ঝড় যে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তুলতে পারেন না, তা তো নয়। ঝোড়ো ইনিংস খেলে মাঝেমধ্যেই প্রতিপক্ষের থেকে ম্যাচ কেড়ে নেওয়ার উদাহরণ তাঁর রয়েছে অনেক। তবে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গতকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাক্সওয়েল যা দেখালেন, সেটাকে ‘টর্নেডো’, ‘সাইক্লোন’ বললেও হয়তো তা বাড়াবাড়ি হবে না। এইডেন মার্করামকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের নামে লিখিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। আর এমন রেকর্ড গড়ার কথা তাঁর ভাবনাতেও ছিল না।
প্রথমে ব্যাটিং করা অস্ট্রেলিয়ার স্কোর একটা পর্যায়ে ছিল ৩৯ ওভারে ৪ উইকেটে ২৬৬ রান। এর পরই ব্যাটিং অর্ডারের ৬ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামেন ম্যাক্সওয়েল। উইকেটে এলেও ৪১ ওভারের আগ পর্যন্ত বল মোকাবিলার কোনো সুযোগ পাননি তিনি। এই ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে বাস ডি লিডকে টানা ২টি চার মারেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার এরপর নেদারল্যান্ডসের যেই বোলারকে পেয়েছেন, তাঁকেই বেধড়ক পিটিয়েছেন। ম্যাক্সওয়েলের একের পর এক ছক্কা আছড়ে পড়ে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে।
বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে থাকা ম্যাক্সওয়েল রেকর্ড গড়তে বেছে নিয়েছেন ডি লিডকেই। ৪৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি চার মারেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ বলে টানা ২টি ছক্কা মারেন। তাতে তাঁর স্কোর দাঁড়ায় ৩৯ বলে ৯৫ রান। মার্করামের ৪৯ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙা ম্যাক্সওয়েলের কাছে ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ম্যাক্সওয়েলও আর দেরি করেননি। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারকে ডি লিড ওই ওভারের (৪৯তম) পঞ্চম বলটি দিয়েছেন কোমরের চেয়ে উঁচু বরাবর ফুলটস। ম্যাক্সওয়েল সেটাকে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে ৪০ বলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১০৬ রান করা ম্যাক্সওয়েলই জিতেছেন ম্যাচ-সেরার পুরস্কার। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার বলেন, ‘তেমন কিছু করার কথা ভাবতে পারিনি। এটা শুধু ম্যাচের পরিস্থিতি ছিল। শেষের দিকে ভালো একটা স্কোর করতে চেয়েছিলাম এবং সুযোগটা কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম। বলও খুব দ্রুত দৌড়ে যাচ্ছিল। ছন্দে ফিরে খুব ভালো লাগছে।’
এ বছরটা ওয়ানডেতে তেমন একটা ভালো যাচ্ছিল না ম্যাক্সওয়েলের। গতকালের বিধ্বংসী সেঞ্চুরির আগে ছয় ম্যাচে করেছিলেন ৬২ রান। চার ম্যাচে আউট হয়েছিলেন এক অঙ্কের ঘরে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বলে মনে করেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার বলেন, ‘জানতাম যে আমি একটু চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। এটা আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। ধারাবাহিক রান না পাওয়ায় একটু সংশয়ে পড়ে গিয়েছিলাম। তবে স্কোর করে ভালো লাগছে।’
বিশ্বকাপের মঞ্চে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, সেটা অস্ট্রেলিয়ার ভালোমতোই জানা। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে নেট রানরেটের বেহাল দশা হয়েছিল অজিদের। এরপর টানা তিন ম্যাচে বিশাল জয়ে +১.১৪২ নেট রানরেট নিয়ে এখন ৪ নম্বরে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা, যার মধ্যে গতকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিং করে ৩৯৯ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ডাচদের ৯০ রানে অলআউট করে ৩০৯ রানের জয় তুলে নিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। এ ব্যাপারে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘এর চেয়ে সুন্দর খেলা আর কী হতে পারে! ৪০০-এর মতো রান করে তাদের (নেদারল্যান্ডস) ১০০-এর আগে অলআউট করে দেওয়া। আমরা টানা তিনটা বড় ম্যাচ জিতেছি।’
ঝড় যে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল তুলতে পারেন না, তা তো নয়। ঝোড়ো ইনিংস খেলে মাঝেমধ্যেই প্রতিপক্ষের থেকে ম্যাচ কেড়ে নেওয়ার উদাহরণ তাঁর রয়েছে অনেক। তবে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে গতকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাক্সওয়েল যা দেখালেন, সেটাকে ‘টর্নেডো’, ‘সাইক্লোন’ বললেও হয়তো তা বাড়াবাড়ি হবে না। এইডেন মার্করামকে পেছনে ফেলে বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের নামে লিখিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। আর এমন রেকর্ড গড়ার কথা তাঁর ভাবনাতেও ছিল না।
প্রথমে ব্যাটিং করা অস্ট্রেলিয়ার স্কোর একটা পর্যায়ে ছিল ৩৯ ওভারে ৪ উইকেটে ২৬৬ রান। এর পরই ব্যাটিং অর্ডারের ৬ নম্বরে ব্যাটিং করতে নামেন ম্যাক্সওয়েল। উইকেটে এলেও ৪১ ওভারের আগ পর্যন্ত বল মোকাবিলার কোনো সুযোগ পাননি তিনি। এই ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে বাস ডি লিডকে টানা ২টি চার মারেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার এরপর নেদারল্যান্ডসের যেই বোলারকে পেয়েছেন, তাঁকেই বেধড়ক পিটিয়েছেন। ম্যাক্সওয়েলের একের পর এক ছক্কা আছড়ে পড়ে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে।
বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে থাকা ম্যাক্সওয়েল রেকর্ড গড়তে বেছে নিয়েছেন ডি লিডকেই। ৪৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি চার মারেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ বলে টানা ২টি ছক্কা মারেন। তাতে তাঁর স্কোর দাঁড়ায় ৩৯ বলে ৯৫ রান। মার্করামের ৪৯ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙা ম্যাক্সওয়েলের কাছে ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ম্যাক্সওয়েলও আর দেরি করেননি। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডারকে ডি লিড ওই ওভারের (৪৯তম) পঞ্চম বলটি দিয়েছেন কোমরের চেয়ে উঁচু বরাবর ফুলটস। ম্যাক্সওয়েল সেটাকে ফাইন লেগ দিয়ে ছক্কা মেরে ৪০ বলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৯ চার ও ৮ ছক্কায় ১০৬ রান করা ম্যাক্সওয়েলই জিতেছেন ম্যাচ-সেরার পুরস্কার। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার বলেন, ‘তেমন কিছু করার কথা ভাবতে পারিনি। এটা শুধু ম্যাচের পরিস্থিতি ছিল। শেষের দিকে ভালো একটা স্কোর করতে চেয়েছিলাম এবং সুযোগটা কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম। বলও খুব দ্রুত দৌড়ে যাচ্ছিল। ছন্দে ফিরে খুব ভালো লাগছে।’
এ বছরটা ওয়ানডেতে তেমন একটা ভালো যাচ্ছিল না ম্যাক্সওয়েলের। গতকালের বিধ্বংসী সেঞ্চুরির আগে ছয় ম্যাচে করেছিলেন ৬২ রান। চার ম্যাচে আউট হয়েছিলেন এক অঙ্কের ঘরে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে বলে মনে করেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার বলেন, ‘জানতাম যে আমি একটু চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। এটা আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। ধারাবাহিক রান না পাওয়ায় একটু সংশয়ে পড়ে গিয়েছিলাম। তবে স্কোর করে ভালো লাগছে।’
বিশ্বকাপের মঞ্চে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, সেটা অস্ট্রেলিয়ার ভালোমতোই জানা। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে নেট রানরেটের বেহাল দশা হয়েছিল অজিদের। এরপর টানা তিন ম্যাচে বিশাল জয়ে +১.১৪২ নেট রানরেট নিয়ে এখন ৪ নম্বরে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা, যার মধ্যে গতকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিং করে ৩৯৯ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর ডাচদের ৯০ রানে অলআউট করে ৩০৯ রানের জয় তুলে নিয়ে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। এ ব্যাপারে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘এর চেয়ে সুন্দর খেলা আর কী হতে পারে! ৪০০-এর মতো রান করে তাদের (নেদারল্যান্ডস) ১০০-এর আগে অলআউট করে দেওয়া। আমরা টানা তিনটা বড় ম্যাচ জিতেছি।’
অচেনা দেশ, আসার আগে তাই পরিবার থেকেও পেয়েছিলেন সতর্কবার্তা। কিন্তু পা রাখার পর সবকিছুই যেন আপন মনে হচ্ছে সাঈদ খোদারাহমির। ইরানি এই কোচের হাত ধরে অচেনা ফুটসালকেও আপন করে নিতে চায় বাংলাদেশ।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচক প্যানেলে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। প্রশংসার চেয়ে সমালোচিতই বেশি হয়েছেন প্রধান নির্বাচক হিসেবে। নান্নু এখন কাজ করছেন বিসিবির হেড অব প্রোগ্রাম হিসেবে। এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপে খেলার আগে তিনি বিসিবিকে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেখেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে এখন বিভিন্ন রকম প্রতারণার সংবাদ শোনা যায় অহরহ। বিয়ের নাম করে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তো রয়েছেই। অনেক সময় মোটা অঙ্কের টাকা পরিশোধ না করার অভিযোগও ওঠে খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে। ভারতের তরুণ এক ক্রিকেটার ফেঁসে গেছেন এক মামলায়।
১৪ ঘণ্টা আগেঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে ভালো করলেও বাংলাদেশের বড় টুর্নামেন্টে হোঁচট খাওয়ার গল্পটা খুবই পরিচিত। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিমদের গত কয়েক বছর ধরে আইসিসি ইভেন্ট ও এশিয়া কাপে ভরাডুবি হচ্ছে নিয়মিত। মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এখন ঘরের মাঠে ভালো উইকেটের দিকে জোর দিচ্ছেন।
১৫ ঘণ্টা আগে