নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘আমার একটা ভালো ছবি আছে?’ গত পরশু রাতে মোস্তাফিজুর রহমানের এই প্রশ্নে একটু বিপাকেই পড়তে হলো পরিচিত আলোকচিত্রীকে। মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছে। মোস্তাফিজ চেয়েছিলেন, তাঁর একটা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করবেন।
১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে প্রথম ম্যাচের নায়ক হয়েছেন নাসুম আহমেদ। স্বাভাবিকভাবেই সবার আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। আলোকচিত্রীদের ক্লিকও বেশি হয়েছে তাঁর দিকে ক্যামেরা তাক করে। প্রথম ম্যাচে মোস্তাফিজের একটা ‘ভালো ছবি’ পাওয়া তাই কঠিন হলেও গতকাল আর সেটি হয়নি! দুর্দান্ত বোলিংয়ে তাঁর দিকেই দৃষ্টি রাখতে বাধ্য করেছেন বাঁহাতি পেসার। গত কয়েক বছরে বোলার মোস্তাফিজকে দুটি কথার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হয়েছে। তিনি যখন ছন্দ হারিয়ে ফেলেন, তখন শোনা যায়, ‘মোস্তাফিজের বোলিংয়ে সেই ধারটা নেই!’ আবার ছন্দে ফিরলে শোনা যায়, ‘দেখা মিলল আগের মোস্তাফিজের!’
কালকের বোলিংয়ে ‘আগের মোস্তাফিজ’ দেখা যাওয়ায় প্রশংসাবৃষ্টিতে ভিজবেন, এটিই স্বাভাবিক। সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের উইকেটে মোস্তাফিজকে খেলা সব সময়ই কঠিন—সেটির সঙ্গে আগের মোস্তাফিজ কিংবা পরের মোস্তাফিজের কোনো সম্পর্ক নেই, এ কথা বলবেন না এমন কোনো ব্যাটসম্যান খুঁজে পাওয়া কঠিন। নিচু-মন্থর উইকেট; যেখানে বল থেমে আসবে, বাঁক নেবে—এমন উইকেটেই মোস্তাফিজ বিষ মেশানো কাটারে ব্যাটসম্যানদের নাচিয়ে ছাড়বেন। দুর্বোধ্য স্লোয়ারে বোকা বানিয়ে সারল্যমাখা হাসিতে হাততালি দেবেন, দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ‘ইয়েস! ইয়েস!’ বলবেন—এটিই যেন স্বাভাবিক দৃশ্য। মোস্তাফিজের সামনে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানেরা কাল যেমন কোনো পথই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অথচ ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আক্রমণে আসা মোস্তাফিজের শুরুটাই হয়েছে বাউন্ডারি হজম করে। মোস্তাফিজ অবশ্য তাতে একটুও বিচলিত হননি। তৃতীয় বলেই দেখালেন ভেলকি। অস্ট্রেলীয় ওপেনার জশ ফিলিপ ফিজের স্লোয়ারটা বুঝতেই পারেননি। লেগ স্টাম্প ছেড়ে হালকা এগিয়ে খেলতে গিয়ে রীতিমতো বোকা বনে যান ফিলিপ। আর তাতেই বোল্ড অজি ওপেনার।
মোস্তাফিজকে এরপর আক্রমণে আসেন ১২তম ওভারে। এ ওভারে উইকেট না পেলেও দেন ৫ রান। শেষ দিকে মোস্তাফিজ আরও ভয়ংকর। ১৮তম ওভারে মোস্তাফিজকে আড়াআড়িতে খেলতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। তাঁর লেগ স্টাম্প উড়িয়ে দেন ফিজ। পরের বলে দারুণ এক বাউন্সারে ফেরান অ্যাশটন অ্যাগারকে। হ্যাটট্রিকের সুযোগই চলে এসেছিল মোস্তাফিজের। সেটি না হলেও যে বোলিংটা করেছেন, তাতেই অস্ট্রেলিয়া আটকে গেছে ১২১ রানে।
৪ ওভারে ৩ উইকেট পেয়েছেন ২৩ রান খরচে। উইকেটশিকারে এগিয়ে তো বটেই, কাল বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডট বল দিয়েছেন মোস্তাফিজই। তাঁর ইকোনমি রেট ৫.৭৫। ৪৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যে নয়বার ৩ উইকেট পেয়েছেন, এর মধ্যে দুবার ইকোনমি রেট ছয়ের নিচে রাখতে পেরেছেন মোস্তাফিজ।
