রং চেনার জন্য মস্তিষ্কের কোন সার্কিট দায়ী, তা শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। অপটিক লোবের মধ্যে থাকা নিউরনগুলো বিভিন্ন রঙের প্রতি আলাদাভাবে সাড়া দেয়। ফলে কোনো রং বেগুনি নাকি গাড় বেগুনি—তা বোঝা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানী যুগান্তকারী এই আবিষ্কার করেন। গবেষণাপত্রটি নেচার জার্নালের নিউরোসায়েন্স বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে।
ফ্রুট ফ্লাই বা ফলের মাছির ওপর নিরীক্ষা চালিয়ে গবেষকেরা এই সার্কিট চিহ্নিত করেন। নেচার জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফলের মাছির অপটিক লোবের মধ্যে থাকা নিউরনগুলো বিভিন্ন বর্ণের প্রতি আলাদাভাবে সাড়া দেয়। মাছির মস্তিষ্কের নিউরাল নেটওয়ার্কের পুরো চিত্র বের করার মাধ্যমে এই আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে।
মস্তিষ্ক কীভাবে সংবেদনশীল সংকেতকে অর্থপূর্ণ উপলব্ধিতে রূপান্তরিত করে এবং মানুষসহ অন্য প্রাণীদের রং চেনার ক্ষেত্রে নিউরাল প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ করে, তা ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে এই আবিষ্কার।
গবেষণাপত্রের লেখক ও কলাম্বিয়ার জুকারম্যান ইনস্টিটিউটের একজন প্রধান তদন্তকারী ড. রুডি বেহনিয়া বলেন, ‘আমরা সমৃদ্ধ রংগুলোকে প্রতিদিন দেখি—একটি লাল পাকা স্ট্রবেরি বা একটি শিশুর চোখে গাঢ় বাদামি রং। কিন্তু সেই রংগুলো আমাদের মস্তিষ্কের বাইরে নেই।’
বেহনিয়া বলেন, পরিবেশের সংবেদনশীল সংকেত উপলব্ধিতে পরিণত করে মস্তিষ্ক জীবকে বেঁচে থাকতে এবং সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করে।
নিউরনের নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দলটি। গবেষণায় দেখা গেছে, ফলের মাছি একধরনের মস্তিষ্কের কোষ যা রঙের বিভিন্ন ধরনের প্রতি বেছে বেছে সাড়া দেয়। হিউ নির্দিষ্ট করা নিউরনগুলো অপটিক লোবের মধ্যে থাকে। অপটিক লোব মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত, যা দৃষ্টিশক্তির জন্য দায়ী।
নিউরনগুলো বেগুনি রঙের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া জানায়। ফলে মানুষ একে বেগুনি হিসেবে চিহ্নিত করে এবং অন্য প্রাণীরা আলট্রাভায়োলেট (ইউভি) বা অতিবেগুনি হিসেবে শনাক্ত করে। মৌমাছি ও ফলের মাছির মতো কিছু প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য আলট্রাভায়োলেট বা অতিবেগুনি রং শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন অনেক গাছপালা অতিবেগুনি রং ধারণ করে, যা পোকামাকড়কে পরাগ পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করতে পারে।
এর আগে বিজ্ঞানীরা প্রাণীদের মস্তিষ্কে নিউরন খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন, যেগুলো বিভিন্ন রং বা বর্ণ বেছে বেছে সাড়া দেয়। কিন্তু কেউই এই হিউ নির্দিষ্ট নিউরাল প্রক্রিয়ার সন্ধান করতে সক্ষম হয়নি।
বেহনিয়া বলেন, ফলের মাছির নিউরাল নেটওয়ার্কের মানচিত্র গবেষণাটিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে। এই মানচিত্রে দেখা যায়, কীভাবে মাছির ১ লাখ ৩০ হাজার নিউরন ও ৫ কোটি সিন্যাপসিস পরস্পর সংযুক্ত থাকে।
গবেষকেরা তাদের মস্তিষ্কের কোষগুলো পর্যবেক্ষণ করে একটি ডায়াগ্রাম তৈরি করেন। তাঁরা দেখেন, রং নির্বাচনের পেছনে নিউরাল সার্কিট সাহায্য করে।
সার্কিটগুলোর ক্রিয়াকলাপ ও ক্ষমতাগুলো অনুসন্ধান করার জন্য বিজ্ঞানীরা সার্কিটগুলোকে গাণিতিক মডেল হিসেবে চিত্রিত করেন।
গবেষণাপত্রের আরেক লেখক ড. ম্যাথিয়াস ক্রিস্টেনসন বলেন, মস্তিষ্কের কোষ ও তাদের আন্তসংযোগগুলোর মতো অগোছালো ও জটিল বিষয় বুঝতে গাণিতিক মডেলগুলো টুল হিসেবে সাহায্য করে।
তিনি বলেন, এই মডেল থেকে জানা যায়, সার্কিটগুলো শুধু হিউ নির্বাচন করতে সাহায্য করে না, বরং কোষ থেকে কোষের আন্তসংযোগেও সাহায্য করে। এটিকে ‘রিকারেন্স’ বা পুনরাবৃত্তি বলে। এটি ছাড়া রং নির্বাচন হয় না।
রং চেনার জন্য মস্তিষ্কের কোন সার্কিট দায়ী, তা শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা। অপটিক লোবের মধ্যে থাকা নিউরনগুলো বিভিন্ন রঙের প্রতি আলাদাভাবে সাড়া দেয়। ফলে কোনো রং বেগুনি নাকি গাড় বেগুনি—তা বোঝা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞানী যুগান্তকারী এই আবিষ্কার করেন। গবেষণাপত্রটি নেচার জার্নালের নিউরোসায়েন্স বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে।
ফ্রুট ফ্লাই বা ফলের মাছির ওপর নিরীক্ষা চালিয়ে গবেষকেরা এই সার্কিট চিহ্নিত করেন। নেচার জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফলের মাছির অপটিক লোবের মধ্যে থাকা নিউরনগুলো বিভিন্ন বর্ণের প্রতি আলাদাভাবে সাড়া দেয়। মাছির মস্তিষ্কের নিউরাল নেটওয়ার্কের পুরো চিত্র বের করার মাধ্যমে এই আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে।
মস্তিষ্ক কীভাবে সংবেদনশীল সংকেতকে অর্থপূর্ণ উপলব্ধিতে রূপান্তরিত করে এবং মানুষসহ অন্য প্রাণীদের রং চেনার ক্ষেত্রে নিউরাল প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ করে, তা ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে এই আবিষ্কার।
গবেষণাপত্রের লেখক ও কলাম্বিয়ার জুকারম্যান ইনস্টিটিউটের একজন প্রধান তদন্তকারী ড. রুডি বেহনিয়া বলেন, ‘আমরা সমৃদ্ধ রংগুলোকে প্রতিদিন দেখি—একটি লাল পাকা স্ট্রবেরি বা একটি শিশুর চোখে গাঢ় বাদামি রং। কিন্তু সেই রংগুলো আমাদের মস্তিষ্কের বাইরে নেই।’
বেহনিয়া বলেন, পরিবেশের সংবেদনশীল সংকেত উপলব্ধিতে পরিণত করে মস্তিষ্ক জীবকে বেঁচে থাকতে এবং সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করে।
নিউরনের নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করছে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষক দলটি। গবেষণায় দেখা গেছে, ফলের মাছি একধরনের মস্তিষ্কের কোষ যা রঙের বিভিন্ন ধরনের প্রতি বেছে বেছে সাড়া দেয়। হিউ নির্দিষ্ট করা নিউরনগুলো অপটিক লোবের মধ্যে থাকে। অপটিক লোব মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত, যা দৃষ্টিশক্তির জন্য দায়ী।
নিউরনগুলো বেগুনি রঙের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া জানায়। ফলে মানুষ একে বেগুনি হিসেবে চিহ্নিত করে এবং অন্য প্রাণীরা আলট্রাভায়োলেট (ইউভি) বা অতিবেগুনি হিসেবে শনাক্ত করে। মৌমাছি ও ফলের মাছির মতো কিছু প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য আলট্রাভায়োলেট বা অতিবেগুনি রং শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন অনেক গাছপালা অতিবেগুনি রং ধারণ করে, যা পোকামাকড়কে পরাগ পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করতে পারে।
এর আগে বিজ্ঞানীরা প্রাণীদের মস্তিষ্কে নিউরন খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন, যেগুলো বিভিন্ন রং বা বর্ণ বেছে বেছে সাড়া দেয়। কিন্তু কেউই এই হিউ নির্দিষ্ট নিউরাল প্রক্রিয়ার সন্ধান করতে সক্ষম হয়নি।
বেহনিয়া বলেন, ফলের মাছির নিউরাল নেটওয়ার্কের মানচিত্র গবেষণাটিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করেছে। এই মানচিত্রে দেখা যায়, কীভাবে মাছির ১ লাখ ৩০ হাজার নিউরন ও ৫ কোটি সিন্যাপসিস পরস্পর সংযুক্ত থাকে।
গবেষকেরা তাদের মস্তিষ্কের কোষগুলো পর্যবেক্ষণ করে একটি ডায়াগ্রাম তৈরি করেন। তাঁরা দেখেন, রং নির্বাচনের পেছনে নিউরাল সার্কিট সাহায্য করে।
সার্কিটগুলোর ক্রিয়াকলাপ ও ক্ষমতাগুলো অনুসন্ধান করার জন্য বিজ্ঞানীরা সার্কিটগুলোকে গাণিতিক মডেল হিসেবে চিত্রিত করেন।
গবেষণাপত্রের আরেক লেখক ড. ম্যাথিয়াস ক্রিস্টেনসন বলেন, মস্তিষ্কের কোষ ও তাদের আন্তসংযোগগুলোর মতো অগোছালো ও জটিল বিষয় বুঝতে গাণিতিক মডেলগুলো টুল হিসেবে সাহায্য করে।
তিনি বলেন, এই মডেল থেকে জানা যায়, সার্কিটগুলো শুধু হিউ নির্বাচন করতে সাহায্য করে না, বরং কোষ থেকে কোষের আন্তসংযোগেও সাহায্য করে। এটিকে ‘রিকারেন্স’ বা পুনরাবৃত্তি বলে। এটি ছাড়া রং নির্বাচন হয় না।
২৫ এপ্রিল ভোরে আকাশের দিকে তাকালেই দেখা মিলতে পারে এক ‘হাস্যোজ্জ্বল মুখ’। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা জানিয়েছে, ওই দিন ভোরে এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে পারবেন বিশ্ববাসী—যার নাম ‘ট্রিপল কনজাংকশন’।
১ ঘণ্টা আগেমহাকাশে ২২০ দিন কাটিয়ে আজ রোববার ভোরে পৃথিবীতে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণতম কর্মরত মহাকাশচারী ডন পেটিট। বিশেষ এই প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তাঁর ৭০তম জন্মদিনে। রুশ মহাকাশযান সয়ুজ এমএস-২৬ চড়ে কাজাখস্তানের স্টেপ অঞ্চলে অবতরণ করেন তিনি ও তাঁর দুই রুশ সহযাত্রী আলেক্সি ওভচিনিন ও ইভান ভাগনার।
২০ ঘণ্টা আগেপ্রাচীন মানবের টিকে থাকার লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ও চমকপ্রদ উপাদান খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। ৪০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্রের বড় রকমের পরিবর্তনের সময় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির মারাত্মক প্রভাবে হুমকির মুখে পড়েছিল পৃথিবীর জীবজগৎ।
১ দিন আগেরাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিভা ও বিতর্কিত কর্মজীবনের জন্য পরিচিত ছিলেন। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক আবিষ্কার করেছিলেন এই প্রত্নতত্ত্ববিদ। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় আজও উপেক্ষিত।
২ দিন আগে