আফতাব আহমেদ
প্রথম সেমিফাইনালে দুর্দান্ত একটা ম্যাচই দেখলাম। কীভাবে যে একটা মুহূর্ত ম্যাচের চিত্রনাট্যটা বদলে দেয়, সেটির প্রদর্শনীই যেন দেখা গেল। অভিজ্ঞতার সবটুকু ঢেলেই ফলটা নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দুই ব্যাটিং স্তম্ভকে হারানোর পরও পথ হারায়নি কিউইরা। কী ঠান্ডা মাথায় ম্যাচটা বের করে আনল ড্যারেল মিচেল ও ডেভন কনওয়ে!
সেই ভিতের ওপর ম্যাচের মোমেন্টাম বদলে দেওয়া জিমি নিশামের ওই ক্যামিও।
নিউজিল্যান্ডের খেলা দেখে মনে হয়েছে, ওরা শেষ তিন ওভারকেই টার্গেট করেছিল। উইকেট একটু ‘টু পেসড’ ছিল। মিচেল-কনওয়ে তাই উইকেট ধরে রেখে চেষ্টা করেছিল যত রান তোলা যায়। সেটাতেই তারা সফল হয়েছে। এরপর তিন ওভারের ঝড়ে ম্যাচটা জিতে নিল।
ইংল্যান্ড আসলে ধাক্কাটা খেয়েছে জেসন রয়কে হারিয়ে। রয় এমন একজন ক্রিকেটার, যে একাই খেলা ঘুরিয়ে দেয়। দলকে শুরুতেই অনেক এগিয়ে দিয়ে যায়। পুরো বিশ্বকাপে জনি বেয়ারস্টো নিজের ছায়া হয়ে থাকল, সেটাও বড় ভোগাল ইংল্যান্ডকে।
মঈন আলীকে বল না দেওয়া নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মঈন এই বিশ্বকাপে ১৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৭৭ রান দিয়েছে। ৭ উইকেটও শিকার করেছে। এমন এক অফ স্পিনারকে যখন বাঁহাতি ব্যাটার ডেভন কনওয়ে-নিশাম ব্যাটিং করবে তখন ব্যবহার করা হবে না, তখন কথা তো একটু হবে। তবে আমি এউইন মরগানের পাশে দাঁড়াচ্ছি। খেলা দেখে মনে হয়েছে, মরগানের ফর্মুলা ছিল নিউজিল্যান্ডের রান তোলার পথটা আটকে রাখা। উইকেট না পড়ুক সমস্যা নেই। সে হয়তো ভেবেছে ওই সময় মঈনকে বল দিলে রান আসতে পারে। আবার তখন লিয়াম লিভিংস্টোন ভালো বল করছিল। মরগানের চাওয়া অনুযায়ীই কিন্তু খেলাটা এগোচ্ছিল। ক্রিস জর্ডানের ওই একটা ওভারেই তো মরগানের সব পরিকল্পনা ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের আরেকটা বিষয় চোখে লেগেছে। মিচেলকে ওপেনিংয়ে নিয়ে আসাটা আমি বলব ‘মাস্টারপ্ল্যান।’ আগে কখনো মিচেলকে ওপেনিংয়ে দেখিনি, সেই ব্যাটারকে কি না এই বিশ্বকাপে খেলানো হচ্ছে ওপেনিংয়ে। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে কিন্তু অন্য সংস্করণে ওপেনিং করত না, কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করত। সেখানে ও সফল হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, একটা-দুইটা দারুণ সিদ্ধান্ত বড় কিছু বয়ে আনে। কিউই কোচ আর অধিনায়ক এই সিদ্ধান্তের জন্য হাততালি পেতেই পারেন।
মিচেল দুর্দান্ত খেলেছে—সে-ই এই ম্যাচের নায়ক। তবে আমি নিশামকে নিয়ে আলাদা প্রশংসা বরাদ্দ রাখতে চাই। খেলাটা ঘুরিয়ে দিয়েছে এই অলরাউন্ডারই। ফাইনালে এই নিউজিল্যান্ডকে রোখা দুঃসাধ্যই হবে!
প্রথম সেমিফাইনালে দুর্দান্ত একটা ম্যাচই দেখলাম। কীভাবে যে একটা মুহূর্ত ম্যাচের চিত্রনাট্যটা বদলে দেয়, সেটির প্রদর্শনীই যেন দেখা গেল। অভিজ্ঞতার সবটুকু ঢেলেই ফলটা নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দুই ব্যাটিং স্তম্ভকে হারানোর পরও পথ হারায়নি কিউইরা। কী ঠান্ডা মাথায় ম্যাচটা বের করে আনল ড্যারেল মিচেল ও ডেভন কনওয়ে!
সেই ভিতের ওপর ম্যাচের মোমেন্টাম বদলে দেওয়া জিমি নিশামের ওই ক্যামিও।
নিউজিল্যান্ডের খেলা দেখে মনে হয়েছে, ওরা শেষ তিন ওভারকেই টার্গেট করেছিল। উইকেট একটু ‘টু পেসড’ ছিল। মিচেল-কনওয়ে তাই উইকেট ধরে রেখে চেষ্টা করেছিল যত রান তোলা যায়। সেটাতেই তারা সফল হয়েছে। এরপর তিন ওভারের ঝড়ে ম্যাচটা জিতে নিল।
ইংল্যান্ড আসলে ধাক্কাটা খেয়েছে জেসন রয়কে হারিয়ে। রয় এমন একজন ক্রিকেটার, যে একাই খেলা ঘুরিয়ে দেয়। দলকে শুরুতেই অনেক এগিয়ে দিয়ে যায়। পুরো বিশ্বকাপে জনি বেয়ারস্টো নিজের ছায়া হয়ে থাকল, সেটাও বড় ভোগাল ইংল্যান্ডকে।
মঈন আলীকে বল না দেওয়া নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মঈন এই বিশ্বকাপে ১৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৭৭ রান দিয়েছে। ৭ উইকেটও শিকার করেছে। এমন এক অফ স্পিনারকে যখন বাঁহাতি ব্যাটার ডেভন কনওয়ে-নিশাম ব্যাটিং করবে তখন ব্যবহার করা হবে না, তখন কথা তো একটু হবে। তবে আমি এউইন মরগানের পাশে দাঁড়াচ্ছি। খেলা দেখে মনে হয়েছে, মরগানের ফর্মুলা ছিল নিউজিল্যান্ডের রান তোলার পথটা আটকে রাখা। উইকেট না পড়ুক সমস্যা নেই। সে হয়তো ভেবেছে ওই সময় মঈনকে বল দিলে রান আসতে পারে। আবার তখন লিয়াম লিভিংস্টোন ভালো বল করছিল। মরগানের চাওয়া অনুযায়ীই কিন্তু খেলাটা এগোচ্ছিল। ক্রিস জর্ডানের ওই একটা ওভারেই তো মরগানের সব পরিকল্পনা ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের আরেকটা বিষয় চোখে লেগেছে। মিচেলকে ওপেনিংয়ে নিয়ে আসাটা আমি বলব ‘মাস্টারপ্ল্যান।’ আগে কখনো মিচেলকে ওপেনিংয়ে দেখিনি, সেই ব্যাটারকে কি না এই বিশ্বকাপে খেলানো হচ্ছে ওপেনিংয়ে। শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে কিন্তু অন্য সংস্করণে ওপেনিং করত না, কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ওপেন করত। সেখানে ও সফল হয়েছিল। টি-টোয়েন্টি এমন একটা খেলা, একটা-দুইটা দারুণ সিদ্ধান্ত বড় কিছু বয়ে আনে। কিউই কোচ আর অধিনায়ক এই সিদ্ধান্তের জন্য হাততালি পেতেই পারেন।
মিচেল দুর্দান্ত খেলেছে—সে-ই এই ম্যাচের নায়ক। তবে আমি নিশামকে নিয়ে আলাদা প্রশংসা বরাদ্দ রাখতে চাই। খেলাটা ঘুরিয়ে দিয়েছে এই অলরাউন্ডারই। ফাইনালে এই নিউজিল্যান্ডকে রোখা দুঃসাধ্যই হবে!
তারকা ক্রিকেটারদের জ্বালা-যন্ত্রণার শেষ নেই। বাজে পারফরম্যান্সে সমালোচনা তো সহ্য করতেই হয়। এমনকি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে সেই দায়ভারও পড়ে তাঁর ওপর। বিরাট কোহলির এখন হচ্ছে এই অবস্থা। এক সমাজকর্মীর চোখে ‘ভিলেনে’ পরিণত হয়েছেন ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটার।
৩ মিনিট আগেদুই মাস পর আবারও সবাই একে অপরকে ঈদ মোবারক বলছেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এবার উদযাপন করছেন ঈদুল আজহা। এই ঈদ কুরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা পরিবার পরিজন-বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে উদযাপন করছেন ঈদুল আজহা।
১ ঘণ্টা আগেঈদের আমেজ শুরু হয়েছে কদিন আগে থেকেই। পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে অনেকেই চলে গেছেন ঢাকার বাইরে। অনেকে আবার রাজধানী শহরেই থেকেছেন। সামাজিক মাধ্যমে গতকাল থেকেই দেখা যাচ্ছে, ‘ঈদ মোবারক।’
১ ঘণ্টা আগেওয়ানডে সিরিজ শেষে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়ে গেছে। তবে সতীর্থরা ইংল্যান্ডে থাকলেও আকিল হোসেন সেখানে থাকতে পারছেন না। সিরিজের বাকি অংশে খেলতে পারবেন কিনা, সেটা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
২ ঘণ্টা আগে