হোক না নিছক আনুষ্ঠানিকতা, খেলতে হয় বলেই খেলা; তবু তো স্বীকৃত আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তার চেয়েও বড় কথা বিদায়ের আবহে হলেও লড়াইটা এশিয়া কাপের।
এমন লড়াইয়ের রাতেই কি না বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে হাজার দিনের খরা কাটিয়েছেন বিরাট কোহলি! ভারতীয় ইনিংসের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন একাই। বিশাল রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দিশা পাওয়ার কথা নয় আফগানিস্তানের। টানা দুই দিন আলাদা ভেন্যুতে খেলার ধকল নিতেও পারেনি আফগানরা। নিতে দেননি ভুবনেশ্বর কুমার। তাঁর সুইংয়ের পসরায় তথৈবচ মোহাম্মদ নবী-হজরতউল্লাহ জাজাইরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ১০১ রানে বিধ্বস্ত করেছে ভারত। ১০২০ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন কোহলি। ১২২ রানের হার না মানা ইনিংসটি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর ক্যারিয়ারসেরাও। প্রলয়ংকরী ব্যাটিংয়ে ভারত গড়েছিল ২১২ রানের ইমারত। জবাব দিতে নেমে ২১ রানে ৬ উইকেট হারানো আফগানরা পরে ইব্রাহিম জাদরানের ফিফটিতে করতে পারে ১১১ রান।
আফগানদের অল্পেই আটকে দিতে ভুবনেশ্বরও করেছেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। ৪ ওভারে স্রেফ ৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এমন বোলিং করেও অবশ্য কোহলির রাজকীয় দিনে ঢাকা পড়ে যেতে হয়েছে তাঁকে।
অথচ কোহলির এতটা খুনে হয়ে ওঠার ইঙ্গিত ইনিংসের শুরুতে পাওয়া যায়নি। প্রথম ৪০ বলে করেছেন ৫৯; গিয়ার বদলে পরের ২১ বলে তুলেছেন ৬৩! ইনিংসে সব মিলিয়ে ১২টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৬টি ছক্কা। বিশেষ করে আফগান স্পিনারদের ওপর চড়াও হয়েছেন কাল। প্রিয় শট ফ্লিকে করেছেন ৪২ রান। ফরিদ আহমেদকে পুল করে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলে পরম আরাধ্য তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলেছেন।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক সর্বশেষ ব্যাট-হেলমেট উঁচিয়ে ধরেছিলেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক গোলাপি বলের টেস্টে। একটিমাত্র ইনিংস খেলে করেছিলেন ১৩৬ রান। তাঁকে আউট করার পর চিরচেনা ভঙিতে স্যালুট দিয়েছিলেন ইবাদত হোসেন। বাংলাদেশি পেসারদের সেই স্যালুটই নাকি কাল হয়েছিল কোহলির—সামাজিক মাধ্যমে ট্রল নির্মাতা আর ক্রিকেট কুসংস্কারে বিশ্বাসীরা এত দিন এটাই ভেবে আসছিলেন। গত রাতে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়েরও পাশে বসেছেন কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুজনেরই সেঞ্চুরি এখন ৭১ টি।
‘অজেয়’ ইনিংস উপহার দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে কোহলি বলেছেন, ‘আসলে আমি অবাকই হয়েছি। এ সংস্করণে সেঞ্চুরি পাব, কল্পনাতেও আসেনি।’ বিশেষ ইনিংসটা স্ত্রী-সন্তানকে উৎসর্গ করেছেন ৩৩ বছর বয়সী তারকা, ‘সেঞ্চুরির পর লকেটে চুমু খেয়েছি। কারণ, সবাই আমাকে এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছে শুধু একজনের জন্য। সে আমাকে অনেক কিছুই অন্যভাবে দেখতে শিখিয়েছে। সে আনুশকা। আমার এই সেঞ্চুরি ওর জন্য, আমাদের ছোট্ট মেয়ে ভামিকার জন্যও। খারাপ খেললে মানুষ নানা রকম মন্তব্য করবে। কিন্তু আপনার মনের ভাষা কেউ বুঝতে চেষ্টা করবে না।’
হোক না নিছক আনুষ্ঠানিকতা, খেলতে হয় বলেই খেলা; তবু তো স্বীকৃত আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তার চেয়েও বড় কথা বিদায়ের আবহে হলেও লড়াইটা এশিয়া কাপের।
এমন লড়াইয়ের রাতেই কি না বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে হাজার দিনের খরা কাটিয়েছেন বিরাট কোহলি! ভারতীয় ইনিংসের সব আলো কেড়ে নিয়েছেন একাই। বিশাল রানের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দিশা পাওয়ার কথা নয় আফগানিস্তানের। টানা দুই দিন আলাদা ভেন্যুতে খেলার ধকল নিতেও পারেনি আফগানরা। নিতে দেননি ভুবনেশ্বর কুমার। তাঁর সুইংয়ের পসরায় তথৈবচ মোহাম্মদ নবী-হজরতউল্লাহ জাজাইরা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ১০১ রানে বিধ্বস্ত করেছে ভারত। ১০২০ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন কোহলি। ১২২ রানের হার না মানা ইনিংসটি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর ক্যারিয়ারসেরাও। প্রলয়ংকরী ব্যাটিংয়ে ভারত গড়েছিল ২১২ রানের ইমারত। জবাব দিতে নেমে ২১ রানে ৬ উইকেট হারানো আফগানরা পরে ইব্রাহিম জাদরানের ফিফটিতে করতে পারে ১১১ রান।
আফগানদের অল্পেই আটকে দিতে ভুবনেশ্বরও করেছেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। ৪ ওভারে স্রেফ ৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এমন বোলিং করেও অবশ্য কোহলির রাজকীয় দিনে ঢাকা পড়ে যেতে হয়েছে তাঁকে।
অথচ কোহলির এতটা খুনে হয়ে ওঠার ইঙ্গিত ইনিংসের শুরুতে পাওয়া যায়নি। প্রথম ৪০ বলে করেছেন ৫৯; গিয়ার বদলে পরের ২১ বলে তুলেছেন ৬৩! ইনিংসে সব মিলিয়ে ১২টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৬টি ছক্কা। বিশেষ করে আফগান স্পিনারদের ওপর চড়াও হয়েছেন কাল। প্রিয় শট ফ্লিকে করেছেন ৪২ রান। ফরিদ আহমেদকে পুল করে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে আছড়ে ফেলে পরম আরাধ্য তিন অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলেছেন।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক সর্বশেষ ব্যাট-হেলমেট উঁচিয়ে ধরেছিলেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে, কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক গোলাপি বলের টেস্টে। একটিমাত্র ইনিংস খেলে করেছিলেন ১৩৬ রান। তাঁকে আউট করার পর চিরচেনা ভঙিতে স্যালুট দিয়েছিলেন ইবাদত হোসেন। বাংলাদেশি পেসারদের সেই স্যালুটই নাকি কাল হয়েছিল কোহলির—সামাজিক মাধ্যমে ট্রল নির্মাতা আর ক্রিকেট কুসংস্কারে বিশ্বাসীরা এত দিন এটাই ভেবে আসছিলেন। গত রাতে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়েরও পাশে বসেছেন কোহলি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুজনেরই সেঞ্চুরি এখন ৭১ টি।
‘অজেয়’ ইনিংস উপহার দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে কোহলি বলেছেন, ‘আসলে আমি অবাকই হয়েছি। এ সংস্করণে সেঞ্চুরি পাব, কল্পনাতেও আসেনি।’ বিশেষ ইনিংসটা স্ত্রী-সন্তানকে উৎসর্গ করেছেন ৩৩ বছর বয়সী তারকা, ‘সেঞ্চুরির পর লকেটে চুমু খেয়েছি। কারণ, সবাই আমাকে এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখছে শুধু একজনের জন্য। সে আমাকে অনেক কিছুই অন্যভাবে দেখতে শিখিয়েছে। সে আনুশকা। আমার এই সেঞ্চুরি ওর জন্য, আমাদের ছোট্ট মেয়ে ভামিকার জন্যও। খারাপ খেললে মানুষ নানা রকম মন্তব্য করবে। কিন্তু আপনার মনের ভাষা কেউ বুঝতে চেষ্টা করবে না।’
বাংলাদেশের কাছে গত মাসে প্রথম ম্যাচ হেরেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ঐতিহাসিক এই জয়ে মুহাম্মদ ওয়াসিম ছিলেন। ‘ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) পুরস্কার পেলেন আমিরাত অধিনায়ক।
১ ঘণ্টা আগে২০২৪-২৫ মৌসুমটা রাফিনিয়া কাটিয়েছেন মনে রাখার মতো। স্প্যানিশ সুপার কাপ, লা লিগা, কোপা দেল রে—বার্সেলোনার তিনটি মেজর শিরোপা জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।
২ ঘণ্টা আগেগত বছর জিততে পারেননি একটি গ্র্যান্ড স্ল্যামও। এবারও পথটা এরকমই মনে হচ্ছে। তবে কি নোভাক জোকোভিচের দাপট শেষ হতে চলল। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকেও গতকাল সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছেন রেকর্ড ২৪ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী এই তারকা। ইতালির ইয়ানিক সিনারের কাছে ৬-৪,৭-৫, ৭-৬ (৭-৩) গেমে হারেন তিনি।
২ ঘণ্টা আগেমর্নিং শোজ দ্য ডে—জনপ্রিয় এই ইংলিশ প্রবাদটা অনেকেরই জানা। শুরু থেকেই অনেক সময় কোনো কিছুর ভবিষ্যৎ আন্দাজ করা যায়। ইতালি ফুটবল দল গত রাতে যে বাজেভাবে হেরেছে, তাতে অনেকেরই এই প্রবাদবাক্য মনে পড়ার কথা।
২ ঘণ্টা আগে