ক্রীড়া ডেস্ক
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য, কিন্তু অভিযানের শুরুতেই অন্য বাস্তবতার মুখোমুখি। আজ দুবাইয়ে পাকিস্তান ‘এ’ দলের কাছেই খাবি খেল বাংলাদেশ। পাকিস্তান শাহিনসের (‘এ’ দল) বিপক্ষে নিজেদের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণে যেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে কঠিন বার্তাই পেলেন শান্তরা।
‘প্রিয় সংস্করণ’ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের এমন ভঙ্গুর দশা কেন? চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে সমর্থকেরা এমন প্রশ্ন করতেই পারেন। নিজেদের গত ৬ ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে পাঁচটি হেরেছে তারা। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ধবলধোলাই ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হার। হোক প্রস্তুতি ম্যাচ, পাকিস্তানের দ্বিতীয় সারির দলের সঙ্গেও পেরে ওঠেননি শান্তরা। শাহিনসের কাছে হেরে গেছেন তাঁরা ৭ উইকেটে।
প্রস্তুতি ম্যাচের ফল মুখ্য নয়। ঝালিয়ে নেওয়াই আসল উদ্দেশ্য। কিন্তু বাংলাদেশ যেভাবে ৩৮.২ ওভারে ২০২ রানে গুটিয়ে গেছে, ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা নিয়েই মূল মঞ্চে পা রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। লো স্কোরিং ম্যাচে বোলাররাও অসাধারণ কিছু করে দেখাতে পারেননি। বল হাতে নাহিদ রানা-মেহেদী হাসান মিরজরা লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি। বাংলাদেশের দেওয়া ২০৩ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান শাহিনস তাড়া করেছে ৩৫.৪ ওভারে।
লোয়ার অর্ডারে তানজিম সাকিব ও নাসুম আহমেদ অবদান না রাখলে, বাংলাদেশের স্কোর দেড় শতেই আটকে যেত। সর্বোচ্চ জুটি হয়েছে ৫৬ রানের। দুবাই আইসিসি একাডেমিতে কাল টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে আলী রেজার বলে বোল্ড হলেন তানজিদ হাসান তামিম (৬)। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানের জুটিতে অনায়াসে সামলে নেন সৌম্য সরকার ও শান্ত। লম্বায় সময় ধরে ছন্দ হারানো শান্তর জন্য প্রস্তুতি ম্যাচটি আদর্শ হতে পারত রানে ফেরার। অষ্টম ওভারে ১২ রানে ফিরলেন তিনিও। পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেট হারালেও রান উঠেছিল ৬০।
চোট থেকে ফেরা সৌম্য পেয়েছিলেন দারুণ শুরু। শান্তর পরপরই স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে ৩৮ বলে ৩৫ রান করে রান-আউটে কপাল পুড়ল এ বাঁহাতির। চতুর্থ উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয়ের ৫৬ রানের জুটিতে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ১১৯ রানে। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন হৃদয়। আউট হয়েছেন ১৯ রানে। শান্তর মতো মিডল অর্ডারে বেশ লম্বা সময় ধুঁকছেন হৃদয়ও।
২৩ তম ওভারে হৃদয়কে দিয়ে শুরু, টানা ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার একাই ধসিয়ে দিয়েছেন উসামা মির। মুশফিকুর রহিম ফেরেন ৭ রান করে। এরপর গুরুত্বপূর্ণ মিরাজের উইকেটটিও নিয়েছেন। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান এসেছে মিরাজের ব্যাট থেকে। জাকের আলী অনিক ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। ১৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে দেড় শ রানের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেখান থেকে লেজের শক্তি দেখিয়েছেন সাকিব (৩০), রিশাদ হোসেন (১৪) ও নাসুম আহমেদ (১৬)। পাকিস্তান ‘এ’ দলের স্পিনারদের ৭ উইকেট দিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ মূল মঞ্চে তাদের মোকাবিলা করতে হবে মিচেল স্যান্টনার, কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, আবরার আহমেদের মতো বিশ্বমানের স্পিনারেদর।
বোলিংয়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল ভালো শুরু। পাওয়ার-প্লের ১০ ওভারে ৪২ রানে ২টি উইকেট নেন নাহিদ রানা ও মিরাজ। ২০ ওভারে ৩ উইকেটে পাকিস্তান তুলতে পারে ৮৭ রান। আরেকটি উইকেট নেন সাকিব। মাঝের ওভারে উইকেট নিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। সেটাও তো দুশ্চিন্তার আরেক কারণ। চতুর্থ উইকেটে জয়ের ভিত পেয়ে যায় পাকিস্তান ‘এ’ দল। অধিনায়ক মোহাম্মদ হারিস ৭৬ রান করে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। মুবাসির খান ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
দুবাইয়ে অনুশীলনের প্রথম দিন প্রস্তুতি ম্যাচকেই গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন দলের পেসার তানজিম হাসান সাকিব, ‘প্রস্তুতি ম্যাচটা থেকে আমরা মূল ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে নেব।’ কিন্তু কালকের পারফরম্যান্সে কি আর বলা যাচ্ছে, মূল ম্যাচের প্রস্তুতি ঠিকঠাক হয়েছে?
