বিশ্বজুড়ে বাড়ছে মানুষের গড় আয়ু। সেই সঙ্গে কমছে নারী ও পুরুষের গড় আয়ুর ব্যবধান। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্বের ১৯০টি দেশের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
১৯৯০ সালে নারীদের গড় আয়ু ছিল ৭৭ দশমিক ১৭ বছর এবং পুরুষদের প্রত্যাশিত গড় জীবনকাল ছিল ৭২ দশমিক ২৩ বছর। ২০১০ সালে নারীদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে ৮৩ দশমিক ১০ বছর হয় এবং পুরুষের হয় ৭৮ দশমিক ৩৭ বছর। অর্থাৎ তখন দুই লিঙ্গের গড় আয়ুর ব্যবধান ০ দশমিক ২ বছর কমেছিল।
স্পেনের আলকালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বিজনেস ম্যানেজমেন্টের গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক ডেভিড অ্যাটান্স বলেন, নারী–পুরুষের মধ্যে জীবনকালের ব্যবধান কমে আসছে। কারণ পুরুষের আয়ু এখন নারীর আয়ুর চেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে।
লাইভ সায়েন্সকে এক ই–মেইল বার্তায় তিনি বলেন, ‘নারীদের মধ্যে আয়ু বৃদ্ধির গতি ধীর হয়ে গেছে।’
গবেষকেরা অনুমান করছেন, ২০৩০ সালে বিশ্বজুড়ে নারীদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু হবে ৮৬ দশমিক ৫৪ বছর এবং পুরুষের হবে ৮৩ দশমিক ১৩ বছর।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যান ফ্রান্সিস্কো স্কুল অব মেডিসিনের চিকিৎসক ড. ব্র্যানডন ইয়ান বলেন, ‘এই গবেষণায় বিশ্বব্যাপী আয়ু বৃদ্ধি এবং সময়ের সঙ্গে লিঙ্গ ভেদে আয়ুর ব্যবধান কমে আসার চিত্র উঠে এসেছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে, আগের গবেষণাগুলো বলছে, ২০০০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রত্যাশিত গড় আয়ু ছিল ৬৬ দশমিক ৮ বছর এবং ২০১৯ সালে ছিল ৭৩ দশমিক ৪ বছর। ২০২২ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১০টি দেশেই নারী ও পুরুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়েছে। বৈশ্বিকভাবেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে লিঙ্গভেদে জীবনকালের ব্যবধান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ইয়ান। বৈশ্বিক ডেটার বিপরীতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে নারী–পুরুষের মধ্যে জীবনকালের ব্যবধান বাড়ছে। ২০১০ সালে নারী ও পুরুষর মধ্যে প্রত্যাশিত গড় আয়ুর ব্যবধান ছিল ৪ দশমিক ৮ বছর এবং ২০২১ সালে এ ব্যবধান বেড়ে হয় ৫ দশমিক ৮ বছর।
গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্লস ওয়ান সাময়িকীতে প্রকাশিত নতুন এ গবেষণা প্রতিবেদনটির জন্য গবেষকেরা বিভিন্ন দেশের মৃত্যু হারের রেকর্ড বিশ্লেষণ করেছেন এবং কোন কোন দেশে একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে তার জরিপ করেছেন।
গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় উপাত্ত জাতিসংঘের পপুলেশন ডিভিশন থেকে নেওয়া হয়েছে। এ তথ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রত্যাশিত গড় আয়ু এবং মৃত্যুহার সংক্রান্ত তথ্য। গবেষকেরা বিশ্বের ১৯৪ দেশকে নয়টি মৃত্যুহার সম্পর্কিত সূচকে মিল থাকার ওপর ভিত্তি করে গুচ্ছভুক্ত করেন এবং ১৯৯০ সাল থেকে ২০২০ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করেন।
এ সূচকগুলোর মধ্যে রয়েছে: জন্ম থেকে মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু এবং ৬৫ বছর বয়সে প্রত্যাশিত আয়ু, মৃত্যুকালে বয়স, নির্দিষ্ট বয়সে যারা মারা যান এমন মৃত্যুর সংখ্যা। এ তথ্যগুলোর ভিত্তি করে দেশগুলোকে পাঁচটি গুচ্ছে বিভক্ত করা হয় যেগুলো পাঁচটি মহাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০০০ সাল থেকেই নারী–পুরুষের মধ্যে গড় আয়ুর ব্যবধান কমছে এবং তা কমতেই থাকবে। অ্যাটান্স বলেন, তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গবেষকেরা অনুমান করছেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত মানুষের গড় আয়ু বাড়তে থাকবে এবং নারী–পুরুষের মধ্যে গড় আয়ুর ব্যবধান কমতে থাকবে।
অ্যাটান্স বলেন, এ গড় আয়ু পরিবর্তনের এ ধারা বজায়ে থাকলেও গড়ে নারীদেরই প্রত্যাশিত আয়ু বেশি। এ ব্যবধান কমে এলেও একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে না। এর জন্য আংশিকভাবে পুরুষের ওয়াই ক্রোমোজোম দায়ী। বয়সের সঙ্গে অনেক পুরুষের কোষে ওয়াই ক্রোমোজোম লুপ্ত হতে থাকে। ক্রোমোজোমটির লোপ রোগে আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত।
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে মানুষের গড় আয়ু। সেই সঙ্গে কমছে নারী ও পুরুষের গড় আয়ুর ব্যবধান। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্বের ১৯০টি দেশের উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
১৯৯০ সালে নারীদের গড় আয়ু ছিল ৭৭ দশমিক ১৭ বছর এবং পুরুষদের প্রত্যাশিত গড় জীবনকাল ছিল ৭২ দশমিক ২৩ বছর। ২০১০ সালে নারীদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়ে ৮৩ দশমিক ১০ বছর হয় এবং পুরুষের হয় ৭৮ দশমিক ৩৭ বছর। অর্থাৎ তখন দুই লিঙ্গের গড় আয়ুর ব্যবধান ০ দশমিক ২ বছর কমেছিল।
স্পেনের আলকালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বিজনেস ম্যানেজমেন্টের গবেষণা প্রতিবেদনটির প্রধান লেখক ডেভিড অ্যাটান্স বলেন, নারী–পুরুষের মধ্যে জীবনকালের ব্যবধান কমে আসছে। কারণ পুরুষের আয়ু এখন নারীর আয়ুর চেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে।
লাইভ সায়েন্সকে এক ই–মেইল বার্তায় তিনি বলেন, ‘নারীদের মধ্যে আয়ু বৃদ্ধির গতি ধীর হয়ে গেছে।’
গবেষকেরা অনুমান করছেন, ২০৩০ সালে বিশ্বজুড়ে নারীদের প্রত্যাশিত গড় আয়ু হবে ৮৬ দশমিক ৫৪ বছর এবং পুরুষের হবে ৮৩ দশমিক ১৩ বছর।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যান ফ্রান্সিস্কো স্কুল অব মেডিসিনের চিকিৎসক ড. ব্র্যানডন ইয়ান বলেন, ‘এই গবেষণায় বিশ্বব্যাপী আয়ু বৃদ্ধি এবং সময়ের সঙ্গে লিঙ্গ ভেদে আয়ুর ব্যবধান কমে আসার চিত্র উঠে এসেছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে, আগের গবেষণাগুলো বলছে, ২০০০ সালে বিশ্বব্যাপী প্রত্যাশিত গড় আয়ু ছিল ৬৬ দশমিক ৮ বছর এবং ২০১৯ সালে ছিল ৭৩ দশমিক ৪ বছর। ২০২২ সালের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১০টি দেশেই নারী ও পুরুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়েছে। বৈশ্বিকভাবেও একই প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে লিঙ্গভেদে জীবনকালের ব্যবধান নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ইয়ান। বৈশ্বিক ডেটার বিপরীতে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে নারী–পুরুষের মধ্যে জীবনকালের ব্যবধান বাড়ছে। ২০১০ সালে নারী ও পুরুষর মধ্যে প্রত্যাশিত গড় আয়ুর ব্যবধান ছিল ৪ দশমিক ৮ বছর এবং ২০২১ সালে এ ব্যবধান বেড়ে হয় ৫ দশমিক ৮ বছর।
গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্লস ওয়ান সাময়িকীতে প্রকাশিত নতুন এ গবেষণা প্রতিবেদনটির জন্য গবেষকেরা বিভিন্ন দেশের মৃত্যু হারের রেকর্ড বিশ্লেষণ করেছেন এবং কোন কোন দেশে একই ধরনের প্রবণতা দেখা গেছে তার জরিপ করেছেন।
গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় উপাত্ত জাতিসংঘের পপুলেশন ডিভিশন থেকে নেওয়া হয়েছে। এ তথ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রত্যাশিত গড় আয়ু এবং মৃত্যুহার সংক্রান্ত তথ্য। গবেষকেরা বিশ্বের ১৯৪ দেশকে নয়টি মৃত্যুহার সম্পর্কিত সূচকে মিল থাকার ওপর ভিত্তি করে গুচ্ছভুক্ত করেন এবং ১৯৯০ সাল থেকে ২০২০ সালের তথ্য বিশ্লেষণ করেন।
এ সূচকগুলোর মধ্যে রয়েছে: জন্ম থেকে মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু এবং ৬৫ বছর বয়সে প্রত্যাশিত আয়ু, মৃত্যুকালে বয়স, নির্দিষ্ট বয়সে যারা মারা যান এমন মৃত্যুর সংখ্যা। এ তথ্যগুলোর ভিত্তি করে দেশগুলোকে পাঁচটি গুচ্ছে বিভক্ত করা হয় যেগুলো পাঁচটি মহাদেশেরই প্রতিনিধিত্ব করে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০০০ সাল থেকেই নারী–পুরুষের মধ্যে গড় আয়ুর ব্যবধান কমছে এবং তা কমতেই থাকবে। অ্যাটান্স বলেন, তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গবেষকেরা অনুমান করছেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত মানুষের গড় আয়ু বাড়তে থাকবে এবং নারী–পুরুষের মধ্যে গড় আয়ুর ব্যবধান কমতে থাকবে।
অ্যাটান্স বলেন, এ গড় আয়ু পরিবর্তনের এ ধারা বজায়ে থাকলেও গড়ে নারীদেরই প্রত্যাশিত আয়ু বেশি। এ ব্যবধান কমে এলেও একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে না। এর জন্য আংশিকভাবে পুরুষের ওয়াই ক্রোমোজোম দায়ী। বয়সের সঙ্গে অনেক পুরুষের কোষে ওয়াই ক্রোমোজোম লুপ্ত হতে থাকে। ক্রোমোজোমটির লোপ রোগে আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত।
যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো অন্যের দান করা গর্ভ ব্যবহার করে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন একজন মা। ৩৬ বছর বয়সী গ্রেস ডেভিডসন জন্মসূত্রে গর্ভহীন ছিলেন। ২০২৩ সালে বড় বোন অ্যামি পার্ডির দান করা গর্ভ গ্রেসের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়। এটি ছিল যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথম সফল গর্ভ প্রতিস্থাপন। দুই বছর পর চলতি বছরের
৬ ঘণ্টা আগে২৫ এপ্রিল ভোরে আকাশের দিকে তাকালেই দেখা মিলতে পারে এক ‘হাস্যোজ্জ্বল মুখ’। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা জানিয়েছে, ওই দিন ভোরে এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে পারবেন বিশ্ববাসী—যার নাম ‘ট্রিপল কনজাংকশন’।
১৮ ঘণ্টা আগেমহাকাশে ২২০ দিন কাটিয়ে আজ রোববার ভোরে পৃথিবীতে ফিরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবীণতম কর্মরত মহাকাশচারী ডন পেটিট। বিশেষ এই প্রত্যাবর্তন ঘটেছে তাঁর ৭০তম জন্মদিনে। রুশ মহাকাশযান সয়ুজ এমএস-২৬ চড়ে কাজাখস্তানের স্টেপ অঞ্চলে অবতরণ করেন তিনি ও তাঁর দুই রুশ সহযাত্রী আলেক্সি ওভচিনিন ও ইভান ভাগনার।
২ দিন আগেপ্রাচীন মানবের টিকে থাকার লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ও চমকপ্রদ উপাদান খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা। ৪০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্রের বড় রকমের পরিবর্তনের সময় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির মারাত্মক প্রভাবে হুমকির মুখে পড়েছিল পৃথিবীর জীবজগৎ।
২ দিন আগে