লাইছ ত্বোহা, ঢাকা
সকাল সব সময়ই দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয় না। এক সময়ে শুরু সাব্বির রহমান-মোহাম্মদ রিজওয়ানের উত্থান–পতন যেন এ প্রবাদের আরেকটি প্রামাণ্য চিত্র।
উজ্জ্বল সম্ভাবনা জাগিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আগমন সাব্বিরের। ক্যারিয়ারের শুরুতে তেজময় সে রশ্মি অল্পতেই নিভুনিভু। বছর তিনেক আগে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন সাব্বির। গত আগস্টে এশিয়া কাপের আগে আবারও সুযোগ পেয়েছিলেন সাব্বির। কিন্তু এই ‘লাইফ লাইন’ হেলাফেলায় নষ্ট করলেন তিনি।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এখন তাঁর থাকার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু পতনের অতল গভীরে আছেন, প্রমাণ করে স্কোয়াড থেকেই বাদ সাব্বির। শুধু পারফরম্যান্সের কারণেই নয়, গত এক মাসে তিনি বারবার আলোচনায় এলেন অক্রিকেটীয় কারণেও। ‘ব্যাড বয়’ তকমা তাঁর গায়ে যেন স্থায়ীভাবে সেঁটে যাচ্ছে। গতকাল রাতে নিজেই ফেসবুকে এলেন। দলে থাকা-না থাকা নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু এত কথা তাঁর বলতে হতো না যদি সঠিক পথে থাকতে পারতেন, মনোযোগটা শুধু ক্রিকেটে রাখতেন।
জাতীয় দলের দরজা আবার কখন সাব্বিরের জন্য উন্মুক্ত হবে–নিজেই যেন একটা বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাওয়াদ আলমরা ১০ বছর পরও ক্রিকেট সার্কিটে ফিরে আসার গল্প লিখেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে সাব্বির–নাসির হোসেনরা এমন গল্প কমই লিখতে পারেন। কিংবা পারেনই না।
সাব্বির সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের যে ম্যাচটা খেলেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে, ওই ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের অন্যতম সেরা পারফরমার রিজওয়ান যেন মনে করিয়ে দিলেন কীভাবে মেধা, পরিশ্রম, সততা আর শৃঙ্খলা থাকলে বাজে শুরুর পরও যাওয়া যায় বহু দূর।
২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল রিজওয়ানের। সে ম্যাচে দলের ৫ উইকেট পড়ার পরও ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি তিনি। মিরপুরে ম্যাচটা বাংলাদেশের কাছে ৭ উইকেটে হারে পাকিস্তান। সাব্বির ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে রিজওয়ানের অভিষেকটা হয়েছিল মলিন। তাঁর প্রায় এক বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন সাব্বির। সেদিন ম্যাচসেরা ৩২ বলে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলে সাব্বির জানান দিয়েছিলেন সাদা বলে নিজের অমিত সম্ভাবনার কথা।
মাঝে কেটে গেল রিজওয়ানের চড়াই-উতরাইয়ের সাত বছর। ২০১৫ সালের পর সাব্বির–রিজওয়ানকে আবারও দেখা গেল সর্বশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজে। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের এই ম্যাচে ৫০ বলে অপরাজিত ৭৮ রান করে ম্যাচসেরা হন রিজওয়ান। অন্য দিকে সাব্বির নিজেকে হারিয়ে খুঁজলেন। পরে তো দল ‘অদৃশ্যই’ হয়ে গেলেন।
সাত বছর আগে টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিং না হওয়ায় রিজওয়ান ব্যাট করার সুযোগ পাননি দলে। এখন সে খেলোয়াড়ই পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারের নম্বর ওয়ান ব্যাটার। তিনি এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের শীর্ষ ব্যাটার। রিজওয়ান যখন পায়ের তলা মাটি খুঁজছিলেন, সাব্বির তখন ধারাবাহিক ভালো খেলে উড়ছিলেন।
