Ajker Patrika

‘লিটনের ক্রিকেট জ্ঞান অনেক ভালো, মানুষ ওকে ভুল বোঝে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘লিটনের ক্রিকেট জ্ঞান অনেক ভালো, মানুষ ওকে ভুল বোঝে’

বাংলাদেশের জার্সিতে লিটন দাসের পথচলা শুরু ২০১৫ সালে। এরও আগে ২০১৩ সালে তার অভিষেক বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল)। হোক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বা বিপিএল, লিটন যেন কোথাও ধারাবাহিকভাবে পারফরম্যান্স করতেই পারছেন না লিটন। এক ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেন তো অনেক দিন তাঁর ব্যাট যেন হাসতেই ভুলে যায়। 

২০২৪ বিপিএলে লিটনের শুরুটা হয়েছিল বিবর্ণ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে প্রথম চার ম্যাচে করেন ৩৫ রান। স্ট্রাইকরেট ৮৭.৫০। অফফর্মের কারণে তাকে শুনতে হয়েছে সমালোচনা। এমন বাজে শুরুর পর লিটন এবারের বিপিএলের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের তালিকায় সেরা আটে উঠে এসেছেন। এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে করেন ২৮০ রান, দুটি ফিফটি করেছেন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেছেন এবারের বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে। 

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১৫০ রান তাড়া করতে নেমে ৩৬ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে কুমিল্লা। ওপেনিংয়ে নামা লিটন দেখেছেন দুই সতীর্থ সুনীল নারাইন ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং। এরপর তৃতীয় উইকেট জুটিতে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে ৫৫ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন। ৪২ বলে ৪৩ রান করেছেন লিটন। ম্যাচ শেষে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আসেন কুমিল্লার প্রধান কোচ সালাহ উদ্দিন। লিটনের প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমার মনে হয় সে চেষ্টা করেছে নিজের পারফরম্যান্সটা দেওয়ার জন্য। হয়তো অনেক সময় ব্যাটিং করতে করতে মানুষের অনেক বেসিক জিনিসগুলা একটু এদিক সেদিক হয়ে যায়। লম্বা সময় ধরে কেউ পাশে থাকলে হয়তো ছোট একটা কথাও অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। লিটনের একটা ব্যাপার হচ্ছে সে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করছে। তবে অনেক সময় মানুষ ওকে ভুল বোঝে। আমার কাছে সেটা মনে হয়। তার ক্রিকেটিং সেন্স অনেক ভালো। সে ক্রিকেট নিয়ে সবসময় চিন্তা করে। আমার কাছে যেটা দারুণ লেগেছে, সে অনেক গোছানো ব্যাটিং করছে।’ 

লিটনের অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গে সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘আপনি তো একটা মানুষকে দেখেই বিচার করে ফেলেন। তাকে দায়িত্ব দিয়ে তো দেখেন না। সে যখন জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছে, দল অনেক ভালো ফল করেছে। আমার মনে হয় আমরা বাইরে থেকে হয়ত অনেকটা ধারণা করে ফেলি সে এইরকম, সে সেইরকম। তবে তাকে দায়িত্ব না দিলে তো আপনি বুঝবেন না। একজন তো এসেই অধিনায়ক হয়ে যাবে না। এখানেও তো একটা শেখার ব্যাপার আছে। আমার মনে হয়, সে খুব তাড়াতাড়ি শিখছে। তার যেগুলো ঘাটতি ছিল, সেগুলো সে কাটানোর চেষ্টা করছে। নেতৃত্বের কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে, সেটা নিয়ে তার সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়। তাই অনেক কিছুই সে তাড়াতাড়ি করতে পারছে। সেটা হচ্ছে ভালো দিক। তাঁর অধিনায়কত্বটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে। আমার কাছে মনে হয় সে খুব ভালো অধিনায়ক হতে পারবে ভবিষ্যতে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত