Ajker Patrika

কিউইদের খাদে ঠেলে সুপার এইট নিশ্চিত করল উইন্ডিজ

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৪, ১৭: ৪৬
কিউইদের খাদে ঠেলে সুপার এইট নিশ্চিত করল উইন্ডিজ

সুপার এইটে উঠতে হলে নিউজিল্যান্ডের জন্য সবচেয়ে সহজ সমীকরণ—নিজেদের বাকি তিন ম্যাচ জিততে হবে। তবে ত্রিনিদাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১৩ রানে হেরে কিউইরা পড়ে গেল গভীর খাদে। কিউইদের খাদে পড়ার দিনে ‘সি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার এইট নিশ্চিত করল উইন্ডিজ। 

৩ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উইন্ডিজের নেট রানরেট ‍ ‍+২.৫৯৬। ৪ পয়েন্ট ও ‍+ ৫.২২৫ নেট রানরেট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে আফগানিস্তান। আফগানদের বাকি দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেকোনো একটি জিতলে আফগানরা উঠবে সুপার এইটে, বাদ পড়বে কিউইরা। যদি আফগানরা শেষ দুই ম্যাচ হারে ও কিউইরা বাকি দুই ম্যাচ জেতে, তখন হিসেবে চলে আসবে নেট রানরেট। কিউইদের নেট রানরেট ‍-২.৪২৫

 ১৫০ রানের লক্ষ্যে নেমে ধীরস্থির শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও ফিন অ্যালেন। তবে তাঁদের জুটিতে যোগ হয়েছে মাত্র ২০ রান। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে কনওয়েকে ফিরেছেন আকিল হোসেইন। ৮ বলে করেছেন ৫ রান। কনওয়ে আউট হওয়ার পর আক্রমণাত্মক হতে যান অ্যালেন। তবে ২৩ বলে ২৬ রান করে আউট হয়েছেন। মেরেছেন ৩ চার ও ১ ছক্কা। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে অ্যালেনের উইকেট নেন আলজারি জোসেফ। কিউইদের স্কোর হয়ে যায় ৫.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৩৪ রান। পাওয়ারপ্লের বাকি দুই বলে আর কোনো উইকেট না হারালেও যোগ করেছে ২ রান। 

৩৬ রানে ২ উইকেট থেকে মুহূর্তেই নিউজিল্যান্ড হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৬৩ রান। সপ্তম, নবম ও ১১তম ওভারে গুড়াকেশ মোটি একে একে নিয়েছেন কেইন উইলিয়ামসন, রাচীন রবীন্দ্র ও ড্যারিল মিচেল এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ১১ ওভার শেষে অর্ধেক উইকেট হারানোর পর সাতে ব্যাটিংয়ে নামেন জিমি নিশাম। ষষ্ঠ উইকেটে গ্লেন ফিলিপস ও নিশামের জুটি যখন শুরু হয়, ফিল্ডিংয়ে তালগোল পাকাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে ফিলিপস ও নিশামের মধ্যে যখন ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়, তখন উইন্ডিজ উইকেটরক্ষক নিকোলাস পুরান রান আউটের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি। 

রান আউট থেকে বাঁচতে না বাঁচতেই আরেক দফা জীবন পায় নিউজিল্যান্ড। ১৪তম ওভারের প্রথম বলে রোমারিও শেফার্ডকে তুলে মারতে যান নিশাম। ডিপ স্কয়ার লেগে দাড়িয়ে থাকা জনসন চার্লস সহজ ক্যাচ তো হাতছাড়া করেছেন। পাশাপাশি সেটাকে ছক্কা বানিয়েছেন। ব্যক্তিগত ১ রানে নিশাম আউট হলে নিউজিল্যান্ডের স্কোর হতে পারত ১৩.১ ওভারে ৬ উইকেটে ৭৩ রান। তবে ছক্কা মারার পর ইনিংস লম্বা করতে পারেননি নিশাম। ১১ বলে ১ ছক্কায় সাজানো ইনিংসে ১০ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটারকে ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ফিরিয়েছেন জোসেফ। 

নিশামের বিদায়ে নিউজিল্যান্ডের স্কোর তখন হয়ে যায় ১৫.১ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৫ রান।  ২৯ বলে ৬৫ রানের সমীকরণের সামনে যখন কিউইরা দাড়িয়ে, তখন চড়াও হয়েছেন ফিলিপস। ১৭তম ওভারে তিনি একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন আন্দ্রে রাসেলকে। জোসেফকে  ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা দুটি চার মেরেছেন ফিলিপস। চতুর্থ বলে চড়াও হয়ে খেলতে গেলে লং অনে রভমান পাওয়েলের তালুবন্দী হন ফিলিপস। ৩৩ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৪০ করেন ফিলিপস। একই ওভারের পঞ্চম বলে জোসেফের কট এন্ড বোল্ডের শিকার হয়ে গোল্ডেন ডাক মারেন টিম সাউদি। ১৯তম ওভারের শেষ বলে বোল্টকে যখন রাসেল ফেরান, তখন নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৯ উইকেটে ১১৭ রান। শেষ ওভারে মিচেল স্যান্টনারের তিন ছক্কা শুধু ব্যবধানই কমাতে পেরেছে।  কিউইরা আটকে গেছে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৬ রানে। ৩৩ বলে ৪০ রান করা ফিলিপসই কিউইদের সর্বোচ্চ স্কোরার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা বোলার জোসেফ ৪ ওভারে ১৯ রানে নেন ৪ উইকেট। 

টস জিতে আজ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ১৭.৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১১২ রান। ১৩০-৪০ রান তখন উইন্ডিজের জন্য মনে হচ্ছিল অনেক দূরের পথ। শেষ ১৩ বলে ৩৭ রান যোগ করে উইন্ডিজের স্কোরটা ২০ ওভার শেষে হয়েছে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। ৪ ছক্কা ও ২ চারে শেষের ৩৭ রানের পুরোটাই নিয়েছেন রাদারফোর্ড। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৮ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন রাদারফোর্ড। ৩৯ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৬ ছক্কা ও ২ চার। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ অব্দি ব্যাটিং করেছেন। ৪ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। ১ ওভার মেডেনও দিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত