Ajker Patrika

পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে চোখ বাংলাদেশের মেয়েদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৪৭
পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে চোখ বাংলাদেশের মেয়েদের

পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দারুণ সূচনা করেছে বাংলাদেশ নারী দল। তবে এই পথটা একদমই সহজ ছিল না সালমা খাতুন-নিগার সুলতানা জ্যোতিদের। করোনার কারণে লম্বা সময় থাকতে হয়েছে মাঠের বাইরে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আজ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচের আগে পাড়ি দেওয়া কঠিন সময় আর নিজের অধিনায়ক হয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি। 

পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর জ্যোতিদের `আমরা করব জয়' গানটা সাড়া ফেলেছে চারদিকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ প্রশংসা পাচ্ছেন তাঁরা। জয়ের পর ড্রেসিংরুমে এই গানটা নিয়মিত গান সাকিব-তামিমরা। বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর পর এই গানেই বিজয়ের জানান দেন সালমা-জ্যোতিরা। আজ ম্যাচের আগে আইসিসির ভিডিও বার্তায় জ্যোতি জানালেন, ‘আমরা করব জয় গানটা আমাদের আরও অনুপ্রেরণা দেয় এবং ভালো খেলার নতুন উদ্যম জোগায়। পাকিস্তানকে হারানো সত্যিই বিশেষ অনুভূতি। এটি অসাধারণ এক ম্যাচ ছিল। এমন ম্যাচে আমি সব সময় চোখ বন্ধ করে রাখি।’ 

করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে ছিল বাংলাদেশ। সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে জ্যোতি জানালেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আমরা পুরোপুরি ঘরে বসা ছিলাম। প্রথম দুই-তিন মাস খুব কঠিন ছিল। আমরা এতে অভ্যস্ত ছিলাম না। কয়েকজন খেলোয়াড় জানান, বাড়িতে তাদের বাবা-মায়েরা অনুশীলনে সহায়তা করেছেন, নেটে বল থ্রো করেছেন। আমার বাবা মাছ ধরার জাল দিয়ে ব্যাটিং অনুশীলনের নেট বানিয়ে দিয়েছিলেন। মহামারির কারণে বাইরে যাওয়া যাচ্ছিল না। তিনিই বল থ্রো করেছেন এবং আমি ব্যাটিং অনুশীলন করেছি। আর বল কুড়িয়ে আনার দায়িত্ব পালন করেছেন আমার মা।’ 

এত কিছুর পর পাকিস্তানের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করতে পারায় দারুণ খুশি জ্যোতি। এখনো বাছাইয়ে মনোযোগ রাখলেও বিশ্বকাপকে যে পাখির চোখ করছেন সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। বাছাইপর্বের আগে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ বাংলাদেশকে কন্ডিশন আর আবহাওয়ার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়। এমন একটা সুযোগের অপেক্ষার কথাই জানিয়েছেন জ্যোতি। জিম্বাবুয়ে সফর দিয়েই বাংলাদেশের নতুন অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছে জ্যোতির। মাত্র ২৪ বছর বয়সে অধিনায়কের গুরুদায়িত্ব কাঁধে উঠেছে। 

নেতা হিসেবে বেড়ে ওঠা আর নেতৃত্ব দেওয়ার সেই গুণাবলির গল্পও শুনিয়েছেন জ্যোতি। তাঁর মুখেই সেটা শোনা যাক, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, সব সময়ই ক্লাসে ক্যাপ্টেন থাকতাম। এটা আসলে আমার রক্তেই ছিল। আমার ভাই আমাকে সব সময় বলেছেন, তুমি ক্যাপ্টেন হবে। তো উনি সেভাবেই আমাকে বড় করেছেন। তবে আমি কখনো ভাবিনি এত আগেই এই সুযোগ পেয়ে যাব। কঠিন সময়ে মেজাজ ঠান্ডা রাখা, নিবেদন ও নতুন কিছুর তাড়নার একটা মিশ্রণ রয়েছে আমার মধ্যে। ম্যাচের মধ্যে আমি প্রায়ই অদ্ভুত অদ্ভুত কিছু করি। সেগুলো যেভাবেই হোক দলের কাজে লেগে যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত