নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকৃতি নাকি শূন্যস্থান পছন্দ করে না! কিন্তু সব শূন্যতা কি সহজে পূরণ হয়?
মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ—শুধু ক্রিকেটই নয়, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে বড় তারকা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাঁচ স্তম্ভ। পাঁচ তারকার অনুপস্থিতি কতটা ভোগাবে বাংলাদেশ দলকে—এ নিয়ে যথেষ্ট কথা হচ্ছে কদিন ধরেই। যদিও বিসিবি দাবি করে আসছে, তাদের পাইপলাইনে যথেষ্ট খেলোয়াড় তৈরি আছে। পাঁচ মহিরুহের বিদায় খুব একটা বিপাকে পড়বে না বাংলাদেশ। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের এই দাবিতে খুব একটা ভরসা করা যাচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে তাদের প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রমে।
দেশের ক্রিকেটে পাঁচ তারকার অবদান নতুন করে বলার নেই।
গত দুই দশকে তাঁরা যেমন নিজেদের নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশ দলকে এনে দিয়েছেন অসংখ্য গৌরবময় মুহূর্ত। অবশ্য অনেক বেদনার মুহূর্তের সাক্ষীও তাঁরা। যার শুরু আছে, তার শেষও আছে—জীবনের এই আপ্তবাক্যটা মেনে ক্রিকেট থেকে একে একে বিদায় নেবেন তাঁরাও। একজন তো বিদায় একপ্রকার নিয়েই ফেলেছেন। মাশরাফির পর বাকি চারজন হয়তো আরও কিছু দিন খেলবেন। কিন্তু একসঙ্গে পাঁচ তারকার অনুপস্থিতি বাংলাদেশ দলে কতটা প্রভাব পড়ে, সেটির একটি জ্বলন্ত প্রমাণ মিলেছে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টিতে ছিলেন না ‘পঞ্চপাণ্ডবে’র কেউই। মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ না থাকলে দলের যে কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ে, সেটি বাংলাদেশের ৯.৩ ওভারে অলআউটেই স্পষ্ট। এদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের কী হবে—এমন প্রশ্ন যে ঘুরেফিরে আসবে সেটিই স্বাভাবিক। বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ অবশ্য এতে বিচলিত হচ্ছেন না, ‘একসময় রফিক খেলত, হাবিবুল বাশার ছিল, নাঈমুর রহমান দুর্জয় খেলেছে, এখন খেলছে না। একসময় এরাও (পাঁচ তারকা) ছেড়ে যাবে। তাই বলে বাংলাদেশ দল আটকে থাকবে না।’
বিষয়টা একটু অন্য চোখে দেখছেন আমিনুল ইসলাম। সাবেক এই অধিনায়কের ‘পঞ্চপাণ্ডব–তত্ত্বেই তীব্র আপত্তি। কদিন আগে ফেসবুক পোস্টে আমিনুল লিখেছেন, ‘দলের ভেতরে দল। পাঁচ পাণ্ডব বনাম বাকি খেলোয়াড়। সবার কথাবার্তায় বাকি খেলোয়াড়দের সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন মনে হয়। দল ছেড়ে এখন ব্যক্তি ক্রিকেটারদের পেছনে সবাই। বাংলাদেশ দলটাকে খুঁজে পাই না।’
আমিনুলের এই দীর্ঘশ্বাস আরও ভারী হয়েছে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশ দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর। গত ১৫ বছরে দল এতটাই পাঁচ তারকানির্ভর হয়েছিল, বিসিবি দুর্বল ঘরোয়া ক্রিকেটের অবকাঠামো উন্নতির বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি বললেই চলে।
যদিও কর্তারা শুধুই গালভরা আশ্বাস দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো যদি শক্তিশালী হতো, তাহলে ভারতীয় ক্রিকেটের মতো বাংলাদেশেও সুনীল গাভাস্কারের শূন্যতা শচীন টেন্ডুলকার কিংবা টেন্ডুলকারের শূন্যতা বিরাট কোহলিকে দিয়ে পূরণ হওয়ার উদাহরণ তৈরি হতো।
এই শূন্যতা পূরণ না হলে কত বড় মূল্য দিতে হয়, সে উদাহরণও উপমহাদেশেই আছে। মুত্তিয়া মুলারিধরন, মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা, তিলকরত্নে দিলশানরা খেলা ছাড়ার পর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট যেভাবে ভুগছে, সাকিব–তামিমদের শূন্যতা পূরণে বিসিবি যথাযথ উদ্যোগ না নিলে বাংলাদেশও যে একইভাবে ভুগবে, সেটি অনুমান করতে বড় গবেষণার প্রয়োজন নেই!
প্রকৃতি নাকি শূন্যস্থান পছন্দ করে না! কিন্তু সব শূন্যতা কি সহজে পূরণ হয়?
মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ—শুধু ক্রিকেটই নয়, দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে বড় তারকা। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাঁচ স্তম্ভ। পাঁচ তারকার অনুপস্থিতি কতটা ভোগাবে বাংলাদেশ দলকে—এ নিয়ে যথেষ্ট কথা হচ্ছে কদিন ধরেই। যদিও বিসিবি দাবি করে আসছে, তাদের পাইপলাইনে যথেষ্ট খেলোয়াড় তৈরি আছে। পাঁচ মহিরুহের বিদায় খুব একটা বিপাকে পড়বে না বাংলাদেশ। কিন্তু ক্রিকেট বোর্ডের এই দাবিতে খুব একটা ভরসা করা যাচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে তাদের প্রশ্নবিদ্ধ কার্যক্রমে।
দেশের ক্রিকেটে পাঁচ তারকার অবদান নতুন করে বলার নেই।
গত দুই দশকে তাঁরা যেমন নিজেদের নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশ দলকে এনে দিয়েছেন অসংখ্য গৌরবময় মুহূর্ত। অবশ্য অনেক বেদনার মুহূর্তের সাক্ষীও তাঁরা। যার শুরু আছে, তার শেষও আছে—জীবনের এই আপ্তবাক্যটা মেনে ক্রিকেট থেকে একে একে বিদায় নেবেন তাঁরাও। একজন তো বিদায় একপ্রকার নিয়েই ফেলেছেন। মাশরাফির পর বাকি চারজন হয়তো আরও কিছু দিন খেলবেন। কিন্তু একসঙ্গে পাঁচ তারকার অনুপস্থিতি বাংলাদেশ দলে কতটা প্রভাব পড়ে, সেটির একটি জ্বলন্ত প্রমাণ মিলেছে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সফরে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টিতে ছিলেন না ‘পঞ্চপাণ্ডবে’র কেউই। মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ না থাকলে দলের যে কঙ্কাল বেরিয়ে পড়ে, সেটি বাংলাদেশের ৯.৩ ওভারে অলআউটেই স্পষ্ট। এদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের কী হবে—এমন প্রশ্ন যে ঘুরেফিরে আসবে সেটিই স্বাভাবিক। বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ অবশ্য এতে বিচলিত হচ্ছেন না, ‘একসময় রফিক খেলত, হাবিবুল বাশার ছিল, নাঈমুর রহমান দুর্জয় খেলেছে, এখন খেলছে না। একসময় এরাও (পাঁচ তারকা) ছেড়ে যাবে। তাই বলে বাংলাদেশ দল আটকে থাকবে না।’
বিষয়টা একটু অন্য চোখে দেখছেন আমিনুল ইসলাম। সাবেক এই অধিনায়কের ‘পঞ্চপাণ্ডব–তত্ত্বেই তীব্র আপত্তি। কদিন আগে ফেসবুক পোস্টে আমিনুল লিখেছেন, ‘দলের ভেতরে দল। পাঁচ পাণ্ডব বনাম বাকি খেলোয়াড়। সবার কথাবার্তায় বাকি খেলোয়াড়দের সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন মনে হয়। দল ছেড়ে এখন ব্যক্তি ক্রিকেটারদের পেছনে সবাই। বাংলাদেশ দলটাকে খুঁজে পাই না।’
আমিনুলের এই দীর্ঘশ্বাস আরও ভারী হয়েছে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশ দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর। গত ১৫ বছরে দল এতটাই পাঁচ তারকানির্ভর হয়েছিল, বিসিবি দুর্বল ঘরোয়া ক্রিকেটের অবকাঠামো উন্নতির বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি বললেই চলে।
যদিও কর্তারা শুধুই গালভরা আশ্বাস দিয়েছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো যদি শক্তিশালী হতো, তাহলে ভারতীয় ক্রিকেটের মতো বাংলাদেশেও সুনীল গাভাস্কারের শূন্যতা শচীন টেন্ডুলকার কিংবা টেন্ডুলকারের শূন্যতা বিরাট কোহলিকে দিয়ে পূরণ হওয়ার উদাহরণ তৈরি হতো।
এই শূন্যতা পূরণ না হলে কত বড় মূল্য দিতে হয়, সে উদাহরণও উপমহাদেশেই আছে। মুত্তিয়া মুলারিধরন, মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা, তিলকরত্নে দিলশানরা খেলা ছাড়ার পর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট যেভাবে ভুগছে, সাকিব–তামিমদের শূন্যতা পূরণে বিসিবি যথাযথ উদ্যোগ না নিলে বাংলাদেশও যে একইভাবে ভুগবে, সেটি অনুমান করতে বড় গবেষণার প্রয়োজন নেই!
ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ে পার করছে দুঃসময়। কিন্তু প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হলে তারাও যেন হালে পানি পায়। সিলেট টেস্টে প্রথম দুই দিনই দাপট দেখিয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে লিড নেয় তারা ৮২ রানের। দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৭ রানে ১ উইকেট বাংলাদেশের।
১ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে কিছুটা স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে। যদিও এখনো পিছিয়ে আছে ২৫ রানে। ৮২ রানের লিড মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই মাত্র ১৩ রানে কাটা পড়েছেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে দিন শেষে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হকের ব্যাটে অপরাজিত ৪৪ রানের জুটিতে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল।
২ ঘণ্টা আগেটেস্টে প্রথম দিনটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সিলেট টেস্টে প্রথম দিনটাই ভালো যায়নি বাংলাদেশের। ফলে আজ দ্বিতীয় দিনও তারা শেষ করেছে পিছিয়ে থেকে। তবে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ঘূর্ণি জাদু ও শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয়-মুমিনুল হকের ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে স্বাগতিকেরা।
৩ ঘণ্টা আগেসিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ২৫ রানে পিছিয়ে থেকে কাল আবারও ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিকেরা। মুমিনুল হক ১৫ ও মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ রানে অপরাজিত আছেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ওপেনিং জুটি বড় হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দলীয় ১৩ রানে ফেরেন সাদমান
৪ ঘণ্টা আগে