ফাউন্টেন অব ইয়ুথ বা আবে হায়াতের ঝরনাধারা কিংবা যৌবনের ফোয়ারা নিয়ে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই নানা ধরনে আলোচনা আছে। বিভিন্ন সময়ে বারবার মানুষ এই ফাউন্টেন অব ইয়ুথের খোঁজে বেরিয়েছেন কিন্তু ফিরেছেন ব্যর্থ হয়ে। তবে এবার বিশ্বের অজানা কোনো প্রান্তে নয়, শরীরেই বয়স ধরে রাখার রহস্য উদ্ঘাটনের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স ডেইলির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, রক্তের টি-সেলস তথা রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইকারী লিম্ফোসাইটকে রিপ্রোগ্রাম বা নতুন করে সাজানো হলে তা বুড়িয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হবে।
এরই মধ্যে বিজ্ঞানীরা এর প্রমাণ পেয়েছেন। তাঁরা এক প্রজাতির ইঁদুরের টি-সেলসের রিপ্রোগ্রামিং করার পর সেগুলোর সাহায্যে রক্ত থেকে নির্দিষ্ট কিছু কোষ সরিয়ে ফেলার পর দেখেছেন প্রাণীগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি সুস্থ জীবন যাপন করছে। এ ছাড়া, ইঁদুরগুলোর ওজন স্বাভাবিক মাত্রা নেমে এসেছিল, সেগুলোর বিপাক প্রক্রিয়া আগের চেয়ে দ্রুত হয়েছ। এ ছাড়া রক্তে গ্লুকোজ সহনীয়তা এবং শারীরিক কর্মকাণ্ডেও বেশ গতি এসেছে। এই পরিবর্তনের ফলে ইঁদুরগুলোর শরীরে কোনো ধরনের ক্ষতিই হয়নি।
বিজ্ঞানীরা আরও দেখেছেন, এর ফলে বুড়িয়ে যাওয়ার বিভিন্ন লক্ষণ, যেমন—মুটিয়ে যাওয়া ডায়াবেটিকের মতো রোগগুলোও সেগুলোর শরীরে দেখা যায়নি। রিপ্রোগ্রামিং করা এই টি-সেলসের একটি মাত্র ডোজের ফলেই তরুণ ইঁদুরগুলোকে সুস্থ রাখছে আজীবন এবং বুড়ো ইঁদুরগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বংশগতি ও ক্যানসার নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবের সহকারী অধ্যাপক কোরিনা আমর ভেগাস এবং তাঁর দলের গবেষকেরা বুড়িয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য টি-সেলসের এই রিপ্রোগ্রামিং পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
অধ্যাপক ভেগাস বলেন, এসব শ্বেত রক্তকণিকায় সঠিক জেনেটিক পরিবর্তন আনতে পারলে সেগুলো শরীরে থাকা বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কোষগুলোকে আক্রমণ করে। এসব কোষই মূলত আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী, যা আমাদের বার্ধক্যের দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু পরিবর্তিত টি-সেলস সেই কোষগুলোকে মেরে ফেলার মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়।
বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী এই কোষগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময় পর গিয়ে পুনরুৎপাদন বন্ধ করে দেয়, যার ফলে আমাদের দেহে এসব কোষ স্তরীভূত হতে থাকে এবং একপর্যায়ে আমাদের দেহে গুরুতর অসুস্থতা ডেকে আনে। ভেগাস বলছেন, যদিও বর্তমানে বাজারে কিছু ওষুধ আছে যেগুলো এই কোষগুলোকে মেরে ফেলতে পারে। কিন্তু সেটি আসলে যথেষ্ট নয়।
সেই অসুবিধা দূর করতেই অধ্যাপক ভেগাস ও তাঁর দল হাজির করেছেন বিকল্প পদ্ধতি। তাঁরা একধরনের ‘জীবন্ত’ প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছেন। যার নাম তাঁরা দিয়েছেন সিএআর বা কার (কাইমেরিক অ্যান্টিজেন রিসেপ্টর) টি-সেলস। বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, এই কার টি-সেলস ব্যবহার করে বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কোষগুলো ধ্বংস করা সম্ভব।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ভেগাস বলেন, ‘যদি আমরা এটি (কার টি-সেলস) বয়স্ক ইঁদুরে প্রবেশ করাই, তাহলে সেগুলো পুনরুজ্জীবিত হয়। অল্প বয়সী ইঁদুরকে দেওয়ার ফলে সেগুলোর বুড়িয়ে যাওয়া প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এই মুহূর্তে অন্য কোনো থেরাপি এই ফল দিতে পারে না।’ তিনি আরও জানান, কার টি-সেলসের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো—এগুলো অনেক দিন টিকে থাকে দেহে।
গবেষকেরা দেখেছেন, অল্প বয়সে একটি মাত্র ডোজ আজীবন প্রভাব ফেলতে পারে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ভেগাস করেন, ‘টি-সেলসগুলোর স্মৃতিশক্তি বিকাশ করার এবং সত্যিকার অর্থে শরীরের দীর্ঘ সময়ের জন্য টিকে থাকার ক্ষমতা আছে। এটি রাসায়নিক ওষুধ থেকে খুব আলাদা।’
কার টি-সেলগুলো ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্লাড ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু ভেগাসই প্রথম বিজ্ঞানীদের একজন, যিনি দেখিয়েছেন, এই কোষগুলোর ব্যবহার কেবল ক্যানসার নয়, অন্য অনেক ক্ষেত্রেই দারুণভাবে করা যায়। টি-সেল রিপ্রোগ্রামিং যদি সফল হয়, তাহলে সমাজ তারুণ্যের লোভনীয় ফোয়ারা থেকে মাত্র ‘এক ইঁদুর কদম’ দূরত্বে কাছাকাছি অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন ভেগাস।
ফাউন্টেন অব ইয়ুথ বা আবে হায়াতের ঝরনাধারা কিংবা যৌবনের ফোয়ারা নিয়ে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই নানা ধরনে আলোচনা আছে। বিভিন্ন সময়ে বারবার মানুষ এই ফাউন্টেন অব ইয়ুথের খোঁজে বেরিয়েছেন কিন্তু ফিরেছেন ব্যর্থ হয়ে। তবে এবার বিশ্বের অজানা কোনো প্রান্তে নয়, শরীরেই বয়স ধরে রাখার রহস্য উদ্ঘাটনের দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছেন বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স ডেইলির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, রক্তের টি-সেলস তথা রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইকারী লিম্ফোসাইটকে রিপ্রোগ্রাম বা নতুন করে সাজানো হলে তা বুড়িয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হবে।
এরই মধ্যে বিজ্ঞানীরা এর প্রমাণ পেয়েছেন। তাঁরা এক প্রজাতির ইঁদুরের টি-সেলসের রিপ্রোগ্রামিং করার পর সেগুলোর সাহায্যে রক্ত থেকে নির্দিষ্ট কিছু কোষ সরিয়ে ফেলার পর দেখেছেন প্রাণীগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি সুস্থ জীবন যাপন করছে। এ ছাড়া, ইঁদুরগুলোর ওজন স্বাভাবিক মাত্রা নেমে এসেছিল, সেগুলোর বিপাক প্রক্রিয়া আগের চেয়ে দ্রুত হয়েছ। এ ছাড়া রক্তে গ্লুকোজ সহনীয়তা এবং শারীরিক কর্মকাণ্ডেও বেশ গতি এসেছে। এই পরিবর্তনের ফলে ইঁদুরগুলোর শরীরে কোনো ধরনের ক্ষতিই হয়নি।
বিজ্ঞানীরা আরও দেখেছেন, এর ফলে বুড়িয়ে যাওয়ার বিভিন্ন লক্ষণ, যেমন—মুটিয়ে যাওয়া ডায়াবেটিকের মতো রোগগুলোও সেগুলোর শরীরে দেখা যায়নি। রিপ্রোগ্রামিং করা এই টি-সেলসের একটি মাত্র ডোজের ফলেই তরুণ ইঁদুরগুলোকে সুস্থ রাখছে আজীবন এবং বুড়ো ইঁদুরগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বংশগতি ও ক্যানসার নিয়ে গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান কোল্ড স্প্রিং হারবার ল্যাবের সহকারী অধ্যাপক কোরিনা আমর ভেগাস এবং তাঁর দলের গবেষকেরা বুড়িয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য টি-সেলসের এই রিপ্রোগ্রামিং পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন।
অধ্যাপক ভেগাস বলেন, এসব শ্বেত রক্তকণিকায় সঠিক জেনেটিক পরিবর্তন আনতে পারলে সেগুলো শরীরে থাকা বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কোষগুলোকে আক্রমণ করে। এসব কোষই মূলত আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী, যা আমাদের বার্ধক্যের দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু পরিবর্তিত টি-সেলস সেই কোষগুলোকে মেরে ফেলার মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়।
বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী এই কোষগুলো সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময় পর গিয়ে পুনরুৎপাদন বন্ধ করে দেয়, যার ফলে আমাদের দেহে এসব কোষ স্তরীভূত হতে থাকে এবং একপর্যায়ে আমাদের দেহে গুরুতর অসুস্থতা ডেকে আনে। ভেগাস বলছেন, যদিও বর্তমানে বাজারে কিছু ওষুধ আছে যেগুলো এই কোষগুলোকে মেরে ফেলতে পারে। কিন্তু সেটি আসলে যথেষ্ট নয়।
সেই অসুবিধা দূর করতেই অধ্যাপক ভেগাস ও তাঁর দল হাজির করেছেন বিকল্প পদ্ধতি। তাঁরা একধরনের ‘জীবন্ত’ প্রতিষেধক আবিষ্কার করেছেন। যার নাম তাঁরা দিয়েছেন সিএআর বা কার (কাইমেরিক অ্যান্টিজেন রিসেপ্টর) টি-সেলস। বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন, এই কার টি-সেলস ব্যবহার করে বুড়িয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কোষগুলো ধ্বংস করা সম্ভব।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ভেগাস বলেন, ‘যদি আমরা এটি (কার টি-সেলস) বয়স্ক ইঁদুরে প্রবেশ করাই, তাহলে সেগুলো পুনরুজ্জীবিত হয়। অল্প বয়সী ইঁদুরকে দেওয়ার ফলে সেগুলোর বুড়িয়ে যাওয়া প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এই মুহূর্তে অন্য কোনো থেরাপি এই ফল দিতে পারে না।’ তিনি আরও জানান, কার টি-সেলসের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো—এগুলো অনেক দিন টিকে থাকে দেহে।
গবেষকেরা দেখেছেন, অল্প বয়সে একটি মাত্র ডোজ আজীবন প্রভাব ফেলতে পারে। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে ভেগাস করেন, ‘টি-সেলসগুলোর স্মৃতিশক্তি বিকাশ করার এবং সত্যিকার অর্থে শরীরের দীর্ঘ সময়ের জন্য টিকে থাকার ক্ষমতা আছে। এটি রাসায়নিক ওষুধ থেকে খুব আলাদা।’
কার টি-সেলগুলো ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্লাড ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু ভেগাসই প্রথম বিজ্ঞানীদের একজন, যিনি দেখিয়েছেন, এই কোষগুলোর ব্যবহার কেবল ক্যানসার নয়, অন্য অনেক ক্ষেত্রেই দারুণভাবে করা যায়। টি-সেল রিপ্রোগ্রামিং যদি সফল হয়, তাহলে সমাজ তারুণ্যের লোভনীয় ফোয়ারা থেকে মাত্র ‘এক ইঁদুর কদম’ দূরত্বে কাছাকাছি অবস্থান করবে বলে জানিয়েছেন ভেগাস।
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের (জেডব্লিউএসটি) মাধ্যমে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় মানচিত্র তৈরি করলেন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই মানচিত্রটি মহাবিশ্বের একটি ছোট অংশজুড়ে বিস্তৃত, যেখানে প্রায় আট লাখ গ্যালাক্সি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে এমন গ্যালাক্সিও আছে, যা এত দূরে অবস্থিত যে সেগুলো মহাবিশ্বের শৈশবের সময়কার,
২ ঘণ্টা আগেআধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
১ দিন আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
২ দিন আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৩ দিন আগে