এখন ছবিটা উল্টো—রিজওয়ান যেভাবে চান সেভাবেই ব্যাট হাসে। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুতে তাঁর পথটা ছিল কাটায় ভরা। টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিং পারেন না—এমন অজুহাতে লম্বা সময় দলের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। সেই রিজওয়ানই টি-টোয়েন্টিতে নিজের ব্যাটিংকে নিয়ে গেছেন অন্য পর্যায়ে। শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, তিন সংস্করণেই তিনি পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম ভরসা। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে শুরুর ১৭ ইনিংসে ১৭.২৩ গড়ে রিজওয়ানের রান ছিল ২২৪ রান। এখন ৬২ ইনিংস শেষে ৫২.৩৪ স্ট্রাইকরেটে রিজওয়ানের ২৪৬০ রান। টি-টোয়েন্টিতে ৬২ ইনিংসে তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে ২১৯৬ রান করে এখন শীর্ষে রিজওয়ান।
এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রাঙানোর স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তানের রিজওয়ান যখন অস্ট্রেলিয়ায়, বাংলাদেশের সাব্বির তখন দেশে ফিরে ফেসবুক লাইভে এসে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন নিজের ব্যর্থতা আর সব বিতর্কের। অথচ ব্যাট যদি ভালো কথা বলত; রিজওয়ানের মতো শৃঙ্খল আর কঠোর পরিশ্রমে মনোযোগটা রাখতে পারতেন ক্রিকেটে, তাহলে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে এভাবে ফেসবুক লাইভে আসতে হতো না তাঁকে।
সকাল সব সময়ই দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয় না। এক সময়ে শুরু সাব্বির রহমান-মোহাম্মদ রিজওয়ানের উত্থান–পতন যেন এ প্রবাদের আরেকটি প্রামাণ্য চিত্র।
উজ্জ্বল সম্ভাবনা জাগিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আগমন সাব্বিরের। ক্যারিয়ারের শুরুতে তেজময় সে রশ্মি অল্পতেই নিভুনিভু। বছর তিনেক আগে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন সাব্বির। গত আগস্টে এশিয়া কাপের আগে আবারও সুযোগ পেয়েছিলেন সাব্বির। কিন্তু এই ‘লাইফ লাইন’ হেলাফেলায় নষ্ট করলেন তিনি।
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে এখন তাঁর থাকার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু পতনের অতল গভীরে আছেন, প্রমাণ করে স্কোয়াড থেকেই বাদ সাব্বির। শুধু পারফরম্যান্সের কারণেই নয়, গত এক মাসে তিনি বারবার আলোচনায় এলেন অক্রিকেটীয় কারণেও। ‘ব্যাড বয়’ তকমা তাঁর গায়ে যেন স্থায়ীভাবে সেঁটে যাচ্ছে। গতকাল রাতে নিজেই ফেসবুকে এলেন। দলে থাকা-না থাকা নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু এত কথা তাঁর বলতে হতো না যদি সঠিক পথে থাকতে পারতেন, মনোযোগটা শুধু ক্রিকেটে রাখতেন।
জাতীয় দলের দরজা আবার কখন সাব্বিরের জন্য উন্মুক্ত হবে–নিজেই যেন একটা বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাওয়াদ আলমরা ১০ বছর পরও ক্রিকেট সার্কিটে ফিরে আসার গল্প লিখেছেন। কিন্তু বাংলাদেশে সাব্বির–নাসির হোসেনরা এমন গল্প কমই লিখতে পারেন। কিংবা পারেনই না।
সাব্বির সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের যে ম্যাচটা খেলেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে, ওই ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের অন্যতম সেরা পারফরমার রিজওয়ান যেন মনে করিয়ে দিলেন কীভাবে মেধা, পরিশ্রম, সততা আর শৃঙ্খলা থাকলে বাজে শুরুর পরও যাওয়া যায় বহু দূর।
২০১৫ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল রিজওয়ানের। সে ম্যাচে দলের ৫ উইকেট পড়ার পরও ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি তিনি। মিরপুরে ম্যাচটা বাংলাদেশের কাছে ৭ উইকেটে হারে পাকিস্তান। সাব্বির ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে রিজওয়ানের অভিষেকটা হয়েছিল মলিন। তাঁর প্রায় এক বছর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন সাব্বির। সেদিন ম্যাচসেরা ৩২ বলে অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস খেলে সাব্বির জানান দিয়েছিলেন সাদা বলে নিজের অমিত সম্ভাবনার কথা।
