Ajker Patrika

‘হৃদয়-জাকেরের থেকে পাকিস্তানের অনেক কিছু শিখতে হবে’

ক্রীড়া ডেস্ক    
ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। ছবি: আইসিসি
ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। ছবি: আইসিসি

দুবাইয়ে গতকাল ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিং করে মুড়ি-মুড়কির মতো উইকেট পড়ছিল বাংলাদেশের। ১০০ রানের মধ্যেই অলআউট হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দলের। ধ্বংসস্তূপ থেকে বাংলাদেশকে টেনে তোলের জাকের আলী অনিক ও তাওহিদ হৃদয়।

বাংলাদেশের বিপক্ষে অক্ষর প্যাটেল হ্যাটট্রিকটা প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন। নবম ওভারের চতুর্থ বলে জাকের সামনের পায়ে ডিফেন্স করতে যান। এজ হওয়া বল স্লিপে মিস করেছেন রোহিত শর্মা। মাঠের ওপর রোহিত যেভাবে রাগ ঝারছিলেন, তাতে বোঝা গেছে এমন সহজ ক্যাচ তাঁর ধরা উচিত। পরবর্তীতে ভারত আরও সুযোগ দিয়েছে। ভারতীয় ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাতের সুযোগ নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ২০৬ বলে ১৫৪ রানের জুটি গড়েন জাকের ও হৃদয়। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে অলআউট হয়েছে।

বাংলাদেশ, ভারতের গ্রুপেই পড়েছে পাকিস্তান। হৃদয়-জাকেরের প্রশংসা করতে গিয়ে তাই পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টানলেন রমিজ রাজা। নিজের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ‘রমিজ স্পিকস’-এ পাকিস্তানি এই ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘জাকের এবং হৃদয়ের জুটি থেকে চাইলে পাকিস্তান অনেক কিছু শিখতে পারে। ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর তারা যেভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে এবং ইনিংসটা টেনে নিয়েছে, সেটা অনেক বড় কিছু। পাকিস্তানের কথা বলার কারণ পাকিস্তান এরপর খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে।’

করাচিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানে হেরেছিল পাকিস্তান। তাতে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের নেট রানরেট হয়েছে ‍+১.২০ ও -১.২০। আর ভারত গতকাল দুবাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জিতেছে। এই দুবাইয়ে পরশু ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামবে পাকিস্তান। রমিজ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গেও ম্যাচ আছে। নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়াটা খুবই জরুরি। এখান থেকে (হৃদয়-জাকেরের জুটি) এই শিক্ষা পাওয়া যায় যে হার মানা যাবে না। আপনার মধ্যে যদি সাহস, তাড়না, পরিকল্পনা এবং বিপদ কাটিয়ে ওঠার উপায় জানেন, তাহলে যেকোনো পরিস্থিতি থেকেই বের হতে পারবেন। এই জুটিতে সবই আমরা দেখেছি।’

ওয়ানডে তো বটেই, হৃদয় গতকাল তুলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ১১৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় করেন ১০০ রান। এই সেঞ্চুরি করার পথে ক্র্যাম্পের কারণে একবার বসেও পড়েন তিনি। তবু তিনি দমে যাননি। ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা হৃদয়কে নিয়ে রমিজের কণ্ঠে ঝরেছে প্রশংসা আর প্রশংসা। রমিজ বলেন, ‘বড় শট হৃদয় খেলতে পারে। আগ্রাসী মনোভাব তো আছেই। দৌড়েও রান নিতে পারে। মিডল অর্ডারে দারুণ এক ক্রিকেটার পেয়েছে বাংলাদেশ। যেদিন খেলবে, এমন দুর্দান্ত ইনিংসই দেখা যাবে। এমন দলের (ভারত) বিপক্ষে যে পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরি করেছে, অনেক বড় ব্যাপার এটা। এই ইনিংসের (১০০) পর সে অনেক দূর যাবে।’

হৃদয়ের সেঞ্চুরি ম্লান হয়েছে শুবমান গিলের সেঞ্চুরির কাছে। ১২৯ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় করেন ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন গিল। ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ না জেতায় নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আফসোসের কথা বলেছেন হৃদয়।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত