ক্রীড়া ডেস্ক
সিরিজে টিকে থাকতে বাংলাদেশের এখন জয়ের কোনো বিকল্প নেই। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আজ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারালেই তিন ম্যাচের সিরিজে সমতায় ফিরবে বাংলাদেশ। কিন্তু টিকে থাকার লড়াইয়ে বাংলাদেশ খেয়েছে বেধড়ক পেটুনি।
প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান। এর আগে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে সেই ২০২ রানের লক্ষ্যই দিয়েছিল পাকিস্তান।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান দুটি দলই আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে একটি করে পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশের একাদশে শেখ মেহেদী হাসানের পরিবর্তে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর পাকিস্তানে ফখর জামানের জায়গায় এসেছেন সাহিবজাদা ফারহান।
রানের খাতা খোলার আগেই পাকিস্তান হারাতে পারত প্রথম উইকেট। ইনিংসের তৃতীয় বলে মিরাজকে উড়িয়ে মারতে যান ফারহান। মিসটাইমিং হওয়া বল ধরতে কাভার থেকে উল্টো দিকে দৌড়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে বলের ফ্লাইট ধরতে না পেরে ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি তানজিদ তামিম।
পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটিতে যোগ হয়েছে অবশ্য কেবল ১২ রান। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে লং অনে ঠেলে দুই রান নিয়েছেন সাইম আইয়ুব। কিন্তু তৃতীয় রান নিতে গিয়ে ফারহানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়েছেন আইয়ুব (৪)।
১২ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ব্যাটিংয়ে নামেন মোহাম্মদ হারিস। ওপেনার ফারহান ও হারিস মিলে তাণ্ডব চালাতে থাকেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর। পাওয়ারপ্লেতে (প্রথম ৬ ওভার) ১ উইকেটে ৬৭ রান করে পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৪ বলে ১০৩ রানের জুটি গড়েন ফারহান-হারিস। ১১তম ওভারের শেষ বলে হারিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। তানজিম সাকিবের স্লোয়ার বল কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিশাদ হোসেনের তালুবন্দী হয়েছেন হারিস। ২৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রান করেন হারিস।
হারিস ফেরার পর ফারহান আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিটা ফারহানের জন্য তখন মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু ফারহানের সেই আশা পূরণ হতে দেননি রিশাদ। ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে রিশাদকে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের তালুবন্দী হয়েছেন ফারহান। ৪১ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৪ রান করেন ফারহান।
হারিস-ফারহানকে দ্রুত হারিয়ে পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ১১.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১২১ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও হাসান নাওয়াজ ২৪ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে সালমানকে (১৯) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। তাতে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ১৫.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৬ রান। যে বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে থাকে, তাতে স্বাগতিকদের স্কোর ২১০-এর বেশি হলে অবাক হওয়ার থাকত না। কিন্তু শেষের দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় পাকিস্তান ঝড় তুলতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট ২০১ রান করেছে স্বাগতিকেরা।
পাকিস্তানের ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন ফারহান। স্বাগতিকদের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন হাসান নাওয়াজ। ২৬ বলের ইনিংসে ২ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন। বাংলাদেশের হাসান ও তানজিম সাকিব দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। এক উইকেট নিয়েছেন রিশাদ।
৫ উইকেটে ২০৪ রান করেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ২০০৮ সালে। ১৭ বছর আগে করাচিতে পাকিস্তান করেছিল ৫ উইকেট ২০৩ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান ২০১ রান করেছে তিনবার। যার মধ্যে চলমান সিরিজেই ২০১ রানের ইনিংস হয়েছে দুইবার। ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেন্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১ রান করেছিল পাকিস্তান।
সিরিজে টিকে থাকতে বাংলাদেশের এখন জয়ের কোনো বিকল্প নেই। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আজ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারালেই তিন ম্যাচের সিরিজে সমতায় ফিরবে বাংলাদেশ। কিন্তু টিকে থাকার লড়াইয়ে বাংলাদেশ খেয়েছে বেধড়ক পেটুনি।
প্রথম টি-টোয়েন্টির মতো আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বাংলাদেশকে ২০২ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান। এর আগে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে সেই ২০২ রানের লক্ষ্যই দিয়েছিল পাকিস্তান।
বাংলাদেশ, পাকিস্তান দুটি দলই আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে একটি করে পরিবর্তন এনেছে। বাংলাদেশের একাদশে শেখ মেহেদী হাসানের পরিবর্তে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর পাকিস্তানে ফখর জামানের জায়গায় এসেছেন সাহিবজাদা ফারহান।
রানের খাতা খোলার আগেই পাকিস্তান হারাতে পারত প্রথম উইকেট। ইনিংসের তৃতীয় বলে মিরাজকে উড়িয়ে মারতে যান ফারহান। মিসটাইমিং হওয়া বল ধরতে কাভার থেকে উল্টো দিকে দৌড়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। তবে বলের ফ্লাইট ধরতে না পেরে ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি তানজিদ তামিম।
পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটিতে যোগ হয়েছে অবশ্য কেবল ১২ রান। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে লং অনে ঠেলে দুই রান নিয়েছেন সাইম আইয়ুব। কিন্তু তৃতীয় রান নিতে গিয়ে ফারহানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়েছেন আইয়ুব (৪)।
১২ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ব্যাটিংয়ে নামেন মোহাম্মদ হারিস। ওপেনার ফারহান ও হারিস মিলে তাণ্ডব চালাতে থাকেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর। পাওয়ারপ্লেতে (প্রথম ৬ ওভার) ১ উইকেটে ৬৭ রান করে পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৪ বলে ১০৩ রানের জুটি গড়েন ফারহান-হারিস। ১১তম ওভারের শেষ বলে হারিসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। তানজিম সাকিবের স্লোয়ার বল কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিশাদ হোসেনের তালুবন্দী হয়েছেন হারিস। ২৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩১ রান করেন হারিস।
হারিস ফেরার পর ফারহান আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিটা ফারহানের জন্য তখন মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু ফারহানের সেই আশা পূরণ হতে দেননি রিশাদ। ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে রিশাদকে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের তালুবন্দী হয়েছেন ফারহান। ৪১ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৪ রান করেন ফারহান।
হারিস-ফারহানকে দ্রুত হারিয়ে পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ১১.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১২১ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও হাসান নাওয়াজ ২৪ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে সালমানকে (১৯) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। তাতে পাকিস্তানের স্কোর দাঁড়ায় ১৫.৪ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৬ রান। যে বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে থাকে, তাতে স্বাগতিকদের স্কোর ২১০-এর বেশি হলে অবাক হওয়ার থাকত না। কিন্তু শেষের দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় পাকিস্তান ঝড় তুলতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট ২০১ রান করেছে স্বাগতিকেরা।
পাকিস্তানের ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন ফারহান। স্বাগতিকদের ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন হাসান নাওয়াজ। ২৬ বলের ইনিংসে ২ চার ও ৩ ছক্কা মেরেছেন। বাংলাদেশের হাসান ও তানজিম সাকিব দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। এক উইকেট নিয়েছেন রিশাদ।
৫ উইকেটে ২০৪ রান করেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে ২০০৮ সালে। ১৭ বছর আগে করাচিতে পাকিস্তান করেছিল ৫ উইকেট ২০৩ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান ২০১ রান করেছে তিনবার। যার মধ্যে চলমান সিরিজেই ২০১ রানের ইনিংস হয়েছে দুইবার। ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেন্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১ রান করেছিল পাকিস্তান।
অস্বাভাবিক কিছু দেখলে সেই ব্যাপারে চুপ করে থাকার পাত্র নন মাইকেল ভন। আর ঘটনা যখন ঘটেছে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচে, তখন কি তিনি কথা না বলে থাকতে পারেন? আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) কেন শুধু একটা দলকেই শাস্তি দিয়েছে, সেই প্রশ্ন এখন ভনের।
৮ মিনিট আগে২৩ বছর পর লিগ জিতে গত মৌসুম শেষ করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। নতুন মৌসুমের দলবদলে তাই তাদের ওপরই চোখ বেশি। শুরুতে অবশ্য অবাক করে দলের দীর্ঘদিনের সৈনিক সুলেমান দিয়াবাতের সঙ্গে নতুন চুক্তি না করে। তবে মুজাফ্ফর মুজাফ্ফরভকে ধরে রেখেছে সাদা-কালোরা।
৩২ মিনিট আগেবার্সেলোনায় লিওনেল মেসির আইকনিক ১০ নম্বর জার্সিটা যে তিনিই পেতে যাচ্ছেন, সেটি জানাই ছিল। পরশু নিশ্চিত হলো তা। মেসির ১০ নম্বর জার্সি গায়ে চড়াবেন লামিনে ইয়ামাল। এদিন স্প্যানিশ এই উইঙ্গারের হাতে ১০ নম্বর জার্সি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দিয়েছে কাতালান দলটি।
১ ঘণ্টা আগেকলম্বোর প্রেমাদাসায় গত রাতে ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের পর আজ দেশে ফিরেছেন লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিমরা। তবে দেশে ফিরেও যে বসে থাকার সুযোগ নেই। কারণ, রোববার শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
১ ঘণ্টা আগে