মইনুল হাসান
জানালা-কপাটহীন বিশাল হল ঘরের মধ্যে পিন পতন নীরবতা। সারি সারি নলাকার ধাতব ট্যাংকের মধ্যে শূন্যের নিচে ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তরল নাইট্রোজেনে মাথা নিচের দিকে করে প্রচণ্ড ঠান্ডায় নিমজ্জিত আছে বহু মানুষের প্রাণহীন নিথর দেহ। ট্যাংকের বাইরে একটি ফলকে লেখা আছে মৃতের পরিচয়, নাম, জন্ম এবং মৃত্যুর তারিখ। মায়া-মমতা, ভালোবাসার পৃথিবী থেকে মৃত্যু নামক চরম বাস্তবতা তাঁদের প্রাণ ছিনিয়ে নিলেও মৃত্যুর কাছে হেরে যেতে তাঁরা নারাজ। একদিন খুব উন্নত বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির কল্যাণে আবারও ফিরে আসবেন চিরপরিচিত এই পৃথিবীতে। সে আশাতেই নিজেদের নশ্বর দেহ সংরক্ষণ করেছেন হিমায়িত আঁধারের আধারে।
মৃত্যু মানুষকে যতটা ভাবায়, আর কিছু তেমন করে মানুষকে উদ্বিগ্ন, বিষণ্ন করে না। অনেকেই এই নির্মম সত্য মোটেই মেনে নিতে পারে না এবং মৃত্যুকে ভয় পায়। ফেরাউনদের সময়ে, পরকালে দ্বিতীয় জীবন লাভের আশায় ফেরাউনদের মৃতদেহকে মমি করে রাখা হতো। আর একেশ্বরবাদী ধর্মে অনন্ত পরকালের প্রতিশ্রুতি আছে। বিভিন্ন লোককাহিনিতে বর্ণনা করা আছে দেবতারা অমর, মৃত্যু ও জরা তাদের স্পর্শ করে না। অমরত্ব তাই দেবগুণ। আবার দূর অতীতে কারও কারও হাজার বছর বা আরও বেশি বেঁচে থাকার কথা বলা হলেও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে তা মোটেই প্রমাণিত হয়নি।
একদল মানুষ এসব কিছুই শুনতে বা মানতে রাজি নন। মরে গেলে এই নশ্বর দেহ ধুলোয় মিশে যাবে বা পোকা-মাকড়ের খাবার হবে, তা তাঁরা মোটেই হতে দিতে চান না। সম্প্রতি নিজেদের মৃতদেহ যথাযথ সংরক্ষণের জন্য ১ হাজার ৩ শ ৫৩ জন মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালকোর কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। পুরো পৃথিবীতে আগে থেকেই আরও কয়েক শ মানুষের মৃতদেহ তরল নাইট্রোজেনে হিমায়িত করে সংরক্ষণ করা আছে। এ সংখ্যা প্রায় ২ হাজারের মতো। একদিন খুব উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে আবারও পৃথিবীর রূপ, রস, বর্ণ, ঘ্রাণ উপভোগ করবেন তাঁরা। অর্থাৎ নিজেদের মৃতদেহ প্রাণ ফিরে পাবে, সে আশাতেই এমন ব্যয়বহুল এবং জটিল সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের নশ্বর দেহ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন সেসব মানুষ। বিভিন্ন ব্যক্তিগত হিমায়িত শবাধার ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রায়োনিক্স ইনস্টিটিউট এবং রাশিয়ায় ক্রিওরাশ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান বাজার দখল করে আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য খরচ করতে হবে কম করে ২ লাখ মার্কিন ডলার।
প্রথম মানুষ যিনি নিজের দেহ সংরক্ষণের জন্য সব ব্যবস্থা আগে থেকে করে রেখেছিলেন, তিনি একজন মার্কিন নাগরিক। ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক, নাম জেমস হিরাম বেডফোর্ড (১৮৯৩-১৯৬৭)। তিনি মৃত্যুর পর থেকে আজও একটি ধাতব ট্যাংকে হিমায়িত তরল নাইট্রোজেনের মধ্যে অপেক্ষা করে আছেন, একদিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তাঁকে আবারও পৃথিবীর বুকে সূর্যের আলো দেখার সুযোগ করে দেবে। পৃথিবীর বাতাসে আবারও আরেকবার বুক ভরে নিশ্বাস নেবেন।
হিমায়ন অর্থাৎ ক্রায়োনিক্স কেন্দ্রে স্থানান্তরের পূর্বে প্রথম ধাপে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেগুলো হলো, মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবাহ নিশ্চিত করে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস নিশ্চিত করা। সমস্ত দেহ বরফ ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখা। রক্ত যাতে জমাট না বাঁধে, সে জন্য হেপারিন ইনজেকশন দেওয়া। শরীরের কোষগুলোতে পানি থাকে, তা যাতে জমাট বাঁধতে না পারে সে জন্য গ্লিসারিন দিয়ে তৈরি এক ধরনের তরল ইনজেকশন দেহে প্রবেশ করানো।
এরপর ক্রায়োনিক্স কেন্দ্রে মাথা নিচের দিকে রেখে ধাতব ট্যাংকে শূন্যের নিচে ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তরল নাইট্রোজেনে দেহটি ধীরে ধীরে ডুবানো হয়। ক্রমান্বয়ে মৃতদেহ হিমায়িত ও বায়ুরোধী করে ট্যাংকটি আটকে দেওয়া হয়। এখানেই মৃতদের থাকতে হবে অনির্দিষ্টকাল, সুদিনের অপেক্ষায়। আশা একটাই, একদিন জ্ঞান, বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে উন্নত মানুষ এই মৃতদের হিমশীতল, নিকষ অন্ধকার আবাস থেকে বের করে আনবে। তাঁদের প্রাণহীন দেহে প্রাণের সঞ্চার করবে এবং তাঁদের দ্বিতীয় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে।
ফ্রান্সসহ অনেকগুলো দেশে পুনর্জন্মের আশায় মৃতদেহ সংরক্ষণ নিষিদ্ধ। তবে মানুষের শুক্রাণু, ডিম্বাণু এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হিমায়িত করে সংরক্ষণ করা বৈধ। ২০১৬ সালে ১৪ বছরের এক ব্রিটিশ কিশোরী দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হলে নিজেই সরাসরি ব্রিটিশ বিচার বিভাগের কাছে আবেদন করে, যেন তাঁর মৃতদেহ সংরক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
মৃতদেহে প্রাণের সঞ্চারের প্রশ্নে বিজ্ঞানীরা দুই দলে বিভক্ত। একদল বলছেন, ‘অসম্ভব’। আরেক দল বলে দিয়েছে, বিজ্ঞানীদের অভিধানে ‘অসম্ভব’ শব্দটি থাকা উচিত নয়। তাঁরা বিশেষ করে আশাবাদী হচ্ছেন এ জন্য, যে ইতিমধ্যে মানুষের হাতে এসে গেছে উন্নত জৈবপ্রযুক্তি। বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়া বরফের নিচে জমে থাকা ৪ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া অতিকায় লোমশ ম্যামথের ডিএনএ খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা এখন এক টুকরো অতি ক্ষুদ্র সেই ডিএনএ অণু থেকে অতিকায় প্রাণীটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়েছেন। তাঁরা খুবই আশাবাদী যে, এ কাজে সফল হবেন। শুধু তাই নয়, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে এ পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য প্রাণী আবারও পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলেছেন, আজ যা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী কাল তা বাস্তব। তারপরও প্রশ্ন থেকেই যায়, মৃতদেহে প্রাণের সঞ্চার সম্ভব কি?
লেখক: ফ্রান্স প্রবাসী গবেষক।
জানালা-কপাটহীন বিশাল হল ঘরের মধ্যে পিন পতন নীরবতা। সারি সারি নলাকার ধাতব ট্যাংকের মধ্যে শূন্যের নিচে ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তরল নাইট্রোজেনে মাথা নিচের দিকে করে প্রচণ্ড ঠান্ডায় নিমজ্জিত আছে বহু মানুষের প্রাণহীন নিথর দেহ। ট্যাংকের বাইরে একটি ফলকে লেখা আছে মৃতের পরিচয়, নাম, জন্ম এবং মৃত্যুর তারিখ। মায়া-মমতা, ভালোবাসার পৃথিবী থেকে মৃত্যু নামক চরম বাস্তবতা তাঁদের প্রাণ ছিনিয়ে নিলেও মৃত্যুর কাছে হেরে যেতে তাঁরা নারাজ। একদিন খুব উন্নত বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির কল্যাণে আবারও ফিরে আসবেন চিরপরিচিত এই পৃথিবীতে। সে আশাতেই নিজেদের নশ্বর দেহ সংরক্ষণ করেছেন হিমায়িত আঁধারের আধারে।
মৃত্যু মানুষকে যতটা ভাবায়, আর কিছু তেমন করে মানুষকে উদ্বিগ্ন, বিষণ্ন করে না। অনেকেই এই নির্মম সত্য মোটেই মেনে নিতে পারে না এবং মৃত্যুকে ভয় পায়। ফেরাউনদের সময়ে, পরকালে দ্বিতীয় জীবন লাভের আশায় ফেরাউনদের মৃতদেহকে মমি করে রাখা হতো। আর একেশ্বরবাদী ধর্মে অনন্ত পরকালের প্রতিশ্রুতি আছে। বিভিন্ন লোককাহিনিতে বর্ণনা করা আছে দেবতারা অমর, মৃত্যু ও জরা তাদের স্পর্শ করে না। অমরত্ব তাই দেবগুণ। আবার দূর অতীতে কারও কারও হাজার বছর বা আরও বেশি বেঁচে থাকার কথা বলা হলেও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানে তা মোটেই প্রমাণিত হয়নি।
একদল মানুষ এসব কিছুই শুনতে বা মানতে রাজি নন। মরে গেলে এই নশ্বর দেহ ধুলোয় মিশে যাবে বা পোকা-মাকড়ের খাবার হবে, তা তাঁরা মোটেই হতে দিতে চান না। সম্প্রতি নিজেদের মৃতদেহ যথাযথ সংরক্ষণের জন্য ১ হাজার ৩ শ ৫৩ জন মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালকোর কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। পুরো পৃথিবীতে আগে থেকেই আরও কয়েক শ মানুষের মৃতদেহ তরল নাইট্রোজেনে হিমায়িত করে সংরক্ষণ করা আছে। এ সংখ্যা প্রায় ২ হাজারের মতো। একদিন খুব উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে আবারও পৃথিবীর রূপ, রস, বর্ণ, ঘ্রাণ উপভোগ করবেন তাঁরা। অর্থাৎ নিজেদের মৃতদেহ প্রাণ ফিরে পাবে, সে আশাতেই এমন ব্যয়বহুল এবং জটিল সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের নশ্বর দেহ সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছেন সেসব মানুষ। বিভিন্ন ব্যক্তিগত হিমায়িত শবাধার ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রায়োনিক্স ইনস্টিটিউট এবং রাশিয়ায় ক্রিওরাশ নামে দুটি প্রতিষ্ঠান বাজার দখল করে আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য খরচ করতে হবে কম করে ২ লাখ মার্কিন ডলার।
প্রথম মানুষ যিনি নিজের দেহ সংরক্ষণের জন্য সব ব্যবস্থা আগে থেকে করে রেখেছিলেন, তিনি একজন মার্কিন নাগরিক। ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক, নাম জেমস হিরাম বেডফোর্ড (১৮৯৩-১৯৬৭)। তিনি মৃত্যুর পর থেকে আজও একটি ধাতব ট্যাংকে হিমায়িত তরল নাইট্রোজেনের মধ্যে অপেক্ষা করে আছেন, একদিন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তাঁকে আবারও পৃথিবীর বুকে সূর্যের আলো দেখার সুযোগ করে দেবে। পৃথিবীর বাতাসে আবারও আরেকবার বুক ভরে নিশ্বাস নেবেন।
হিমায়ন অর্থাৎ ক্রায়োনিক্স কেন্দ্রে স্থানান্তরের পূর্বে প্রথম ধাপে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেগুলো হলো, মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবাহ নিশ্চিত করে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস নিশ্চিত করা। সমস্ত দেহ বরফ ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখা। রক্ত যাতে জমাট না বাঁধে, সে জন্য হেপারিন ইনজেকশন দেওয়া। শরীরের কোষগুলোতে পানি থাকে, তা যাতে জমাট বাঁধতে না পারে সে জন্য গ্লিসারিন দিয়ে তৈরি এক ধরনের তরল ইনজেকশন দেহে প্রবেশ করানো।
এরপর ক্রায়োনিক্স কেন্দ্রে মাথা নিচের দিকে রেখে ধাতব ট্যাংকে শূন্যের নিচে ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় তরল নাইট্রোজেনে দেহটি ধীরে ধীরে ডুবানো হয়। ক্রমান্বয়ে মৃতদেহ হিমায়িত ও বায়ুরোধী করে ট্যাংকটি আটকে দেওয়া হয়। এখানেই মৃতদের থাকতে হবে অনির্দিষ্টকাল, সুদিনের অপেক্ষায়। আশা একটাই, একদিন জ্ঞান, বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিতে উন্নত মানুষ এই মৃতদের হিমশীতল, নিকষ অন্ধকার আবাস থেকে বের করে আনবে। তাঁদের প্রাণহীন দেহে প্রাণের সঞ্চার করবে এবং তাঁদের দ্বিতীয় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করবে।
ফ্রান্সসহ অনেকগুলো দেশে পুনর্জন্মের আশায় মৃতদেহ সংরক্ষণ নিষিদ্ধ। তবে মানুষের শুক্রাণু, ডিম্বাণু এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হিমায়িত করে সংরক্ষণ করা বৈধ। ২০১৬ সালে ১৪ বছরের এক ব্রিটিশ কিশোরী দুরারোগ্য ক্যানসারে আক্রান্ত হলে নিজেই সরাসরি ব্রিটিশ বিচার বিভাগের কাছে আবেদন করে, যেন তাঁর মৃতদেহ সংরক্ষণের অনুমতি দেওয়া হয়। তাঁর আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
মৃতদেহে প্রাণের সঞ্চারের প্রশ্নে বিজ্ঞানীরা দুই দলে বিভক্ত। একদল বলছেন, ‘অসম্ভব’। আরেক দল বলে দিয়েছে, বিজ্ঞানীদের অভিধানে ‘অসম্ভব’ শব্দটি থাকা উচিত নয়। তাঁরা বিশেষ করে আশাবাদী হচ্ছেন এ জন্য, যে ইতিমধ্যে মানুষের হাতে এসে গেছে উন্নত জৈবপ্রযুক্তি। বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়া বরফের নিচে জমে থাকা ৪ হাজার বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া অতিকায় লোমশ ম্যামথের ডিএনএ খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা এখন এক টুকরো অতি ক্ষুদ্র সেই ডিএনএ অণু থেকে অতিকায় প্রাণীটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হয়েছেন। তাঁরা খুবই আশাবাদী যে, এ কাজে সফল হবেন। শুধু তাই নয়, প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে এ পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য প্রাণী আবারও পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তাঁরা। বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলেছেন, আজ যা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী কাল তা বাস্তব। তারপরও প্রশ্ন থেকেই যায়, মৃতদেহে প্রাণের সঞ্চার সম্ভব কি?
লেখক: ফ্রান্স প্রবাসী গবেষক।
যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকেরা এক যুগান্তকারী পদ্ধতি ব্যবহার করে আট সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে তিন ব্যক্তির ডিএনএ সমন্বয় করে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, যাতে শিশুরা দুরারোগ্য জিনগত ব্যাধি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
৪ দিন আগেপ্রাণীরা একে অপরের ডাকে সাড়া দেয়, এই তথ্য আমাদের অনেকের জানা। তবে সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে আরও বিস্ময়কর এক তথ্য। গাছও শব্দ করে, আর সেই শব্দ শুনেই সিদ্ধান্ত নেয় পোকামাকড়। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে এক নতুন ধরনের যোগসূত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৬ দিন আগেসবচেয়ে কাছ থেকে তোলা সূর্যের ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। এসব ছবি পাঠিয়েছে নাসার মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব। এই মহাকাশযান সূর্যের পৃষ্ঠের মাত্র ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মাইল (৬ দশমিক ১ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূর থেকে ছবি তোলে।
৭ দিন আগেপ্রাইমেট শ্রেণির প্রাণিজগতে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের আধিপত্য নিয়ে যে ধারণা ছিল, তা ভেঙে দিয়েছে এক নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণা। ১০০টির বেশি প্রজাতির প্রাইমেটের মধ্যে পুরুষ ও স্ত্রীর মধ্যকার ক্ষমতার ভারসাম্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ প্রজাতিতেই কোনো একটি লিঙ্গ স্পষ্টভাবে অপর লিঙ্গের...
৭ দিন আগে