প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
লবস্টার বা সামুদ্রিক চিংড়ি কত দিন বাঁচে? এ প্রশ্নের উত্তর সহজ নয়। এই সামুদ্রিক প্রাণীগুলো বার্ধক্যের কারণে মারা যায় না, বরং চরম ক্লান্তি আর বাইরের শত্রুর আক্রমণে শেষ পর্যন্ত এরা মারা যায়। এর প্রধান কারণ, এর শরীর আয়তনে বাড়লেও খোলস পাল্টানোর মতো শক্তি আর থাকে না।
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড ও চলৎশক্তি ধীর হয়ে যায়। তরুণ বয়সের তুলনায় মধ্য বা বৃদ্ধ বয়সে মানুষের কাজ করার গতি কমে যায়। মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। একে জীববিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘সেনেসেন্স’। এ প্রক্রিয়া শুরু হয় মানুষের কোষীয় পর্যায়ে।
বার্ধক্যে মানুষের কোষ বিভাজন বন্ধ হয়ে যায়। যদিও কোষগুলো সক্রিয় ও জীবন্ত থাকে। ফলে কোষের বয়স বাড়তে থাকে। মানুষের দেহের বৃদ্ধি এবং ক্ষত বা ক্ষয় নিরাময়ের জন্য কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নতুন কোষ তৈরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ভারোত্তোলনের জন্য এই কোষ বিভাজন খুবই জরুরি। এই কোষ বিভাজন বন্ধ হয়ে গেলেই মানুষ বার্ধক্যে উপনীত হয়।
মানুষের কোষের অভ্যন্তরস্থ ক্রোমোজোমের প্রান্তেই একটি বিশেষ বর্ম থাকে, যা টেলোমেরেস নামে পরিচিত। এই টেলোমেরেস থেকেই শুরু হয় কোষ বিভাজন। কিন্তু ডিএনএকে রক্ষা করার জন্য প্রতিবার কোষ বিভাজনের পর এই অংশ ছোট হতে থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর কোষ বিভাজন বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু লবস্টারের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি এমন নয়। এই অমেরুদণ্ডী প্রাণীর একটি বিশেষ এনজাইম আছে, এই এনজাইমের নামও আশ্চর্যজনকভাবে টেলোমেরেস। এই এনজাইম ক্রোমোজোমের টেলোমেরেসকে সব সময় একই রকম থাকতে সহায়তা করে। ফলে এই বিশেষ বর্মের ক্রম বৃদ্ধি ঘটতে থাকে এবং কোষ বিভাজন চলতে থাকে। ফলে লবস্টাররা কখনো বার্ধক্যে উপনীত হয় না।
লবস্টার কঠিন খোলসযুক্ত জলজ প্রাণী। যখন এদের শরীরের আকার বড় হয়, তখন খোলস পাল্টানোর প্রয়োজন হয়। এই প্রক্রিয়ার জন্য এদের প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে হয়। কিন্তু এরা যখন একটি নির্দিষ্ট আকারে পৌঁছে যায়, তখন খোলস তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ক্যালরি আর সঞ্চয় করার সামর্থ্য থাকে না। ফলে শরীরে শক্ত খোলসও তৈরি হয় না। ভারী শরীর নিয়ে চরম ক্লান্তিতে ভোগে এরা। আর শক্ত খোলস না থাকার কারণে বিভিন্ন প্রাণীর আক্রমণের শিকার হয় এবং নানা রোগে আক্রান্ত হয়। এভাবেই মৃত্যু ঘটে চিরতরুণ লবস্টারের!
তথ্যসূত্র: বিগ থিংক
লবস্টার বা সামুদ্রিক চিংড়ি কত দিন বাঁচে? এ প্রশ্নের উত্তর সহজ নয়। এই সামুদ্রিক প্রাণীগুলো বার্ধক্যের কারণে মারা যায় না, বরং চরম ক্লান্তি আর বাইরের শত্রুর আক্রমণে শেষ পর্যন্ত এরা মারা যায়। এর প্রধান কারণ, এর শরীর আয়তনে বাড়লেও খোলস পাল্টানোর মতো শক্তি আর থাকে না।
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড ও চলৎশক্তি ধীর হয়ে যায়। তরুণ বয়সের তুলনায় মধ্য বা বৃদ্ধ বয়সে মানুষের কাজ করার গতি কমে যায়। মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণীর শরীরের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। একে জীববিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘সেনেসেন্স’। এ প্রক্রিয়া শুরু হয় মানুষের কোষীয় পর্যায়ে।
বার্ধক্যে মানুষের কোষ বিভাজন বন্ধ হয়ে যায়। যদিও কোষগুলো সক্রিয় ও জীবন্ত থাকে। ফলে কোষের বয়স বাড়তে থাকে। মানুষের দেহের বৃদ্ধি এবং ক্ষত বা ক্ষয় নিরাময়ের জন্য কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নতুন কোষ তৈরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ভারোত্তোলনের জন্য এই কোষ বিভাজন খুবই জরুরি। এই কোষ বিভাজন বন্ধ হয়ে গেলেই মানুষ বার্ধক্যে উপনীত হয়।
মানুষের কোষের অভ্যন্তরস্থ ক্রোমোজোমের প্রান্তেই একটি বিশেষ বর্ম থাকে, যা টেলোমেরেস নামে পরিচিত। এই টেলোমেরেস থেকেই শুরু হয় কোষ বিভাজন। কিন্তু ডিএনএকে রক্ষা করার জন্য প্রতিবার কোষ বিভাজনের পর এই অংশ ছোট হতে থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর কোষ বিভাজন বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু লবস্টারের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াটি এমন নয়। এই অমেরুদণ্ডী প্রাণীর একটি বিশেষ এনজাইম আছে, এই এনজাইমের নামও আশ্চর্যজনকভাবে টেলোমেরেস। এই এনজাইম ক্রোমোজোমের টেলোমেরেসকে সব সময় একই রকম থাকতে সহায়তা করে। ফলে এই বিশেষ বর্মের ক্রম বৃদ্ধি ঘটতে থাকে এবং কোষ বিভাজন চলতে থাকে। ফলে লবস্টাররা কখনো বার্ধক্যে উপনীত হয় না।
লবস্টার কঠিন খোলসযুক্ত জলজ প্রাণী। যখন এদের শরীরের আকার বড় হয়, তখন খোলস পাল্টানোর প্রয়োজন হয়। এই প্রক্রিয়ার জন্য এদের প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে হয়। কিন্তু এরা যখন একটি নির্দিষ্ট আকারে পৌঁছে যায়, তখন খোলস তৈরির জন্য পর্যাপ্ত ক্যালরি আর সঞ্চয় করার সামর্থ্য থাকে না। ফলে শরীরে শক্ত খোলসও তৈরি হয় না। ভারী শরীর নিয়ে চরম ক্লান্তিতে ভোগে এরা। আর শক্ত খোলস না থাকার কারণে বিভিন্ন প্রাণীর আক্রমণের শিকার হয় এবং নানা রোগে আক্রান্ত হয়। এভাবেই মৃত্যু ঘটে চিরতরুণ লবস্টারের!
তথ্যসূত্র: বিগ থিংক
রঙের জগতে নতুন চমক নিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, তারা এমন একটি রং আবিষ্কার করেছেন, যা সাধারণ চোখে আগে কখনো দেখা যায়নি। এই রঙের নাম রাখা হয়েছে ‘ওলো’, যা দেখতে একধরনের গাড় সবুজাভ নীল।
৫ ঘণ্টা আগেআইনস্টাইনের কথা উঠলেই চলে আসে আরও একজনের নাম। তিনি হলের এমি নোয়েথার। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্ব সহজভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন এই নারী। তিনি ছিলেন জার্মান গণিতবিদ। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে মারা যান এই নারী। কিন্তু এই অল্প কিছুদিনেই গণিতে তাঁর অবদান অসামান্য।
১ দিন আগেজলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই–অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কৃষিপ্রধান দেশগুলোর ধানে আর্সেনিকের উপস্থিতির আশঙ্কা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেডলফিনেরা পৃথিবীর অন্যতম বুদ্ধিমান প্রাণী, যাদের জটিল সামাজিক আচরণ ও শিসের মাধ্যমে নিজস্ব সাংকেতিক নাম রয়েছে। তারা ঘনঘন শব্দ, ক্লিক ও স্কোয়াক ব্যবহার করে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রহস্যময় এই যোগাযোগব্যবস্থা ভেদ করার পথেই এগোচ্ছে বিজ্ঞান।
২ দিন আগে