সীমিত ওভারের ক্রিকেট ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে হচ্ছে নিয়মিতই। শুধু টেস্ট ম্যাচ হয়ে গিয়েছিল ‘অমাবস্যার চাঁদ’। অবশেষে ১৩ বছর পর ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণ ফেরার ম্যাচেই দেখা গেল বোলারদের দাপট।
গায়ানায় গতকাল শুরু হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম দিনেই ব্যাটারদের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গেছে। দিনের ৮২.২ ওভারে হয়েছে ২৫৭ রান, পড়েছে ১৭ উইকেট। তার মানে প্রতি ২৯ বলে একটি করে উইকেটের পতন হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ১৬০ রান করলেও লিড নিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হিমশিম খাচ্ছে। উইন্ডিজরা তাদের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৯৭ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে।
টস জিতলে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। উইন্ডিজ অধিনায়কের সেই আশা পূরণ হয়নি। উইকেট ভালো দেখে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টেম্বা বাভুমা। ভুল ভাঙতে অবশ্য বেশি দেরি হয়নি বাভুমার। ক্যারিবীয় পেসারদের আগুনে বোলিংয়ে ১০.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ২০ রানে পরিণত হয় প্রোটিয়ারা। বাভুমা ২ বল খেলে বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই।
বিপদে পড়া প্রোটিয়াদের ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন ডেভিড বেডিংহাম ও ত্রিস্তান স্তাবস। চতুর্থ উইকেটে ৭২ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন তাঁরা। ২৩তম ওভারের চতুর্থ বলে স্তাবসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জেসন হোল্ডার। এখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে মড়ক লাগার শুরু। মুহূর্তেই ৯ উইকেটে ৯৭ রানে পরিণত হয় প্রোটিয়ারা। তখন দেখার অপেক্ষা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে কত দ্রুত অলআউট করতে পারে উইন্ডিজ। কিন্তু কিসের কী! দশম উইকেটে ড্যান পিয়েট ও নান্দ্রে বার্গার ১০৭ বলে গড়েছেন ৬৩ রানের জুটি। ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন পিয়েট। ৬০ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন তিনি। ক্যারিবীয় পেসার শামার জোসেফ ৩৩ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ২ রানেই ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে মিকাইল লুইসকে বোল্ড করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি পেসার নান্দ্রে বার্গার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা উইন্ডিজ ১৫.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৬ রানে পরিণত হয়। সপ্তম উইকেটে হোল্ডার ও গুড়াকেশ মোতির জুটি আশা জাগাচ্ছিল উইন্ডিজ ভক্ত সমর্থকদের। ৭৫ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন হোল্ডার ও মোতি। ২৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোতিকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন কেশব মহারাজ। দিনের খেলা এখানেই শেষ ঘোষণা করা হয়।
প্রথম দিনে ১৭ উইকেটের ১৫টিই নিয়েছেন পেসাররা। শামারের ৫ উইকেটের পর দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার উইয়ান মাল্ডার নেন ৪ উইকেট। যেখানে শামারের পরিবারের সদস্যরা গায়ানার গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছেন। ম্যাচ শেষে ক্যারিবীয় পেসার বলেন, ‘আমার মা-বাবা, ভাইবোনেরা এখানে আছেন। এটা দারুণ এক অনুভূতি। আরও একবার ইনিংসে ৫ উইকেটে নিলাম।’
বৃষ্টির বাগড়ায় ত্রিনিদাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল। গায়ানায় চলমান দ্বিতীয় টেস্টে যে জিতবে, সিরিজ হবে সেই দলের। এই ম্যাচসহ গায়ানায় এখন পর্যন্ত তৃতীয় টেস্ট চলছে। এর আগে ২০০৮ ও ২০১১ সালে দুটি টেস্ট হয়েছিল। ২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২১ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪০ রানের জয় উইন্ডিজ পেয়েছিল ২০১১ সালে।
সীমিত ওভারের ক্রিকেট ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে হচ্ছে নিয়মিতই। শুধু টেস্ট ম্যাচ হয়ে গিয়েছিল ‘অমাবস্যার চাঁদ’। অবশেষে ১৩ বছর পর ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণ ফেরার ম্যাচেই দেখা গেল বোলারদের দাপট।
গায়ানায় গতকাল শুরু হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম দিনেই ব্যাটারদের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠে গেছে। দিনের ৮২.২ ওভারে হয়েছে ২৫৭ রান, পড়েছে ১৭ উইকেট। তার মানে প্রতি ২৯ বলে একটি করে উইকেটের পতন হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ১৬০ রান করলেও লিড নিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হিমশিম খাচ্ছে। উইন্ডিজরা তাদের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৯৭ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে।