টি-টোয়েন্টি তাঁর অন্যতম প্রিয় সংস্করণ। এই সংস্করণে ভালো করবেন, এটি যেন অনুমিতই। মে মাসে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দারুণ বোলিং করেছিলেন। সব ঠিক থাকলে রাজস্থানের হয়ে সেপ্টেম্বরে আইপিএলের বাকি অংশও খেলতে পারেন মোস্তাফিজ। অবশ্য আপাতত আইপিএল নয়, তাঁর ভাবনায় শুধুই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ।
সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে নিয়মিত খেলতে পারেননি চোটে পড়ে। এই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে আবারও দুর্দান্ত ছন্দে ফিরতে মোস্তাফিজ কতটা উন্মুখ, সেটি দেখাই যাচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১২১/৭
(মার্শ ৪৫, হেনরিকস ৩০, স্টার্ক ১৩; মোস্তাফিজ ৩/২৩, শরিফুল ২/২৭, মেহেদী ১/১২)
বাংলাদেশ: ১৮.৪ ওভারে ১২৩/৫ (আফিফ ৩৭*, সাকিব ২৬, মেহেদী ২৩; অ্যাগার ১/১৭, হ্যাজেলউড ১/২১)
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
‘আমার একটা ভালো ছবি আছে?’ গত পরশু রাতে মোস্তাফিজুর রহমানের এই প্রশ্নে একটু বিপাকেই পড়তে হলো পরিচিত আলোকচিত্রীকে। মিরপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জিতেছে। মোস্তাফিজ চেয়েছিলেন, তাঁর একটা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহার করবেন।
১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে প্রথম ম্যাচের নায়ক হয়েছেন নাসুম আহমেদ। স্বাভাবিকভাবেই সবার আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলেন তিনি। আলোকচিত্রীদের ক্লিকও বেশি হয়েছে তাঁর দিকে ক্যামেরা তাক করে। প্রথম ম্যাচে মোস্তাফিজের একটা ‘ভালো ছবি’ পাওয়া তাই কঠিন হলেও গতকাল আর সেটি হয়নি! দুর্দান্ত বোলিংয়ে তাঁর দিকেই দৃষ্টি রাখতে বাধ্য করেছেন বাঁহাতি পেসার। গত কয়েক বছরে বোলার মোস্তাফিজকে দুটি কথার সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হয়েছে। তিনি যখন ছন্দ হারিয়ে ফেলেন, তখন শোনা যায়, ‘মোস্তাফিজের বোলিংয়ে সেই ধারটা নেই!’ আবার ছন্দে ফিরলে শোনা যায়, ‘দেখা মিলল আগের মোস্তাফিজের!’
কালকের বোলিংয়ে ‘আগের মোস্তাফিজ’ দেখা যাওয়ায় প্রশংসাবৃষ্টিতে ভিজবেন, এটিই স্বাভাবিক। সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের উইকেটে মোস্তাফিজকে খেলা সব সময়ই কঠিন—সেটির সঙ্গে আগের মোস্তাফিজ কিংবা পরের মোস্তাফিজের কোনো সম্পর্ক নেই, এ কথা বলবেন না এমন কোনো ব্যাটসম্যান খুঁজে পাওয়া কঠিন। নিচু-মন্থর উইকেট; যেখানে বল থেমে আসবে, বাঁক নেবে—এমন উইকেটেই মোস্তাফিজ বিষ মেশানো কাটারে ব্যাটসম্যানদের নাচিয়ে ছাড়বেন। দুর্বোধ্য স্লোয়ারে বোকা বানিয়ে সারল্যমাখা হাসিতে হাততালি দেবেন, দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ‘ইয়েস! ইয়েস!’ বলবেন—এটিই যেন স্বাভাবিক দৃশ্য। মোস্তাফিজের সামনে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানেরা কাল যেমন কোনো পথই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অথচ ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আক্রমণে আসা মোস্তাফিজের শুরুটাই হয়েছে বাউন্ডারি হজম করে। মোস্তাফিজ অবশ্য তাতে একটুও বিচলিত হননি। তৃতীয় বলেই দেখালেন ভেলকি। অস্ট্রেলীয় ওপেনার জশ ফিলিপ ফিজের স্লোয়ারটা বুঝতেই পারেননি। লেগ স্টাম্প ছেড়ে হালকা এগিয়ে খেলতে গিয়ে রীতিমতো বোকা বনে যান ফিলিপ। আর তাতেই বোল্ড অজি ওপেনার।