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য, কিন্তু অভিযানের শুরুতেই অন্য বাস্তবতার মুখোমুখি। আজ দুবাইয়ে পাকিস্তান ‘এ’ দলের কাছেই খাবি খেল বাংলাদেশ। পাকিস্তান শাহিনসের (‘এ’ দল) বিপক্ষে নিজেদের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে অসহায় আত্মসমর্পণে যেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে কঠিন বার্তাই পেলেন শান্তরা।
‘প্রিয় সংস্করণ’ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের এমন ভঙ্গুর দশা কেন? চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে সমর্থকেরা এমন প্রশ্ন করতেই পারেন। নিজেদের গত ৬ ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে পাঁচটি হেরেছে তারা। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ধবলধোলাই ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হার। হোক প্রস্তুতি ম্যাচ, পাকিস্তানের দ্বিতীয় সারির দলের সঙ্গেও পেরে ওঠেননি শান্তরা। শাহিনসের কাছে হেরে গেছেন তাঁরা ৭ উইকেটে।
প্রস্তুতি ম্যাচের ফল মুখ্য নয়। ঝালিয়ে নেওয়াই আসল উদ্দেশ্য। কিন্তু বাংলাদেশ যেভাবে ৩৮.২ ওভারে ২০২ রানে গুটিয়ে গেছে, ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা নিয়েই মূল মঞ্চে পা রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। লো স্কোরিং ম্যাচে বোলাররাও অসাধারণ কিছু করে দেখাতে পারেননি। বল হাতে নাহিদ রানা-মেহেদী হাসান মিরজরা লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি। বাংলাদেশের দেওয়া ২০৩ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান শাহিনস তাড়া করেছে ৩৫.৪ ওভারে।
লোয়ার অর্ডারে তানজিম সাকিব ও নাসুম আহমেদ অবদান না রাখলে, বাংলাদেশের স্কোর দেড় শতেই আটকে যেত। সর্বোচ্চ জুটি হয়েছে ৫৬ রানের। দুবাই আইসিসি একাডেমিতে কাল টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে আলী রেজার বলে বোল্ড হলেন তানজিদ হাসান তামিম (৬)। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৪ রানের জুটিতে অনায়াসে সামলে নেন সৌম্য সরকার ও শান্ত। লম্বায় সময় ধরে ছন্দ হারানো শান্তর জন্য প্রস্তুতি ম্যাচটি আদর্শ হতে পারত রানে ফেরার। অষ্টম ওভারে ১২ রানে ফিরলেন তিনিও। পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেট হারালেও রান উঠেছিল ৬০।
চোট থেকে ফেরা সৌম্য পেয়েছিলেন দারুণ শুরু। শান্তর পরপরই স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে ৩৮ বলে ৩৫ রান করে রান-আউটে কপাল পুড়ল এ বাঁহাতির। চতুর্থ উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয়ের ৫৬ রানের জুটিতে বাংলাদেশ পৌঁছে যায় ১১৯ রানে। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হয়েছেন হৃদয়। আউট হয়েছেন ১৯ রানে। শান্তর মতো মিডল অর্ডারে বেশ লম্বা সময় ধুঁকছেন হৃদয়ও।