টস জিতলে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। উইন্ডিজ অধিনায়কের সেই আশা পূরণ হয়নি। উইকেট ভালো দেখে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টেম্বা বাভুমা। ভুল ভাঙতে অবশ্য বেশি দেরি হয়নি বাভুমার। ক্যারিবীয় পেসারদের আগুনে বোলিংয়ে ১০.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ২০ রানে পরিণত হয় প্রোটিয়ারা। বাভুমা ২ বল খেলে বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই।
বিপদে পড়া প্রোটিয়াদের ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন ডেভিড বেডিংহাম ও ত্রিস্তান স্তাবস। চতুর্থ উইকেটে ৭২ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন তাঁরা। ২৩তম ওভারের চতুর্থ বলে স্তাবসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জেসন হোল্ডার। এখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে মড়ক লাগার শুরু। মুহূর্তেই ৯ উইকেটে ৯৭ রানে পরিণত হয় প্রোটিয়ারা। তখন দেখার অপেক্ষা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে কত দ্রুত অলআউট করতে পারে উইন্ডিজ। কিন্তু কিসের কী! দশম উইকেটে ড্যান পিয়েট ও নান্দ্রে বার্গার ১০৭ বলে গড়েছেন ৬৩ রানের জুটি। ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন পিয়েট। ৬০ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ১ ছক্কা মেরেছেন তিনি। ক্যারিবীয় পেসার শামার জোসেফ ৩৩ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে ২ রানেই ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে মিকাইল লুইসকে বোল্ড করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি পেসার নান্দ্রে বার্গার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা উইন্ডিজ ১৫.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৬ রানে পরিণত হয়। সপ্তম উইকেটে হোল্ডার ও গুড়াকেশ মোতির জুটি আশা জাগাচ্ছিল উইন্ডিজ ভক্ত সমর্থকদের। ৭৫ বলে ৪১ রানের জুটি গড়েন হোল্ডার ও মোতি। ২৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোতিকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে জুটি ভাঙেন কেশব মহারাজ। দিনের খেলা এখানেই শেষ ঘোষণা করা হয়।
প্রথম দিনে ১৭ উইকেটের ১৫টিই নিয়েছেন পেসাররা। শামারের ৫ উইকেটের পর দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার উইয়ান মাল্ডার নেন ৪ উইকেট। যেখানে শামারের পরিবারের সদস্যরা গায়ানার গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছেন। ম্যাচ শেষে ক্যারিবীয় পেসার বলেন, ‘আমার মা-বাবা, ভাইবোনেরা এখানে আছেন। এটা দারুণ এক অনুভূতি। আরও একবার ইনিংসে ৫ উইকেটে নিলাম।’
বৃষ্টির বাগড়ায় ত্রিনিদাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল। গায়ানায় চলমান দ্বিতীয় টেস্টে যে জিতবে, সিরিজ হবে সেই দলের। এই ম্যাচসহ গায়ানায় এখন পর্যন্ত তৃতীয় টেস্ট চলছে। এর আগে ২০০৮ ও ২০১১ সালে দুটি টেস্ট হয়েছিল। ২০০৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১২১ রানে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪০ রানের জয় উইন্ডিজ পেয়েছিল ২০১১ সালে।
৯০ মিনিটের একটি ম্যাচ, সেটা ঘিরে কতই না উন্মাদনা। দেশের ফুটবলও দানা বাঁধতে শুরু করেছে নতুন করে। ১০ জুন সিঙ্গাপুরকে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হারালে স্বপ্নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবেন হামজা চৌধুরী-শমিত শোমরা। এনিয়ে চতুর্থবার সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।
১ ঘণ্টা আগেনেইমার থাকবেন, অথচ তাঁকে নিয়ে আলোচনা হবে না—সেটা কি কখনো সম্ভব! মাঠের পারফরম্যান্স যেমনই হোক, তাঁর অন্যান্য কর্মকাণ্ড নিয়ে কথাবার্তা হয় প্রায় সময়ই। ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে এবার তাঁর আলোচিত প্রেমিকা যা বললেন, সেটা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো।
৩ ঘণ্টা আগেব্যাট সামনে দেখলেই নিশপিশ করত হাত। তাই নিজের ঘরেই একটি আলাদা ব্যাট রাখতেন তিনি। মন চাইলে করে নিতেন শ্যাডো ব্যাটিং। সেই স্টিভেন স্মিথ কি না ব্যাট ধরেননি তিন মাস। ব্যাটিং পাগল হিসেবে তিনি নিজেকে যেভাবে পরিচিত করেছেন, তারপর এমনটা শুনলে অবাকই হতে হয়। কিস্তু কথাটি যখন স্মিথ নিজেই বলেছেন, তখন বিশ্বাস না
৩ ঘণ্টা আগেখেলোয়াড় হিসেবে রিকি পন্টিং কতটা সফল, সেটা বলবে তাঁর পরিসংখ্যান। রানের পর রান করে রেকর্ড গড়েছেন। তাঁর ক্যাবিনেটেও আছে একগাদা শিরোপা। হার না মানা মানসিকতা নিয়ে খেলে অসংখ্য হারা ম্যাচ জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তি।
৪ ঘণ্টা আগে