মোস্তাফিজকে এরপর আক্রমণে আসেন ১২তম ওভারে। এ ওভারে উইকেট না পেলেও দেন ৫ রান। শেষ দিকে মোস্তাফিজ আরও ভয়ংকর। ১৮তম ওভারে মোস্তাফিজকে আড়াআড়িতে খেলতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। তাঁর লেগ স্টাম্প উড়িয়ে দেন ফিজ। পরের বলে দারুণ এক বাউন্সারে ফেরান অ্যাশটন অ্যাগারকে। হ্যাটট্রিকের সুযোগই চলে এসেছিল মোস্তাফিজের। সেটি না হলেও যে বোলিংটা করেছেন, তাতেই অস্ট্রেলিয়া আটকে গেছে ১২১ রানে।
৪ ওভারে ৩ উইকেট পেয়েছেন ২৩ রান খরচে। উইকেটশিকারে এগিয়ে তো বটেই, কাল বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডট বল দিয়েছেন মোস্তাফিজই। তাঁর ইকোনমি রেট ৫.৭৫। ৪৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যে নয়বার ৩ উইকেট পেয়েছেন, এর মধ্যে দুবার ইকোনমি রেট ছয়ের নিচে রাখতে পেরেছেন মোস্তাফিজ।
টি-টোয়েন্টি তাঁর অন্যতম প্রিয় সংস্করণ। এই সংস্করণে ভালো করবেন, এটি যেন অনুমিতই। মে মাসে স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দারুণ বোলিং করেছিলেন। সব ঠিক থাকলে রাজস্থানের হয়ে সেপ্টেম্বরে আইপিএলের বাকি অংশও খেলতে পারেন মোস্তাফিজ। অবশ্য আপাতত আইপিএল নয়, তাঁর ভাবনায় শুধুই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ।
সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে নিয়মিত খেলতে পারেননি চোটে পড়ে। এই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে আবারও দুর্দান্ত ছন্দে ফিরতে মোস্তাফিজ কতটা উন্মুখ, সেটি দেখাই যাচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া: ২০ ওভারে ১২১/৭
(মার্শ ৪৫, হেনরিকস ৩০, স্টার্ক ১৩; মোস্তাফিজ ৩/২৩, শরিফুল ২/২৭, মেহেদী ১/১২)
বাংলাদেশ: ১৮.৪ ওভারে ১২৩/৫ (আফিফ ৩৭*, সাকিব ২৬, মেহেদী ২৩; অ্যাগার ১/১৭, হ্যাজেলউড ১/২১)
ফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
বাংলাদেশের গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সবচেয়ে সফল ব্যাটার ছিলেন জাকের আলী অনিক। সে সফরে দুই টেস্টের সিরিজে করেছিলেন ১৭৬ রান। তিনটি টি-টোয়েন্টিতে ৬০ গড়ে ১২০ রান। দুই সংস্করণেই তিনি ছিলেন সফরকারী দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সে সফরে ওয়ানডে সিরিজেও রান পেয়েছিলেন জাকের; তিন ওয়ানডেতে ৫৬.৫০ গড়ে করেছিলেন ১১৩।
১ ঘণ্টা আগেমিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। কুড়ি ওভারের একাধিক ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয়। টেস্ট খেলুড়ে হিসেবে নবমতম দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়। শোকের দিনে এল বাংলাদেশ দলের সিরিজ জয়ের সাফল্য। অধিনায়ক লিটন দাস এই জয় উৎসর্গ করলেন
৪ ঘণ্টা আগেসহজে জয়ের ইঙ্গিত দিয়েও ফাহিম আশরাফের তাণ্ডবে কঠিন হয়ে ওঠে ম্যাচ। তবে ১৯তম ওভারের শেষ বলে ফাহিমকে বোল্ড করে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন রিশাদ হোসেন। শেষ ওভারে জিততে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩, বাংলাদেশের ১ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম বলেই মিড অফ দিয়ে দারুণ এক চারে ম্যাচ আরও জমিয়ে তোলেন
৫ ঘণ্টা আগেবাড়িতে টিভি ছিল না। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা খেলোয়াড় হওয়ায় মোসাম্মৎ সাগরিকার ঘরে পৌঁছে যায় দুটি টিভি। তবু গ্যালারিতে বসে মেয়ের খেলা দেখার আনন্দই অন্য রকম। সাগরিকার বাবা লিটন আলীও চেয়েছিলেন তা। কিন্তু জটিলতার কারণে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় আসতে পারেননি তিনি।
৬ ঘণ্টা আগে