অনলাইন ডেস্ক
অবশেষে দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবারও চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে রাশিয়া। ১৯৭৬ সালের পর এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে লুনা-২৫ নামে মহাকাশযানটি পাঠাল রাশিয়া। রাশিয়ার আমুর অঞ্চলে অবস্থিত ভস্টকনি উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত চাঁদে মানব বসতি গড়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উপগ্রহটিতে পানির সন্ধান চলছে দীর্ঘ দিন ধরেই। এবার সেই দৌড়ে যোগ দিল রাশিয়ায়। দেশটির মহাকাশযান লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির উৎসের সন্ধান করবে।
রুশ মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান রসকসমস জানিয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ আগস্ট লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। যদি অবতরণ সফল হয় তবে তা ভারতীয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ এর দুদিন আগেই চাঁদের মেরুতে অবতরণ করবে। অথচ চন্দ্রযান-৩ লুনা-২৫ এর সপ্তাহখানেক আগে পৃথিবী থেকে উৎক্ষিপ্ত হয়েছে।
এর আগে, চাঁদে পাঠানো সব মহাকাশযানই উপগ্রহটির নিরক্ষীয় রেখা বা এর আশপাশের অঞ্চলে অবতরণ করেছে। এই প্রথম কোনো যান উপগ্রহটির দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আধুনিক রাশিয়া এই প্রথম কোনো মহাকাশযান পাঠাল। এই মহাকাশযানটি শতভাগ রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ উপাদান এবং প্রযুক্তিতে তৈরি। রাশিয়ার আগে এর উত্তরসূরি দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ২৪টি লুনার মিশন বা চাঁদে ২৪ বার মহাকাশযান পাঠিয়েছিল।
রসকসমস জানিয়েছে, লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে। মহাকাশযানটিতে এমন সব যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে যেগুলো চাঁদের মাটি, প্লাজমা এবং ধুলো থেকে বিভিন্ন বিরল খনিজ এবং পানির উৎস সন্ধানে গবেষণা চালাবে। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্যানুসারে, লুনা-২৫ চাঁদে অন্তত ১ বছর অবস্থান করবে।
এবড়োখেবড়ো পৃষ্ঠের কারণে দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযানগুলোর অবতরণ করা বেশ কঠিন। তবে বিজ্ঞানীদের অনুমান, চাঁদের এই অংশেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বরফ রয়েছে, যা থেকে জ্বালানি এবং অক্সিজেন পাওয়া সম্ভব হতে পারে। পাশাপাশি খাওয়ার পানিও পাওয়া যেতে পারে।
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস জানিয়েছে, লুনা-২৫ মহাকাশযানটির চাঁদ পর্যন্ত পৌঁছাতে মূলত সময় লাগবে পাঁচ থেকে সাত দিন। তবে বাকি পাঁচ থেকে সাত দিন লুনা-২৫ চাঁদের কক্ষপথে অবস্থান করবে, যাতে করে অবতরণের জন্য সম্ভাব্য তিনটি স্থান ভালোভাবে যাচাই করতে পারে। রাশিয়া এমন এক সময়ে এই মহাকাশযান পাঠাল, যা ভারতের চন্দ্রযান-৩ পাঠানোর সময়ের কাছাকাছি।
তবে রসকসমস জানিয়েছে, রাশিয়া ও ভারতের মহাকাশযান একই এলাকায় অবস্থান করলেও তারা পরস্পরের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। কারণ, উভয় মহাকাশযানই আলাদা আলাদাভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে রসকসমস বলেছে, ‘সেগুলোর পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষের কোনো আশঙ্কা নেই। চাঁদে সবার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে।’
অবশেষে দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে আবারও চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে রাশিয়া। ১৯৭৬ সালের পর এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে লুনা-২৫ নামে মহাকাশযানটি পাঠাল রাশিয়া। রাশিয়ার আমুর অঞ্চলে অবস্থিত ভস্টকনি উৎক্ষেপণকেন্দ্র থেকে স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত চাঁদে মানব বসতি গড়ার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে উপগ্রহটিতে পানির সন্ধান চলছে দীর্ঘ দিন ধরেই। এবার সেই দৌড়ে যোগ দিল রাশিয়ায়। দেশটির মহাকাশযান লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির উৎসের সন্ধান করবে।
রুশ মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান রসকসমস জানিয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ আগস্ট লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। যদি অবতরণ সফল হয় তবে তা ভারতীয় মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ এর দুদিন আগেই চাঁদের মেরুতে অবতরণ করবে। অথচ চন্দ্রযান-৩ লুনা-২৫ এর সপ্তাহখানেক আগে পৃথিবী থেকে উৎক্ষিপ্ত হয়েছে।
এর আগে, চাঁদে পাঠানো সব মহাকাশযানই উপগ্রহটির নিরক্ষীয় রেখা বা এর আশপাশের অঞ্চলে অবতরণ করেছে। এই প্রথম কোনো যান উপগ্রহটির দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আধুনিক রাশিয়া এই প্রথম কোনো মহাকাশযান পাঠাল। এই মহাকাশযানটি শতভাগ রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ উপাদান এবং প্রযুক্তিতে তৈরি। রাশিয়ার আগে এর উত্তরসূরি দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত ২৪টি লুনার মিশন বা চাঁদে ২৪ বার মহাকাশযান পাঠিয়েছিল।
রসকসমস জানিয়েছে, লুনা-২৫ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাবে। মহাকাশযানটিতে এমন সব যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে যেগুলো চাঁদের মাটি, প্লাজমা এবং ধুলো থেকে বিভিন্ন বিরল খনিজ এবং পানির উৎস সন্ধানে গবেষণা চালাবে। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া তথ্যানুসারে, লুনা-২৫ চাঁদে অন্তত ১ বছর অবস্থান করবে।
এবড়োখেবড়ো পৃষ্ঠের কারণে দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযানগুলোর অবতরণ করা বেশ কঠিন। তবে বিজ্ঞানীদের অনুমান, চাঁদের এই অংশেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বরফ রয়েছে, যা থেকে জ্বালানি এবং অক্সিজেন পাওয়া সম্ভব হতে পারে। পাশাপাশি খাওয়ার পানিও পাওয়া যেতে পারে।
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস জানিয়েছে, লুনা-২৫ মহাকাশযানটির চাঁদ পর্যন্ত পৌঁছাতে মূলত সময় লাগবে পাঁচ থেকে সাত দিন। তবে বাকি পাঁচ থেকে সাত দিন লুনা-২৫ চাঁদের কক্ষপথে অবস্থান করবে, যাতে করে অবতরণের জন্য সম্ভাব্য তিনটি স্থান ভালোভাবে যাচাই করতে পারে। রাশিয়া এমন এক সময়ে এই মহাকাশযান পাঠাল, যা ভারতের চন্দ্রযান-৩ পাঠানোর সময়ের কাছাকাছি।
তবে রসকসমস জানিয়েছে, রাশিয়া ও ভারতের মহাকাশযান একই এলাকায় অবস্থান করলেও তারা পরস্পরের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। কারণ, উভয় মহাকাশযানই আলাদা আলাদাভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে রসকসমস বলেছে, ‘সেগুলোর পরস্পরের সঙ্গে সংঘর্ষের কোনো আশঙ্কা নেই। চাঁদে সবার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে।’
আমাদের গ্রহের অভ্যন্তরে ঘটছে অসংখ্য জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অনেক বেশি রহস্যময়। ভূপৃষ্ঠের পাতলা স্তর এবং উত্তপ্ত কেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ম্যান্টল অঞ্চলটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
১২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) প্রায় সাত মাস ধরে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে সুনিতা এখন বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি ভুলে গেছেন কীভাবে হাঁটতে হয়! এই চ্যালেঞ্জটি তাঁর শরীরের ওপর দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানের প্র
১৪ ঘণ্টা আগেমহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া নভোচারী বাচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্ককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ তথ্য জানান মাস্ক। তবে এই ঘোষণার ফলে নাসার...
২ দিন আগেচাঁদে গিয়ে অক্সিজেনের সংকটে পড়েন নভোচারীরা। এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় কীভাবে, সেই উদ্যোগ নিয়েছেন একদল প্রকৌশলী। তাঁরা চাইছেন, সেখানে যে অক্সিজেন পাওয়া যায়, এ জন্য একটি যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা স্পেসের প্রকৌশলীরা। তাঁরা আশা করছেন
৪ দিন আগে