অনলাইন ডেস্ক
বলা হয়ে থাকে একটি পুরুষ তিমির সবচেয়ে কাছের বন্ধু হলো তার বৃদ্ধ মা। বাধ্য ছেলের মতো মাকে ঘিরেই তার সারা দিন কেটে যায়। কিন্তু কেন?
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই ‘কেন’-এর উত্তর খুঁজে পেয়েছেন এক দল গবেষক। তাঁরা জানিয়েছেন, নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে—মা তিমিরা তাদের কন্যাদের তুলনায় পুত্রদের সুরক্ষার বিষয়ে বেশি মনোযোগী থাকে।
আরেকটি বিষয় হলো-মানুষ ব্যতীত প্রায় সব প্রাণীর ক্ষেত্রেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সন্তান উৎপাদনে সক্ষম থাকে স্ত্রী গোত্রীয়রা। তবে ‘কিলার হোয়েল’ বা ঘাতক তিমিদের ক্ষেত্রে মানুষ্য নারীর মতোই স্ত্রী তিমির প্রজনন ক্ষমতা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আর থাকে না। একটি মা তিমি সাধারণত ৮০ থেকে ৯০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। আর মনুষ্য নারীর মতোই ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়সে মা তিমিদের মেনোপেজ শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ এই বয়সের পরে তারা আর সন্তান জন্ম দিতে পারে না।
গবেষকেরা বলছেন, মূলত মেনোপেজ হয়ে যাওয়া মা তিমিরাই তাদের পুত্রদের নিরাপত্তার বিষয়ে বেশি সচেতন।
ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার, ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর হোয়েল রিসার্চের গবেষকদের এ সম্পর্কিত পর্যবেক্ষণটি গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। আর এই গবেষণাটি মূলত ‘কিলার হোয়েল’ বা ঘাতক তিমিদের ক্ষেত্রেই করা হয়েছে।
তিমিদের শরীরে দাঁতের দাগ পর্যবেক্ষণ করে কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হন গবেষকেরা। তাঁরা দেখেছেন, মা বেঁচে থাকা অবস্থায় পুরুষ তিমিদের শরীরে ক্ষতস্থানের চিহ্ন খুবই কম। আর মায়ের অধীনে থাকা নারী তিমিদের শরীরে পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষত থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের প্রধান গবেষক চার্লি গ্রিমস বলেন, ‘মা তিমি নিশ্চিতভাবেই তার ছেলেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রজনন সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর ছেলেদেরকে মা তিমির এমন সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি।’
গবেষণাটি উত্তর আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে পরিচালনা করা হয়। এতে দেখা যায়—মা বেঁচে থাকা পুরুষ তিমিদের শরীরের ক্ষতস্থানের দাগ গড়ে ৩৫ শতাংশ কম ছিল। তবে প্রজনন ক্ষমতা থাকা অবস্থায় ছেলেদের সুরক্ষার বিষয়ে মা তিমিরা খুব বেশি নজর দিতে পারে না।
তবে কন্যাদের তুলনায় মা তিমিরা কেন ছেলেদেরই বেশি সুরক্ষা দেয় সেই কারণটিও জানিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের মতে, মেনোপজের পর ছেলেদের সঙ্গে মা তিমির আত্মিক সম্পর্ক তিমি সমাজের জটিল সামাজিক কাঠামোকে চিহ্নিত করে। এটি হতে পারে যে, ছেলেরা অন্য গোত্রের একাধিক স্ত্রী তিমির সঙ্গে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এভাবে তারা তাদের মায়ের জিনকে গোত্রে গোত্রে ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখে।
গ্রিমস বলেন, ছেলে তিমিরা বেঁচে থাকার জন্য সত্যিই তাদের মায়ের ওপর নির্ভরশীল। এমনকি মা তিমিরা সুস্বাদু স্যামন মাছ ধরে এনে অনেক যত্ন নিয়ে তার ছেলেদের ভোজনও করায়।’
বলা হয়ে থাকে একটি পুরুষ তিমির সবচেয়ে কাছের বন্ধু হলো তার বৃদ্ধ মা। বাধ্য ছেলের মতো মাকে ঘিরেই তার সারা দিন কেটে যায়। কিন্তু কেন?
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই ‘কেন’-এর উত্তর খুঁজে পেয়েছেন এক দল গবেষক। তাঁরা জানিয়েছেন, নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে—মা তিমিরা তাদের কন্যাদের তুলনায় পুত্রদের সুরক্ষার বিষয়ে বেশি মনোযোগী থাকে।
আরেকটি বিষয় হলো-মানুষ ব্যতীত প্রায় সব প্রাণীর ক্ষেত্রেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সন্তান উৎপাদনে সক্ষম থাকে স্ত্রী গোত্রীয়রা। তবে ‘কিলার হোয়েল’ বা ঘাতক তিমিদের ক্ষেত্রে মানুষ্য নারীর মতোই স্ত্রী তিমির প্রজনন ক্ষমতা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর আর থাকে না। একটি মা তিমি সাধারণত ৮০ থেকে ৯০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। আর মনুষ্য নারীর মতোই ৪০ থেকে ৪৫ বছর বয়সে মা তিমিদের মেনোপেজ শুরু হয়ে যায়। অর্থাৎ এই বয়সের পরে তারা আর সন্তান জন্ম দিতে পারে না।
গবেষকেরা বলছেন, মূলত মেনোপেজ হয়ে যাওয়া মা তিমিরাই তাদের পুত্রদের নিরাপত্তার বিষয়ে বেশি সচেতন।
ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার, ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর হোয়েল রিসার্চের গবেষকদের এ সম্পর্কিত পর্যবেক্ষণটি গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) কারেন্ট বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। আর এই গবেষণাটি মূলত ‘কিলার হোয়েল’ বা ঘাতক তিমিদের ক্ষেত্রেই করা হয়েছে।
তিমিদের শরীরে দাঁতের দাগ পর্যবেক্ষণ করে কিছু সিদ্ধান্তে উপনীত হন গবেষকেরা। তাঁরা দেখেছেন, মা বেঁচে থাকা অবস্থায় পুরুষ তিমিদের শরীরে ক্ষতস্থানের চিহ্ন খুবই কম। আর মায়ের অধীনে থাকা নারী তিমিদের শরীরে পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষত থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটারের প্রধান গবেষক চার্লি গ্রিমস বলেন, ‘মা তিমি নিশ্চিতভাবেই তার ছেলেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রজনন সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর ছেলেদেরকে মা তিমির এমন সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েছি।’
গবেষণাটি উত্তর আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে পরিচালনা করা হয়। এতে দেখা যায়—মা বেঁচে থাকা পুরুষ তিমিদের শরীরের ক্ষতস্থানের দাগ গড়ে ৩৫ শতাংশ কম ছিল। তবে প্রজনন ক্ষমতা থাকা অবস্থায় ছেলেদের সুরক্ষার বিষয়ে মা তিমিরা খুব বেশি নজর দিতে পারে না।
তবে কন্যাদের তুলনায় মা তিমিরা কেন ছেলেদেরই বেশি সুরক্ষা দেয় সেই কারণটিও জানিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের মতে, মেনোপজের পর ছেলেদের সঙ্গে মা তিমির আত্মিক সম্পর্ক তিমি সমাজের জটিল সামাজিক কাঠামোকে চিহ্নিত করে। এটি হতে পারে যে, ছেলেরা অন্য গোত্রের একাধিক স্ত্রী তিমির সঙ্গে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। এভাবে তারা তাদের মায়ের জিনকে গোত্রে গোত্রে ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখে।
গ্রিমস বলেন, ছেলে তিমিরা বেঁচে থাকার জন্য সত্যিই তাদের মায়ের ওপর নির্ভরশীল। এমনকি মা তিমিরা সুস্বাদু স্যামন মাছ ধরে এনে অনেক যত্ন নিয়ে তার ছেলেদের ভোজনও করায়।’
আমাদের গ্রহের অভ্যন্তরে ঘটছে অসংখ্য জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অনেক বেশি রহস্যময়। ভূপৃষ্ঠের পাতলা স্তর এবং উত্তপ্ত কেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ম্যান্টল অঞ্চলটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
১৩ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) প্রায় সাত মাস ধরে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে সুনিতা এখন বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি ভুলে গেছেন কীভাবে হাঁটতে হয়! এই চ্যালেঞ্জটি তাঁর শরীরের ওপর দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানের প্র
১৫ ঘণ্টা আগেমহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া নভোচারী বাচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্ককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ তথ্য জানান মাস্ক। তবে এই ঘোষণার ফলে নাসার...
২ দিন আগেচাঁদে গিয়ে অক্সিজেনের সংকটে পড়েন নভোচারীরা। এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় কীভাবে, সেই উদ্যোগ নিয়েছেন একদল প্রকৌশলী। তাঁরা চাইছেন, সেখানে যে অক্সিজেন পাওয়া যায়, এ জন্য একটি যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা স্পেসের প্রকৌশলীরা। তাঁরা আশা করছেন
৪ দিন আগে