মাঝে কেটে গেল রিজওয়ানের চড়াই-উতরাইয়ের সাত বছর। ২০১৫ সালের পর সাব্বির–রিজওয়ানকে আবারও দেখা গেল সর্বশেষ ত্রিদেশীয় সিরিজে। ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের এই ম্যাচে ৫০ বলে অপরাজিত ৭৮ রান করে ম্যাচসেরা হন রিজওয়ান। অন্য দিকে সাব্বির নিজেকে হারিয়ে খুঁজলেন। পরে তো দল ‘অদৃশ্যই’ হয়ে গেলেন।
সাত বছর আগে টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিং না হওয়ায় রিজওয়ান ব্যাট করার সুযোগ পাননি দলে। এখন সে খেলোয়াড়ই পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডারের নম্বর ওয়ান ব্যাটার। তিনি এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের শীর্ষ ব্যাটার। রিজওয়ান যখন পায়ের তলা মাটি খুঁজছিলেন, সাব্বির তখন ধারাবাহিক ভালো খেলে উড়ছিলেন।
এখন ছবিটা উল্টো—রিজওয়ান যেভাবে চান সেভাবেই ব্যাট হাসে। অথচ ক্যারিয়ারের শুরুতে তাঁর পথটা ছিল কাটায় ভরা। টি-টোয়েন্টিসুলভ ব্যাটিং পারেন না—এমন অজুহাতে লম্বা সময় দলের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। সেই রিজওয়ানই টি-টোয়েন্টিতে নিজের ব্যাটিংকে নিয়ে গেছেন অন্য পর্যায়ে। শুধু টি-টোয়েন্টি নয়, তিন সংস্করণেই তিনি পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম ভরসা। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে শুরুর ১৭ ইনিংসে ১৭.২৩ গড়ে রিজওয়ানের রান ছিল ২২৪ রান। এখন ৬২ ইনিংস শেষে ৫২.৩৪ স্ট্রাইকরেটে রিজওয়ানের ২৪৬০ রান। টি-টোয়েন্টিতে ৬২ ইনিংসে তিনিই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে ২১৯৬ রান করে এখন শীর্ষে রিজওয়ান।
এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রাঙানোর স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তানের রিজওয়ান যখন অস্ট্রেলিয়ায়, বাংলাদেশের সাব্বির তখন দেশে ফিরে ফেসবুক লাইভে এসে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন নিজের ব্যর্থতা আর সব বিতর্কের। অথচ ব্যাট যদি ভালো কথা বলত; রিজওয়ানের মতো শৃঙ্খল আর কঠোর পরিশ্রমে মনোযোগটা রাখতে পারতেন ক্রিকেটে, তাহলে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে এভাবে ফেসবুক লাইভে আসতে হতো না তাঁকে।
প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে উন্মাদনার মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছেই। বিশেষ করে হামজা চৌধুরীর অভিষেকের পর অনেক প্রবাসী ফুটবলার এখন আলোচনায়। কানাডা প্রবাসী সমিত সোমের পাশাপাশি এবার কিউবা মিচেলকে খেলানোর চেষ্টায় রয়েছে বাফুফে।
৯ ঘণ্টা আগেআগামীকাল (২০ এপ্রিল) সিলেটে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব নিয়ে বেশ ভোগান্তির মধ্যে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে এ ভোগান্তির অবসান ঘটিয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ সরাসরি দেখানোর
১০ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ১৫ সদস্যের বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দল ঘোষণা করেছে। আগামীকাল ঢাকা থেকে কলম্বোর উদ্দেশে রওনা দেবেন যুবারা। সফরে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ছয় ম্যাচের যুব ওয়ানডে সিরিজ খেলবে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল।
১০ ঘণ্টা আগেহামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার পর থেকে আগ্রহ বেড়েছে ফুটবল নিয়ে। প্রবাসী ফুটবলারদের ঘিরে অন্যরকম উন্মাদনা কাজ করছে সমর্থকদের। হামজার প্রভাব শুধু ফুটবলেই নয় পড়েছে অন্যান্য খেলাতেও। দেশের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী ক্রীড়াবিদদের বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নিতে সকল ফেডারেশনকে চিঠি দিয়েছে
১১ ঘণ্টা আগে