চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন নারী ক্রিকেট লিগ। কিন্তু সেখানে নেই জাহানারা আলম। মানসিক অবসাদের কারণে বিসিবির কাছ থেকে ছুটি নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। পরে জানা গেছে, তিনি এ মুহূর্তে সিডনি ক্রিকেট ক্লাবের দ্বিতীয় গ্রেডের দলে খেলছেন। দেশের ক্রিকেটকে কি তাহলে বিদায় জানাতে চলেছেন জাহানারা? দেশের হয়ে আবার খেলার প্রশ্নে নিজের ক্যারিয়ারটাই ফিরে দেখলেন জাহানারা। ফোনে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহমেদ রিয়াদ।
আহমেদ রিয়াদ, ঢাকা
প্রশ্ন: দেশে প্রিমিয়ার লিগ চলছে, কিন্তু আপনি অস্ট্রেলিয়ায় আছেন, সেখানে খেলছেন। অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন?
জাহানারা আলম: এখানে দুই মাস হলো এসেছি। এর আগে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ড সিরিজ খেলে এসেছি। মূলত ছুটি নিয়ে এসেছি, কোনো স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা নেই। সিডনির এই ক্লাবের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি ছিল, পুরো মৌসুম খেলব। আমার পরিকল্পনা রোজার ঈদের পর দেশে ফেরার। ডিপিএল না খেলার কারণ এটিই। দেশে ফেরার পর ঘরোয়া লিগে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আছে।
প্রশ্ন: বয়স ৩২ ছুঁই ছুঁই। জাতীয় দলে নিয়মিত ছিলেন না সাম্প্রতিক সময়ে। অবসর নেওয়ার কোনো চিন্তা কি কাজ করছে ভাবনায়?
জাহানারা: না, এখনই অবসর নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে আমি যখন ছুটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া আসি, তখন নারী দলের পরিচালনা প্রধান হাবিবুল বাশার ভাইকে জানিয়ে এসেছি যেন ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আমাকে না রাখা হয়। কিন্তু বিসিবি আমাকে এখনো কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রেখেছে, যা দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি। যদি এটি আমাকে সম্মান জানিয়ে করা হয়ে থাকে, তাহলে আমি কৃতজ্ঞ। জাতীয় দলে ফিরতে বিসিবি যদি মনে করে আমাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে আসতে হবে, তাহলে সেটাও মেনে নেব। আবার যদি সরাসরি দলে সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। আমি সব ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
প্রশ্ন: সিডনি ক্রিকেট ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা কেমন এখন পর্যন্ত?
জাহানারা: এর আগেও এখানে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম, তবে আসতে পারিনি। এবার যখন সুযোগ পেলাম, তখন মানসিকভাবে একটু অবসাদগ্রস্ত ছিলাম। এক বছরের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলিনি। মনের প্রশান্তির খোঁজেই এখানে খেলতে এসেছি। এখন মানসিকভাবে ভালো লাগছে, দলের হয়ে দুটি ম্যাচে জয়ে অবদান রেখেছি। এখানকার সুযোগ-সুবিধা সত্যিই চমৎকার, আমাদের দেশের তুলনায় অনেক ভালো। এখানে খেললে নতুন সম্পর্ক তৈরি হয় এবং বছরে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলে। এসব অভিজ্ঞতা আমার জন্য ইতিবাচক হবে।
প্রশ্ন: সিডনিতে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে দেখেছি, যেখানে ব্রেট লিও ছিলেন। তাঁর সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা কেমন?
জাহানারা: প্রথমে শুনেছিলাম ব্রেট লি আমার বিপক্ষে খেলবেন, পরে দেখি আমরা একই দলে! তখন খুব খুশি হয়েছিলাম। ম্যাচে ব্রেট লি এক দিক থেকে ওপেনিং বোলিং করলেন, আমি করলাম অন্য পাশ থেকে। পরে আমরা একসঙ্গে ব্যাটিংও করেছি। তাঁরা যেভাবে সম্মান দেন, সেটা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।
প্রশ্ন: আইপিএলে খেলেছেন, এবার সিডনিতেও খেললেন। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতে বিগ ব্যাশে খেলার সম্ভাবনা দেখেন?
জাহানারা: বিগ ব্যাশ বা আইপিএলের মতো লিগে খেলতে হলে শুধু যোগ্যতা থাকলেই হয় না, ভালো সম্পর্কও দরকার। আমার যোগ্যতা আছে, কিন্তু সম্পর্কের ঘাটতি রয়েছে। আমরা সারা বছর খুব কম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলি, ফলে আমাদের চেনার সুযোগ কম। আন্তর্জাতিক ম্যাচ বেশি খেললে পারফরম্যান্সের ধার বাড়ে এবং বিশ্ব ক্রিকেটেও আমাদের চেনার সুযোগ তৈরি হয়। সিডনির এই দ্বিতীয় গ্রেড লিগটি আমাদের দেশের প্রথম শ্রেণির লিগের সমমানের। এখানকার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।
প্রশ্ন: ২০২২ সালে কমনওয়েলথ গেমসের বাছাইপর্বে স্ট্যান্ডবাই ছিলেন। এরপর বিসিবিকে চিঠি দিয়ে জাতীয় দলের নির্বাচকদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। সেটি কি কোনোভাবে প্রভাব পড়েছিল আপনার ক্যারিয়ারে?
জাহানারা: এ বিষয়ে এখন আর কিছু বলতে চাই না। যা হওয়ার, তা হয়ে গেছে। তবে এখন নতুন বোর্ড এসেছে। নারী ক্রিকেটের জন্য ফাহিম স্যার ও হাবিবুল বাশার ভাই দারুণ কাজ করছেন। আগের তুলনায় এখন স্বস্তি নিয়ে ক্রিকেট খেলতে পারছি। জানি পারফর্ম করলে জাতীয় দলে জায়গা পাব। পেশাদার দলে এমনটাই হওয়া উচিত।
প্রশ্ন: দেশে প্রিমিয়ার লিগ চলছে, কিন্তু আপনি অস্ট্রেলিয়ায় আছেন, সেখানে খেলছেন। অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন?
জাহানারা আলম: এখানে দুই মাস হলো এসেছি। এর আগে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ড সিরিজ খেলে এসেছি। মূলত ছুটি নিয়ে এসেছি, কোনো স্থায়ী হওয়ার পরিকল্পনা নেই। সিডনির এই ক্লাবের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি ছিল, পুরো মৌসুম খেলব। আমার পরিকল্পনা রোজার ঈদের পর দেশে ফেরার। ডিপিএল না খেলার কারণ এটিই। দেশে ফেরার পর ঘরোয়া লিগে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা আছে।
প্রশ্ন: বয়স ৩২ ছুঁই ছুঁই। জাতীয় দলে নিয়মিত ছিলেন না সাম্প্রতিক সময়ে। অবসর নেওয়ার কোনো চিন্তা কি কাজ করছে ভাবনায়?
জাহানারা: না, এখনই অবসর নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে আমি যখন ছুটি নিয়ে অস্ট্রেলিয়া আসি, তখন নারী দলের পরিচালনা প্রধান হাবিবুল বাশার ভাইকে জানিয়ে এসেছি যেন ২০২৫ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আমাকে না রাখা হয়। কিন্তু বিসিবি আমাকে এখনো কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রেখেছে, যা দেখে সত্যিই অবাক হয়েছি। যদি এটি আমাকে সম্মান জানিয়ে করা হয়ে থাকে, তাহলে আমি কৃতজ্ঞ। জাতীয় দলে ফিরতে বিসিবি যদি মনে করে আমাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে আসতে হবে, তাহলে সেটাও মেনে নেব। আবার যদি সরাসরি দলে সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। আমি সব ধরনের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
প্রশ্ন: সিডনি ক্রিকেট ক্লাবে খেলার অভিজ্ঞতা কেমন এখন পর্যন্ত?
জাহানারা: এর আগেও এখানে খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম, তবে আসতে পারিনি। এবার যখন সুযোগ পেলাম, তখন মানসিকভাবে একটু অবসাদগ্রস্ত ছিলাম। এক বছরের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলিনি। মনের প্রশান্তির খোঁজেই এখানে খেলতে এসেছি। এখন মানসিকভাবে ভালো লাগছে, দলের হয়ে দুটি ম্যাচে জয়ে অবদান রেখেছি। এখানকার সুযোগ-সুবিধা সত্যিই চমৎকার, আমাদের দেশের তুলনায় অনেক ভালো। এখানে খেললে নতুন সম্পর্ক তৈরি হয় এবং বছরে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলে। এসব অভিজ্ঞতা আমার জন্য ইতিবাচক হবে।
প্রশ্ন: সিডনিতে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলতে দেখেছি, যেখানে ব্রেট লিও ছিলেন। তাঁর সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা কেমন?
জাহানারা: প্রথমে শুনেছিলাম ব্রেট লি আমার বিপক্ষে খেলবেন, পরে দেখি আমরা একই দলে! তখন খুব খুশি হয়েছিলাম। ম্যাচে ব্রেট লি এক দিক থেকে ওপেনিং বোলিং করলেন, আমি করলাম অন্য পাশ থেকে। পরে আমরা একসঙ্গে ব্যাটিংও করেছি। তাঁরা যেভাবে সম্মান দেন, সেটা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি।
প্রশ্ন: আইপিএলে খেলেছেন, এবার সিডনিতেও খেললেন। বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতে বিগ ব্যাশে খেলার সম্ভাবনা দেখেন?
জাহানারা: বিগ ব্যাশ বা আইপিএলের মতো লিগে খেলতে হলে শুধু যোগ্যতা থাকলেই হয় না, ভালো সম্পর্কও দরকার। আমার যোগ্যতা আছে, কিন্তু সম্পর্কের ঘাটতি রয়েছে। আমরা সারা বছর খুব কম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলি, ফলে আমাদের চেনার সুযোগ কম। আন্তর্জাতিক ম্যাচ বেশি খেললে পারফরম্যান্সের ধার বাড়ে এবং বিশ্ব ক্রিকেটেও আমাদের চেনার সুযোগ তৈরি হয়। সিডনির এই দ্বিতীয় গ্রেড লিগটি আমাদের দেশের প্রথম শ্রেণির লিগের সমমানের। এখানকার অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে কাজে দেবে।
প্রশ্ন: ২০২২ সালে কমনওয়েলথ গেমসের বাছাইপর্বে স্ট্যান্ডবাই ছিলেন। এরপর বিসিবিকে চিঠি দিয়ে জাতীয় দলের নির্বাচকদের বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। সেটি কি কোনোভাবে প্রভাব পড়েছিল আপনার ক্যারিয়ারে?
জাহানারা: এ বিষয়ে এখন আর কিছু বলতে চাই না। যা হওয়ার, তা হয়ে গেছে। তবে এখন নতুন বোর্ড এসেছে। নারী ক্রিকেটের জন্য ফাহিম স্যার ও হাবিবুল বাশার ভাই দারুণ কাজ করছেন। আগের তুলনায় এখন স্বস্তি নিয়ে ক্রিকেট খেলতে পারছি। জানি পারফর্ম করলে জাতীয় দলে জায়গা পাব। পেশাদার দলে এমনটাই হওয়া উচিত।
মিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে ৮ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। কুড়ি ওভারের একাধিক ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি তাদের প্রথম সিরিজ জয়। টেস্ট খেলুড়ে হিসেবে নবমতম দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়। শোকের দিনে এল বাংলাদেশ দলের সিরিজ জয়ের সাফল্য। অধিনায়ক লিটন দাস এই জয় উৎসর্গ করলেন
২ ঘণ্টা আগেসহজে জয়ের ইঙ্গিত দিয়েও ফাহিম আশরাফের তাণ্ডবে কঠিন হয়ে ওঠে ম্যাচ। তবে ১৯তম ওভারের শেষ বলে ফাহিমকে বোল্ড করে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন রিশাদ হোসেন। শেষ ওভারে জিততে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৩, বাংলাদেশের ১ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমানের করা প্রথম বলেই মিড অফ দিয়ে দারুণ এক চারে ম্যাচ আরও জমিয়ে তোলেন
২ ঘণ্টা আগেবাড়িতে টিভি ছিল না। গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা খেলোয়াড় হওয়ায় মোসাম্মৎ সাগরিকার ঘরে পৌঁছে যায় দুটি টিভি। তবু গ্যালারিতে বসে মেয়ের খেলা দেখার আনন্দই অন্য রকম। সাগরিকার বাবা লিটন আলীও চেয়েছিলেন তা। কিন্তু জটিলতার কারণে ঠাকুরগাঁও থেকে ঢাকায় আসতে পারেননি তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে১৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শরীফুল-সাকিবদের অগ্নিঝরা বোলিংয়ে রীতিমতো পুড়ছে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। ৫ ওভারে ১৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে সফরকারীরা। তানজিম হাসান সাকিব ও শরীফুল ইসলাম দুজনই ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে