নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের ওয়ানডে সিরিজে রোমাঞ্চ ছাড়া যেন চলছেই না। রাজশাহীতে পরশু প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৩ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়। একই মাঠে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে শেষ পর্যন্ত। ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশ।
রাজশাহীতে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতলে বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলত। সেই পথে আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সাবলীলভাবেই এগোতে থাকে। শেষ ২৫ বলে ৪২ রান দরকার হলেও হাতে ৬ উইকেট থাকায় ম্যাচের পাল্লা বাংলাদেশের দিকেই ভারী থাকে। ম্যাচ ঘুরতে থাকে এখান থেকেই। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ১০ রানে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়।
৩৩৩ রানের লক্ষ্যে নেমে আজ রানরেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে গিয়ে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ১৩.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৪ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের মধ্যে জিসান আলম বেধড়ক পেটাতে থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের। ৩৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রান করেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের এই ওপেনার। আরেক ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন করেন ১২ বলে ১০ রান। আর রায়ান রাফসান ৯ রান করলেও খেলেছেন ২০ বল।
টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর। চতুর্থ উইকেটে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ১১১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন আকবর। ৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আরিফুলকে (৩৫) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আন্দিল অস্টিন সিমিলানে। আরিফুল ফেরার পর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন আকবর। ৮৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন আকবর। ৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জর্জ মার্থিনাসকে ডিপ পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আকবর যেভাবে বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে থাকেন, মনে হচ্ছিল ৩৩৩ রানের পাহাড় টপকে বাংলাদেশ বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেবে। তবে বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে নিজের উইকেট খুইয়েছেন তিনি। ৪৫তম ওভারের শেষ বলে এনকাবি হ্যান্ডসাম মোকোয়েনাকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে মুহাম্মদ মানাকের তালুবন্দী হয়েছেন আকবর। মানাক নেমেছেন বদলি ফিল্ডার হিসেবে। ১১০ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৩১ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাতে ভেঙে যায় পঞ্চম উইকেটে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আকবরের ৯৬ রানের জুটি।
১৩১ রান করা আকবর ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৪৫ ওভারে ৫ উইকেটে ২৯১ রান। এখান থেকেই খেই হারায় স্বাগতিকেরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ৩২২ রানে অলআউট হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার সিমলানে ৮.৪ ওভারে ৫৬ রানে নেন ৫ উইকেট। তিনিই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। মোকোয়েনা ও সেপো ইনোসেন্ট এনটুলি নিয়েছেন ৩ ও ২ উইকেট।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার সেঞ্চুরি পেতে পেতেও পাননি। ৬৮ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৯১ রান করেন কনর বয়েড এস্টারহুইজেন। তিনি মারুফ মৃধার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন। আর ডিয়ান ফরেস্টে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও বলের অভাবে সেটা করতে পারেননি। ৫৯ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৯৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ডিয়ান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশের রিপন মন্ডল, মৃধা, রাব্বি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। এক উইকেট নিয়েছেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। প্রত্যেকেই মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন। যাঁর মধ্যে রিজওয়ান ২ ওভারে খরচ করেন ২০ রান। আর মৃধা পূর্ণ ১০ ওভার বোলিং করেননি। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার ৮ ওভারে দিয়েছেন ৬৫ রান।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের ওয়ানডে সিরিজে রোমাঞ্চ ছাড়া যেন চলছেই না। রাজশাহীতে পরশু প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৩ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়। একই মাঠে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে শেষ পর্যন্ত। ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশ।
রাজশাহীতে আজ দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতলে বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলত। সেই পথে আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সাবলীলভাবেই এগোতে থাকে। শেষ ২৫ বলে ৪২ রান দরকার হলেও হাতে ৬ উইকেট থাকায় ম্যাচের পাল্লা বাংলাদেশের দিকেই ভারী থাকে। ম্যাচ ঘুরতে থাকে এখান থেকেই। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ১০ রানে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ এখন ১-১ সমতায়।
৩৩৩ রানের লক্ষ্যে নেমে আজ রানরেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে গিয়ে নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ১৩.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৪ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের মধ্যে জিসান আলম বেধড়ক পেটাতে থাকেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের। ৩৪ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ রান করেন বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের এই ওপেনার। আরেক ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম রবিন করেন ১২ বলে ১০ রান। আর রায়ান রাফসান ৯ রান করলেও খেলেছেন ২০ বল।
টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর। চতুর্থ উইকেটে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে ১১১ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন আকবর। ৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আরিফুলকে (৩৫) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আন্দিল অস্টিন সিমিলানে। আরিফুল ফেরার পর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন আকবর। ৮৩ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন আকবর। ৩৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জর্জ মার্থিনাসকে ডিপ পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আকবর যেভাবে বিস্ফোরক ব্যাটিং করতে থাকেন, মনে হচ্ছিল ৩৩৩ রানের পাহাড় টপকে বাংলাদেশ বাকি পথ সহজেই পাড়ি দেবে। তবে বেশি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে নিজের উইকেট খুইয়েছেন তিনি। ৪৫তম ওভারের শেষ বলে এনকাবি হ্যান্ডসাম মোকোয়েনাকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে মুহাম্মদ মানাকের তালুবন্দী হয়েছেন আকবর। মানাক নেমেছেন বদলি ফিল্ডার হিসেবে। ১১০ বলে ১৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৩১ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাতে ভেঙে যায় পঞ্চম উইকেটে চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আকবরের ৯৬ রানের জুটি।
১৩১ রান করা আকবর ফিরলে বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৪৫ ওভারে ৫ উইকেটে ২৯১ রান। এখান থেকেই খেই হারায় স্বাগতিকেরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা বাংলাদেশ ৪৯.৪ ওভারে ৩২২ রানে অলআউট হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার সিমলানে ৮.৪ ওভারে ৫৬ রানে নেন ৫ উইকেট। তিনিই পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। মোকোয়েনা ও সেপো ইনোসেন্ট এনটুলি নিয়েছেন ৩ ও ২ উইকেট।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটার সেঞ্চুরি পেতে পেতেও পাননি। ৬৮ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৯১ রান করেন কনর বয়েড এস্টারহুইজেন। তিনি মারুফ মৃধার বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েছেন। আর ডিয়ান ফরেস্টে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও বলের অভাবে সেটা করতে পারেননি। ৫৯ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৯৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ডিয়ান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৩২ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশের রিপন মন্ডল, মৃধা, রাব্বি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। এক উইকেট নিয়েছেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান। প্রত্যেকেই মুক্ত হস্তে রান বিলিয়েছেন। যাঁর মধ্যে রিজওয়ান ২ ওভারে খরচ করেন ২০ রান। আর মৃধা পূর্ণ ১০ ওভার বোলিং করেননি। বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার ৮ ওভারে দিয়েছেন ৬৫ রান।
আরও পড়ুন:
ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচ পাতানোর খবর শোনা যায় অহরহ। দল ও ক্লাবগুলো প্রায়ই পেয়ে থাকে নিষেধাজ্ঞা। অনেক সময় ক্লাবের কর্মকর্তারাও আজীবন বা সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যান। এবার আর্সেনাল তিভাত নামের এক ক্লাবকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা।
১ ঘণ্টা আগে১০ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ভালো সময়ের চেয়ে খারাপ সময়টাই বেশি দেখেছেন লিটন দাস। আর বাজে সময়ে সমালোচনা তো বটেই, সামাজিক মাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকদের কী পরিমাণ বিদ্রূপ চলে, সেটা তাঁর চেয়ে আর ভালো কে জানবেন! ব্যর্থতার চক্রে ঘুরপাক খেতে থাকা লিটন এবার ফিরলেন লঙ্কা জয় করে।
২ ঘণ্টা আগে২০ ওভারের ক্রিকেটেই যেখানে উচ্ছ্বাস-হতাশা, আনন্দ-বেদনার জমাট গল্প, সেখানে পাঁচ দিনের ক্রিকেট মাঠে গিয়ে দেখবে কে! বিভিন্ন দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা বিচ্ছিন্নভাবে লাল বলের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের পর দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও হারি
৩ ঘণ্টা আগেশেষ ভালো যাঁর, সব ভালো তাঁর—কলম্বোর প্রেমাদাসায় গত রাতে ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ দলকে নিয়ে এমনটা বলা যায়। এবারের শ্রীলঙ্কা সফরটা নেহাতই মন্দ হয়নি বাংলাদেশের। টেস্ট সিরিজ হারলেও গলে বীরত্বপূর্ণ ড্র করেছে দলটি। ওয়ানডে সিরিজও জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। সব ছাপিয়ে বাংলাদেশ সফর
৩ ঘণ্টা আগে