Ajker Patrika

বিশ্বের প্রথম ‘ক্রিসপার জিন-এডিটিং’ ওষুধ বাজারে আনল যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯: ৪৬
Thumbnail image

বিশ্বের প্রথম ক্রিসপার জিন-এডিটিং ড্রাগ বা ওষুধ বাজারে ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ সিকল-সেল রোগের চিকিৎসার অংশ হিসেবে ক্যাসগেভি নামক ওষুধটির অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে মধ্য বিশ্বের প্রথম ক্রিসপার জিন-এডিটিং ওষুধ বাজারে এল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

সাধারণত জীবকোষে কাঙ্ক্ষিত বৈশিষ্ট্য বা পরিবর্তন আনতে কোষের ডিএনএকে পরিবর্তন করার কৌশলকে বলা জয় জিন-এডিটিং। সহজ কথায় ডিএনএ শিকলের কোনো একটি নিউক্লিওটাইডকে সরিয়ে সেই স্থানে আরেকটি নিউক্লিওটাইড প্রতিস্থাপন করা। এটি সুনির্দিষ্ট ও সুদক্ষভাবে ডিএনএ রূপান্তরের পদ্ধতি। 

আর এ ক্ষেত্রে ডিএনএকে কাটতে ব্যবহার করা হয় ক্রিসপার জিন-এডিটিং কৌশল। সংক্ষেপে ক্রিসপার নামে পরিচিত হলেও এর পুরো নাম ক্রিসপার-ক্যাস। এটি মূলত একটি আরএনএ প্রোটিন কমপ্লেক্স, যা ডিএনএকে কাটা বা এডিট (সম্পাদন) করার ক্ষমতা রাখে। ব্যাকটেরিয়ার ইমিউন সিস্টেমের এই উপাদানকে একটি ম্যাপ দিয়ে দিলে তা ম্যাপ অনুযায়ী ডিএনএর নির্দিষ্ট জায়গায় কেটে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনতে পারে। আর কাজ শেষে ক্রিসপার-ক্যাস পদ্ধতিটিও কোষের ভেতর নষ্ট হয়ে যায়। এই পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য স্প্যানিশ বিজ্ঞানী ফ্রানসিসকো মহিকা নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। 

এফডিএ ক্যাসগেভি নামের এই ওষুধটিকে বিভিন্ন সিকল-সেল রোগের চিকিৎসায় ব্যবহারের লক্ষ্যে বাজারে ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে। ওষুধটি বাজারে এনেছে ভারটেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস ও ক্রিসপার থেরাপিউটিকস। এফডিএ-এর এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তটি একটি শক্তিশালী নতুন ধরনের ওষুধের ঘোষণা দেয়। চিকিৎসকেরা দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের রোগের চিকিৎসা নিয়ে বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলেন। 

এই সিকল-সেল রোগের চিকিৎসার বাইরেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার ও বিরল জেনেটিক ব্যাধিসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য ক্রিসপার টেকনোলজিভত্তিক থেরাপি তৈরি করছে। পরবর্তী প্রজন্মের জিন-এডিটিং এসব ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অন্যান্য ওষুধের তুলনায় কম হওয়ার কথা। ফলে চিকিৎসা পদ্ধতি আরও সহজ হবে। 

উল্লেখ্য, সিকল-সেল রক্তের এক ধরনের রোগ। পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে যে ধরনের হিমোগ্লোবিন থাকে, এই রোগে আক্রান্ত হলে তা আর থাকে না। লোহিত কণিকার আকারগুলোও সাধারণের মতো হয় না বরং ‘সিকল’ অর্থাৎ, কাস্তের মতো দেখতে হয়। সাধারণত সুস্থ কোষগুলো গোল হয়ে। কিন্তু সিকল সেলে আক্রান্ত রোগীর লোহিত কণিকা হয় কাস্তের মতো দেখতে। বাবা-মায়ের শরীর থেকে সেই রোগ যেতে পারে সন্তানের দেহে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত