২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ মিশনের সূচনা করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। এই মিশনের লক্ষ্য হলো—সিক্সটিন-সাইকি নামে একটি গ্রহাণু। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে অবস্থান করা এই গ্রহাণুটি মূল্যবান সব ধাতু দিয়ে তৈরি। এসব ধাতুর মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম, স্বর্ণ এবং নিকেলের মতো মূল্যবান উপাদান।
গবেষকেরা বলছেন, গ্রহটিতে যে পরিমাণ মূল্যবান খনিজ রয়েছে তার মূল্য প্রায় ১০ হাজার বিলিয়ন ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোয়াড্রিলিয়ন ডলার! তবে এই গ্রহাণু থেকে খনিজ আহরণ করা নাসার বিজ্ঞানীদের প্রধান লক্ষ্য নয়। বরং এর গঠন ও উৎপত্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।
‘সিক্সটিন-সাইকি’ গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৮৫২ সালে। ইতালীয় জ্যোতির্বিদ অ্যানিবালে ডে গাসপারিস এটি প্রথম দেখেছিলেন। পরে গ্রিক দেবী সাইকি বা আত্মার নামে এটির নামকরণ করা হয়।
অধিকাংশ গ্রহাণু যেখানে পাথুরে বা বরফের তৈরি হয়, সেখানে সাইকি কিছুটা ব্যতিক্রম। এটি মূলত ধাতু দিয়ে তৈরি। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এটি সম্ভবত কোনো প্রাচীন গ্রহের একেবারের কেন্দ্রের অংশ। আমাদের পৃথিবীর কেন্দ্রীয় কাঠামো বোঝার জন্য হলেও সাইকি সম্পর্কে গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রহাণুটির আয়তন প্রায় ৬৪ হাজার বর্গমাইল।
ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উৎক্ষেপণ করা নাসার মহাকাশযানটি সাইকিতে পৌঁছানোর জন্য ২২০ কোটি মাইল পথ পাড়ি দেবে। ২০২৬ সালে এই যানটি মঙ্গল গ্রহের অভিকর্ষ ব্যবহার করে আরও গতি বাড়াবে এবং ২০২৯ সালে সাইকিতে পৌঁছাবে।
মিশনটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো—গ্রহাণুর উপাদান ও কাঠামো বিশ্লেষণ করা এবং সৌরজগতের শুরুর দিককার গ্রহগুলোর গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাওয়া।
সাইকি মিশনের বৈজ্ঞানিক লক্ষ্য সুস্পষ্ট হলেও এর মূল্যবান ধাতু আহরণের ধারণাটিও বর্তমানে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে মহাকাশ খনিজ আহরণ নিয়ে গবেষণা করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে আরও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন প্রয়োজন।
প্ল্যানেটারি পদার্থবিদ ফিলিপ মেটজগার বলেন, ‘পৃথিবীতে খনিজ আহরণ যেখানে স্বাভাবিক পরিবেশে সম্ভব, মহাকাশে তা অত্যন্ত জটিল।’
অর্থনৈতিক দিক থেকেও এ ধরনের খনিজ আহরণ বেশ ব্যয়বহুল এবং অনিশ্চিত হতে পারে। বলা যায়, বর্তমান প্রযুক্তিতে মহাকাশের খনিজ সংগ্রহ করে পৃথিবীতে আনার খরচ মেটানো প্রায় অসম্ভব। তবে পানি সমৃদ্ধ গ্রহাণু থেকে রকেট জ্বালানি তৈরি এবং মহাকাশ কাঠামো নির্মাণের মতো কাজে ব্যবহারের জন্য খনিজ আহরণ ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সাইকির মতো গ্রহাণুর ধাতু ভবিষ্যতের মহাকাশ মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হতে পারে। এটি শুধু বিজ্ঞানী নয়, মানবজাতির মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাকাশ মিশনের সূচনা করেছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। এই মিশনের লক্ষ্য হলো—সিক্সটিন-সাইকি নামে একটি গ্রহাণু। মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে অবস্থান করা এই গ্রহাণুটি মূল্যবান সব ধাতু দিয়ে তৈরি। এসব ধাতুর মধ্যে রয়েছে প্লাটিনাম, স্বর্ণ এবং নিকেলের মতো মূল্যবান উপাদান।
গবেষকেরা বলছেন, গ্রহটিতে যে পরিমাণ মূল্যবান খনিজ রয়েছে তার মূল্য প্রায় ১০ হাজার বিলিয়ন ট্রিলিয়ন বা ১ লাখ কোয়াড্রিলিয়ন ডলার! তবে এই গ্রহাণু থেকে খনিজ আহরণ করা নাসার বিজ্ঞানীদের প্রধান লক্ষ্য নয়। বরং এর গঠন ও উৎপত্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করাই তাঁদের উদ্দেশ্য।
‘সিক্সটিন-সাইকি’ গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৮৫২ সালে। ইতালীয় জ্যোতির্বিদ অ্যানিবালে ডে গাসপারিস এটি প্রথম দেখেছিলেন। পরে গ্রিক দেবী সাইকি বা আত্মার নামে এটির নামকরণ করা হয়।
অধিকাংশ গ্রহাণু যেখানে পাথুরে বা বরফের তৈরি হয়, সেখানে সাইকি কিছুটা ব্যতিক্রম। এটি মূলত ধাতু দিয়ে তৈরি। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এটি সম্ভবত কোনো প্রাচীন গ্রহের একেবারের কেন্দ্রের অংশ। আমাদের পৃথিবীর কেন্দ্রীয় কাঠামো বোঝার জন্য হলেও সাইকি সম্পর্কে গবেষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রহাণুটির আয়তন প্রায় ৬৪ হাজার বর্গমাইল।
ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উৎক্ষেপণ করা নাসার মহাকাশযানটি সাইকিতে পৌঁছানোর জন্য ২২০ কোটি মাইল পথ পাড়ি দেবে। ২০২৬ সালে এই যানটি মঙ্গল গ্রহের অভিকর্ষ ব্যবহার করে আরও গতি বাড়াবে এবং ২০২৯ সালে সাইকিতে পৌঁছাবে।
মিশনটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো—গ্রহাণুর উপাদান ও কাঠামো বিশ্লেষণ করা এবং সৌরজগতের শুরুর দিককার গ্রহগুলোর গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাওয়া।
সাইকি মিশনের বৈজ্ঞানিক লক্ষ্য সুস্পষ্ট হলেও এর মূল্যবান ধাতু আহরণের ধারণাটিও বর্তমানে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে মহাকাশ খনিজ আহরণ নিয়ে গবেষণা করছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রক্রিয়া শুরু করতে হলে আরও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন প্রয়োজন।
প্ল্যানেটারি পদার্থবিদ ফিলিপ মেটজগার বলেন, ‘পৃথিবীতে খনিজ আহরণ যেখানে স্বাভাবিক পরিবেশে সম্ভব, মহাকাশে তা অত্যন্ত জটিল।’
অর্থনৈতিক দিক থেকেও এ ধরনের খনিজ আহরণ বেশ ব্যয়বহুল এবং অনিশ্চিত হতে পারে। বলা যায়, বর্তমান প্রযুক্তিতে মহাকাশের খনিজ সংগ্রহ করে পৃথিবীতে আনার খরচ মেটানো প্রায় অসম্ভব। তবে পানি সমৃদ্ধ গ্রহাণু থেকে রকেট জ্বালানি তৈরি এবং মহাকাশ কাঠামো নির্মাণের মতো কাজে ব্যবহারের জন্য খনিজ আহরণ ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সাইকির মতো গ্রহাণুর ধাতু ভবিষ্যতের মহাকাশ মিশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হতে পারে। এটি শুধু বিজ্ঞানী নয়, মানবজাতির মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকেরা এক যুগান্তকারী পদ্ধতি ব্যবহার করে আট সুস্থ শিশুর জন্ম দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে তিন ব্যক্তির ডিএনএ সমন্বয় করে আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল, যাতে শিশুরা দুরারোগ্য জিনগত ব্যাধি উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া থেকে রক্ষা পায়।
৪ দিন আগেপ্রাণীরা একে অপরের ডাকে সাড়া দেয়, এই তথ্য আমাদের অনেকের জানা। তবে সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে আরও বিস্ময়কর এক তথ্য। গাছও শব্দ করে, আর সেই শব্দ শুনেই সিদ্ধান্ত নেয় পোকামাকড়। এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে এক নতুন ধরনের যোগসূত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৬ দিন আগেসবচেয়ে কাছ থেকে তোলা সূর্যের ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। এসব ছবি পাঠিয়েছে নাসার মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব। এই মহাকাশযান সূর্যের পৃষ্ঠের মাত্র ৩ দশমিক ৮ মিলিয়ন মাইল (৬ দশমিক ১ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূর থেকে ছবি তোলে।
৭ দিন আগেপ্রাইমেট শ্রেণির প্রাণিজগতে দীর্ঘদিন ধরে পুরুষদের আধিপত্য নিয়ে যে ধারণা ছিল, তা ভেঙে দিয়েছে এক নতুন বৈজ্ঞানিক গবেষণা। ১০০টির বেশি প্রজাতির প্রাইমেটের মধ্যে পুরুষ ও স্ত্রীর মধ্যকার ক্ষমতার ভারসাম্য বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ প্রজাতিতেই কোনো একটি লিঙ্গ স্পষ্টভাবে অপর লিঙ্গের...
৮ দিন আগে