Ajker Patrika

শান্ত-মুমিনুলদের চাপে ফেলতে তৈরি ফিলিপস 

আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২৩, ১০: ২৪
শান্ত-মুমিনুলদের চাপে ফেলতে তৈরি ফিলিপস 

গ্লেন ফিলিপস টেস্টে তেমন একটা পরিচিত মুখ নন। হবেনই বা কী করে! ক্যারিয়ারে খেলেছেন মাত্র একটা টেস্ট। তা-ও খেলেছেন তিন বছরেরও বেশি সময় আগে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। 

টেস্টে এক ম্যাচ খেললেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ফিলিপস খেলেছেন ৪৯ ম্যাচ। সর্বশেষ এ বছরের মার্চেই ঘরের মাঠ আলেক্সান্দ্রায় ওটাগোর হয়ে খেলেছেন অকল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে দুর্দান্ত এক ফিফটি করেছেন। পেয়েছেন ১ উইকেট। বোলিং অবশ্য তেমন একটা করেন না বললেই চলে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়েছেন ৪০ উইকেট। তবে গত রোববার শেষ হওয়া ২০২৩ বিশ্বকাপে বোলিংয়ে নিয়মিতই ছিলেন ফিলিপস। ১০ ম্যাচে পেয়েছেন ৬ উইকেট। ৬ উইকেটের ৪টাই নিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটারের উইকেট, যার মধ্যে রয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট। সেই শান্ত বাংলাদেশ দলকে এবার নেতৃত্ব দেবেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। 

শান্তর পাশাপাশি মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম, জাকির হাসানের মতো বাঁহাতি ব্যাটার আছেন বাংলাদেশের এবারের টেস্ট সিরিজে। আর নিউজিল্যান্ড দলে আছেন তিন বাঁহাতি স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল স্যান্টনার, এজাজ প্যাটেল ও লেগ স্পিনার ইশ সোধি। বাঁহাতি ও লেগ স্পিনারদের ভিড়ে ফিলিপসই শুধু অফ স্পিনার। বাংলাদেশে আসার পর গতকাল সিলেটে প্রথম অনুশীলন করেছে নিউজিল্যান্ড। সংবাদমাধ্যমে ফিলিপস বলেন, ‘আমিই একমাত্র অফ স্পিনার। তাই অন্যদের চেয়ে বল একটু অন্যভাবে ঘোরাতে পারব। তবে আমি মনে করি, বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপে অনেক বাঁহাতি ব্যাটার আছে। যদি আমি বোলিং ঠিকমতো করতে পারি, তাহলে তাদের ওপর সত্যিই চাপ প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। তাই আমাকে যেভাবেই খেলতে হোক না কেন, আমি আমার সর্বোচ্চটা দিতে তৈরি।’ 

বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড দল বাংলাদেশে এসে ওয়ানডে সিরিজ খেললেও ফিলিপস সেই সিরিজ খেলেননি। সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে। সেবার ৬ ম্যাচে ৩০ গড়ে নিয়েছিলেন ১৮০ রান। দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ সফরে এসে সিলেটে ঘাসের উইকেট দেখে গতকাল একটু অবাকই যেন হয়েছেন তিনি। কিউই ব্যাটার বলেন, ‘বাংলাদেশে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এলাম। ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে এসেছিলাম। এখানে শেষবার যেমন ছিল, সবকিছু সেই রকমই আছে। তবে আমরা যেমন ভেবে এসেছিলাম, উইকেট তার চেয়ে বেশি সবুজ (ঘাস আছে)। কিন্তু ম্যাচ শুরু হওয়ার আরও চার দিন বাকি আছে। অনেক কিছুই বদলে যেতে পারে। আমরা সবকিছু মিলিয়ে প্রস্তুত প্রথম ম্যাচের জন্য।’ 

এই সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্র। শুরুটা দারুণভাবে রাঙাতে চায় কিউইরা। তাই বিশ্বকাপ ক্লান্তি দূরে সরিয়ে শক্তিশালী দল নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে নিউজিল্যান্ড। ফিলিপস বললেন, ‘এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ রোমাঞ্চকর। প্রতিবার সুন্দর একটা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করা দারুণ একটা ব্যাপার। আশা করি, ছেলেরা মাঠে গিয়ে প্রক্রিয়া মেনে চলবে, সময়টা উপভোগ করবে। যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জিতবে। দেশের বাইরে সেটা জিততে পারা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে মোমেন্টামটা দেশে নিয়ে যেতে পারি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত