Ajker Patrika

‘ভুল করা বাংলাদেশের রুটিন হয়ে গেছে’

ক্রীড়া ডেস্ক    
রমিজ রাজার মতে, ভুল করা যেন বাংলাদেশের রুটিন হয়ে গেছে। ছবি: এএফপি
রমিজ রাজার মতে, ভুল করা যেন বাংলাদেশের রুটিন হয়ে গেছে। ছবি: এএফপি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ দল। লাহোরে ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৭৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ওপেনিং জুটি জমা করে ৪৪ রান। তারপর ১২ রানে হারায় ৫ উইকেট। মাঝে সিঙ্গেল না নেওয়ায় তাওহীদ হৃদয়ের ওপর মেজাজ হারানো লিটন দাসের ব্যাপারটিও ছিল আলোচনায়। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজার মতে, ভুল করা যেন বাংলাদেশের রুটিনই হয়ে গেছে।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে হাসান আলির বল আলতো করে খেলেই রানের জন্য ছুটেছিলেন লিটন, দুইবার কলেও সাড়া দেননি নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা হৃদয়, ফিরিয়ে দেন লিটনকে। এতে মেজাজ হারান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফিরে গিয়ে তিনি হৃদয়কে কিছু একটা বলছিলেন। তবে লিটনের মেজাজ হারানোর ব্যাপারটি নিয়ে ধারাভাষ্যকক্ষে আলোচনা করছিলেন রমিজ ও আমির সোহেল। রমিজ বলছিলেন, ‘লিটন তো রেগেমেগে আগুন।’ সোহেল জবাবে বলছিলেন, ‘এটা তো সিঙ্গেল হয় না। হৃদয় ঠিক কাজই করেছেন।’

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও লিটনকে ব্যাপারটি নিয়ে জিজ্ঞেস করেন রমিজ। পরবর্তীতে নিজের ইউটিউব চ্যানেলেও রমিজ লিটনের আউট নিয়ে কথা বলেন, ‘হৃদয়ের একটা কনফিউশনের পর লিটন যেভাবে হিট করল, আমার মনে হচ্ছিল লিটনের ভেতর অনেক হতাশা ছিল। আর যে হতাশ থাকবে, সে আউট হয়েই যাবে। তাকে বুঝতে হবে, আপনার সতীর্থ ভুল করবে কিন্তু আপনার মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে।’

রমিজ মনে করেন, বাংলাদেশ দলে কেউ লম্বা সময় ধরে ব্যাট করতে পারছে না, যার বড় কারণ মানসিক স্থিতিশীলতার অভাব। সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘বাংলাদেশ দল প্রায় সব সময়ই এমন—প্রথম ম্যাচে ভুল করে, তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে আরও বেশি ভুল করে এবং তৃতীয় ম্যাচে করে নতুন নতুন ভুল। তাদের ভুল করা যেন রুটিন হয়ে গেছে।’

টানা ভুল নেতিবাচক মানসিকতা তৈরি করে বললেন রমিজ, ‘এই ভুলের ধারাবাহিকতা দলে নেতিবাচক মানসিকতা তৈরি করে। শুরু থেকেই মনে হয় যে জেতা যাবে না। এই ধারণা কোনো দলে ঢুকে গেলে তা থেকে ফিরে আসা খুব কঠিন হয়ে যায়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত