রানা আব্বাস, ঢাকা
পরনে কালো টি-শার্ট, প্যান্ট আর মাথায় কালো টুপি—কাল বিকেলে চেন্নাই থেকে ঢাকায় ফেরা মোস্তাফিজুর রহমানকে দেখে মনে হবে ‘ম্যান ইন ব্ল্যাক’, যিনি পরশুও ছিলেন পুরোই ‘হলুদ’। কেমন উপভোগ করলেন এবারের আইপিএল? মাহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
‘সব ভালো’—বলেই সাদা টয়োটা ক্রাউনের ভেতর ঢুকে পড়লেন মোস্তাফিজ। গত কদিনে এই প্রতিবেদককেও ‘এখন কোনো সাক্ষাৎকার নয়’ বলে এড়িয়ে গেছেন। অথচ কত কিছু জানার ছিল তাঁর কাছ থেকে। বিশেষ করে মাহেন্দ্র সিং ধোনির সাহচর্য নিয়ে। ‘ধোনি মানুষটা অনেক ভালো। যে সময় প্রয়োজন, তখন কথা বলেন। যখন প্রয়োজন হয় না, বলেন না। অনেক সময় বাংলায় বলি, ভাই উত্তর দেন হিন্দিতে’—খোশগল্পের ফাঁকে ফিজের কাছে এভাবেই চিত্রায়িত হন ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তিনি কথা বলেন কম। সাক্ষাৎকার চাইতেই হাসতে হাসতে বলেন, ‘কবি এখন আরও নীরব!’ আইপিএলের দলগুলো যখন শেষ চারের সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত, এ সময়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে ছেড়ে দিতে হলো মোস্তাফিজকে। তাঁর সামনে এখন জাতীয় দলের ‘ডিউটি’। দারুণ ছন্দে থাকা মোস্তাফিজের সার্ভিস তারা কতটা মিস করবে, চেন্নাই কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের মন্তব্যে পরিষ্কার, ‘ফিজকে (মোস্তাফিজ) হারানোটা হতাশার।’
বল হাতে নিলেই মোস্তাফিজ-জাদু দেখার সময় পেছনে চলে গেছে আগেই। মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখা ফিজ বুঝেছেন, প্রতিযোগিতার এ বাজারে টিকে থাকতে হলে নিজেকে ভাঙতেই হবে। তাঁর সেই পরিবর্তনের ছাপই যেন কিছুটা এবার দেখা গেল চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সিতে। কাল দারুণ বিশ্লেষণীতে ফিজকে তুলে ধরেছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ‘গতকাল (পরশু) আবারও মোস্তাফিজ দেখিয়ে দিল কেবলমাত্র স্লোয়ার বা কাটারই নয়, ওর সিম-আপ লেংথ বলগুলো খেলাটাও কতটা কঠিন। ওর বোলিংয়ে তিনটি বিষয় চোখে পড়েছে। প্রথমত, ক্রস সিম ডেলিভারির জায়গায় সিম আপ ডেলিভারিকে প্রাধান্য দিয়ে বাতাসে অথবা উইকেট থেকে কিছুটা মুভমেন্ট আদায় করে নেওয়া। দ্বিতীয়ত, আগের তুলনায় ওয়াইডিশ ডেলিভারির জায়গায় অনেক বেশি উইকেট-টু-উইকেট বল করা এবং তৃতীয়ত, শর্ট পিচ ডেলিভারি থেকে সরে এসে লেন্থ ডেলিভারিকে প্রাধান্য দেওয়া।’ ফিজের টেকনিক্যাল বিষয়ে ফাহিম আরও যোগ করেছেন, ‘ওর স্টক ডেলিভারিতে একটা বেশ বড় পরিবর্তন এসেছে। আগের মতো অফসাইডে টানা একঘেয়ে কাটার করা থেকে বের হয়ে এসেছে। আগের চেয়ে অপশন আরও বেড়েছে এবং এখন যা করে, তা জেনেশুনে এবং ভেবেচিন্তেই করে।’
মোস্তাফিজ নতুন-পুরোনো দুই বলেই কার্যকর দেখাটাও সুখকর দৃশ্য ছিল বাংলাদেশের দর্শকদের। ২০২৪ আইপিএলের পরিসংখ্যান বলছে, পাওয়ার প্লেতে মোস্তাফিজ যত বল করেছেন, ৪৮ শতাংশই ডট দিয়েছেন, তাঁর মূল শক্তি স্লোয়ারে পেয়েছেন ৮টি উইকেট। ৪৮ শতাংশ ডেলিভারির স্লোয়ারই ছিল ভালো লেংথে। আর গতকাল তো চলতি আইপিএলে একটা জায়গায় ‘প্রথম’ই হয়ে গেলেন। প্রথম বিদেশি বোলার হিসেবে পেয়েছেন মেডেন।
আরেকটি বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ, মোস্তাফিজ বাজে বোলিং করলেও তাঁর প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখেছে চেন্নাই, তাঁকে বাদ দেয়নি এক ম্যাচেও। মাঠে ধোনি-রুতুরাজ দুজনই প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন। এমনকি চেন্নাইয়ের দর্শকদের অফুরান ভালোবাসাও পেয়েছেন। এসবে বাংলাদেশের লাভ? আত্মবিশ্বাসী-নির্ভার এক মোস্তাফিজকে পাওয়া। চেন্নাই যেন হাতে-কলমে বাংলাদেশ দলকে দেখিয়েছে, মোস্তাফিজ নামের জাদুকরকে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়!
পরনে কালো টি-শার্ট, প্যান্ট আর মাথায় কালো টুপি—কাল বিকেলে চেন্নাই থেকে ঢাকায় ফেরা মোস্তাফিজুর রহমানকে দেখে মনে হবে ‘ম্যান ইন ব্ল্যাক’, যিনি পরশুও ছিলেন পুরোই ‘হলুদ’। কেমন উপভোগ করলেন এবারের আইপিএল? মাহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা কেমন হলো?
‘সব ভালো’—বলেই সাদা টয়োটা ক্রাউনের ভেতর ঢুকে পড়লেন মোস্তাফিজ। গত কদিনে এই প্রতিবেদককেও ‘এখন কোনো সাক্ষাৎকার নয়’ বলে এড়িয়ে গেছেন। অথচ কত কিছু জানার ছিল তাঁর কাছ থেকে। বিশেষ করে মাহেন্দ্র সিং ধোনির সাহচর্য নিয়ে। ‘ধোনি মানুষটা অনেক ভালো। যে সময় প্রয়োজন, তখন কথা বলেন। যখন প্রয়োজন হয় না, বলেন না। অনেক সময় বাংলায় বলি, ভাই উত্তর দেন হিন্দিতে’—খোশগল্পের ফাঁকে ফিজের কাছে এভাবেই চিত্রায়িত হন ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে তিনি কথা বলেন কম। সাক্ষাৎকার চাইতেই হাসতে হাসতে বলেন, ‘কবি এখন আরও নীরব!’ আইপিএলের দলগুলো যখন শেষ চারের সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত, এ সময়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে ছেড়ে দিতে হলো মোস্তাফিজকে। তাঁর সামনে এখন জাতীয় দলের ‘ডিউটি’। দারুণ ছন্দে থাকা মোস্তাফিজের সার্ভিস তারা কতটা মিস করবে, চেন্নাই কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের মন্তব্যে পরিষ্কার, ‘ফিজকে (মোস্তাফিজ) হারানোটা হতাশার।’
বল হাতে নিলেই মোস্তাফিজ-জাদু দেখার সময় পেছনে চলে গেছে আগেই। মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখা ফিজ বুঝেছেন, প্রতিযোগিতার এ বাজারে টিকে থাকতে হলে নিজেকে ভাঙতেই হবে। তাঁর সেই পরিবর্তনের ছাপই যেন কিছুটা এবার দেখা গেল চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সিতে। কাল দারুণ বিশ্লেষণীতে ফিজকে তুলে ধরেছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ‘গতকাল (পরশু) আবারও মোস্তাফিজ দেখিয়ে দিল কেবলমাত্র স্লোয়ার বা কাটারই নয়, ওর সিম-আপ লেংথ বলগুলো খেলাটাও কতটা কঠিন। ওর বোলিংয়ে তিনটি বিষয় চোখে পড়েছে। প্রথমত, ক্রস সিম ডেলিভারির জায়গায় সিম আপ ডেলিভারিকে প্রাধান্য দিয়ে বাতাসে অথবা উইকেট থেকে কিছুটা মুভমেন্ট আদায় করে নেওয়া। দ্বিতীয়ত, আগের তুলনায় ওয়াইডিশ ডেলিভারির জায়গায় অনেক বেশি উইকেট-টু-উইকেট বল করা এবং তৃতীয়ত, শর্ট পিচ ডেলিভারি থেকে সরে এসে লেন্থ ডেলিভারিকে প্রাধান্য দেওয়া।’ ফিজের টেকনিক্যাল বিষয়ে ফাহিম আরও যোগ করেছেন, ‘ওর স্টক ডেলিভারিতে একটা বেশ বড় পরিবর্তন এসেছে। আগের মতো অফসাইডে টানা একঘেয়ে কাটার করা থেকে বের হয়ে এসেছে। আগের চেয়ে অপশন আরও বেড়েছে এবং এখন যা করে, তা জেনেশুনে এবং ভেবেচিন্তেই করে।’
মোস্তাফিজ নতুন-পুরোনো দুই বলেই কার্যকর দেখাটাও সুখকর দৃশ্য ছিল বাংলাদেশের দর্শকদের। ২০২৪ আইপিএলের পরিসংখ্যান বলছে, পাওয়ার প্লেতে মোস্তাফিজ যত বল করেছেন, ৪৮ শতাংশই ডট দিয়েছেন, তাঁর মূল শক্তি স্লোয়ারে পেয়েছেন ৮টি উইকেট। ৪৮ শতাংশ ডেলিভারির স্লোয়ারই ছিল ভালো লেংথে। আর গতকাল তো চলতি আইপিএলে একটা জায়গায় ‘প্রথম’ই হয়ে গেলেন। প্রথম বিদেশি বোলার হিসেবে পেয়েছেন মেডেন।
আরেকটি বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ, মোস্তাফিজ বাজে বোলিং করলেও তাঁর প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখেছে চেন্নাই, তাঁকে বাদ দেয়নি এক ম্যাচেও। মাঠে ধোনি-রুতুরাজ দুজনই প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন, অনুপ্রাণিত করেছেন। এমনকি চেন্নাইয়ের দর্শকদের অফুরান ভালোবাসাও পেয়েছেন। এসবে বাংলাদেশের লাভ? আত্মবিশ্বাসী-নির্ভার এক মোস্তাফিজকে পাওয়া। চেন্নাই যেন হাতে-কলমে বাংলাদেশ দলকে দেখিয়েছে, মোস্তাফিজ নামের জাদুকরকে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়!
বাংলাদেশের গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সবচেয়ে সফল ব্যাটার ছিলেন জাকের আলী অনিক। সে সফরে দুই টেস্টের সিরিজে করেছিলেন ১৭৬ রান। তিনটি টি-টোয়েন্টিতে ৬০ গড়ে ১২০ রান। দুই সংস্করণেই তিনি ছিলেন সফরকারী দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সে সফরে ওয়ানডে সিরিজেও রান পেয়েছিলেন জাকের; তিন ওয়ানডেতে ৫৬.৫০ গড়ে করেছিলেন ১১৩।
৩ ঘণ্টা আগেমিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। কুড়ি ওভারের একাধিক ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয়। টেস্ট খেলুড়ে হিসেবে নবমতম দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়। শোকের দিনে এল বাংলাদেশ দলের সিরিজ জয়ের সাফল্য। অধিনায়ক লিটন দাস এই জয় উৎসর্গ করলেন
৬ ঘণ্টা আগেসহজে জয়ের ইঙ্গিত দিয়েও ফাহিম আশরাফের তাণ্ডবে কঠিন হয়ে ওঠে ম্যাচ। তবে ১৯তম ওভারের শেষ বলে ফাহিমকে বোল্ড করে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন রিশাদ হোসেন। শেষ ওভারে জিততে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩, বাংলাদেশের ১ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম বলেই মিড অফ দিয়ে দারুণ এক চারে ম্যাচ আরও জমিয়ে তোলেন
৬ ঘণ্টা আগেবাড়িতে টিভি ছিল না। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা খেলোয়াড় হওয়ায় মোসাম্মৎ সাগরিকার ঘরে পৌঁছে যায় দুটি টিভি। তবু গ্যালারিতে বসে মেয়ের খেলা দেখার আনন্দই অন্য রকম। সাগরিকার বাবা লিটন আলীও চেয়েছিলেন তা। কিন্তু জটিলতার কারণে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় আসতে পারেননি তিনি।
৭ ঘণ্টা আগে