২৩ তম ওভারে হৃদয়কে দিয়ে শুরু, টানা ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার একাই ধসিয়ে দিয়েছেন উসামা মির। মুশফিকুর রহিম ফেরেন ৭ রান করে। এরপর গুরুত্বপূর্ণ মিরাজের উইকেটটিও নিয়েছেন। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান এসেছে মিরাজের ব্যাট থেকে। জাকের আলী অনিক ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। ১৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে দেড় শ রানের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে সেখান থেকে লেজের শক্তি দেখিয়েছেন সাকিব (৩০), রিশাদ হোসেন (১৪) ও নাসুম আহমেদ (১৬)। পাকিস্তান ‘এ’ দলের স্পিনারদের ৭ উইকেট দিয়েছে বাংলাদেশ। অথচ মূল মঞ্চে তাদের মোকাবিলা করতে হবে মিচেল স্যান্টনার, কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, আবরার আহমেদের মতো বিশ্বমানের স্পিনারেদর।
বোলিংয়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল ভালো শুরু। পাওয়ার-প্লের ১০ ওভারে ৪২ রানে ২টি উইকেট নেন নাহিদ রানা ও মিরাজ। ২০ ওভারে ৩ উইকেটে পাকিস্তান তুলতে পারে ৮৭ রান। আরেকটি উইকেট নেন সাকিব। মাঝের ওভারে উইকেট নিতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। সেটাও তো দুশ্চিন্তার আরেক কারণ। চতুর্থ উইকেটে জয়ের ভিত পেয়ে যায় পাকিস্তান ‘এ’ দল। অধিনায়ক মোহাম্মদ হারিস ৭৬ রান করে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। মুবাসির খান ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
দুবাইয়ে অনুশীলনের প্রথম দিন প্রস্তুতি ম্যাচকেই গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছিলেন দলের পেসার তানজিম হাসান সাকিব, ‘প্রস্তুতি ম্যাচটা থেকে আমরা মূল ম্যাচের প্রস্তুতি নিয়ে নেব।’ কিন্তু কালকের পারফরম্যান্সে কি আর বলা যাচ্ছে, মূল ম্যাচের প্রস্তুতি ঠিকঠাক হয়েছে?
সিলেটে গতকাল শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটা ছিল জিম্বাবুয়ের। বাংলাদেশ যেখানে রানের জন্য হাঁসফাঁস করেছে, যেভাবে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে ব্যাটিং করেছে স্বচ্ছন্দে। সফরকারীরা ব্যাটিং করেছে ওয়ানডে মেজাজে। অবশেষে সেই জুটি ভাঙল দ্বিতীয় দিনের সকালে।
২ মিনিট আগেদ্বিতীয় মেয়াদে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রধান কোচ হয়ে এসেছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তবে দুই বছরের চুক্তিতে এলেও সেটা পূর্ণ হওয়ার আগেই তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ছয় মাস আগের সেই ঘটনা নিয়ে হাথুরু এবার যা বললেন, তা পিলে চমকে দেওয়ার মতো।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ থেকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধ্যায় শেষ হয়েছে ছয় মাসেরও বেশি সময় আগে। তাঁর জায়গায় বাংলাদেশের প্রধান কোচের চেয়ারে বসেছেন ফিল সিমন্স। বাংলাদেশ দল যখন ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলতে ব্যস্ত, তখনই বোমা ফাটালেন হাথুরুসিংহে।
১ ঘণ্টা আগেআইপিএলে ঘরের মাঠে ছন্নছাড়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিপরীত চিত্র প্রতিপক্ষের মাঠে। ঘরের মাঠে ২ ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারা বেঙ্গালুরু আজ পাঞ্জাব কিংসকে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলে নিয়েছে পঞ্চম জয়। এমন জয়ের দিনে জোড়া রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন বিরাট কোহলি।
১২ ঘণ্টা আগে