Ajker Patrika

বাংলাদেশ দলের নাড়ি-নক্ষত্রও যেন জানা কিউইদের

ক্রীড়া ডেস্ক    
রাওয়ালপিন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়ক স্যান্টনার। ছবি: এএফপি
রাওয়ালপিন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড দলের অধিনায়ক স্যান্টনার। ছবি: এএফপি

আইসিসির ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে চার নম্বর দল নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশ নয় নম্বর। মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানেও বেশ পিছিয়ে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ৩৩টি জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ১১টি। আজকের লড়াইয়ে কাগজে-কলমে তাই নিউজিল্যান্ডই ফেবারিট। কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে নামার আগে নাজমুল হোসেন শান্তদের নিয়ে বেশ সতর্ক নিউজিল্যান্ড; বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছে না তাঁরা।

রাওয়ালপিন্ডিতে আজ ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের সাফ কথা, ‘বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছি না আমরা। বড় টুর্নামেন্টে নিজেদের দিনে তারা যে কোনো দলকেই হারিয়ে দিতে পারে।’

হারিয়ে দিতে যে পারে, সেটির প্রমাণ তো হয়ে আছে গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচটাই। কার্ডিফে হওয়া সে ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। এরপর রান তাড়ায় সবাইকে চমকে জিতে যায় বাংলাদেশ। সে জয়ও আবার ৫ উইকেট এবং ১৬ বল হাতে রেখেই। সে ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে নেই সাকিব। একসময়ের বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের অনুপস্থিতিতেও বাংলাদেশকে ভারসাম্যপূর্ণ দল বলছেন স্যান্টনার, ‘বাংলাদেশ দলে রিশাদ (হোসেন) রয়েছেন, যিনি খুব ভালো লেগ স্পিনার। আছেন মেহেদীও; তিনি করে দেখিয়েছেন। আর মাহমুদউল্লাহ যদি খেলেন, বল হাতে তিনিও ভালো ভূমিকা রাখতে পারেন। আমার মনে হয় তাদের দলটিতে ভালো একটা ভারসাম্য রয়েছে। তারা ব্যাটিংয়েও আক্রমণাত্মক হতে পারে। গত ম্যাচে হৃদয় দারুণ একটা ইনিংস খেলেছেন। জাকের আলীও ভালো পারফর্ম করেছেন।’

তাই বাংলাদেশকে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের পরিকল্পনা থাকার কথাও বললেন স্যান্টনার, ‘পিন্ডির উইকেট সাধারণত ভালো হওয়ায় আমরা জানি, তারা বেশ বিধ্বংসী হতে পারে। তাই আমাদের অবশ্যই তাদের দিকে নজর দিতে হবে, নজর দিতে হবে নিজেদের দিকেও। ম্যাচ থেকে আমরা কী পেতে চাই এবং করাচিতে কী কী ভালো কাজ করেছি—এ সবেও নজর দিতে হবে। রাওয়ালপিন্ডির উইকেট একটু ভিন্ন হতে পারে, সাধারণত একটু বেশি বাউন্স থাকতে পারে, তবে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে এবং পরিস্থিতি বুঝতে হবে। বাংলাদেশের জন্য কিছু পরিকল্পনা অবশ্যই আছে। তবে আমাদের আগে দেখতে হবে উইকেট কেমন আচরণ করে। যদি এটি ফ্ল্যাট থাকে, তবে করাচিতে আমরা যেমন বোলিং করেছি, সেভাবেই চালিয়ে যাব। কঠিন লেন্থে বল করা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি তাদের দলে বিধ্বংসী ব্যাটার রয়েছে, তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। চিরাচরিতভাবে এটি একটি হাই স্কোরিং মাঠ, তাই আমাদের ব্যাটিংয়ে জোর দিতে হবে, ভালো পার্টনারশিপ গড়তে হবে।’

বাংলাদেশের সব ক্রিকেটার সম্পর্কেই যেন জানা স্যান্টনারের। রিশাদ, মেহেদী, মাহমুদউল্লাহ, জাকের, হৃদয় সম্পর্কে তো আগেই বললেন। বাংলাদেশের পেস সম্পর্কে বলতে গিয়ে বললেন তাসকিন আহমেদ-মোস্তাফিজুর রহমান সম্পর্কেও, ‘স্পিন বিভাগে বাংলাদেশ সবসময়ই শক্তিশালী ছিল, তবে এখন তাদের দলে ভালো কিছু পেসার এসেছে। তাসকিন দীর্ঘদিন ধরে ভালো করছে। দ্য ফিজ কতটা ভালো খেলতে পারে আমরা জানি, এবং তারা এখন রানা ও অন্যান্য তরুণ পেসারদের দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে। আমরা তাদের সাথে দেশে এবং দেশের বাইরে অনেক ম্যাচ খেলেছি, তাই তাদের সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত