আরব দেশগুলো ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। এবার মহাকাশ জয়ের লক্ষ্যে প্রথম আরব দেশ হিসেবে চন্দ্র অভিযানে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির ৫১ তম জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে দুর্লভ এই কীর্তি গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিল দেশটি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীন সফলভাবে তাদের চন্দ্র মিশন সম্পন্ন করেছে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, ৩০ নভেম্বর দুপুরে হিসেবে প্রথমবারের চন্দ্রযান পাঠাবে আরব আমিরাত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে করে যুক্তরাষ্ট্রের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে যাত্রা শুরু করবে মহাকাশযানটি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চাঁদে পৌঁছাতে মহাকাশযানটির আনুমানিক সময় লাগবে ৫ মাস।
আধুনিক দুবাইয়ের রূপকার প্রয়াত শেখ রশিদ বিন সাইদ আল মাখতুমের নামে মনুষ্যবিহীন এই মহাকাশযানটির নাম করা হয়েছে ‘রশিদ রোভার’। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম এই অভিযানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে সময় ২০২৪ সালকে সম্ভাব্য উৎক্ষেপণের বছর ধরা হয়েছিল।
চাঁদের যেখানে অবতরণ করবে রশিদ রোভার
মহাকাশযানটি চাঁদের ‘অ্যাটলাস ক্রেটার’ অঞ্চলে অবতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যা চাঁদের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের ‘মেরে ফ্রিগোরিসের’ (সি অব কোল্ড) বাইরে অবস্থিত। সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে পাঠাবে চন্দ্রযানটি। পাশাপাশি প্রায় কয়েক কোটি বছর আগে সেখানে গঠিত অনাবিষ্কৃত গর্ত ও বিশাল বেসিনের তথ্য সংগ্রহও করবে এটি। এ প্রসঙ্গে দেশটির মোহাম্মদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টার (এমবিআরএসসি) জানিয়েছে, ‘চাঁদ নিয়ে গবেষণার জন্য রশিদ রোভার প্রায় ১০ গিগাবাইট রেকর্ডকৃত বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং নতুন ছবি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করবে।’
বিশেষ করে চাঁদের মাটির বৈশিষ্ট্য, চান্দ্র শিলার গঠন ও বৈশিষ্ট্য ও চাঁদের ভূতত্ত্ব নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে রশিদ রোভার। এটি চাঁদের ধূলিকণা, পৃষ্ঠ প্লাজমার অবস্থা ও রেগোলিথের (কঠিন শিলার ওপর আচ্ছাদিত স্তর) ছবিও তুলবে। ফলে চাঁদের ধুলো ও শিলা পরিবর্তনের বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। দুবাই আশা করছে, এর ফলে পৃথিবী ও সৌরজগতের উৎসের উদ্ঘাটন সহজ হবে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে চাঁদে মানব বসতি স্থাপনের বিষয়টি নিয়েও গবেষণার কাজে লাগবে এসব তথ্য। দুবাইয়ের মঙ্গলে ভবিষ্যৎ মিশন সম্পর্কেও ধারণা পেতে সাহায্য করবে এবারের অভিযানটি।
উন্নত ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি
পুরো মিশনটিতে অত্যাধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। মহাকাশযান হাকুতো-আর এম-১ এ করে রশিদ রোভার ও অন্য সরঞ্জামসমূহ কক্ষপথে নিয়ে যাওয়া হবে। বিশেষ পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘ পথের পরিবর্তে স্বল্প দূরত্বের পথে রকেটটিকে চাঁদের কক্ষপথে নিয়ে যাওয়া হবে। ফলে জ্বালানি ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে। চাঁদে এর অবতরণেও বিশেষ স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ব্যবহৃত হবে। রোভারটিতে এমন প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে যা চন্দ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রতিরোধ করতে পারে।
অত্যাধুনিক ক্যামেরা
রোভারটিতে থ্রিডি ক্যামেরা, উন্নত মোশন প্রযুক্তি, সেন্সর ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হয়েছে। যা সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে পরিচালিত হবে। দুটি প্রধান ক্যামেরা সহ চারটি ক্যামেরা রয়েছে যা উল্লম্ব এবং অনুভূমিকভাবে ছবি তুলতে সক্ষম। এ ছাড়া ক্যামেরাগুলো উৎক্ষেপণ ও অবতরণের কম্পন সহ্য করতে পারে। ক্যামেরাতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি চন্দ্রের মাটি, ধূলিকণা, তেজস্ক্রিয়তা, বৈদ্যুতিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চন্দ্র পৃষ্ঠের পাথরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করতে সক্ষম।
মিশনের সময়কাল
রশিদ রোভার এক চন্দ্র দিন (পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান) চাঁদে অবস্থান করবে এবং তথ্য সংগ্রহ করবে। তবে এর মিশন আরও এক চন্দ্র দিবস বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম চন্দ্র দিনের পর রোভারটি হাইবারনেশনে চলে যাবে বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সূর্য ওঠার পর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলে আবারও এটি কাজ শুরু করবে। তবে রশিদ রোভারের ফিরতি যাত্রা নেই অর্থাৎ এটি আর পৃথিবীতে ফিরবে না। তবে ফিরে না আসলেও পৃথিবীতে অসংখ্য চমকপ্রদ ছবি ও নতুন তথ্য পাঠাবে রোভারটি এমনটিই প্রত্যাশা দুবাইয়ের।
আরব দেশগুলো ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। এবার মহাকাশ জয়ের লক্ষ্যে প্রথম আরব দেশ হিসেবে চন্দ্র অভিযানে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির ৫১ তম জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে দুর্লভ এই কীর্তি গড়ার উদ্যোগ নিয়েছিল দেশটি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীন সফলভাবে তাদের চন্দ্র মিশন সম্পন্ন করেছে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, ৩০ নভেম্বর দুপুরে হিসেবে প্রথমবারের চন্দ্রযান পাঠাবে আরব আমিরাত। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে করে যুক্তরাষ্ট্রের কেপ ক্যানাভেরাল থেকে যাত্রা শুরু করবে মহাকাশযানটি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চাঁদে পৌঁছাতে মহাকাশযানটির আনুমানিক সময় লাগবে ৫ মাস।
আধুনিক দুবাইয়ের রূপকার প্রয়াত শেখ রশিদ বিন সাইদ আল মাখতুমের নামে মনুষ্যবিহীন এই মহাকাশযানটির নাম করা হয়েছে ‘রশিদ রোভার’। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাখতুম এই অভিযানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে সময় ২০২৪ সালকে সম্ভাব্য উৎক্ষেপণের বছর ধরা হয়েছিল।
চাঁদের যেখানে অবতরণ করবে রশিদ রোভার
মহাকাশযানটি চাঁদের ‘অ্যাটলাস ক্রেটার’ অঞ্চলে অবতরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। যা চাঁদের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের ‘মেরে ফ্রিগোরিসের’ (সি অব কোল্ড) বাইরে অবস্থিত। সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে পাঠাবে চন্দ্রযানটি। পাশাপাশি প্রায় কয়েক কোটি বছর আগে সেখানে গঠিত অনাবিষ্কৃত গর্ত ও বিশাল বেসিনের তথ্য সংগ্রহও করবে এটি। এ প্রসঙ্গে দেশটির মোহাম্মদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টার (এমবিআরএসসি) জানিয়েছে, ‘চাঁদ নিয়ে গবেষণার জন্য রশিদ রোভার প্রায় ১০ গিগাবাইট রেকর্ডকৃত বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং নতুন ছবি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করবে।’
বিশেষ করে চাঁদের মাটির বৈশিষ্ট্য, চান্দ্র শিলার গঠন ও বৈশিষ্ট্য ও চাঁদের ভূতত্ত্ব নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে রশিদ রোভার। এটি চাঁদের ধূলিকণা, পৃষ্ঠ প্লাজমার অবস্থা ও রেগোলিথের (কঠিন শিলার ওপর আচ্ছাদিত স্তর) ছবিও তুলবে। ফলে চাঁদের ধুলো ও শিলা পরিবর্তনের বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন বিজ্ঞানীরা। দুবাই আশা করছে, এর ফলে পৃথিবী ও সৌরজগতের উৎসের উদ্ঘাটন সহজ হবে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে চাঁদে মানব বসতি স্থাপনের বিষয়টি নিয়েও গবেষণার কাজে লাগবে এসব তথ্য। দুবাইয়ের মঙ্গলে ভবিষ্যৎ মিশন সম্পর্কেও ধারণা পেতে সাহায্য করবে এবারের অভিযানটি।
উন্নত ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি
পুরো মিশনটিতে অত্যাধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। মহাকাশযান হাকুতো-আর এম-১ এ করে রশিদ রোভার ও অন্য সরঞ্জামসমূহ কক্ষপথে নিয়ে যাওয়া হবে। বিশেষ পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘ পথের পরিবর্তে স্বল্প দূরত্বের পথে রকেটটিকে চাঁদের কক্ষপথে নিয়ে যাওয়া হবে। ফলে জ্বালানি ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে। চাঁদে এর অবতরণেও বিশেষ স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ব্যবহৃত হবে। রোভারটিতে এমন প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে যা চন্দ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রতিরোধ করতে পারে।
অত্যাধুনিক ক্যামেরা
রোভারটিতে থ্রিডি ক্যামেরা, উন্নত মোশন প্রযুক্তি, সেন্সর ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হয়েছে। যা সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে পরিচালিত হবে। দুটি প্রধান ক্যামেরা সহ চারটি ক্যামেরা রয়েছে যা উল্লম্ব এবং অনুভূমিকভাবে ছবি তুলতে সক্ষম। এ ছাড়া ক্যামেরাগুলো উৎক্ষেপণ ও অবতরণের কম্পন সহ্য করতে পারে। ক্যামেরাতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি চন্দ্রের মাটি, ধূলিকণা, তেজস্ক্রিয়তা, বৈদ্যুতিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চন্দ্র পৃষ্ঠের পাথরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করতে সক্ষম।
মিশনের সময়কাল
রশিদ রোভার এক চন্দ্র দিন (পৃথিবীর ১৪ দিনের সমান) চাঁদে অবস্থান করবে এবং তথ্য সংগ্রহ করবে। তবে এর মিশন আরও এক চন্দ্র দিবস বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম চন্দ্র দিনের পর রোভারটি হাইবারনেশনে চলে যাবে বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সূর্য ওঠার পর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করলে আবারও এটি কাজ শুরু করবে। তবে রশিদ রোভারের ফিরতি যাত্রা নেই অর্থাৎ এটি আর পৃথিবীতে ফিরবে না। তবে ফিরে না আসলেও পৃথিবীতে অসংখ্য চমকপ্রদ ছবি ও নতুন তথ্য পাঠাবে রোভারটি এমনটিই প্রত্যাশা দুবাইয়ের।
নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের (জেডব্লিউএসটি) মাধ্যমে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় মানচিত্র তৈরি করলেন করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই মানচিত্রটি মহাবিশ্বের একটি ছোট অংশজুড়ে বিস্তৃত, যেখানে প্রায় আট লাখ গ্যালাক্সি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর মধ্যে এমন গ্যালাক্সিও আছে, যা এত দূরে অবস্থিত যে সেগুলো মহাবিশ্বের শৈশবের সময়কার,
২১ ঘণ্টা আগেআধুনিক জীবনে প্লাস্টিকের ব্যবহার এড়িয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। তবে এই বহুল ব্যবহৃত উপাদানটিই আজ পরিবেশের জন্য এক ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরের পর বছর ধরে এই প্লাস্টিক জমে থাকছে নদী-নালা, সাগর ও মাটির গভীরে, যা জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে মানবস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা
২ দিন আগেবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতি মুহূর্তে ঘটছে অসংখ্য শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটছে। নক্ষত্রগুলো জ্বলছে বিশাল পরমাণু বিক্রিয়ার শক্তিতে, আর বিশাল উল্কাপিণ্ড ছুটে এসে ধাক্কা দিচ্ছে গ্রহে গ্রহে। তবে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের মহাজাগতিক বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছেন, যা এই সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। তাদের দাবি, মহাকা
৩ দিন আগেআমাদের গ্রহে প্রাণের বিকাশ ও প্রাচুর্য টিকে আছে অক্সিজেনের কল্যাণে। কিন্তু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সব সময় এমন ছিল না। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, ভবিষ্যতে আমাদের বায়ুমণ্ডলে আবারও মিথেনের আধিক্য হবে এবং অক্সিজেনবিহীন অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এখনই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৪ দিন আগে