিক পাঁচ বোলার মোস্তাফিজ, শরীফুল , তানজিম , তাসকিন ও মেহেদী। সবাই দুর্দান্ত ফর্মে এবং বল হাতে নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করছেন নিখুঁতভাবে। পাওয়ারপ্লে, মিডল ওভার কিংবা স্লগ ওভার—সব জায়গায় কেউ না কেউ পারফর্ম করছেন । সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বোলিং একটা ইউনিট হিসেবে পারফর্ম করছে।

ডেথ ওভারে মোস্তাফিজ ডট বলের পর ডট বল করে চাপ তৈরি করছেন । উইকেট তুলে নিচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে । কিপটে বোলিংয়ের ধারাবাহিকতায় আইসিসির হালনাগাদ টি- টোয়েন্টির বোলিং র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে চলে এসেছেন । চার বছর পর এই প্রথম সেরা দশে দেখা গেল ‘ফিজ’কে । র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে শেখ মেহেদী , তানজিম সাকিব , শরীফুলদেরও। আজ সিরিজের শেষ ম্যাচে ও বোলাররা তাঁদের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন , এটি প্রত্যাশা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কৌশলে বিনিয়োগ সরাচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানি

বিমান বিধ্বস্ত: এক ঘণ্টা পর উদ্ধার হন পাইলট, তখনো বেঁচে ছিলেন

মোহাম্মদপুর থানায় ভুক্তভোগীকে হেনস্তা: চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, ৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

‘ওসি হয়েও আমার কম দামি ফোন, দামি ফোন নিয়ে ঘুরলে ছিনতাই তো হবেই’, ভুক্তভোগীকে মোহাম্মদপুরের ওসি

রংপুরের ১০ কিমি সড়কে ৩৬৫ টন পাথর উধাও

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত