বোরহান জাবেদ, ঢাকা
২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর পৃথিবী অনেকটা বদলে গেছে। বদলে গেছে ক্রিকেটও। শুধু বদলায়নি নিউজিল্যান্ড! নির্দিষ্ট করে বললে জিমি নিশাম। লর্ডসে সেদিন ইংল্যান্ডের কাছে বাউন্ডারি সংখ্যায় হারটা গভীর ক্ষত হয়ে আছে কিউইদের। ক্ষতটা সবচেয়ে বেশি বোধ হয় নিশামের। পরশু রাতে আবুধাবিতে সেই ইংলিশদের হারিয়ে নিশামের ক্ষতে একটু হলেও প্রলেপ পড়েছে। তাতে আরও একজনের কথা না বললেই নয়—ডেরিল মিচেল। নিশামের প্রলয় নাচন ইনিংসের সঙ্গে মিচেলের হার না মানা ৭২ রানই যে কিউইদের প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছে।
সুপার ওভারে হারের সেই মুহূর্তে ইংলিশদের উন্মাতাল উচ্ছ্বাসের মাঝে নিশাম হয়তো নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরীহ মানুষ ভাবছিলেন। আবুধাবিতে প্রকৃতি যখন সেই নিশামকে আবার সামনে নিয়ে এল, তখনো তিনি ডাগআউটে ভাবলেশহীন এক চাহনিতে ডুবে ছিলেন। হয়তো লর্ডসের সেদিনের দুঃসহ স্মৃতিটা আরেকবার হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন। এই নিশামকে দেখে কে বলবে, টুইটারে অমন রসাত্মক একজন। অনেকেই তো মজা করে বলেন, টুইটার সম্রাট নিশাম।
লর্ডসের ফাইনালের পর নিশামের টুইটটা তো সবারই জানা। ইংলিশদের শিরোপাজয়ের যাবতীয় আলোচনা-সমালোচনার মাঝে নিশামের সেই টুইটটা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। পরশু ইংলিশদের বিপক্ষে ম্যাচটা শেষ হতেই নিশ্চিতভাবেই সবার চোখ ছিল নিশামের টুইটার প্রোফাইলে। কিছুটা সময় নিলেও হতাশ করেননি তিনি। তাঁর ভাবলেশহীন ছবিটা নিয়ে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো লেখে, ‘নিশামের কোনো নড়াচড়া নেই।’ পোস্টটি চোখে পড়তেই নিশাম জানালেন, ‘কাজ কি শেষ হয়েছে? আমার তো মনে হয় না।’
কাজটা যে শেষ হয়নি সেটা বোঝাতে পরে প্রয়াত বাস্কেটবল কিংবদন্তি কোবি ব্রায়ান্টের একটি ভিডিও সামনে নিয়ে আসেন নিশাম। ব্রায়ান্টের কাছে এক সংবাদকর্মী জানতে চান, ফাইনালে ২-০–তে এগিয়ে গিয়েও কেন তিনি উদ্যাপন করেননি? ব্রায়ান্ট উত্তর দেন, ‘এখানে খুশির কী আছে? কাজ কি শেষ হয়ে গেছে? আমার তো মনে হয় না।’
এসব দিয়ে যে লর্ডসের অসম্পূর্ণ কাজটার দিকেই ইঙ্গিত করছেন বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ছে না। নিশাম তো ঠিকটাই বোঝাতে চেয়েছেন, আবুধাবিতে ইংলিশদের হারিয়ে লর্ডসের প্রতিশোধ নেওয়া গেলেও আসল কাজটা যে এখনো বাকি।
সেই কাজটা যে শিরোপা জয় তা আর না বললেও চলছে। ফাইনাল হারের ব্যথা কতটা কঠিন, সেটা নিশামের চেয়ে ভালো আর কে জানেন? এই ফাইনালের জন্যই শৈশবের কোচ জেমস গর্ডনকে হারান নিশাম। সেদিন লর্ডসে সুপার ওভারে নিশাম যখন ব্যাটিং করছিলেন, শিষ্যের ম্যাচ দেখার চাপ নিতে না পেরে অনন্তকালের পথে পাড়ি জমান গর্ডন।
নিশাম-মিচেলদের এই দলটাকে নিজের হাতে এক সুতোয় গেঁথেছেন উইলিয়ামসন। যাঁরা জয়ে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন না কিংবা পরাজয়ে একেবারে মুষড়ে পড়েন না। এখানে একটু ব্যতিক্রম বোধ হয় মিচেল। লর্ডসের ফাইনালের সময় আন্তর্জাতিক আঙিনায় সবে চার মাস তাঁর। তখন ছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটার। এবারের বিশ্বকাপে প্রমোশন পেয়ে ওপেনিংয়ে উঠে এসেছেন। কোচ গ্যারি স্টিড আর উইলিয়ামসনের আস্থার পুরো প্রতিদান দিয়েছেন এখন পর্যন্ত। তবে নিশামের মতো মিচেলও নিশ্চয়ই জানেন, আসল কাজটা এখনো শেষ হয়নি!
২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর পৃথিবী অনেকটা বদলে গেছে। বদলে গেছে ক্রিকেটও। শুধু বদলায়নি নিউজিল্যান্ড! নির্দিষ্ট করে বললে জিমি নিশাম। লর্ডসে সেদিন ইংল্যান্ডের কাছে বাউন্ডারি সংখ্যায় হারটা গভীর ক্ষত হয়ে আছে কিউইদের। ক্ষতটা সবচেয়ে বেশি বোধ হয় নিশামের। পরশু রাতে আবুধাবিতে সেই ইংলিশদের হারিয়ে নিশামের ক্ষতে একটু হলেও প্রলেপ পড়েছে। তাতে আরও একজনের কথা না বললেই নয়—ডেরিল মিচেল। নিশামের প্রলয় নাচন ইনিংসের সঙ্গে মিচেলের হার না মানা ৭২ রানই যে কিউইদের প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছে।
সুপার ওভারে হারের সেই মুহূর্তে ইংলিশদের উন্মাতাল উচ্ছ্বাসের মাঝে নিশাম হয়তো নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরীহ মানুষ ভাবছিলেন। আবুধাবিতে প্রকৃতি যখন সেই নিশামকে আবার সামনে নিয়ে এল, তখনো তিনি ডাগআউটে ভাবলেশহীন এক চাহনিতে ডুবে ছিলেন। হয়তো লর্ডসের সেদিনের দুঃসহ স্মৃতিটা আরেকবার হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন। এই নিশামকে দেখে কে বলবে, টুইটারে অমন রসাত্মক একজন। অনেকেই তো মজা করে বলেন, টুইটার সম্রাট নিশাম।
লর্ডসের ফাইনালের পর নিশামের টুইটটা তো সবারই জানা। ইংলিশদের শিরোপাজয়ের যাবতীয় আলোচনা-সমালোচনার মাঝে নিশামের সেই টুইটটা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। পরশু ইংলিশদের বিপক্ষে ম্যাচটা শেষ হতেই নিশ্চিতভাবেই সবার চোখ ছিল নিশামের টুইটার প্রোফাইলে। কিছুটা সময় নিলেও হতাশ করেননি তিনি। তাঁর ভাবলেশহীন ছবিটা নিয়ে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো লেখে, ‘নিশামের কোনো নড়াচড়া নেই।’ পোস্টটি চোখে পড়তেই নিশাম জানালেন, ‘কাজ কি শেষ হয়েছে? আমার তো মনে হয় না।’
কাজটা যে শেষ হয়নি সেটা বোঝাতে পরে প্রয়াত বাস্কেটবল কিংবদন্তি কোবি ব্রায়ান্টের একটি ভিডিও সামনে নিয়ে আসেন নিশাম। ব্রায়ান্টের কাছে এক সংবাদকর্মী জানতে চান, ফাইনালে ২-০–তে এগিয়ে গিয়েও কেন তিনি উদ্যাপন করেননি? ব্রায়ান্ট উত্তর দেন, ‘এখানে খুশির কী আছে? কাজ কি শেষ হয়ে গেছে? আমার তো মনে হয় না।’
এসব দিয়ে যে লর্ডসের অসম্পূর্ণ কাজটার দিকেই ইঙ্গিত করছেন বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ছে না। নিশাম তো ঠিকটাই বোঝাতে চেয়েছেন, আবুধাবিতে ইংলিশদের হারিয়ে লর্ডসের প্রতিশোধ নেওয়া গেলেও আসল কাজটা যে এখনো বাকি।
সেই কাজটা যে শিরোপা জয় তা আর না বললেও চলছে। ফাইনাল হারের ব্যথা কতটা কঠিন, সেটা নিশামের চেয়ে ভালো আর কে জানেন? এই ফাইনালের জন্যই শৈশবের কোচ জেমস গর্ডনকে হারান নিশাম। সেদিন লর্ডসে সুপার ওভারে নিশাম যখন ব্যাটিং করছিলেন, শিষ্যের ম্যাচ দেখার চাপ নিতে না পেরে অনন্তকালের পথে পাড়ি জমান গর্ডন।
নিশাম-মিচেলদের এই দলটাকে নিজের হাতে এক সুতোয় গেঁথেছেন উইলিয়ামসন। যাঁরা জয়ে বাঁধনহারা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন না কিংবা পরাজয়ে একেবারে মুষড়ে পড়েন না। এখানে একটু ব্যতিক্রম বোধ হয় মিচেল। লর্ডসের ফাইনালের সময় আন্তর্জাতিক আঙিনায় সবে চার মাস তাঁর। তখন ছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটার। এবারের বিশ্বকাপে প্রমোশন পেয়ে ওপেনিংয়ে উঠে এসেছেন। কোচ গ্যারি স্টিড আর উইলিয়ামসনের আস্থার পুরো প্রতিদান দিয়েছেন এখন পর্যন্ত। তবে নিশামের মতো মিচেলও নিশ্চয়ই জানেন, আসল কাজটা এখনো শেষ হয়নি!
ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের এজিএমেই ঠিক হয়েছিল সেপ্টেম্বরে আরব আমিরাতে হবে ২০২৫ এশিয়া কাপ। আজ আনুষ্ঠানিকভাবেও এসিসি জানিয়ে দিয়েছে টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ, প্রকাশ করেছে সূচিও। ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৮ সেপ্টেম্বর শেষ হবে এশিয়ার সবচেয়ে বড় এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতা।
৫ ঘণ্টা আগেকয়েক দিন আগে ঢাকায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের বার্ষিক সভা (এজিএম) শেষে সভাপতি মহসিন নাকভি জানিয়েছিলেন, দ্রুতই এশিয়া কাপ নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে। আজই এল সে ঘোষণা। ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপ। বাংলাদেশ পড়েছে ‘বি’ গ্রুপে। যেখানে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং।
৬ ঘণ্টা আগেত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে নাটকীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। হারারেতে আজ দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১ উইকেটে হারিয়েছে তারা। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জয়ের নায়ক সামিউন বশির। বল হাতে ২ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে হার না মানা ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে বল হাতে আলো ছড়ানোর পর ব্যাটিংয়ে সুবাস ছড়িয়েছেন বেন স্টোকস। নাম লেখালেন বিরল এক ক্লাবেও। স্যার গ্যারি সোবার্স ও জ্যাক ক্যালিসের পর টেস্টে ৭ হাজার রান ও ২০০ উইকেট নেওয়া তৃতীয় ক্রিকেটার তিনি। স্টোকস সেই ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন সেঞ্চুরি করেই।
৭ ঘণ্টা আগে